একটা ভবিষ্যৎ বাণী দিয়েই শুরু করি। আওয়ামী লীগ সরকারকে এই টার্মে অনেক বেশি অরাজনৈতিক আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে। এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় কোন দল একবার থাকলেই যেখানে জনগণ তার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে সেখানে এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে টানা তিনবার। গত টার্মের শেষ বছরে তাকে দুটো অরাজনৈতিক আন্দোলনের ( কোটা বিরোধী ও নিরাপদ সড়ক চাই) মুখোমুখি হতে হয়েছে । এ বছর প্রথম তিন মাসেই কিনা দুইটা! ( হাঁসের জুতা নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলন (নামের জন্য কৃতজ্ঞতা- তৌহিদ) ও নিরাপদ সড়ক ভার্শন টু)।
প্রতিটা সফল আন্দোলন বা রিভুলিউশনের একটা লাইফ সাইকেল থাকে যেটার সুচনা পর্বকে বলা হয় রিভল্ট অর্থাৎ সমাজে বিদ্যমান কোন একটি সিষ্টেমের অন্যায় অবিচার কিংবা শোষনের বিরুদ্ধে মানুষের পুঞ্জীভুত ক্ষোভের তাৎক্ষনিক বিস্ফোরণ। যেমন ঢাকা শহরে কোথাও এক্সিডেন্ট ঘটলে অনেক সময় বাস ভাংচুর করা হয় , এছাড়া বাস চালককে দেওয়া গণ পিটুনি, তাৎক্ষণিক মিছিল, মানব বন্ধন এগুলোকে আপনি রিভল্টের অংশ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। রিভুলিউশনের পরের ষ্টেজে থাকে থাকে এই সব অন্যায়, অবিচার , শোষণ দূর করার লক্ষ্যে মানুষের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতি এক গুচ্ছ দাবী দাওয়া এবং সেগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা জনসংযোগ- মিছিল মিটিং ইত্যাদি। আর রিভুলিউশনের শেষ ধাপটি হচ্ছে এক গুচ্ছ অভাব-অভিযোগ-দাবীর বদলে একটা জনদাবী তৈরী হওয়া এবং তা থেকে গড়ে ওঠা দুর্বার আন্দোলন। হ্যাঁ অথবা না, এক দফা এক দাবী, অমুক তুই কবে যাবি। স্মরণ করুন, ৬৬ তে বাঙ্গালীর ছয় দফা আন্দোলন একাত্তরে পরিণত হয়েছিল এক দফার স্বাধীনতার সংগ্রামে। কিন্ত সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে সংঘটিত হওয়া এই সব অরাজনৈতিক আন্দোলনগুলোর প্রধান দুর্বলতাটাই হচ্ছে , এই সব আন্দোলনে দাবী ছিল অনেক, কিন্ত সেগুলো একটি সুনির্দিষ্ট জনদাবী হিসেবে তৈরি হতে ব্যর্থ হয়েছে। যেমন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কেউ চাচ্ছে নিরাপদ সড়ক, কেউ চাচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যে ড্রাইভারের ফাঁসি আবার কেউ চাচ্ছে ফুট ওভার ব্রিজ ইত্যাদি। আছে সুনির্দিষ্ট নেতৃত্বের দুর্বলতাও। এই সব আন্দোলনগুলোতে বিএনপি জামায়াত নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বড় একটা অংশগ্রহন থাকলেও আন্দোলনকারীরা তাদের এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলন নয় বলে ব্রান্ডিং করার চেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। যদিও সরকার বিরোধী নানা ক্ষোভ, ছাত্রলীগ- যুব লীগের তান্ডবসহ নানা বিষয় এই সব আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রভাবকের ভুমিকা পালন করছে, তারপরও আন্দোলন কারীদের একটা বড় অংশই বিশ্বাস করে তাদের হাতে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের চেয়ে ভাল কোন বিকল্প নেই। মুলত এটাই এই সব অরাজনৈতিক আন্দোলন দমাতে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে।
