অন্ধকারে শিশির ঝরে পড়ে যখন, তখন অন্ধকার আর শিশিরের
এই ভীষণ ভালোবাসা দেখতে ইচ্ছে করলেও তুমি পারবেনা রিতু,
হাতের স্পর্শে গাল টিপে দিতে পারো,
শিশিরের শীষ বাতাস কেটে কেটে হু হু করবে নিঃশব্দের মতো করেই
তবুও ভোর অব্দি জেগে থাকতে হবে তোমায়
রাতের ঝুরঝুর শব্দ তখন অচেনা লাগবে দেখো তুমি,
দেখবে চৌম্বকীয় ভালোবাসা, কেমন করে গায়ে গায়ে লেপ্টে থাকে।
উহু, তুমিতো এখনো আসল টুকুই দেখোনি
অপেক্ষা করতে জানো তো?
করতে থাকো এক, দুই, তিন
সূর্য্য উঠছে,
মিলিয়ে যাবার আগ মূহূর্তে শিশির কেমন হেসে উঠবে একটু দেখবে না?
একে কেমন ভালোবাসা বলে জানো তুমি?
আদোতে ভালোবাসা এমনই
জেনেবুঝে নিজেকে মৃত্যুতে সমর্পন শুধু অই একটু হেসে উঠবে বলেই…
অস্বচ্ছ জানলা জুড়ে শিশিরের ফোঁটা, গড়িয়ে পড়বার ক্ষমতাও নেই, এতটাই ছোট কণা। সুন্দর কিংবা মন খারাপের দিনে অসুন্দর এই জানলার ওপাড়েই নীল একটু আকাশ। গলাগলি করে থাকা এই শিশিরের মতোই বেঁচে আছি, বেঁচে থাকি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আবেগ নিয়ে নীল আকাশ চোখে।
মৌনতা রিতু আপুকে,
৪৭টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
এতো সুন্দর ছবি তুলো কেমন করে বলতো !
সত্যি জানালার ওপারে যে নীল আকাশ, তার বুকে যে সাদা শুভ্র মেঘ, সেই মেঘে আমি আঁকি আমার স্বপ্নগুলো।
রেল লাইনের ঐ ফাঁকা রেলপাটির উপর বসে শব্দগুলোর সাথে কথা বলি।
\|/ \|/ \|/ ননদিনী এতো সুন্দর একটা কবিতা আমার জন্য ! বিশ্বাষ করে সত্যি চোখ ভিজে গেছে। মানুষের এতো আবেগ কেন ?
খুব মন অস্থির ছিল গত কিছুদিন। এলোমেলো অগোছালো। ব্লগেও মন দিতে পারিনি তাই। এসেছি আবার বের হইছি।
সত্যি মন ভরে গেলো।
অনেক আদর ও ভালবাসা রইল। আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই বন্ধনগুলো আমাদের অটুট থাকুক।
-{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
ভাবীজান একটু লজ্জা বোধ করছি, পোস্ট দিয়েই ভেগেছি উত্তর দেবার সময়টুকু পর্যন্ত পাচ্ছিনা। তোমাকে তো একটু খুশি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তোমার অস্থির মনকে কিছুটা শান্ত করতে পেরেছি তাতেই আমি আনন্দিত। খুব দৌড়ঝাঁপ যাচ্ছে আপু। কতদিন মন খুলে আড্ডা দেইনা। 🙁
জোড়া বন্ধনগুলো ভেঙ্গে না পড়ুক সেই ই চাই। জোড়ানোর আনন্দ কী আর ভাঙ্গাতে আছে? ভালো থেকে বেশি করে শব্দের সাথে কথা বলো, আমাদেরও শোনাও। দেখাও স্বপ্ন কী করে আঁকতে হয়! (3 (y)
নাসির সারওয়ার
বেচারা শিশির কনা, শেষ পর্যন্ত এই ছিলো তোদের কপালে! গ্লু দিয়ে কাঁচের সাথে লাগিয়ে দিলো যেনো গড়িয়ে না পরতে পারিস!! আহা, কি নির্মম দৃশ্য!!!
শুন্য শুন্যালয়
😀 হুম্ম হুম, এ হচ্ছে এভারবন্ড গ্লু দিয়ে আঁটকানো, কী করে বুঝলেন বলুন তো? নির্মম দৃশ্য? 🙁 চোখের পাওয়ার শেষ কবে চেক করেছেন?
