বৃহষ্পতি বার রাত এগারটায় হঠাৎ আমার মেজ কুটুম ফোন করল
ঃ দুলাভাই বার্মা যাবেন নাকি ?
উল্লেখ্য আমার মেজ কুটুম গত তিন বছর যাবৎ টেকনাফে দোকান নিয়ে মায়ানমারের সাথে ব্যাবসা করছে । ওর এই প্রস্তাবে আমিও উৎফুল্ল হয়ে গেলাম । তারপরও নিজের ব্যাবসার কথা চিন্তা করে আবার মিইয়ে গেলাম ।
তারপরও বললামঃ কখন যাবে ?
ঃ কালকে শুক্রবার ।
ঃঠিক আছে । কালকে গেলে তোমাকে ফোন করব।
ঃ কালকে গেলে সকালে আমাদের বাড়িতে চলে আসবেন । এখান থেকে জুম্মার নামায পড়ে রওয়ানা দেব।
ঃআছ্ছা ।
শুক্রবার দিন সাধের ঘুম জলান্জলী দিয়ে সকাল আটটা বাজে উঠে গেলাম । গোসল আর নাস্তা করতে করতে প্রায় নয়টা বেজে গেল । তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হলাম। বাসার সামনে থেকে রিক্সা নিয়ে নিউমার্কেটের মোড়ে গেলাম । সেখান থেকে টেম্পোতে করে নতুন ব্রীজ পৌছলাম। এখান থেকে যেতে হবে সাতকানিয়া । ভাল কোন গাড়ি পাছ্ছিনা । ভাল গাড়ি বলতে এস আলম , সৌদিয়া , শাহ আমিন । এরা অন্য দিন সাতকানিয়া আমিরাবাদের লোকদের জামাই আদর করে গাড়িতে তুলে । শুক্রবার হলে তারা আমাদের ( সাতকানিয়া ও আমিরাবাদি ) চিনেই না । কক্সবাজার যেতে যে সাতকানিয়া, আমিরাবাদ বলে কোন জায়গা আছে ওরা যেন ভুলেই যায় । নতুন ব্রীজ থেকে সাতকানিয়ার স্বাভাবিক ভাড়া ৬০ টাকা । আজ শুক্রবার, তাই ভাড়া ১০০ টাকা । এই হল আমাদের সোনার বাংলাদেশ ।কোন আইন নাই, কানুন নাই । যার যেমন ইছ্ছা ভাড়া বাড়িয়ে ফেলে । প্রশাসন আছে কিন্তু তাদের এই সব দেখার সময় নাই । তারা সরকারের গদি সামলাবে না এই সব দেখবে ? প্রশাসন এখন ক্ষমতাশীন রাজনীতিকদের সেবক । সাধারন জনগনের সেবা করার সময় কোথায় ? যাই হোক একটা লোকাল গাড়িতে উঠালাম । এই গাড়িই অন্যান্য দিন লোকাল ভাড়ায় চলে । আজ জাতে উঠেছে, তাই স্পেশাল সার্ভিস হয়েছে। কনট্রাক্টর আর হেলপারের যে ভাব, মনে হয় গাড়ি নয় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্লেনের ক্রু । গাড়িতে উঠলাম । বসে আছি । গাড়ি এখনও ছাড়েনি আসন পূর্ন করে যাত্রী সব নেওয়া হলে, তারপর বাস ছাড়বে । প্রায় পৌনে এগারটার দিকে বাস ছাড়ল । এই সময় মেজ কুটুম ফোন করলঃ কোথায় ?
ঃবাসে ।
ঃ ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছেন?
ঃ নাত ! কেন?