আন্দোলনের দ্বিতীয় দুর্বলতা হচ্ছে বাস্তব লক্ষ্যের অভাব। নিরাপদ সড়ক চাই নামের সুন্দর একটা থিমকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন গড়ে উঠলেও বাস্তবতা হচ্ছে ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপটে নিরাপদ সড়ক আসলে ইম্পসিবল। এই অপরিকল্পিত শহরে প্রায় দুই কোটি লোক বাস করে, আবারো পড়ুন সংখ্যাটা দুই কোটি। একটা আদর্শ শহরের মোট আয়তনের যেখানে ২৫ ভাগ রাস্তার জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন সেখানে ঢাকায় বরাদ্দ আছে মাত্র ৮ ভাগ। এই ৮ ভাগের একটা অংশ আবার আছে অবৈধ দখলের মধ্যে। এই ৮ ভাগ রাস্তার ৮০ ভাগ আবার দখল করে রাখে প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত গাড়ি যেগুলোতে আবার চলাচল করে ঢাকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮থেকে ১০ভাগ মানুষ! আসলে সমস্যাটা এতটাই মাল্টি ডাইমেনশনাল যে সমাধান করার সাধ্য কার! অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন ঢাকা শহরে এত ফিটনেস বিহীন গাড়ি, কেন এত অবৈধ লাইসেন্সধারী ড্রাইভার, এর উত্তরটা হচ্ছে প্রধানত আমাদের প্রয়োজন। আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ ড্রাইভারের অভাব বলেই অদক্ষদের আবির্ভাব। চিন্তা করুন এই দুই কোটি মানুষের শহরে প্রতিদিন চলাচলের জন্য কত ড্রাইভার প্রয়োজন। পেশা হিসেবে ড্রাইভিংকে আমাদের সমাজে খুব একটা সম্মানের চোখে দেখা হয় না। দেশের শিক্ষিত তরুণদের একটা বড় অংশ বেকার হলেও আমরা ড্রাইভিংকে তাদের কাছে সম্মানজনক পেশা হিসেবে তুলে ধরতে পারছি না । ইটজ অল এবাউট ডিমান্ড সাপ্লাই মেকানিজম। বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের যোগান যদি কম হয় এবং সেই সঙ্গে ব্যবস্থাপনাও যদি দুর্নীতি গ্রস্থ হয় তাহলে ফাঁক তাল দিয়ে মানহীন পণ্য ঢুকে পড়া খুবই স্বাভাবিক। আর যারা ড্রাইভার তাদের পরিচয়টাও একটু জানা দরকার, এই ড্রাইভারদের অধিকাংশই ক্যারিয়ার শুরু করেছে শিশু শ্রমিক হিসেবে, যে বয়সে আমাদের ভদ্র সমাজের শিশুরা স্কুলে যায় সে বয়সে এরা উত্তরা টূ সদরঘাট লোকাল বাসের হেল্পার হিসেবে জীবন পার করেছে। মোটামুটি বেসিক মানের যে শিক্ষা কিংবা সুস্থ মানসিক বিকাশের সুযোগ এর কোনটাই তারা পায়নি। একটা ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে ভোর থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত মানে প্রায় ১৬-১৭ ঘন্টা। গাড়ি নিয়ে ঢাকার রাস্তায় বাস ড্রাইভারদের তাড়াহুড়োর প্রধান কারনটা যে অর্থনৈতিক এটাও অধিকাংশ মানুষ বুঝতে অক্ষম। কয়েক বছর আগেও একটা ড্রাইভার যদি দিনে গড়ে ১০টা ট্রিপ দিতে পারতো , ঢাকার ক্রম বর্ধমান ট্রাফিক জ্যামের কারনে এখন সে দিতে পারছে গড়ে ৬ থেকে ৭ টা। এই ৬-৭টা ট্রিপ দিয়েই তাকে বাস মালিকের জমা, পেট্রোল খরচ, শ্রমিক সংগঠন, পুলিশ সহ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিয়ে নিজের জন্য কিছু রাখতে হয়। কে না চায় ঘরে কালার টিভি, ফ্রিজ, বউ/গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে পার্কে বসে ফুচকা খাওয়ার জন্য পকেটে বাড়তি কিছু টাকা ! আমি আপনি যদি চাইতে পারি তাহলে ওরা পারবে না কেন? আগেই বলেছি সমস্যাটা মাল্টি ডাইমেনশনাল, সমাধান সহজ নয়।