মেহেরী তাজ
বুবু তুমি ভাবীজান কে লেখা দিয়ে দিলে?
ভাবীজান কি বলছে জানো? তোমার পিচ্চিভূতের চুল নাকি টেনে দিবে দেখা হলেই! এতো ভালো ননদিনী পেয়েও এমন বলে! ;(
………………………………..
অপেক্ষা করতে জানো তো?
করতে থাকো এক, দুই, তিন
………………………………..এই দুই লাইন অনেক পছন্দ হইছে বুবু।
অনেক দিন পর তোমার লেখা পড়ছি বুবু।
ভাবীজান আপনার কপাল কি আড়াই ইঞ্চি? বুবু আপনাকে লেখা দিয়ে দিলো! আমারে কেউ লেখা না। ;(
মৌনতা রিতু
সত্যি তিন ইঞ্চি কপাল। অনেক ভালবাসা নিও তুমিও। -{@ (3
মেহেরী তাজ
ভাবীজান নিলাম তোমার ভালোবাসা। কিন্তু তুমি কই???
শুন্য শুন্যালয়
কী আমার পিচ্চিভূতের চুল টেনে দেবে বলছে? এত্তো সাহস!! বুবু চুল টেনে ঘুম পাড়িয়ে দেবে বলেছে মনেহয়। নইলে ভাবীজানের মাথার চুল একটাও আস্ত থাকবে ভেবেছে!! ২ বনাম ১। পারবে না পারবেনা, তুই নিশ্চিত থাক। আমার লেখাতো পড়েছিস অনেকদিন পর, কিন্তু তোর লেখা কই? তুই-ই বা কই? বাত্তি জ্বলাইয়ে খুঁজেও পাইনা 🙁 আহারে কেউ লেখেনা আমার পিচ্চি ভূত কে নিয়ে? 🙂 আমি আছিনা, কাঁদিস না আর পিচ্চি ভূত। লেখা দে জলদি নইলে আমিও মাইর দেবো দেখিস 🙂
মেহেরী তাজ
বুবু তুমি জাবাব দিয়েছিলে এতো আগে…..! আমি গাধা কই কই যে থাকি।
লেখা দেবো বুবু । ভাবীজান প্লট বলে দিয়েছে। কিন্তু একটু সময় লাগবে…..!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পড়ে গেলাম শুধু…যা বুঝবার বুঝেছি। -{@
শুন্য শুন্যালয়
কিন্তু কী বুঝলেন আমিতো কিছুই বুঝলাম না 🙂
ইঞ্জা
আহা কি সুন্দর শিশির বিন্দু তাও আবার আমার রিতু আপার জন্য লেখা আর আমিও তো খুশিতে আটখানা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো। \|/
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু, ভাবী ননদিনীর ভালোবাসা অটুট থাকুক এই কামনা। (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
দাদা আমরা জানি আমাদের সমাজের কুসংস্কার হলো ভাবীরা সব সময় ননদদের খুশি করার বিভিন্ন পথ অবলম্ভন করেন আর তাদের বেলায় দেখছি তার উল্টো পিঠ।যাই হউক হাসি আনন্দে এভাবেই কাটুক তাদের সম্পর্ক।শুভ কামনা ননদ-ভাবীকে। -{@
ইঞ্জা
ভাই আলহামদুলিল্লাহ্ বলুন। 😀
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অফুরন্ত ভাইজু।
ইঞ্জা
(3
-{@
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই। ভাবীকে খুশি না করে উপায় আছে? আমার ভাইটার না জানি কী হাল করে!! ভাইয়ের টানেই ভাবীকে সবসময় হাসি-আনন্দে রাখতে চাই সবসময় এমন করে। ভালো থাকবেন ভাইয়া সবসময়।
ইঞ্জা
এইতো ভালো ননদিনীর চিহ্ন, দোয়া রইল আপনাদের সবার জন্য। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
আবু খায়ের আনিছ
আদোতে ভালোবাসা এমনই
জেনেবুঝে নিজেকে মৃত্যুতে সমর্পন শুধু অই একটু হেসে উঠবে বলেই…
মনে ধরেছে লাইনটি।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা। ভালো থেকো আনিছ ভাই।
মিষ্টি জিন
ভীষন সুন্দর ছবিটা.
