🙂 আজ বুঝি পহেলা ফাল্গুন, রাই-কিশোরীর আবেগ উছলানো দিন? বেশ লাগে ভাবতেই, বাসন্তী রঙের শাড়ী পড়ে, খোঁপায় গাজরা আর গাঁদা ফুল একসাথে জড়িয়ে, কপালে ছোট্ট একটা টিপ, চোখ টেনে কাজল। কতোদিন যে এভাবে সাজা হয়না! রিক্সার হুড সরিয়ে হুল্লোড় করে গান। কে, কি বললো, না বললো, কি এসে যায় তাতে! কিন্তু লজ্জ্বা যে চোখের পাঁপড়ির ভাঁজে ভাঁজে লুকোনো থাকে, সেও তো জেনেছি সেই সময়ে। তখনই বুঝেছি লজ্জ্বার জন্ম মানেই প্রেম। উফ এতো ভালোবাসা আজও বেসে যাচ্ছি, কিভাবে সম্ভব বলো তো! কিচ্ছু জানিনা। কি যে এলোমেলো হয়ে আছি না! তোমার দুষ্টু-মিষ্টি-পঁচা-খারাপ টুনটুনিটাকে একটু তো সুর দিতে এসো। আরে বয়স হয়েছে, তাতে কি? বুড়িয়ে গেলেও প্রেম তো সেই একই উছলেই পড়ছে, তাই না?
—চোখ খোলো। দেখো।
🙂 এই শোনো, একজন বলেছিলো আমায় এমনই এক বসন্ত দিনে পথভোলা পথিক হয়ে আসবে আমার সামনে। পড়িয়ে দেবে নূপুর।
—চুপ! একটা কথা নয়।
🙂 যদিও আজ অব্দি সেই ফাল্গুণ পাইনি। কিন্তু আশা ছাড়িনি। খুউব ইচ্ছে আমার…
—আবারও? চুপ! এতো কথা বলো কেন? বলছি না চেয়ে দেখো, তোমার পায়ে কি!
🙂 উফ শোনো না, ওই যে শাহবাগের রাস্তা ধরে হেঁটে গিয়ে, সেখানে পথের পাশে একটা চায়ের দোকান আছে না? ওখানে গিয়ে বসবো। জানো কোনোদিন বসা হয়নি? তারপর যাবো বকুলতলায়। তরুণ-তরুণীর ভীড়ে আমরা কি খুব বেমানান হবো, বলোনা! ওরা দেখবে আর বলবে, “এই দেখ দেখ কি বয়স, আর এসেছে প্রেম করতে! এখনও কত্তো শখ!” আবার অন্য কেউবা বলবে, “দেখেছিস ভদ্রলোক কিন্তু হেভি হ্যান্ডসাম। স্টিল ইয়াং।” পাশ থেকে আরোও কেউ বলবে, “আচ্ছা দেখতো এমন লাগছে না, মহিলার বয়স ওই ভদ্রলোকের চেয়ে বড়ো?” আমি ওসব শুনবো, একটু মন খারাপ করবো। তারপর তুমি তো জানোই বেশীক্ষণ পারিনা ঝিম মেরে থাকতে। ওই ছেলে-মেয়েদের ডেকে বলবো, এই শোনো এতো জানার ইচ্ছে যখন, সামনে এসো। ওরা মুহূর্তে লজ্জ্বা পেয়ে যাবে। হুম বয়স অনেক হলো, কিন্তু কি করবো বলো আমার এই পথিকের সময় কোথায়? সে আসে, আবার নিরুদ্দেশ। তবে এবার সে আর যাবেনা। এই দেখো পায়ে নূপুর পড়িয়ে দিয়েছে। বেঁধেই ছিলাম, এখন এই নূপুরে সে বাধা পড়েছে। আমার এসব পাগলামো কথা শুনে ওই ছেলে-মেয়েগুলোর কি অবস্থা হবে, তাই ভাবছি।
—আচ্ছা এবার কি তোমার কথা শেষ হলো? আসলেই বুড়িয়ে গেছো, আগের থেকে অনেক বেশী কথা বলো। অবশ্য চেহারায় ক্যালেন্ডারের পাতা তো দেখা যায়না। কিন্তু আমি তো দেখি, আমার বুড়ীটার দিকে কতো কতো চোখ এখনও।
🙂 আহা! হিংসে হয় বুঝি? আর এই যে বোকা বুড়ো শোনো, পায়ে নূপুর পড়িয়ে দিলে, আমি ঠিকই টের পেয়েছি। আমার পা প্যারালাইসড হয়নি।
—কিন্তু আমার হার্ট যে একই জায়গায় থেমে আছে, সে কিন্তু নয়!