আন্দোলনের তৃতীয় দুর্বলতাটাকে আধুনিক বাঙ্গালী সমাজের এক ধরনের মনস্তাত্বিক সংকট বলা যায়। বাঙ্গালীর ইগো শক্তিশালী। ইতিহাস বলে জোর করে আরোপিত কোন কিছুকেই তারা কোনকালই গ্রহন করেনি। বাঙ্গালীর অনুভুতিও প্রখর, তাদের অনুভুতি খুব সামান্যতেই আঘাত প্রাপ্ত হয়। হাঁটুর বয়সী পোলাপান তার অনেক শখ আহ্লাদে কেনা গাড়ির লাইসেন্স চেক করছে এটা দীর্ঘমেয়াদে তার পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন, যার লাইসেন্স নেই তার পক্ষেও কঠিন, এমনকি যার লাইসেন্স আছে তার পক্ষেও কঠিন। এক দুই দিন হলে ঠিক আছে, এর বেশি হলে কঠিন। এর পাশাপাশি যোগ করুন আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হওয়া গণপরিবহন সংকট। নিরাপদ সড়ক চাই, দেশ সংস্কার কাজ চলছে টাইপের স্লোগান গুলো বাঙ্গালীর আবেগকে নাড়া দিলেও, এই আন্দোলনের ইনিশিয়াল ইম্প্যাক্ট তার ব্যক্তি জীবনে বিরক্তির উদ্রেক করেছে, তৈরী হয়েছে ব্যক্তি স্বার্থ বনাম সামাজিক স্বার্থের সংকট। পুজিবাদী সমাজে বেড়ে উঠা মানূষের মনস্তাত্বিক গঠনে ব্যক্তি স্বার্থই থাকবে সবার আগে।
তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সংঘটিত হতে যাওয়া অরাজনৈতিক আন্দোলনগুলোর ভবিষ্যৎ কি? সরকার মানুষের আবেগের তাৎক্ষণিক বহিঃপ্রকাশ তথা রিভল্ট ষ্টেজকে সহ্য করবে, তবে আন্দোলন এর পরের ষ্টেজে যাওয়া মাত্রই যাবতীয় দাবি দাওয়া গুলোর মধ্যে যেগুলো জনপ্রিয় এবং সহজে বাস্তবায়ন যোগ্য সেগুলো মেনে নেবে এবং একই সঙ্গে শক্তি প্রয়োগ করে দমন করারও চেষ্টা করবে। সরকার চাইবে তরুণদের ক্ষোভ -বিক্ষোভ প্রতিবাদের কেন্দ্রস্থল ঢাকার রাস্তা না হয়ে হোক ফেসবুকের নীল দুনিয়া। তারা বিপ্লব করুক সেখানে যত ইচ্ছা, সেটা বেগুনের মুল্য বৃদ্ধি নিয়েও হতে পারে কিংবা হতে পারে নায়লা নাইম-সালমান মোক্তাদির, ডাজন্ট ম্যাটার! এভাবেই অরাজনৈতিক আন্দোলন গুলোকে কিছুটা পূরণ আর কিছুটা দমনের মধ্য দিয়েই কাউন্টার করাই হবে সরকারের রাজনৈতিক কৌশল। এর প্রতিক্রিয়াও হতে পারে বহুমাত্রিক। সমাজে বিদ্যমান নানা বৈষম্য ও অবিচারের মধ্যে দিয়ে বেড়ে উঠা তরুণ প্রজন্ম ( যাদের একটা বড় অংশ আবার বেকারত্বের দুর্দশা গ্রস্থ) যখন দেখবে তার ন্যায্য দাবির আন্দোলনগুলো দিন শেষে আসলে ব্যর্থ হচ্ছে তখন তাদের মধ্যে নৈরাশ্য ভর করতে পারে- এদেশের আর কোন কিছুই ঠিক হবে না, এদেশে থেকে আসলে কোন লাভ নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। তরুণ প্রজন্ম, যারা কিনা এখন ও আগামীতে দেশের মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করবে, তাদের মধ্যে যদি নৈরাশ্য ভর করে তবে সেটা হবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান বাধা। মনে রাখবেন এই টার্মে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক স্লোগানটাই হচ্ছে উন্নয়ন, আর উন্নয়নের প্রধান শর্তই হচ্ছে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ও তাদের জব সেটিসফেকশন। অতি দুর্বল গণতন্ত্রের এই দেশে একটা হতাশা গ্রস্থ তরুণ প্রজন্মকে মোটিভেট করে দেশের ক্রম বর্ধমান অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করাই হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