ননদ ভাবীর ভালবাসা দেখে কিন্চিত ঈরশ্বানিত।
(-3
লেখা পচা হইঁছে (আংগুর টক) :p
মৌনতা রিতু
\|/ := \|/ (3 -{@ হি হি হি 😀 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আসলেই পঁচা লেখা, পঁচা ছবি। যাক কিঞ্চিত ঈর্ষান্বিত, বেশি হলে সমস্যায় পড়তাম। আমি কিন্তু মিষ্টি আঙ্গুরের সন্ধান জানি 😛
ছাইরাছ হেলাল
কলি কাল বলে কথা
ননদ-ভাবীর ভালোবাসা,
অদ্ভুত উদ্ভট বুদবুদ ভাসাভাসা
আগ্নেয় জ্বালা বুকে ঠাসা;
কলি কালে আবারও উঠে আসা
চুল ছিড়ে ফেলা ভালুবাসা!
এত্ত ক্ঠিন ল্যাহা পড়মু না।
সহজ ল্যাহা দ্যান কা ক্যা!
মৌনতা রিতু
চুল ছিঁড়ে ফেলা ভালবাসা ! ননদ ভাবীর ভালবাসা এমনই কুবি ভাই।
দেখতে হবে না ননদখানা কার !
শুন্য শুন্যালয়
দেখতে হবেনা ভাবীখানা কার? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
এইযে ছড়াকার চুল থাকলে চুলোচুলি হয়ই। ও আপনি বুঝবেন না। একে বলে চুলাচুলি, হুলাহুলি, গলাগলি ভালুবাসা। সহজ লেখা তো দিতে চাই, আপনি পড়তে পারবেন তো?
ছাইরাছ হেলাল
এখানে আপনি ছড়াকার আবার কই পেলেন!
আপনি দেখছি বিরাট বিজ্ঞানী!
চুলাচুলি বুঝলাম, গলাগলিও, তয় হুলাহুলিটি বুঝলুম না!
সহজ লেখাই দিন, তবে শিখিয়ে পড়িয়ে আপনাকেই নিতে হবে।
শুন্য শুন্যালয়
পেলাম তো কতোকিছু, পাই ও। আমি বিজ্ঞানী? তা আগে বলবেন না? কতো নোবেল প্রাইজ হাতছাড়া হয়ে গেলো!
ভাইরে রাত যদি বিপত্নীক হইতে পারে আমার একটা শব্দ নিয়ে কেনু এতো গো এষণা? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
যেদিন লেখাটা দিয়েছো, সেদিনই পড়েছি। কিন্তু মন্তব্য করতে পারিনি। তিলোত্তমা তুমি জানোই তোমার লেখার একজন ভক্ত আমি। আর তাও লেখাটা শান্ত সুন্দরীকে নিয়ে। এ তো দেখছি আসলের সাথে সুদও।
ছবিটার দিকে অপলক তাকিয়ে ছিলাম। শিশির বিন্দুগুলো যেনো হীরের দ্যুতি ছড়াচ্ছে। উফ মার ডালা মুঝে!
আর লেখার কথা কি বলবো! ভালোবাসার যা বর্ণনা, হুম আমার বুড়ো বলে গিয়েছিলো, “জেনেশুনে বিষ করেছি পান।”
ভালোবাসা আমার কাছে ইলেক্ট্রিসিটির মতো। কেন জানো? সুইচ অন করলে বাল্ব আলো দেয়, গরম লাগলে ফ্যানের বাতাস শীতলতা দেয় আর ছেঁড়া তার শক দেয়।
কি যে লিখছি, তাইতো ভাবছো? আবার আসবো, একটু ভাবো না হয় আমাকে। -{@
মৌনতা রিতু
এমনি কি আমি গুরুজী বলি ! এই দ
মৌনতা রিতু
সাধে কি আমি গুরুজী বলি ! এই দেখ এমন করে ভালবাসার উদাহরন কে দিতে পারে ;? ভালবাসা ইলেক্ট্রিসিটির মতো ! সত্যিই তো তাই। জয় হে গুরুজীর জয়।
নীলাপু অনেক ভালবাসা নিও। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
গুরুজী আমি হলে তো হয়েইছিলো। খুশীতে নাচতাম। \|/
কতো কিছু যে জানার বাইরে থেকে গেলো। 🙁
শান্ত-সুন্দরী অফুরান ভালোবাসা। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আলো বাতাস যে দেয় সেকি হত্যাকারী হতে পারে? এ আমাদেরই অবহেলা, ছেড়া তার এড়িয়ে গেছি কিংবা ছিড়েছি। তিলোত্তমা কে একটু খানি ক্ষমা করে দিও দেরি করে উত্তর দিচ্ছি বলে।
তোমাকে ভাবি আর বুঝিও। তাই তোমার লেখাও বুঝি।
ছবিটার আরেকটা কপি ছিল যাতে শিশির ক্ষুদ্র, আকাশ বড়। আচ্ছা বলো তো সত্যিই কে বড়?
