গতকালও বৈশাখের কাঠফাটা গরমে আবহাওয়াটা অসহ্য রকমের গুমোট হয়েছিল।
কিছুক্ষন আগে একপশলা বৃষ্টি হয়েছোট। এখন থেমে গেলেও আকাশটা স্লেটের মত কালো হয়ে আছে। বাতাসে হিমেল আমেজ।
এখানে বসে পাহাড় শ্রেণীর অনেকদুর দেখা যায় । বৃষ্টি ঝেড়ে ফেলা, পেজা তুলার মত হালকা সফেদ রঙা সাদা মেঘগুলি ভাসছে, ঠিক তার নিচে সবুজে ছাওয়া পাহাড়ী বন। বনের গাছ-গাছালির আড়াল থেকে ভেসে আসছে সম্বর ( পাহাড়ী হরিন), বন মোরগ আর পাখির ডাক।
পাহাড়ের কোল ঘেষে দাড়িয়ে থাকা সরকারী দোতালা বাংলো। বাংলোর দুইতলার সম্মুখে রেলিং দিয়ে ঘেরা বিশাল বারান্দা। সেখানে বসে আছেন প্রফেসর ডাঃ মেহমুদ হাসান । নামকরা সার্জন। মেডিকেল কলেজের প্রধান ছিলেন। এখন অবসরে আছেন। খুব জটিল না হলে কোন অপারেশন করেন না। তবে বাসায় উনার চেম্বারে রোগী দেখেন।
এখানে উনার সাথে আছেন স্থানীয় সরকারী হাসপাতালের দুইজন ডাক্তার।
এই পার্বত্য জেলায় তিনি গতকাল এসেছেন একটা জটিল অপারেশন করার জন্য। ডাঃ মেহমুদ অসম্ভব পরোপকারী একজন ব্যাক্তি। জটিল অপারেশনের রোগী হলে, দেশের যেখানেই হোক যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিনা চিকিৎসায় কোন রোগী মারা গেলে তিনি তা মেনে নিতে পারেন না। এই কারনেই তিনি গতকাল এই দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে এসেছেন। একজন বয়স্ক রেগিনীর অপারেশনের জন্য।
তিনজনের সামনেই ধূমায়িত চায়ের কাপ।পাহাড় হতে আসা বৃষ্টিস্নাত হিমেল বাতাসের পরশে গরম চায়ের স্বাদ তিনজনই উপভোগ করছেন।
নানা রকমের কথার মাঝে হঠাৎ করে একজন ডাক্তার সার্জন মেহমুদকে জিজ্ঞাসা করল
“ স্যার আমার অবাক লাগছে, আপনি একটি রোগীর জন্য দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে বার্ধক্য দেহ নিয়ে এত কষ্ট করে কেন আসলেন? না আসলে কিইবা হত! “
“ দেখ আমরা ডাক্তার। পানির অপর নাম যেমন জীবন ঠিক ডাক্তারি পেশার অপর নাম জীবনদান। আমাদের শিক্ষাত এই, যেখানে অসুস্থ মানুষ আছে সেখানেই ছুটে যেতে হবে। যেমন একজন সৈনিক দেশ রক্ষার জন্য সামনে মৃত্যু আছে জেনেও ঝাপিয়ে পড়ে।
“ কিন্তু স্যার, আমরা ডাক্তাররাত মানুষ। আমাদের আছে মানুষ হিসাবে নানা রকম সীমাবদ্ধতা আছে। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এসব কি কেউ এড়াতে পারে?
ডাঃ মেহমুদ চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে লম্বা এক চুমুক দিয়ে বললেন
“ তুমি একজন সৈনিককে দেখ সে যখন অবসরে যায় তখন দেশ বহিঃ শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে তখনও সে যুদ্ধ করতে বাধ্য। ঠিক আমাদের কাছে যখন রোগী আসে তখন যদি আমাদের এই দেহে শ্বাস থাকে, আমরা সেবা করতে বাধ্য। এটাই চিকিৎসা পেশার কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা।
“ তাই বলে এভাবে?”