বাঙালীর ইগো আর অনুভুতি প্রবল এবং প্রখর, একমত। রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে শুরু করে অপরাধ নিরসনে যতগুলো আন্দোলন হয়েছে বা হচ্ছে তার বেশির ভাগই মাঝপথে মাটি হয়ে যায় কেন ? কারন সঠিক নেত্রীত্বের অভাব। আমরা চাই এটা হোক ওটা হোক কিন্তু চাওয়াটা চাইবার কালে চাই আওয়াজটা অন্য গলায় হোক। ৫২/ ৬৬/ ৭১/ ৯০ এর পরবর্তি বা ৯৬ এর আন্দোলন গুলো সফলতা দেখেছিলো সঠিক নেত্রীত্বদানের কারনে। যুদ্ধে লাখো সৈনিক থাকে কিন্তু শৃঙ্খলতা বজায় রেখে যুদ্ধ করার পন্থা দেখিয়ে দিতে হয় সেনাপতিকে। আওয়ামী লীগ সরকার তিনবার ক্ষমতায় আহরনের পিছনে বিরোধী দল/ দলগুলোর ভূমিকা কি ছিলো তা সাধারন জনতা জানে।
যে আন্দোলনের নেতারা বৃষ্টি দেখলেই নিজেকে শুকনো রাখার জন্য দৌড়ে গাছ / চালের নীচে আশ্রয় খোঁজে সে আন্দোলনের সফলতা কতটুকু ? আন্দোলন বলতে কি ঈঁদের পর রাস্তায় নামা বা কলা-বনরুটি খেয়ে অনশন করা বোঝায় ? অথবা আগুন সন্ত্রাস করে নিরীহ মানুষদের জীবন বিপন্ন করার নাম আন্দোলন, যেখানে আমজনতা ফ্রী আম খাওয়ার পক্ষপাতিত্বে নেই।
অপার্থিব
নেতৃত্ব তৈরী হয় রাজনৈতিক চর্চার মধ্য দিয়ে, তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশই বেড়ে উঠছে “আই হেইট পলিটিক্স” দর্শন দিয়ে ফলে সঙ্গত কারনেই তাদের মধ্যে নেতৃত্বের সংকট থাকাটা স্বাভাবিক। আজকাল অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রান্ডিংই করা হচ্ছে নো পলিটিক্স শিরোনাম দিয়ে।
প্রজন্মের অনেকেই ভার্চুয়াল আন্দোলন করতে করতে ক্লান্ত, তারা অতীতের দূর্বার সব আন্দোলনের গল্প শুনেছে। সেখান থেকেই কিছুটা মোটিভেট হয়েছে, তারাও নুতুন কিছু করতে চাইছে, ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন সফল হওয়ায় তাদের কনফিডেন্সও বেড়েছে। তাছাড়া দল বেঁধে কিছু করার আনন্দটাই অন্যরকম। শুরুতে ব্যর্থ হলেও আশা করা যায় যে এরা এই সব আন্দোলনের মধ্য দিয়েই রাজনীতির গুরুত্ব উপলব্ধি করবে। হয়তো এদের মধ্য থেকে একদিন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরী হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
বর্তমান এবং সম্প্রতি আন্দোলনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে কোটা বিরোধী ও নিরাপদ সড়ক চাই। এই দুটোতেই সাধারন মানুষের স্বতফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো দেখার মতো। ধর্ম-পেশা-দলমত সব সাইডে রেখে তারা নেমে এসেছিলো রাজপথে। আমাদের মোট জনশক্তির বড় একটি অংশই হলো তরুন-যুবসমাজ। যারা অদূর ভবিষ্যতে দেশের হাল ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তাদের আন্দোলন যখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌছেছিলো তখন সরকার নিজের কৌসল অবলম্বন করে সেটা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে, এটা সরকারের সফলতা আন্দোলন কারীদের ব্যর্থতা। এখানেও একই কথা প্রযোজ্য। নিরাপদ সড়ক বা কোটা আন্দোলনে মানুষ দুই শ্রেনীতে বিভক্ত থেকেছে। মতানৈক্য ছিলো, সরকার সুযোগ পেয়েছে / নিয়েছে। দফা কারা দেয় ? সাধারনদের বহুল চাওয়াগুলোর উপর ভিত্তি করে দলনেতা সেগুলো দফা আকারে পেশ করে। কিন্তু সাধারনরা যদি নিজেরাই নিজের চাওয়া / দফা থেকে সরে আসে বা গুরুত্বে না রেখে মিচুয়ালিটির পথ বেছে নেয় তাহলে দফা মূল্যহীন কাগজের টুকরো ছাড়া কিছুই না।