নীলাঞ্জনা নীলা
তিলোত্তমাকে ক্ষমা না করে উপায় নেই। সে মারাত্মক মায়াবতী একজন। কি করে জানি জাদু করে আর কেউ পারেনা তার উপর রাগ করে থাকতে। বুঝেছো?
দেশে গেছো। হিংসা হচ্ছে। ইস আমি যদি থাকতাম তোমার খবর করে ছাড়তাম গো তিলোত্তমা সুন্দরী।
আমাকে বোঝা কঠিন না। কিন্তু কেউ বুঝতেই চায়না। 🙁 ;(
শুন্য শুন্যালয়
তুমি এলে সোনায় সোহাগা হতো বিধূ। একটু গুছিয়ে নেই, এরপর কখন দেশে যাবা আগে বইলো। একসাথে যাবার চেষ্টা করবো। হুম কেউ আমার উপর রাগ করে থাকতে পারেনা আবার পারেও 🙂
আছো কেমন নীলাপু?
রুম্পা রুমানা
সুন্দর একটা ছবি। ননদ – ভাবীর ভালোবাসাও রঙিন খুব।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ রুম্পা। এখানে আমরা সবাই সম্পর্কে জড়িয়ে আছি, দৃশ্য অথবা অদৃশ্যমান। ভালো থাকুন।
ব্লগার সজীব
রিতু আপু শিশির! উহ তুলনাটা খুবই সুন্দর হয়েছে 🙂 এত ভাল একটি লেখা পড়লে মনও ভাল হয়ে যায়। আমার মন ভাল হয়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে শুন্য আপু -{@
আজকাল আর আমাকে নিয়ে কেউ লেখেনা 🙁 আমি শিশির না হতে পারি, পথের ধুলোও তো হবার যোগ্য আমি, অবহেলায় ধুলো নিয়েও তো কিছু লেখা যায় 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আপনি পথের ধুলো হতে যাবেন কেন? আপনি হচ্ছেন আকাশের সাত রং, যাকে ছুঁতে, ধরতে, লিখতে কঠিন। আছেন কেমন স্মাইল প্লিজ?
রিতু আপু শিশিরের মতই স্বচ্ছ, ছবিটা তাই তার জন্যেই রেখেছিলাম।
ব্লগার সজীব
আমি আকাশের সাত রং, যাকে ছুঁতে, ধরতে, লিখতে কঠিন ^:^ ! আমার মত সহজ সরল কে আছে 🙂
কোথায় গেলেন আপু? কেমন আছেন আপনি? খুব মিস করছি, খুব।
শুন্য শুন্যালয়
কোথাও গিয়ে শান্তি আছে? হাতপাখার বাতাস দিয়ে আবার ঠিক সোনেলায় এনে ফেলবে। ভালো আছি স্মাইল প্লিজ, থাকবোও। মিস করেছি আমিও, খুব।
লীলাবতী
রিতু আপুর জন্য এমন লেখাই মানায়। স্নিগ্ধ সুন্দর ন্যাচারাল রিতু আপু শিশির বিন্দুর মতই।
শুন্য শুন্যালয়
হুম বেছে বেছে ভাইয়ের জন্য নিয়েছি বুঝতে হবে 🙂
নীরা সাদীয়া
লেখা ও ছবি দুটোই সুন্দর।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপু। পাশে থেকেন।