জানালার শার্শি আর ঝুলন্ত রোদের পর্দা।পর্দার ফাঁক গলিয়ে এক চিলতে সোনা রোদের উঁকিঝুঁকি।
আধ-ঘুমন্ত গুটিসুটি বেড়াল চোখে চেয়ে দেখা।হোঁচটের চিড় গুলোর ঝগড়া-ঝাঁটি বিঁধছে বিষণ্ণ বুকে।
এন্তার কেতাদুরস্ত অপেক্ষার কোলে বসে শুধুই তাকিয়ে থাকা। আঙুলের গাঁটে গাঁটে ও ঘাড়ে কামড়ে বসা জবুথুবু
শীতে ধোয়া ওঠা দীঘির জলে জল মাকড়ের পিছলে চলা,কী আশ্চর্য ! একটুও পা না ভিজিয়ে।
এক বিঘত পুরু অন্ধকারের গোলাঘর ভেঙ্গে ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে বড় দরজার মুখে ছোট্ট জানালায় অবাক
বিস্ময়ে ইউরেকা চিক্কুর ……
ভোর ! আমি তোমাকেই খুঁজছি। ভেবো না,সে ও এই এলো বলে। চলো না, ঐ জল মাকড়শার পিছু নেই?
আমি ভোর ভেসে আছি ভেসে রব জল কৈতর হয়ে,দীঘি জলে তুমি ডুবে যাবে,সে আমি সইতে পারব না।
ডুবে আছি বলেই দেখা হয় নাছরিন প্রিয়ংবদাদের সাথে।
জাঁহাবাজ তীরন্দাজের তীর হয়ে আমূলে বিঁধে যাব ভোরের বুকের গভীরে,কখন ????????
৩২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ভেবো না,সে ও এই এলো বলে।
হুম দিদি।
সুন্দর চলে আসবে আবার যাবে।
শুভেচ্ছা রইলো।
বনলতা সেন
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ঠিক আছে অপেক্ষা করি তাহলে।
শিশির কনা
অনেক দিন পরে এমন সুন্দর লেখা নিয়ে এলেন। কেউ যেনো আবার আমার আমার পোশটের দিন হিসেব না করে 🙂
বনলতা সেন
একটু ব্যস্ত তাই আসতে পারিনি। সুন্দর শুনতে ভালোই লাগে তা যদি আপনি বলেন।
না না ,আপনাকে লিখতে বলছি না।
খেয়ালী মেয়ে
চলে আসবে,ডোন্ট ওরি……….
বনলতা সেন
আসুক তা তো চাই ই।
নুসরাত মৌরিন
বনলতাদি অনেকদিন পর এলেন…সেই প্রিয় ভোর কে নিয়ে। 🙂
বনলতা সেন
বেশ কিছুদিন পরেই এসেছি। ভোরের সাথে আমার ও আমার সই এর ভাব ভালোবাসা আছে।
তাই খোঁজ খবর নিতেই হয় প্রিয় ভোরের।
জিসান শা ইকরাম
কৈতর শব্দটা অনেক বছর পরে পড়লাম 🙂
লেখায় মুগ্ধ হয়েছি ।
এত কম পোষ্ট দিলে হয় ?
বনলতা সেন
কৈতর অপ্রচলিত শব্দ তাই চোখে পড়ে না। রোজ লিখতে শুরু করে দিলে যেন আবার কেউ
চিল্লাপাল্লা না করে। পড়ার জন্য শুভেচ্ছা।
জিসান শা ইকরাম
কেউ চিল্লা পাল্লা করলে করুক 🙂
বনলতা সেন
অভয় যখন দিলেন মনে রাখার চেষ্টা করব।
ব্লগার সজীব
ভোর নিয়ে এত টানা হেঁচড়া। শেষ পর্যন্ত ভোর ছিড়ে না যায় আবার। যুদ্ধের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। কবিতা ভালো হয়েছে, অবশ্য আপনার কবিতার ভালো বা মন্দ বলার যোগ্যতাই তো অর্জন করতে পারিনি এখনো।
বনলতা সেন
এ ভোর আমার আর আমার সই এর।ছিড়ে যাওয়ার কিছু নেই ।আমরা তো আমরাই।
ভালো লাগাছে জেনে আনন্দিত।
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর ভোরকে সাথে নিয়ে এসে বরাবরের মতই অনবদ্য লিখলেন।
বনলতা সেন
অনবদ্য হয়েছি কী না জানি না।তবে ভোরের সাথে আমাদের সখ্যতার কথা আপনি জানেন।
শুন্য শুন্যালয়
জাঁহাবাজ তীরন্দাজের তীর হয়ে আমূলে বিঁধে যাব ভোরের বুকের গভীরে,কখন ???????? তীর টা যেন আমার বুকেই বিঁধলো … এতো সুন্দর করে কেনো লেখেন আপনি? হিংসা হয় আমার।
জল মাকড়শার ভেসে বেড়ানো দেখতে পাচ্ছি, জল কৈতর দের কেও। যে ডুবে যাবার যাকনা, ডুবে গেলেও যে কিছু পাওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে।
বনলতা সেন
তীরের কি সাধ্য আছে আমার বু’ এর বুকে বেঁধে ? ভাল কিনা জানি না। আমি তো আপনার লেখা দেখেই শিখি।
ভোর কে দেখে শুনে রাখতে হয় না?এতদিন ভোরকে ফেলে চলে যাওয়া ঠিক না কিন্তু। বেহাত হয়ে যাবে কিন্তু।
শুন্য শুন্যালয়
আমার ভোর বেহাত করা এত্তো সোজা?? ইশ… ধোয়া ওঠা দীঘির জলে জল কৈতরি হয়ে ভেসে বেড়ানো। এমন উপমা আমার মাথায় আসবেনা কখনই।
ভালো করেছেন এতদিন পোস্ট না দিয়ে। আমার কাজের মধ্যে টেনশন শুরু হয়ে যেত 🙂
বনলতা সেন
তা ঠিক বেহাত হওয়া কঠিন ।তবুও শকুনদৃষ্টি বলে কথা।
এর থেকেও ভাল ভাল উপমা আপনার কাছেই আছে।
আপনাকে কিছুতেই টেনশনে রাখা ঠিক হবে না। ভোরকে দেখেশুনে রাখতে হবে যে।
লীলাবতী
এমন লেখার সামনে এলে নিজকে আসলেই খুব নিঃস্ব মনে হয়। কি লিখি আমি ? কেন লিখি ?
বনলতা সেন
কী যে বলেন আপনি ! কত্ত সুন্দর ফান পোস্ট লেখেন আপনি ।
আপনি কিন্তু আমাদের ইনবক্সের খবর দিচ্ছেন না।
হৃদয়ের স্পন্দন
আমি পড়লাম ঠিকই কিন্তু নিজেকে গাধা বৈ অন্য কিছু আর মনে হচ্ছেনা, লীলাবতীর মত কি লিখি কেনো লিখি যেমন বলতে ইচ্ছে হচ্ছে তার সাথে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার মাথায় কি গোবর ছাড়া কিছু নাই নাকি? আমি কেনো ভাবার্থ টা বুঝলাম না 🙁 শুভ কামনা রইলো 🙂
বনলতা সেন
আরে আপনি এ সব কী বলছেন ? পড়ছেন তাতেই আমি আনন্দিত। এ আহামরি কোন লেখা নয়।
আপনার জন্যও শুভ কামনা। আপনিও ভাল লেখেন।
মেহেরী তাজ
বিকেল থেকে পড়ছি লেখাটি। কিছুটা দুর্বোধ্য আমার কাছে। নাছরিন প্রিয়ংবদা, এনারা কে আপু ?
বনলতা সেন
দূর্বোধ্যতার দায় নিচ্ছি । আসলে আমার আগের লেখা পড়লে মনে হয় একটু বুঝতে সাহায্য হতে পারে।
শুভেচ্ছা জানালাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত লীলাদি সত্যিই নিজেকে অসার মনে হয়।ভোরকে এতই ব্যাস্ততায় রেখেছেন যে আমাদের বৈকালের শব্দরা কাদেঁ।
বনলতা সেন
না না অসার মনে হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা দুজনে মিলে দেখভাল করি ভোরের।
বিকেল কে নিয়েও কেউ হয়ত ভাববে।
অলিভার
ভোরের রোদের চমৎকার বর্ণনা, পতঙ্গের ছুটে চলা, মাকড়শার পিছু নেয়া…… চমৎকার করে অনেকগুলি জিনিষ বলে দিলেন। সাধারণ কিছু কথায় অসাধারণ কিছু অনুভূতি একসাথে প্রকাশ করে দিলেন।
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।
বনলতা সেন
দেরি করে হলেও মন দিয়ে পড়ার জন্য অবশ্যই শুভেচ্ছা।
শুন্য শুন্যালয়
জল মাকড়শার পিছু নিয়ে কি দেশান্তরী হলেন নাকি ভাসতে ভাসতে?
বনলতা সেন
এই না হলে আমার বু’, ঠিক ধরেছেন,ঠিক সময়েই।
দেশান্তরীই হলাম।