আমাদের দেশের পেশা বাছাই নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু একটা কাজ করে, যেটার ব্যাখ্যাটা আপাতত দিতে পারছি না। একজন ছেলে গ্রাজুয়েট হবার পর সে এই দেশে থেকে ড্রাইভারিকে পেশা হিসেবে নিতে চায় না। আবার ঐ ছেলেই দেশের বাইরে গিয়ে পেশা হিসেবে আঠারো ঘন্টার ড্রাইভারির চাকরী করে। এমন প্রচুর দেখেছি। দুইকোটি মানুষের শহর ঢাকাকে চাইলেই কেউ রাতারাতি বদলাতে পারবে না। বাড়িঘর রাস্তা-ঘাট বা মানুষ , এদের নিত্ত নতুন চাহিদার কাছে আন্দোলন আসবে আর যাবে। ঘরের দেয়াল না বানিয়ে যেমন জানালা তৈরী যায় না তেমনি কোনো আন্দোলনের শুরু-শেষ দেখতে হলে পর্যাপ্ততা মাপা জরুরী
অপার্থিব
//আমাদের দেশের পেশা বাছাই নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু একটা কাজ করে, যেটার ব্যাখ্যাটা আপাতত দিতে পারছি না। একজন ছেলে গ্রাজুয়েট হবার পর সে এই দেশে থেকে ড্রাইভারিকে পেশা হিসেবে নিতে চায় না। আবার ঐ ছেলেই দেশের বাইরে গিয়ে পেশা হিসেবে আঠারো ঘন্টার ড্রাইভারির চাকরী করে। //
ঠিক তাই, এদেশে অনেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পুলিশে জব করছে, ফিজিক্স এ মাস্টার্স করে ব্যাংকে জব করছে । চাইলে এরকম উদাহরন অনেক দেওয়া যায় যেখানে তার অর্জন কৃত শিক্ষার কর্ম ক্ষেত্রে কোন ভুমিকা নেই। অবশ্যই প্রতিটা মানুষের তার নিজের পেশা বেছে নেবার অধিকার আছে, কিন্ত আমাদের মত স্বল্প উন্নত দেশেরক্ষেত্রে রিসোর্সের প্রপার ইউটিলাইজেশনটা জরুরী। কোন কাজই ছোট নয়, পেশা হিসেবে ড্রাইভিং তো অবশ্যই নয়। প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন। গ্রাজুয়েট না হলেও নিদেনপক্ষে এইচ এস সি পাশ দের ড্রাইভিং এ আসা উচিত।
আর আন্দোলনের প্রধান দুর্বলতা হচ্ছে তারা নিরাপদ সড়ক চাচ্ছে কিন্ত সেই নিরাপদ সড়ক কিভাবে অর্জিত হবে তার সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন যোগ্য কোন দিক নির্দেশনা নেই। যাই হোক এই আন্দোলনকে খুব নেতিবাচক ভাবে দেখার সুযোগ নেই, এটলিষ্ট মানুষের মধ্যে সাময়িক হলেও কিছুটা সচেতনতা তৈরী হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
ফেসবুকিও আন্দোলন নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। সেখানে আলু-বেগুনের দরদাম যেমন আলোচিত হয় তেমনি কোনদেশে মশা বেশি তাও বিবেচনায় আসে। আবার খুব খারাপ এটা বলার অবকাশ নেই। ভালোমন্দ সব মিলিয়ে ফেইসবুক। কে কি ভাবে দেখতে চায় এটা যারযার অভিরুচি।
ব্লগীয় পোষ্ট দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ অপার্থিব। সমকালীন পরিস্থিতি ও আপনার নিজস্ব ভাবনা খুব সুন্দর করেই তুলে ধরেছেন।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
অপার্থিব
//ফেসবুকিও আন্দোলন নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। সেখানে আলু-বেগুনের দরদাম যেমন আলোচিত হয় তেমনি কোনদেশে মশা বেশি তাও বিবেচনায় আসে//
হা হা হা…কোন দেশে বা বাংলাদেশের কোন কোন এলাকায় মশা বেশি জানতে পারলে নিজের সীমিত জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হতো। আফসোস!
মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। দেরীতে রিপ্লাইয়ের জন্য দুঃখিত, ছুটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপাতত বাংলাদেশের এককোনায় আমার ঘরে অত্যাধিক মশার উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। কোনো কিছু নিয়ে গভির ভাবনা চিন্তা করার অবকাশ পাচ্ছি না। আমি যত চিন্তার গভিরে ঢুকি মশা তারচেয়েও গভির মনোযোগ দিয়ে রক্ত-পান উৎসবে মত্ত হচ্ছে। আপনার সীমিত জ্ঞান ভান্ডারে আমার ব্যপক রক্তদান তথ্য জমা রাখতে পারেন। 😜
অপার্থিব
আশা করি মশা জাতির কল্যাণে আপনার এই রক্ত ত্যাগের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাদের ইতিহাসে। যুগ যুগ ধরে মহাবিশ্বের সকল মশা স্বরণ করবে আপনার এই মহান আত্নত্যাগ!!
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ভালো একটি পোস্ট পড়লাম। এরকম কম্পলেক্স বিষয়গুলো ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে ব্যাখ্যা করা অতোটা সহজ নয়, যারা ইমপ্লিমেন্টে আছে তারাই জানে কতোটা জটিল ব্যাপারগুলো।
মানুষের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, এটিচিউড পালটানো অনেক বেশি জরুরি। যেকোন পেশাকে সম্মানের সাথে দেখা, পড়াশোনা করলেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানাতে হবে সন্তানকে, এই যে লংটার্ম দৃষ্টিভংগি পালটানো এটাতো সহজ নয়। কোন রোল মডেলও তো নেই যে নতুন প্রজন্ম তা অনুসরণ করবে।
বাচ্চাগুলো আসলেও ঠিক নির্দেশনা পাচ্ছেনা, কী দাবি করতে যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে, যাচ্ছে আসলে অতিষ্ঠ হয়ে।
এতো এতো মৃত্যু, বাচ্চা সম্ভাবনাময় মানুশুগুলো চলে যাচ্ছে কত সহজে! কি যে করা হবে, বা আদৌ কিছু হবে কিনা বুঝতেছিনা।
অপার্থিব
//মানুষের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, এটিচিউড পালটানো অনেক বেশি জরুরি। যেকোন পেশাকে সম্মানের সাথে দেখা, পড়াশোনা করলেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানাতে হবে সন্তানকে, এই যে লংটার্ম দৃষ্টিভংগি পালটানো এটাতো সহজ নয়//
ঠিক তাই, ড্রাইভিং কে পেশা হিসেবে সম্মানের চোখে দেখতে হবে, পরিবহন খাতে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ করতে হবে, মোটামুটি ডিসেন্ট এডুকেশন সম্পন্ন লোক জন ড্রাইভিং এ আসে সেটাও নিশ্চিত করা জরুরী। সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরী তা হচ্ছে গণ পরিবহন ব্যবহারের সংস্কৃতি তৈরী, টাকা থাকলেই গাড়ি কিনে রাস্তায় নামবো এই ধরনের মানসিকতা ত্যাগ করতে হবে, ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে সামাজিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া শিখতে হবে। সরকারের পক্ষে যেটা জরুরী তা হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার তীব্র ভাবে নিরুৎসাহিত করা। হয়তো এসবের কিছুই হবে না, তবে আপাতত আশা নিয়েই থাকি।
ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
আমরা যৌক্তিক সবকিছু চিন্তা করি কিন্তু যৌক্তিক বিষয়গুলো মনে হয় সেভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হচ্ছি না।
