আবারো বয়স বাড়লো তিনশো পঁয়ষট্টি দিন।
জন্ম হলো নতুন ভাঁজের,
মৃত্যুঞ্জয়, তোমাকে রোওওওজ স্বপ্ন দেখি।
একটি শীত কমলো বাঁধা না মেনেই
যে চারাগুলো রোপণ করেছিলাম
সেখান থেকে একটি আর বেঁচে ওঠেনি,
জাতিস্মর, আর কতো অপেক্ষা?
যেভাবে বেঁচে থাকি, যেভাবে বেঁচে থাকে সবাই
তার ভেতরেই মরে গেলো একটি চৈতী
সয়ে যাওয়া মৃত্যুচোখেই ভাবি
কবে আসবে তুমি?
কবরের উপর নতুন কৃষ্ণচূড়া হয়ে….
২৩টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
না, কোনো কৃষ্ণচূড়াকে এ কবরে মোর উঠতেই দিব না। একেকটি অপেক্ষার প্রহরে যে মৃত্যু আমার তাতে কোনো অহংকারের জন্ম হতে দিব না। আজ এ কবরে আমারই অহংকারে ফুটে উঠবে এক নতুন ঘাসবুক। সে ঘাসবুকে নতুন যে শিশিরবিন্দু তাতে যদি না পড়ে কোনো আলো ক্ষতি নেই। কবরের এ অন্ধকারেও তাকে স্পর্শ করে যাব আমি অনন্তকাল।
অনেক ভাল হয়েছেরে সোনা। চমৎকার লিখেছো। সকালটা হাজার মেঘের ভিড়েও এক চিলতে রদ্দুর মনে হচ্ছে।
(3 -{@
শুন্য শুন্যালয়
তুমি কথা বললেই নাইটিংগেল নেঁচে ওঠে, প্যাঁচার চোখ হয়ে ওঠে আদুরে, সাঁপের চোখে জমে মায়া, জোনাক তার আলো নেভাতে ভুলে যায়।
মিষ্টি ঘাসবুকের প্রেমিকার জন্য এত্তো ভালোবাসা রইলো। -{@
নীহারিকা
এইসব মরা মরি নিয়ে না লেখলে কি চলে না? মন খারাপ হয়ে যায় যে। কি সুন্দর করে কঠিন সত্যটি লিখে দিলে
“আবারো বয়স বাড়লো তিনশো পঁয়ষট্টি দিন।
জন্ম হলো নতুন ভাঁজের” … এমন করে ক’জনই বা লিখতে পারে?
খুব ভালো হয়েছে কবিতা।
তয় এত ভালা ল্যাহা কি না দিলেই নয়? সব পুরস্কার তো একলাই বগলদাবা করবা দেখতে পারছি।
শুন্য শুন্যালয়
ম্যাগাজিনের লেখার জন্য কুনো পুরষ্কার নাইক্কা আপুজান ;(
আপনি ভোট দিলে না পুরষ্কার পামু 🙁
নীহারিকা
মডুগো কতা কিছু কউন যায়? উনারা শুনছি বিরাট হৃদয়ের অধিকারী। কখন আবার ঘোষ্ণা দিবো যে ম্যাগাজিনের লেখার জন্যও পুরস্কার দিবো। তখন?
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর লিখেছেন। ভালো লাগলো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ বাহার ভাই।
ইঞ্জা
আর ভালো লাগলোনা, কোথায় যে বলবেন, উড়ছি উড়ছি উড়ছি বা সাঁতার কেটে চলেছি, তা না করে করলেন কি, ধ্যাত। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
ফেলে যাওয়াকে জাতিস্মর হয়ে বারবার ফিরে পেতে চাই। অবিনশ্বর হতে চাই, রাখতে চাই সব। মন খারাপ বুঝি? 🙂
আচ্ছা আর লিখবোই না ধ্যাত
ইঞ্জা
আপু আমি সব সময় দোয়া করি যেন আপনারা (আমার বোনরা)সবাই সারাক্ষণ ভালো থাকবেন, হাসিখুশি থাকবেন, আর কি চাই আমার?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এ প্রথম মনে হয় এতোটা জীবনের গভীরে গেলেন।খুব ভাল লাগল কবিতাটি -{@
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্ন-ছোঁয়া জাতিস্মর
যে খুঁজে পায়
বয়স তারে কোথায় লুকায়!!
মৃত্যুচোখের চোখ গেলে
কৃষ্ণচূড়া ঠায় দাঁড়ায়!!
এমন কবিতায় মন্তব্য করা খুব কঠিন!!
শুন্য শুন্যালয়
মন্তব্যের উত্তর দেয়াতো আরো কঠিন। খুঁজে আর পেলাম কোথায়? শুধু আক্ষেপই আক্ষেপ। তবু চাইতে দোষ কী!