ঃ মায়ানমার যেতে হলে মায়ানমারের পাসপোর্ট বানাতে হবে । তখন ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে ।
আমি কিছুক্ষন চিন্তা করে বললাম অসুবিধা নাই বন্দোবস্ত হবে যাবে । এরপর যোগাযোগ বিছ্ছিন্ন করে দিলাম । তারপর বাসায় ফোন করলাম ।
আমার বেগমকে বললামঃ দেখোতো বাসায় আমার ভোটার আইডি কার্ডটা আছে কিনা ? সে খুজে পেলানা । বুঝলাম বাসায় নাই । ছোট ভাইকে ফোন করলাম ।
বললামঃ আমার দোকানের দেরাজের ভিতর ভোটার আইডি কার্ডটা আছে । তুই ওটা নিয়ে আমার ই-মেইলে পাঠিয়ে দে। জুম্মার আযানের আধা ঘন্টা আগে কেরানী হাট নামলাম ।
ওখান হতে সিএনজি করে আনুফকিরের দোকানে নামলাম । ততক্ষনে আযানের সময় হয়ে গেছে । এস্তেনজা ( টয়লেট ) ও অজু করে আনুফকীরের দোকানের মসজিদে জুম্মার নামায আদায় করলাম। ওখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ভিতরে আমায় জান্নাতবাসি মায়ের কবর। আহ ! কি মায়া মাখা ছায়া ঢাকা সেই কবর। চারদিকে সুপারী গাছের ঘেরা । সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো শান্ত নিবির পরিবেশে শুয়ে আছে আমার মা । সেখানে যেয়ে জিয়ারত করলাম । মায়ের কবর জিয়ারত করে সোজা শ্বশুর বাড়ি চলে এলাম। সেখানে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিলাম। শ্বশুর বাড়ির খাওয়াত ! এমন ভূড়ি ভোজনের পর বিশ্রাম না নিয়ে কি পারা যায় ?
তারপর আমি আর মেজ কুটুম বের হয়ে সোজা আমিরাবাদ। ওখানে আছরের নামায পড়ে , টেকনাফের উদ্দেশে বাসে উঠার জন্য বাস কাউন্টারে গেলাম । বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখলাম ভীষন ভীড় । শুক্রবার দিন বিকালে সবাই ফেরার জন্য হুড়োহুড়ি করছে । কারন শনিবার সকাল থেকে কর্মক্ষেত্র যেতে হবে । আমার মেজ কুটুম বহু কষ্টে সৌদিয়া বাসের দুটি টিকিট যোগাড় করল । আমরা মাগরীবের আগে আগে গাড়িতে উঠলাম । গাড়ি চলতে লাগল টেকনাফ লিংক রোডের উদ্দেশে । গাড়ি যখন চকোরিয়ার কাছাকাছি তখন মাগরীবের নামাযের সময় গেল। ভাবলাম নামযের জন্য গাড়ী দাড়াবে তাই একটু আপেক্ষা করলাম । নাহ ! গাড়ি থামল না । তখন সিটের উপর নামায পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । মেজ কুটুমকে বললাম তুমি উঠে দাড়াও আমি নামাযটা পড়ে নিই । ও উঠে দাড়ালে আমি নামায পড়ে নিলাম । আমার নামায পড়া দেখে ড্রাইভার মেজ কুটুমকে বললঃ আপনারা নামায পড়বেন বললেন না কেন ? বললেইত আমি গাড়ি থামাতাম। ও কোন উত্তর দিল না । আমি নামায পড়ার পর মেজ কুটুম পড়ল। ভাবতে অবাক লাগে !! বাংলাদেশ ৮০% মুসলমানের দেশ। সেই দেশে একটি বাসের চল্লিশ জন হতে পাচচল্লিশ জন মানুষের মধ্যে আমরা মাত্র দুইজন মানুষ নামায পড়লাম । তাহলে আর সবাই কি বিধর্মী………..।
এশার নামাযের আগে আমরা কক্সবাজার হতে অনেকটা আগে লিংক রোডে নামলাম । ওখানে নেমে একটা হোটেলে ঢুকে মুখ-হাত ধুয়ে নিলাম । তারপর ভূনা গরুর গোশত আর ছেকা ( কম তেলে ভাজা ) পরাটা দিয়ে নাস্তা করলাম । খাওয়া দাওয়ার পর টেকনাফগামী গাড়িতে উঠলাম । প্রায় রাত সাড়ে দশটার দিকে টেকনাফ পৌছলাম …….।
তারপর দিন সকালে যখন ঘুম ভাংগল মেজ কুটুম বললঃ তাড়াতাড়ি উঠুন । আজকে শনিবার তাই তাড়াতাড়ি এই রুম খালি করতে হবে। আমি অবাক হয়ে বললামঃ কেন ?