একটা গণতান্ত্রিক দেশে সঠিক চিন্তা ধারার একটা বিরোধী দল থাকা উচিৎ। যারা সরকারের এমন কিছু সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করবে যা জনগণের জন্য অকল্যাণকর হবে। কিন্তু আমাদের দেশে তরুন প্রজন্ম যারা দেশকে একসময় পরিচালনা করবে তাদেরই যৌক্তিক ন্যায্য দাবিগুলো ভিন্নখাতে ধাবিত করে কিছু খারাপ মানুষ।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একদিন রহিঙ্গা ইস্যুতে ভুগবে।
এ জাতি বড় বেশি আবেগপ্রবন। আর এই আবেগের কারনেই কিন্তু আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্বাধীনতাও পেয়েছি।
আর আমরা যারা এখন তরুন প্রজন্মের মায়েরা তারা আসলে দীর্ঘ এক পরিকল্পনার মধ্যেই এগিয়ে যায় সন্তানকে নিয়ে। শুন্যের কথা ধরেই যদি বলি। আসলেই এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে আসা সহজ হবে না।
আমিই তো ভয় করি সন্তানকে ভার্সিটিতে পড়াতে। পাছে সন্তান আমার রাজনীতিতে জড়ায়!!
একটা দেশের হঠাৎ অতিরিক্ত উন্নয়ন কিন্তু আবার ক্ষতিরও কারণ হয়।
চমৎকার একটা পোস্ট। শুভকামনা রইলো।
অপার্থিব
প্রতিটা প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষেরই উচিত নিজেকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন রাখা , তার মানে এই না যে সবাইকে রাজনীতি করতে হবে। রাজনীতিতে জড়ানো মোটেও কোন খারাপ কাজ না। মানব সমাজ যতদিন টিকে থাকবে আর মানুষ যতদিন সমাজ বদ্ধ হয়ে বাস করবে ততদিন সমাজে বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামো গুলো নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন আসবে। এই ক্ষমতা কাঠামো গুলো নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ার নামই রাজনীতি। যারা এই কাঠামোগুলোর নেতৃত্বে থাকে তাদের পক্ষে সোসাইটিতে অনেক বড় এবং ষ্পেশাল কন্ট্রিবিউশন রাখা সম্ভব হয় যেটা আর দশটা সাধারন মানূষের পক্ষে সম্ভব না। রাজনীতি মানুষকে ব্যক্তি স্বার্থের বাইরে সামাজিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে শেখায়। কর্মী সবাই হতে পারে নেতা সবাই নয়, একটা জাতির পরিচয় নির্ধারিত হয় তার নেতা দ্বারা। সমাজে বিদ্যমান সব ধরনের পেশায় রাজনীতির অভিজ্ঞতা বা নেতৃত্বের গুণাবলী কাজে লাগে।
আসিফ ইকবাল
আজকাল ফেসবুকের আন্দোলনকেও সরকার ভয় পায়। ফেসবুকে ইচ্ছেমত আকাশী আন্দোলনের কোন সুযোগ নেই। ফেসবুকের পোস্ট বা ভিডিওর জন্যে অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে, অনেককেই ব্যাপক হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে।
অপার্থিব
সরকার ফেসবুকের আন্দোলনকে কখনোই গুরুত্ব দেবে না যতক্ষণ না সেটা অফলাইন এক্টিভিজমকে উৎসাহ দেয়। অভিনেত্রী নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল কারন ঐ সময়ের বিক্ষুদ্ধ পরিস্থিতিতে তার ভিডিও আন্দোলনকে ইন্সপায়ার করেছিল। মানুষ আমাদের মত সাধারন মানুষের কথার চেয়ে সেলিব্রেটিদের কথায় বেশি বিশ্বাস রাখে,তাদের কথায় অনেক বেশি ইন্সপায়ারড হয়।
আসিফ ইকবাল