🙂 আচ্ছা খুব ভালো। যতোদিকে ছোটানোর ছোটাতে থাকো ওই হার্ট। এখন শোনো তারপর যাবো বইমেলায়। আমি কিছুতেই তোমার হাত ছাড়বো না। কি ভীড়! যদি হারিয়ে যাই? তুমি পাশে থাকলে ওসব সেলফোন আমি সঙ্গে নিইনা, সেটা তো জানোই।
—এক জোড়া চোখ চাই শুধু আমাকে দেখবার। একটা অনুগত মন চাই শুধু আমাকে ভাববার। একটা অবাধ্য আবেগ চাই শুধু আমাকে ভালোবাসবার। তোমাকে চাই, আমি আমাকে ফিরে পাবার।
🙂 বহুদিন পর বললে। তখন কি বুঝেছিলাম কাকে উদ্দেশ্য করে? পৃথিবীটায় আমরাই তো দুজন, যাদের ব্যালকনিতে আলো-ছায়ার পাশাপাশি, উষ্ণ কফির কাপ টি-টেবিলে অপেক্ষায় থাকেনা। ওখানেই যে আমাদের হাজারো গল্প তোমার দুষ্টু দুষ্টু হাসির সাথে। আচ্ছা আমি এখনও লজ্জ্বা পাই তোমার ওই চাহনিতে। কি যে করি! এতো সুন্দর একটা জীবন আমার জন্যে বসে ছিলো, সেদিনও ভাবিনি। যেদিন প্রচন্ড ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিলো। এমন জীবন আমি পাবো, বিশ্বাস ছিলো। যে বয়সে মহিলারা চুলার গনগনে আগুণে তেল-লবণের পরিমাপ করতে থাকে, আর হিসেবের খেরো খাতায় জমা দিতে হয় খরচের পরিমাণ, সেই জীবন কোনোদিনও আমার নয়। জানি আমি। তাই কি এলে?
—উফ এসব ন্যাকা কথা ছাড়ো। রেডি হও। আজ ফুচকা খাবো তোমার ফুটপাতে। সারাদিন ঘুরে বেড়াবো। আমার শ্বাসে হাজারবার ধাক্কা খেলেও কিছুতেই বইমেলা মিস করবো না।
🙂 নাহ, আজ কোত্থাও যাবো না। এখানেই সাজবো। দেখি তো চিনে নিতে পারো কিনা! আমাদের এই যে কথাগুলো বাতাসে ওড়াওড়ি করছে, তারপর আয়নমন্ডলের পঞ্চম স্তরে গিয়ে থেমে যাবে। ভাবলেই কেমন লাগে, তাই না?
—আজকাল বুঝি রিসার্চ শুরু করেছো? যাও রেডি হও।
/(^:^)\সে জীর্ণ-দৈন্যদশা নিয়ে ফিরে গেছে
আগুণমুখো শিমুলের বনে।
ওখানেই পাতা ঝরা বৃষ্টির গান নূপুরের তালে তালে
তাকে চিনতে পারিনি, কখন জানি হাওয়ার আঁচলে ছোঁয়া লাগিয়ে গেছে
ঘ্রাণে ম’ ম’ করে উঠেছে আমার সবগুলো যুবক বসন্ত
ফিরে এসো, এ কথাটি বলতে অনেক দেরী হয়ে গেলো।
তবুও জানি ফাগুণের বেলায় তার নূপুরের গান মৌণ-মুখরতায় ডেকে নেবে।
তার প্রতিটি সন্ধ্যে শৈশবের খোলস ছেড়ে উঠে এসে আমার পূর্ণতার পৌরুষে পড়বেই ঝাঁপিয়ে
ওই ঠোঁট অস্বীকার যদি করে না-চেনার,
চিনিয়ে দেবো এই ঠোঁটের আদরে।
🙂 কি ব্যাপার হঠাৎ আবৃত্তি! বেশ লাগলো কিন্তু। আজ তাই হোক। এই বারান্দাতেই শব্দদের আসর বসুক। আর শোনো ওভাবে বেলী ফুলের মালার সাথে হলুদ শাড়ী রাখতে নেই। বয়স হয়েছে, রোমান্টিকতা বেড়ে গেলে তুমি-ই সমস্যায় পড়বে কিন্তু।
—সেই কবিতাটা পড়ো তো! “এসো স্পর্শন”, তারপর রোমান্টিকতা নিয়ে নয় কথা হবে!