ঃ এই রুমের ভাড়া আমরা দুইজনে দেই । একজন আমি, আরেকজন ইন্সুরেন্স কোম্পানির লোক। আড়াই হাজার টাকা ভাড়ার মধ্যে ওই লোক দেয় দেড় হাজার আমি দেই এক হাজার । আমরা ব্যাবহার করি সারা সপ্তাহ আর ওই লোক অফিস হিসেবে ব্যাবহার করে শুধু শনিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ।
এই কথা শুনে কি দেরি করা যায় !! তাড়াতাড়ি উঠে মুখ হাত ধুয়ে বের হয়ে গেলাম । হাটতে হাটতে বেশ কিছুটা এগিয়ে ভাল একটা হোটেল দেখে ঢুকে পড়লাম ।
সেখানে পরাটা আর মুগ ডাল দিয়ে নাস্তা করলাম। নাস্তা শেষে এক কাপ চা খেয়ে হোটেল থেকে বের হলাম।
মেজ কুটুমকে বললামঃ এবার কাজ কি ?
ঃ এবার আপনার দুই কপি ফটো তুলতে হবে । এক কপি পাসপোর্ট সাইজ আরেক কপি স্টাম্প সাইজ , আর আপনার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি করতে হবে ।
ঃ তাহলে এক কাজ কর। আমাকে কোন সাইবার ক্যাফেতে নিয়ে যাও ।
তারপর আমরা দুইজনে টেকনাফে সাইবার ক্যাফে খুজতে বের হলাম । অনেকক্ষন খুজেও কোন সাইবার ক্যাফে পেলাম না। হাটতে হাটতে কাচা বাজারের কাছে চলে এলাম । কাচা বাজারে টাটকা মাছ আর সবজী দেখে সাইবার ক্যাফের কথা ভুলে গেলাম ।
মেজ কুটুমকে বললামঃ এখানে মাছের দাম বোধহয় কম তাই না ?
ও দুইচোখ কপালে তুলে বললঃ কম দা-ম !!!! কি যে বলেন না, বরং শহরের চেয়ে দাম বেশি ।
আমি অবাক হয়ে বললামঃ বল কি !! কেন এখানে নদী সমুদ্র দুইটাইত কাছে তারপরও এত দাম ?
ঃ এখানকার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এত বেশি যে কোন জিনিসের দাম যতই বেশি হোক ওরা কিনতে ভয় পায় না ।
ঃ এত টাকা পায় কই ?
ঃ কেন ডব্লিউ আর লবন।
ঃ ডব্লিউ এটা আবার কি ?
ঃ ইয়াবা । এখানে উচ্চ হতে সাধারন জনগন প্রায় সবাই কম বেশি ডব্লিউ ব্যাবসার সাথে জড়িত । এছাড়া আরও অন্যান্য ব্যাবসাত আছেই। কানাঘুষায় শুনি টেকনাফের বর্তমান এম পি বদি এই ডব্লিউ ব্যাবসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সে এই ব্যাবসা করার জন্য প্রশাসন, আওয়ামীলীগ , বি এন পি , জামাতের প্রায় সব নেতাকে সাথে নিয়েছে । এই ব্যাপারটা এখানে ওপেন সিক্রেট ।
এখানকার প্রত্যেক যুবক আলীশান ভাবে জীবন যাপন করে । তাই এখানে দামি দামি মোটর সাইকেলের এত ছড়াছড়ি । এখানে সবাই এক । তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাই বললেই চলে । এই জন্য টেকনাফে ইয়াবার কোন চালান ধরা খায়না বললেই চলে । ইয়াবার চালান যা ধরা খায় সব টেকনাফের বাইরে । সত্য মিথ্যা আল্লাহই ভাল জানেন। এই টেকনাফে এমপি বদির কথাই শেষ কথা । একবার এক বি ডি আর সদস্য তাকে না চিনে তার গাড়ি থামিয়ে ছিল । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এম পি বদি গাড়ি থেকে নেমে সেই বি, ডি, আরকে সজোরে এক থাপ্পর মেরেছিল । এই কথা বদির সমর্থকরা গর্ব করে সবাইকে বলে।
ঃ আমি শুনে ” থ ” !!!