আসলে দুইকোটি মানুষের শহর বলেই ঢাকার রাস্তা নিরাপদ হবেনা এটা খুব-ই হতাশাবাদী একটা কথা। আমি মোটেই একমত নই। রাতারাতি হবে না, সেটা ঠিক। কিন্তু, রাতারাতি-ই না কেন করতে হবে? দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিলে ঢাকার রাস্তাকে নিরাপদ বানানো খুব কঠিন কিছু বলে মনে হয় না। প্রথমেই ধরুন, ঢাকায় এত ব্যাক্তিগত গাড়ি কেন চলে? কারণ গণপরিবহনের করুণ অবস্থা। পৃথিবীর অনেক দেশেই, ধনী দেশেই, ব্যাক্তিগত গাড়ির ব্যাবহারকে নিরুতসাহিত করা হয়। কোলকাতায় গেলেই দেখবেন সেখানকার মানুষ ঢাকার চেয়ে অনেক বেশী গণপরিবহন ব্যাবহার করেন। কারো সেখানে গণপরিবহনের অবস্থা ঢাকার চেয়ে অনেক ভাল। ছোট ছোট গাড়ির সংখ্যা যখন কমবে তখন চালকের সংখ্যাও কমবে।
অপার্থিব
//ঢাকায় এত ব্যাক্তিগত গাড়ি কেন চলে? কারণ গণপরিবহনের করুণ অবস্থা।//
এটা একটা আংশিক কারন, পুরোটাই নয়। ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারন বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত মানসিকতা। এখানে গাড়ি সোশ্যাল স্ট্যাটাসের পরিচয় দেয়। মিডল ক্লাস থেকে আপার ক্লাসে ঊঠার প্রধান স্মারক হচ্ছে নিজস্ব গাড়ি। লেখা পড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে- বাঙ্গালী সমাজে প্রচলিত জনপ্রিয় একটা ছড়া, এখান থেকেই বাঙ্গালী মানসিকতা কিছুটা আঁচ করা যায়।এই ধরনের মানসিকতার কারনেই প্রায় প্রতিটা বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত পরিবার স্বপ্ন দেখে নিজের একটা গাড়ির। এর বাইরে অন্য কারণও আছে, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন সামরিক -স্বৈর শাসকের অধীনে ছিল, এর পরে শুরু হয়েছে দুর্বল গণতন্ত্র। অবাধ দুর্নীতি, , লুটপাট রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার কারনে এক শ্রেণীর মানুষ ফুলে ফেপে গাড়ি বাড়ি সহ অবাধ সম্পদের মালিক হয়েছে যেটার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক সামাজিক মনস্তত্বে। মানূষ অন্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পছন্দ করে, অমুক গাড়ি কিনেছে তাই আমাকেও কিনতে হবে ইত্যাদি। সেদিন এক পরিসংখ্যান দেখলাম অতিধনী বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম! কলকাতার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই তবে অনুমান করি সেখানে গণপরিবহন ব্যবহারের সংস্কৃতি তৈরির পিছনে শক্তিশালী গণতন্ত্র আর দীর্ঘদিনের বাম পন্থী শাসনের ভুমিকা রয়েছে।
শুধু দুই কোটি মানূষের বসবাস বলে নয় এর বাইরে আরো কিছু কারন পোষ্টে বলা হয়েছে যেমন রাস্তার তীব্র সংকট, ব্যক্তিগত গাড়ি, প্রশিক্ষিত ড্রাইভারের অভাব , ড্রাইভিং কে পেশা হিসেবে নেতিবাচক ভাবে দেখার মানসিকতা, জ্যামের কারনে পরিবহন শ্রমিকদের অর্থনৈতিক টানাপোড়ন ইত্যাদি। সমস্যাগুলো এতটাই ইণ্টার রিলেটেড যে সমাধান করা খুবই কঠিন, আশা করতে দোষ নেই, বাস্তবতা কঠিন!
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত ভালো একটি পোস্ট।
আলোচনার দাবী রাখে এমন পোস্ট এটি।
অবশ্যই সময় নিয়ে আলোচনা করব এই পোস্টে।
অপার্থিব
পক্ষ বিপক্ষ যে কোন আলোচনায় সব সময় স্বাগত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
অপার্থিব আপনি কই? সোনেলার পার্থিব উঠোনে আপনাকে খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় গেলেন?
অপার্থিব
এইতো বেঁচে আছি এখনো!! পার্থিব পেশগত ব্যস্ততায় সময় হয়ে উঠছে না, সময় পেলে আবার আসবো । মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ।