সকাল সকাল উঠে খেজুররস, একটু বেলা হতেই মায়ের হাতের পায়েশ,
তারপর আর একটু বেলা হতেই পোলাও এর চাল,গাজর,নতুন আলু,দুচার টা পুই শাক, নাম মনে পরছে না এমন কিছু সবজী দিয়ে গরম গরম খিচুরি,আর ডিম ভাজি,
দুপুরে মায়ের হাতের স্পেশাল ডাল,আলুর ভর্তা,কই মাছ ভাজি,সীম ভাজি আর নতুন চালের ভাত খুব খেতে ইচ্ছা করছে।
শিশির ভেজা সরিষা ক্ষেত দেখিনি এবছর।
রং বেরং এর ঘুরি উড়ানো দেখিনি এ বছর।
পুকুর পাড়ে বসে বসে পিচ্চিদের গাদোল খেলা দেখিনি এবছর।
পানির ভয়ে পুকুর পাড়ে দাড়ায়ে কোন পচ্চি কে কাঁদতে দেখিনি এবছর।
বাজি ধরে সাঁতার কাটে তিন বিঘা পুকুর টা পার হতে দেখিনি কাওকে এবছর।
খেজুরে রস চুরি করে খাইতে দেখিনি এবছর।
মাঝ রাতে গা ছম ছম করা শীতে কাতর শিয়াল গুলোর ডাক শুনি নি এবছর।
সবাই মিলে গোল হয়ে আগুন পোহাইনি এবছর।
কতদিন বাড়ি যাই না। বাড়ি যাবো।
২৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
কত কষ্ট
মায়ের কাছে চলে যান।
মেহেরী তাজ
খুব মিস করি,যাবো দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমাদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যান। একা গেলে হবে না।
ঘাস ফরিংয়ের পিছু নেয়া হয়নি কত কাল!
মেহেরী তাজ
দাওয়াত দেয়াই আছে ভাইয়া। দাদা কথা দিয়েছিলেন,এই শীতে বেড়াতে আসবেন।কেউ কথা রাখেনা 🙁
শুন্য শুন্যালয়
শুন্যতার আওয়াজ আমাদের কানে শুনিয়ে একা একা চলে যাবেন? 🙁
তবু যান, ফিরে এসে কি কি করলেন সেটাই বলবেন। গাদল খেলা, বহু বছর পর শব্দটা শুনে মন খচখচ করলো। ভাল থাকুন আমার জেলার তাজ।
মেহেরী তাজ
জানাবো আপু সব। গাদল খেলা আপনিও মিস করেন আপু?বিদেশে ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
হুম খুব মিস করি। ক্লাস নাইনে বরিশালে চলে যেতে হয়েছিল, সেখানে কেউ গাদল খেলার নামই শোনেনি, এটা হয়তো উত্তরাঞ্চলের খেলা। ওখানে ওরা খেলত দাড়িয়াবান্ধা, গাদল খেলার মতোই কোর্ট করে। চিবুড়ি, গোল্লাছুট সব খুব মিস করি, খুব। তুমিও ভালো থেকো আপু।
মেহেরী তাজ
দাড়িয়াবান্দা? ^:^ গাদল বরিশালে দাড়িয়াবান্দা? চিবুড়ি, গোল্লাছুট আমিও খুব মিস করি 🙁
অরণ্য
এমনভাবে বললেন যেন আমারই গাঁয়ের কোন মেয়ের কথা শুনছি। শীতে পানির ভয়ে পুকুরপাড়ে আমিও যেন কাউকে দেখছি কাঁদতে – পিচ্চি ছেলেটা। আগুন পোহানোর আয়োজনটা যেন আমাদেরই উঠোনে। আগুন পোহানো শেষে ছাই সরিয়ে গরম মাটিতে বুঝি আপনিও দাঁড়িয়েছেন কখনও? আপনার বাজি ধরে সাঁতার কাটার ছেলেদের একজন আমি। আপনারই গাঁয়ের ছেলে আমি। ভাল মনে করিয়েছেন, শীতে বাড়ি যেতে হবে। 🙂 ভাল থাকবেন।
মেহেরী তাজ
আপনি আসলেই আমার গায়ের ভাইয়া?জেনে ভালো লাগলো খুব।
অরণ্য
আপনার কিছু পুরোনো পোস্ট পড়ে মনে হলো আমরা একই গ্রামের না হলেও প্রতিবেশী হয়তো ঠিকই হব। আপনার পোস্টটি আমাকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দিল। শিশিরে ভেজা খেজুরের রসের হাড়িতে সরিষা ফুলের লেগে থাকা দৃশ্যটি আমি এখন স্পষ্ট দেখতে পেলাম। ভাল থাকবেন।
মেহেরী তাজ
আপনিও ভালো থাকুন ভাইয়া।
মরুভূমির জলদস্যু
সকাল সকাল উঠে খেজুররস, একটু বেলা হতেই মায়ের হাতের পায়েশ,
এখন আর এইসব হয় না।
মেহেরী তাজ
আমাদের এখানে হয় ভাইয়া।
নুসরাত মৌরিন
আপু আপনার লেখা পড়ে আমারও বলতে ইচ্ছে করছে, এসবের কিছুই আমিও দেখিনি এ বছর।
কতদিন হলো গ্রামে যাই না!! 🙁
মেহেরী তাজ
দেখার জন্য চলে যান গ্রামে আপু 🙂
আবির
এমন লেখা পড়লে কিন্তু কান্না চলে আসে, বাড়ি যেতে আমারও মন চায়, থাক মন খারাপ করে লাভ নেই। আপনি বাড়ি চলে যান জলদি।
মেহেরী তাজ
মন খারাপ করবেন না,আপনিও বাড়ি যান ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনেক কিছু ডিজিটালে তাল মিলিয়ে গোল পাকিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে -{@
মেহেরী তাজ
অনেক কিছুই আর আগের মত নেই ভাইয়া।
প্রহেলিকা
বাড়ি চলে যান, এভাবে অনুভূতিগুলোকে নষ্ট না করে এখনি চলে যান সুখের তরে।
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ ভাইয়া,যেতে হবে বাড়ি।
লীলাবতী
মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।হাসি খুশী আপুটার এত্ত মন খারাপ আজ 🙁
মেহেরী তাজ
আপনাদের দেখে মন ভালো হয়ে গিয়েছে আপু 🙂
সাইদ মিলটন
🙁
মেহেরী তাজ
🙁
প্রজন্ম ৭১
এত কান্নাকাটি ভালো না, দ্রুত বাড়ি চলে যান আপু। এসব আমিও মিস করি খুব।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আপনি দ্রুত আমাদের সোনেলা বাড়ি ফিরে আসুন।।। থাকেন কই?? ;?