মিষ্টি জিন
যেদিন জন্মেছি সেদিন থেকেই একটু একটু করে মৃত্যু দিকে এগোচ্ছি। ও নিয়ে ভাবা ভাবির কিছু নাই।
কবিতা তো ভাল হয়েছে। কিন্তু মন খারাপ করে দিয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
মৃত্যু নয়, মৃত্যুকে জয় করতে চাওয়ার লেখাগো আপু। মরতে চাইনা যে। তাই জাতিস্মর রূপে বেঁচে থাকতে চাই। আদোতে যেই চৈত্র মাস চলে যায় তাই ই কী বৈশাখ হয়ে ফিরে আসেনা? সবই পালাবদলে ঘুরে আসে আমি নই কেন?
ভালো থেকো মিষ্টি আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু এমন একটি মন খারাপ করা কবিতা লিখলে, মন্তব্য করতে পারছিনা। তুমি-ই বলে দাও কি বলবো আমি!
অসম্পূর্ণ আমেজ ভরা জীবনে পাল তুলে যাওয়া এক চিমটি নিঃশ্বাস
আগামীর স্বপ্ন দেখে; কখনো মেঘে, কখনোবা রোদ্দুরে।
চৈত্রের কাঠফাটা রোদ্দুরে মিহিদানা ঘামের বিন্দু সমস্ত মুখে, যেনো ঘাসের বুকে শিশির দ্যুতি
কখনো কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙে প্রাণখোলা উচ্ছ্বলতায় উড়িয়ে দেয়া উত্তরীয়
রাঙ্গিয়ে দেয় যাবার ঠিক আগেই।
“কে যায়!” হাঁক দেয় ঈশান কোণের মেঘ,
একটুকরো মেঘলা স্বস্তি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে হেঁটে যেতে থাকে
কালের অতল গন্তব্যের দিকে
আরেকটি নূতন ঋতুর ভোরকে স্বাগত জানিয়ে বসন্ত বিদায় নেয় আবার আসবে বলে।
মৃত্যুর কাছে জন্মের জয়, কেমন হলো বলো তো তিলোত্তমা?
অনেক ভালো রেখো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আমি যে এমনই লিখতে চেয়েছিলাম, এমনই বলতে চেয়েছিলাম, কেমন করে বুঝলে? লিখলেই বা কেমন করে?
মেঘ ডাক দেয়, কে যায়!! কি মিষ্টি 🙂
নাহ তুমি তুমিই।
নীলাঞ্জনা নীলা
তুমি আর আমি যে একই আত্মা। দেখো না কতো খামচা-খামচি, ঝগড়াঝাটি করি! আবার সুঁই-সুতো হয়ে জোড়া লাগাই ছেঁড়া জায়গা। “নাহ তুমি তুমিই” নয়, আসলে আমরা আমরাই দুজন 🙂 যেমন, চুলের সাথে রাবার ব্যান্ড। 😀
ভালো থেকো তিলোত্তমা। -{@
মেহেরী তাজ
এটা কোন লেখা হইলো? যাচ্ছেতাই ..
মেহেরী তাজ
এই মন্তব্য আমি কখন করলাম? ;?
আমার মনে হয় সত্যি সত্যি মেমরি লস হয়ে যাচ্ছে।
বুবু সবকিছুর রোটেশন চলতে থাকে…….. যা চাইছো তাও সময় মতই চলে আসবে।
অরুণিমা
Bah didi,
বছর বছর শান্তি চাই নতুন বছর/অরুণিমা
ধর্ষন রাজনীতি চাই না
নতুন জামাতে ন্যাপথ্যালিন সেন্ট চাই
মুখে কোলতার মাখানো দাসত্ব চাই না
#
সাহিত্যে অভিনয় পলিটিক্সে শিল্প চাই ,তরুন স্ফুলিঙ্গ চাই
ন্যাতানো পরাধীন বুড়ো দুর্বল ভিজে বারুদ কাঠি চাই না
নতুন মুখ নতুন টালেন্ট নতুন পৃথিবী চাই
ভাঙাচোরা রং মাখানো প্রক্সি চাই না
#
প্রকৃত নায়িকা মাধুরী সুচিত্রা সেন চাই
স্টেজ কঁাপানো শরীর চাই না
কবিত্ব চাই , ফেক পাবলিশিটি চাই না
হালখাতায় টাটকা সন্দেশ চাই বাসি চিকেন
প্লাস্টিকের ডিম কালোজাম চাই না–
#
শুন্য শুন্যালয়
বাহ খুব সুন্দর কবিতা। আপনার লেখার হাত চমৎকার অরুনিমা দি। ব্লগে নিয়মিত হলে খুশি হবো। ভালো থাকবেন। শুভ নববর্ষ।