/(^:^)\কতোকাল তুমি আমায় ছোঁওনি,
আমিও তোমাকে না।
বাঁধ-ভাঙ্গা আদরে ডুবে গিয়ে স্পর্শ করিনি অতল আবেগ—
কতোদিন হয়ে গেলো বে-হিসেবী ভালোবাসায় উন্মাতাল হয়ে
ঠোঁটের উষ্ণতা নিইনি আমরা আমাদের।
কুন্ডলী প্যাঁচানো হাইবারনেশনের ভেতর নিষ্ক্রিয়তার অগাধ সময়ে ভেঁজা নি:শ্বাসে স্নান করিনি।
আচ্ছা শেষ কবে আমরা দুজন দুজনকে পরিতৃপ্ত যন্ত্রণায় কাতর করেছিলাম?
মনে আছে?
আমার ব্যালকনিতে এসে উঁকি দাওনি, ঘরের দরোজায় টোকা মারোনি,
জানালা খুলে দিয়ে হাত বাড়িয়ে কাছে টেনে নাওনি।
যে তুমি কপট প্রত্যাখ্যানে তীব্র বাতাসের মতো জড়িয়ে নিয়ে তোমার পাঁজরে বন্দী করতে আমার লজ্জ্বা,
কতো কতো কাল কেটে গেলো, তুমি ছোঁওনি সেই লজ্জমানতা।
তোমার বন্যতার সাথে আমার ঊষ্ণতার দেখা হয়নি কতোকাল—
এসো আজ স্পর্শ করি একে অন্যকে।
🙂 হলো?
—উহু। এখনও অসম্পূর্ণ
🙂 পারোও বটে। ঠিক আছে দেখি পারি কিনা পূর্ণ করতে। তারপর আবার হেসো না যেনো। ক্ষ্যাপালে খুব কষ্ট পাবো।
https://www.youtube.com/watch?v=VvkarC8P-FA
**প্রিয় বন্ধুরা ফাগুণ ফাগুণ শুভেচ্ছা। বহুদিন পর এতোটা সময় নিয়ে লিখেছি। সেই সকাল থেকে থেমে থেমে লেখা, আর গানটা শুয়ে শুয়ে চেষ্টা করেছি। আমার নিজের মন ছোঁয়নি, তবুও দিলাম। ফিরে আসার পথে অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা পার হতে হচ্ছে এখনও। বারবার অসুস্থতার কথা বলে সবার মনকে বিরক্ত করে দিতে চাইনা। এর মধ্যে একটা সুখবর, অনেকটাই জোড়া লেগে গেছে পেলভিস বোনস দুটো। আশা করছি ২/১ মাসের মধ্যে পারবো শুধু নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে। ভালো আছি। ভালো থাকুন সবাই। আর এই কথোপকথনটি দুটি সত্যি জীবনের উপর দাঁড়িয়ে। আর এই দুটি জীবন আমার প্রিয়’রও প্রিয়। কিন্তু পরিচয়টুকু আবেগের গভীরতায় থাকুক, এটাই ওদের চাওয়া।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ইং।
৩৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
বেশ হাওয়া লাগানো হাওয়া দেয়া লেখা,
পেলভিস তো বাদ, আরও কিছু ভাঙ্গা বা জং ধরা থাকলেও এক ফুঁ এ উড়ে যাবে।
বেশ বেশ, চলুক দ্রততায় দ্রুত গতিতে।
নীলাঞ্জনা নীলা
“ফাগুণ হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান”—-গানটা ফাগুণের। মনে হাওয়া তো লাগবেই। শীতে জমে আছে বাইরের পরিবেশ।
এক পেলভিস নিয়েই যা অবস্থা। আর ওই যে পায়ের লিগমেন্ট, সে কিন্তু ঠিক। 😀
হুম ছুটছে, চলছে। এবার দেখে-শুনে পা ফেলবো, আর বিপদে পড়ি!
বহুদিন পর প্রথম হয়ে মন্তব্য করলেন! ;?
ছাইরাছ হেলাল
সব ঠিক না হয়েই পারে না, তবে শুধু দেখে শুনে নিলেই হবে না, মেপে ও নিতে হপে।
প্রথমের মজাই আলাদা, অনেক দিন পর পেলাম তা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার মতো এমন এডভাইজর থাকলে আমার আর কুনু চিন্তা নাই।
ঠিক আছে উপদেষ্টা ভাইসাব দেইখা-শুইন্যা-মাইপ্যাও লমু। আইচ্ছা কি মাইপ্পা লমু?
আমারও মজা লাগলো প্রথম হয়ে গেলেন কেমতে কেমতে?
মোঃ মজিবর রহমান
এত্ত লেখা ভালবাসার বয়স লাগেনা মন লাগে
সেটা আমার নাই।
যে জায় বলে বলুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই এ কথা তো আমারও। ভালোবাসার আবার বয়স আছে নাকি!
শুভ মালাকার
“উফ এতো ভালোবাসা আজও বেসে যাচ্ছি, কিভাবে সম্ভব বলো তো! কিচ্ছু জানিনা। কি যে এলোমেলো হয়ে আছি না! তোমার দুষ্টু-মিষ্টি-পঁচা-খারাপ টুনটুনিটাকে একটু তো সুর দিতে এসো। আরে বয়স হয়েছে, তাতে কি? বুড়িয়ে গেলেও প্রেম তো সেই একই উছলেই পড়ছে, তাই না?”
*** সময় গড়িয়ে গেলেও কিছু কিছু সময়ে কিছু কিছু স্মৃতি স্মরনে আসে যা বয়সকেও অতিক্রম করে ফেলে।
ভাল থাকবেন আপনি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকুন আপনিও, ভালো আছি আমি। 🙂
অনিকেত নন্দিনী
প্রেম আর ফাগুন আসতেই থাকে। এরা আসে, চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একেবারেই কি চলে যায়? কক্ষনোই না। ফাগুন কি একেবারেই চলে যায়? এক ফাগুন যায়, পরেরবার আরেক ফাগুন আসে। বছরের বাকিটা সময়ে এরা ঘাপটি মেরে থাকে, সময় হলেই সামনে এসে হাজির হয় – হাজার কলতানে মুখর করে দেয়, প্রাণে ছুঁয়ে দেয় ঠান্ডা শীতল হাওয়ার দমক।
প্রেমে বয়স কোনো ব্যাপার? ;?
এই অধমের মতে, একটা বয়সের পর যেমন সবাই ভোটার, একটা বয়সের পর সবাই প্রাপ্তবয়স্ক, একটা বয়সের পর সবাই সমান। ছোটোবড়োর ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন করাটা তখন নিতান্তই বাহুল্যতা, অজ্ঞতাও।
এই জুটি যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক। ভালোবাসার উষ্ণতা হরদম জড়িয়ে রাখুক তাদের; প্রতিপদে, প্রতিক্ষণ।
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
দিদি আমার বাপি-মামনির রোমান্টিকতা এখনও কমেনি। অনেক ভালো লাগে ওদের দেখলে।
নাহ এই জুটিও ভালো আছে। বলা-বলিতে নেই, এভাবেই চলে ওদের জীবন।
আর আমি হলাম বয়সের থেকে বাইরে। ক্যালেন্ডারের পাতাকে চলমান নিঃশ্বাসের সাথে মেলাই না।
তাই হয়তো শিশু থেকে বৃদ্ধ আমি সবার সাথে গল্প-মজা-আড্ডা চালিয়ে যেতে পারি।
আমার কথা না, সবার কথা 😀
দিদি আপনার জন্য -{@
শুভ্র রফিক
চমৎকার লেগেছে লেখাটা
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নাসির সারওয়ার
বসন্ত বাতাস। মন ভালো লাগা সাথে শরীরও ভালো হওয়া।
তবে প্রেম দিয়েই হোক সব জয়।
আগে আপনার গান শুনেছি বলে মনে করতে পারছিনা। কোথায় ছিলেন এতদিন!!
রেখে আসলাম –
“বাহ! চমৎকার এবং মিষ্টি সুরের ছোঁয়া। এতোদিন শুনিনি কেনো!!!”
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়ূ আমি তো প্রেম ছাড়া ভাবতেই পারিনা। প্রেমের রাজকন্যা বলে বন্ধুরা। :p
আপনার লেখা পড়ে এটাও জানি আবেগে টই-টম্বুর আপনিও। স্বীকার করুন। 🙂
এটা বুঝি গান! 😮 হায়রে শুধু সোনেলা পরিবারের জন্যেই এমন দিলাম, আমার গলা শুনলে
কাকও পালাবে। ভাইয়ূ আগে গাইতাম, এখন যা হয় তা গান না। প্রিয় মানুষদের জন্যে গুনগুনের চেষ্টা।
শুভ বসন্ত -{@
ব্লগার সজীব
নীলাদি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে লেখাটি পড়লাম দুই বার। কিভাবে লেখেন এমন লেখা! পেলভিস জোড়া লেগে যাক সঠিক ভাবে। আমাদের নীলাদি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে দৌড়ে চলুক ঝড়ের বেগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া কাল সারাদিন ধরে ১৫ মিনিট বসে, ৫ মিঃ কোলে নিয়ে, আর ২০/২৫ মিঃ শুয়ে লিখেছি। একটানা পারিনা। তাই লেখার অনেক জায়গায় রেশ কেটে গেছে।
হুম আশায় আছি আবার ছোটার। আর জানি তো আপনাদের সকলের প্রার্থনা আমার সাথে আছে।
শুভ বসন্ত ভাভু বাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে তোমার একটি ভালো লেখা পড়লাম
নিজের কন্ঠে গাওয়া গানটি পোষ্টকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
ফাগুনের শুভেচ্ছা নিও -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তুমি জানো কিভাবে গানটি গাইবার চেষ্টা করেছি।
তুমি কখনোই আমার লেখা/গান খারাপ বলো না।
সত্যি করে বলো তো আসলেই কি সত্যি?
নইলে কিন্তু মাস্তান সাইজা আসমু।
ইস খালি গুলাপ? ওইসবে চলবো না।
জিসান শা ইকরাম
খারাপ কইর্যা একদিন গান গেয়ে দেখ, তখন ঠিকই বলুম, এর চাইতে কাউয়ার গান ভালো 🙂
আমার বাগানের সব ফুল দিলাম তোকে -{@ -{@
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কাউয়ার মতো কন্ঠ আমার? কত্তো মিষ্টি, লক্ষ্মী মেয়ে। :p
অপার্থিব
বাড়ন্ত বয়সের সঙ্গে যারা রোমান্টিকতা ধরে রাখতে পারে তাদের চেয়ে বড় রোমান্টিক জুটি আর কেউ নেই। টিকে থাকুক রোমান্টিকতা ফাল্গুনকে উপেক্ষা করে…
নীলাঞ্জনা নীলা
আর বলবেন না, এ জিনিস কাউকেই বোঝানো যায়না। তবে এটা ঠিক ওদের রোমান্টিকতা এ জীবনে কমবে না।
শুভ বসন্ত।
ড্রথি চৌধুরী
সত্যি কথা বলতে কি জানো আপু ভালবাসতে ভালবাসাটাও লাগে না লাগে অনুভূতি! যে অনুভুতিহীন তাকে ভালবাসা জাপটে ধরে রাখলেও বুঝবে না! ভালবাসার লিখা গুলো পড়তে আমার ভাল লাগে না পাছে নতুন করে প্রেম এ পরে যাই :p ভালবাসা চিরসবুজ ইহাই সত্য ইহাই অনড় (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি বড়ো ভালোবাসি ভালোবাসার গান শুনতে, লিখতে, বলতে।
ভালোবাসা তাই পাই আর সেজন্যেই ভালোবাসতে পারি।
ভালোবাসা জীবনের মূল মন্ত্র হোক। ভালো থেকো আপু। -{@
শুন্য শুন্যালয়
ওমা তুমি আমার প্রেমের কথোপকথন লিখে দিলে, আমার পারমিশন না নিয়েই? উহ রে আপু, এত প্রেম নিয়ে আজো বেঁচে আছ কি করে? আমি হলেই মরেই যেতাম কবে।
তোমার গান!! আহ কি মিষ্টি রে আপু, দেখো আবার ডুবিয়ে দিয়োনা কাউকে, শুনছিই– জানিনে জানিনে, কি বলতে হয় জানিনে।
কবিতা দুটোতে যত পেরেছ প্রেম ঢেলে দিয়েছ, কিছু কি রেখেছ? পরে যেন ফিরে না যায় এসে? উত্তরে হয়তো বলবে, সব দিয়ে এসেছি সোনেলায়, তোমার জন্য আমি ছাড়া আর কিচ্ছু নেই 🙂
এত্ত এত্ত ভালো লাগা নীলাপু। শুভ ফাল্গুন। বরাবরের মতই আমার যে দেরী হয়ে যায়, কিচ্ছু করার নেই। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এই এতো সুন্দর মন্তব্য কেন করো, বলো তো?