ভাবতে লাগলাম যেই দেশের জননেতা সেই দেশের যুব সম্প্রদায় অর্থাৎ এই রাষ্ট্রের ভবিষ্যত নেতৃত্ব দান কারী প্রজন্মকে ধ্বংস করার নেশার দ্রব্য আমদানী করে , সেই দেশের ভবিষ্যত যে কতটুকু অন্ধকার তা ভেবে শিউরে উঠলাম। আর এদেরকেই আমরা ভোট দেই । অবশ্য এরা আমাদের ভোটের থোরাই কেয়ার করে । নিজের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নিজেরাই ভোট আদায় করে নেয়।
মনে হল এই দেশে জন্মই আমার আজন্মের পাপ।
আমাকে স্তব্দ হয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আমার মেজ কুটুম বললঃ কি হল দাড়িয়ে গেলেন যে ?
আমি ওর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে হাটতে লাগলাম। কিছুক্ষন পর মেজ কুটুম আবার বললঃ বেশ কিছুদিন আগে টেকনাফে প্রধানমন্ত্রি এসেছিল। তখন জনসভায় এমপি বদি জনতাদের উদ্দেশে বলেছিলঃ আপনারা কে কে আগামীতে আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান তারা হাত তুলুন ।
অবাক কান্ড হাজার হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র শখানেক হাত উঠেছিল ।
এই ব্যাপারে পরে এমপি বদিকে জিগ্গাসা করা হলে সে বলেছিলঃ আমার কথা সব জনতা বুঝতে পারেনি ।
যাই হোক আবার সাইবার ক্যাফে খুজতে লাগলাম। পেলাম না । তখন আমি বললামঃ চল আগে ছবিটা তুলে ফেলি, তারপর ঐ ফটোর দোকানে জিজ্ঞাসা করলে হয়ত জানতে পারব কোথায় সাইবার ক্যাফে আছে ?
হাটতে হাটতে একটা ফটোর দোকানে ঢুকলাম। বললাম ফটো তুলব । আপনারা কি ডিজিটাল ক্যামেরায় ফটো তুলেন ?
ওরা বললঃ হ্যাঁ ।
আমি বসে গেলাম । একটা ছেলে ডিজিটাল ক্যামেরায় ফটো তুলল ।
ফটো তুলার পর একটা ল্যাপটপে ঢুকাল । দোকানের মালিক কম বয়সি একটা ছেলে। দেখলাম সে ছবিটা এডিট করে একটা পাসপোর্ট সাইজ একটা স্টাম্প সাইজ করে দুইকপি করে চার কপি প্রিন্ট আউট করল। এই সময় আমি দেখলাম ওর ল্যাপটপে ইন্টারনেট মডেম লাগানো।
ঃ আপনার কি ইন্টারনেট কানেকশান আছে ?
সে হ্যাঁ বলতেই বললামঃ আমার ই-মেইল থেকে আমার ভোটার আইডি কার্ডটা প্রিন্ট আউট করে দেন।
ছেলেটা জিমেইলে যেয়ে আমাকে দিয়ে মেইলটা খুলে নিয়ে ডাউনলোড করে নিল। ওর ল্যাপটপে ডাউনলোড হওয়ার পর প্রিন্ট আউট করল। তারপর একটা ফটো কপি করলাম। কাজ শেষ হলে জিজ্ঞাসা করলামঃ কত দেব ?
