রাসেল সাহেব আজ এবি গ্রুপ অফ কোম্পানীর জি এম। সারাদিন ব্যস্ত ,স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকাতে নিজের কেনা ফ্ল্যাটে থাকেন। কর্পোরেট জীবনের সাথে মিলেনা বলে গ্রামে থাকে মা। তাতে মায়ের কোন আপত্তি নেই।
রাসেল যখন ছোট তখন তার বাবা মারা যায়, মা স্কুল শিক্ষিকা। সারাদিন স্কুলে ক্লাস নিয়ে বাড়ি এসে আবার রাসেল কে পড়াতে বসাতেন। রাসেলের আবদার গুলো খুব সহজেই হাসিমুখে মেনে নিতেন।
এস এস সি তে ভালো রেজাল্টের পর রাসেল ভর্তি হয় শহরে সরকারি কলেজে। মাসশেষে বেতন পেলে আগে ছেলের জন্য টাকা পাঠাতেন। ছুটিতে যখন বাড়ি আসতো খুব আনন্দ পেতেন, যাওয়ার সময় সে কি কান্না মায়ের। সারাদিন মন খারাপ করে বারান্দায় বসে থাকতেন।
এইস এস সি পাশ করে রাসেল ভর্তি হয় ভার্সিটিতে। নীরা নামের এক ধনীর দুলালীর প্রেম পড়ে যায় রাসেল। খুব সহজেই ভুলতে থাকে অতীত।টাকার চাহিদা ও দিন দিন বেড়ে যেতে লাগল। মা কে ফোন করে বলত ইন্টারনেট বিল,কোচিং ফ্রি, বই কেনা ,মা কখনও না করেনি কষ্ট হলেও টাকা পাঠিয়ে দিতেন।
লেখাপড়া শেষ করে মায়ের অমতে নীরাকে বিয়ে করে রাসেল। শুনে মা খুব কষ্ট পায়। রাসেল মায়ের সাথে তেমন একটা যোগাযোগ রাখে না। পেনশনের টাকায় চলে বৃদ্ধ মায়ের সংসার।
রাসেল সাহেব আজ অনেক ধনী কি নেই তার গাড়ি, বাড়ি,টাকা পয়সা। কি দরকার আছে অতীত নিয়ে ভাবনার।
কোম্পানীর মালিকের সন্দেহ হয়। পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে রাসেল সাহেব তিরিশ লাখ টাকার রেভ4 গাড়িতে চড়ে কি করে! অফিসের যাবতীয় হিসাব অডিট করে প্রমানিত হয় বিপুল অংকের টাকা জালিয়াতি করেছে রাসেল সাহেব। জালিয়াতির মামলায় দশ বছরের সাজা হয় তার।
ছেলের অপকর্মের কথা শুনে অসুস্থ হয়ে মা ও একদিন চলে যান না ফেরার দেশে। রাসেল সাহেবের নামের পাশের সাহেবটা কেটে গ্রামের মানুষ এখন “চোরা রাসেল” নামে ডাকে।
১২টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
আপনার ঘাড়ে ক’টি মাথা ?
“চোরা রাসেল” বললেন !
নীলকন্ঠ জয়
এমন ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে এদেশে। ভালো একটি দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন। (y)
খসড়া
চোরা রাসেল ভালইতো। আরও লিখুন আরও সুন্দর ও পরিনত হবে লেখা। ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
ছোট লেখায় ভালই বার্তা দিলেন ।
চোরা রাসেলকে গদাম ।
অনুশঙ্কর গঙ্গোম্যাক্সিম
সবাই কে ধন্যবাদ। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি গন-ধন্যবাদ দিচ্ছেন কেন ?
ঘটনা কি ?
শুন্য শুন্যালয়
প্রকৃতি তার প্রতিশোধ সবসময়ই নেয় …পরিচিত দৃশ্যপট ..ভালো হয়েছে লেখা …
বনলতা সেন
এখন কিন্তু রেভ4 এর ই জয়জয়কার ।
মা মাটি দেশ
এর উল্টোটাও বলুন (y)
মর্তুজা হাসান সৈকত
ভালো লিখেছেন।
তন্দ্রা
অল্প কথায় সুন্দর বার্তা দিলেন।
এভাবেই রাসেল সাহেব দের আগমন এবং প্রস্থান ঘটে।
শিশির কনা
সুন্দর উপাস্থপনা -{@