যে লেখাটা পড়ার পর নিজেই বিরক্ত হয়েছিলাম, তাকে তোমার অক্ষরের বুননে এমনভাবে বাধলে ভাবছি সত্যি কি লিখতে পারি?
একই কথা বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করে এতো প্রেম নিয়ে কিভাবে বেঁচে আছি! আমার বাবা-মায়ের প্রেম দেখলে তো আমাকে পাত্তাই দিতে না।
যাক আর গানের কথা ছাড়ো। ওটা যে কি, তা শুনিয়েছিলাম আসল জায়গায়, শুধু বলেছিলো “এসব ইউটিউবে দিতে হয়?” এই মানুষটি আমার ভালোকে ভালো বলে সামনেই, খারাপও বলে সামনেই। 🙁
যেদিন পুরোপুরি সুস্থ হবো, সেদিন যে আমায় কতো বকুনী খেতে হবে। শুধু কি তার? শিল্পী-ঊর্মী এই দুই বন্ধুরও। কি যে জ্বালাচ্ছি না সবাইকে। এই নিয়েই ভাবছি, ভয়ে আছি। কর্মের ফল কি যে পাবো! ;(
এই আপু তোমার জন্যে আবার নিয়ে এলাম তিরি-অহমকে। (3
শুন্য শুন্যালয়
খুব শোনাতে ইচ্ছে করছে আমার পঁচা কন্ঠ টা, শুনবে? হাসবে নাতো?
অরুনি মায়া
একটুও হাসব না | জলদি গান শোনাও
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু আরোও বেশী করে বলো, তা নইলে শুন্য আপু পালাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সামনে এসে এ প্রশ্ন করলে খবরই ছিলো তোমার। পঁচা কন্ঠটা কেমন ঠিক আন্দাজ করছি।
এবার শোনাও। তাড়াতাড়ি।
আমি হাসবো কিন্তু, কারণ আমার শুন্য আপুর কন্ঠ আনন্দ দেবে যে। আনন্দে না হেসে কিভাবে থাকা যায়, জানিনা।
প্লিজ তাড়াতাড়ি কন্ঠ শোনাও আপু -{@ (3
অরুনি মায়া
এত সুন্দর মিষ্টি সুরে বসন্তকে বরণ করে নিলে আপু! সাথে মিশিয়ে দিলে প্রেমময় কবিতা! খুব সুন্দর 🙂 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু শুভ বসন্ত। -{@
আমি তো আজন্মকালের প্রেমময়ী গো :p
সেই যে ভালোবেসে যাচ্ছি, এখনও…আগামীতেও। শুধু এবারকার বসন্ত অন্যরকম। নূপুর পেয়েছি 🙂
অরুনি মায়া
ভালবেসে আজীবন একজনকে ধরে রাখা এ খুব সহজ কাজ নয় আপু | ভালবাসায় দিন বদলের সাথে মানুষ বদল হয় | তবুও নতুন হোক পুরাতন হোক ভালবাসা তো ভালবাসাই |
তা প্রেমময়ী কন্যা তোমারে নূপুর দিল কে? 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কি জানি আপু দিন আর মানুষ বদল বুঝিনা। আবেগের নিয়ে বন্ধন সবার সাথে হয়না। তাই অনেকে আসে, চলেও যায়। মন খোঁজেনা, ফিলও করেনা। কিন্তু কেউ থাকে যার জায়গা কেউ নিতে পারেনা।
এক্সিডেন্ট অনেক কিছু দিয়ে ফেলেছে। পায়ের নূপুরটা যার দেয়ার কথা ছিলো, সে-ই দিয়েছে।
সত্যিকারের ফিলিংস কোনোদিন পরাজিত হয়না। আর এই বিশ্বাস নিয়ে জীবনের প্রতিটি শ্বাস নিচ্ছি। আর যে দিয়েছে সে আমার প্রিয় নীল আকাশ। আমার জীবনের রঙ, স্বপ্ন এবং ছোঁয়া। 🙂
লজ্জ্বা :p
শুভ্র রফিক
অনেক ভাল লাগল
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ আপনাকে।