ঃ আশি টাকা দেন ।
টাকা দিয়ে দোকান থেকে বের হলাম ।
এইবার মেজ কুটুম বললঃ আপনার কাছে যত টাকা আছে সব, আর মোবাইল দুইটা দিন ।
ঃআমি অবাক হয়ে বললামঃ কি ব্যাপার ছিনতাইকারী হয়ে গেলে নাকি ?
ও হাসতে হাসতে বললঃ না ওগুলো নিয়ে মায়ানমার যাওয়া যাবে না, তাই দোকানের ছেলেকে আসতে বলেছি এগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য । আপনার দরকারি নাম্বারগুলো কাগজে লিখে নিন । মায়ানমার থেকে তাহলে ফোনে কথা বলতে পারবেন।
তারপর সে আমাকে নিয়ে একটা দোকানে গেল । দোকানটা বোধহয় পূর্ব পরিচিত । ওখানে একজন থেকে একটা কাগজ আর কলম নিয়ে, আমাকে দিল বললঃ নাম্বারগুলো লিখে নিন ।
আমি দাড়িয়ে কাউন্টারের উপর কাগজ রেখে নাম্বারগুলো লিখতে লাগলাম। এইসময় ময়লা বোরকা পরা একজন মহিলা দোকানে প্রবেশ করল । বয়স ত্রিশের কম বেশি হবে । সে দোকানের ছেলেটার কাছে দাড়িয়ে এক ধরনের উচ্চারনে চিটাগাং এর ভাষায় কথা বলছিল । পরে জেনেছি ওটা রোহিংগা ভাষা । সে ছেলেটি কে বললঃ কেমন আছ ?
ঃ ভালআছি ।
ঃ আমার টাকাটা দাও ।
ঃ কিসের টাকা ?
ঃ কেন মালের বাকি একশ আশি টাকা ।
ঃ না দেব না ।
ঃ কেন দিবা না । আমি গরিব মানুষ এই একশ আশি টাকা দিলে বাজার করব । তারপর রান্না করে খাব।
আমি মেজকুটুমকে আস্তে করে জিগ্গাসা করলাম মেয়েটি কে ?
ঃ রোহিংগা । বার্মা থেকে দুই চার হাজার টাকার মাল বৈধ পথে টেকনাফে এনে বিক্রি করে ।
ছেলেটি মহিলাটির কথার প্রতিউত্তরে বললঃ এই টাকার জন্য তুমি মরে যাবা ?
ঃ তুমি জান ? আজকে সকালে আধাপেট ভাত খেয়ে বের হয়েছি । বাচ্চাদেরও পেট ভরে খাওয়াতে পারিনি।
আমি আর শুনতে পারলাম না । মেজ কুটুমকে নিয়ে আস্তে করে দোকান থেকে বের হয়ে গেলাম । ঐ মেয়েটি যদি ভিক্ষুক হত তাহলে কিছু টাকা দিয়ে নিজেকে হালকা করতাম ।
কিন্তু মহিলাটিত তা নয় , সেত খেটে খাওয়া আত্মনির্ভরশীল একজন নারী। যে নারী জীবন যুদ্ধে মরতে জানে, পরাজয় বরন করতে জানেনা । তাকে শ্রদ্ধা করা যায় তার জীবনার্দশ অনুসরন করা যায় । এমন নারীকে ভিক্ষা দেওয়া যায় না।
( চলবে )
৬টি মন্তব্য
লীলাবতী
অনেক কিছু জানলাম।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সিকদার
পরের পর্ব দিয়েছি ।
নীলাঞ্জনা নীলা
পরের পর্ব কতোদিনে আসবে?
সিকদার
গতকালই পোস্ট দিয়েছি ।
শুন্য শুন্যালয়
পর্ব করেও এতো বড় লেখা? 🙂
যাই হোক, ভালো লিখেছেন। জানতে চাচ্ছি আরো।
সিকদার
দোয়া করবেন ।