“ এটা ঠিক এই পেশায় আমি একটু বেশি সিরিয়াস! কিন্তু তারও একটা ইতিহাস আছে। “
জুনিয়র ডাক্তার দুইজন পরস্পরের দিকে তাকিয়ে আবার ডাক্তার মেহমুদের দিকে তাকাল।
“কি সেই ইতিহাস স্যার যা আপনাকে এই পেশার প্রতি এতটা সিরিয়াস হতে বাধ্য করেছে ? “
“ শুনতে চাও সেই ইতিহাস।তাহলে একটু অপেক্ষা কর, আগে মাগরিবের নামাযটা পড়ে নিই। ”
মেঘলা আকাশে সন্ধ্যাটা দীর্ঘস্থায়ি হয় না। আধাঁর হয়ে আসছে। দুর পাহাড়ের কোথাও নিঃসঙ্গ এক হাতি ক্ষনে ক্ষনে ডাকছে। আবার বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে। ডাঃ মেহমুদ খানিকক্ষন দুর পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন। দেখে মনে হল অতিতের স্মৃতিপট থেকে পাতা উল্টে দেখে নিচ্ছেন কোত্থেকে শুরু করবেন।
আমি তখন মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নি করছি। একদিন আমার ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর স্যার বললেন “ মেহমুদ তুমি একটা কাজ কর। কাল থেকে হাসপাতালের ডিউটি শেষে আমার ক্লিনিকে বস। পারবেত?
আমি ধনী পিতা মাতার একমাত্র সন্তান ছিলাম। তাই অভাব ছিল না। যার দরুন কোন ক্লিনিকে পার্ট টাইম কাজ করার চেষ্টা করি নাই। এখন স্যার বলছেন তাই ইচ্ছা না থাকলেও যেতে হবে।
পরদিন থেকে উনার ক্লিনিকে যাওয়া শুরু করলাম। মাস শেষে উনি আমাকে বেশ ভালই একটা এমাউন্ট দিতেন।
একদিন সকালে ক্লিনিকে রোগী দেখছি সেই সময় এক ওয়ার্ড বয় প্রায় দৌড়ে এল বলল “ স্যার আপনাকে একটু নিচে আসতে হবে। একটা রোগী এসেছে সিরিয়াস ইনজুরড। ওর কথায় আমি দ্রুত নিচে নেমে ইমার্জেন্সিতে প্রবেশ করলাম। দেখলাম ইমার্জেন্সিতে নয় ক্লিনিকের গাড়ি রাখার বারান্দায় রোগী। আমি রোগীর দিকে এগিয়ে যেতেই ক্লিনিকের সিকিউরিটির প্রধান বলল, “ স্যার এই রোগীর চিকিৎসা এখানে করা যাবেনা।”
আমি অবাক হয়ে বললাম “ কেন? “
“ এম ডি স্যারের নিষেধ আছে। কোন এক্সিডেন্টের রোগীর চিকিৎসা এখানে না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে। “
আমি ওর কথাকে পাত্তা না দিয়ে রোগীর দিকে এগিয়ে গেলাম।
পনের হতে ষোল বছরের এক ছেলে। সারা শরীর রক্তাত্ত। মুখ ফুলে বিকট আকার ধারন করেছে। দেখে যা মনে হল দ্রুত চিকিৎসা না করালে মারা যাবে।
ইতিমধ্যে ওই স্টাফ এম ডি অর্থাৎ স্যারকে ফোন করে ব্যাপারটা বলল। স্যার ফোনে আমাকে ডাকলেন। ডেকে অনেকটা রাগান্বিত ভাবে বললেন “ মেহমুদ এই রোগীর চিকিৎসা এখানে করবে না। যারা এনেছে ওদেরকে বল সরকারী মেডিকেলে নেওয়ার জন্য।”
“ স্যার রোগীর অবস্থা এতটাই সিরিয়াস মুভ করানোর সময় পাওয়া যাবে না। “
“ তুমি ওদের চলে যেতে বল। “
“ স্যার ছেলেটির প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে। এখন যদি বন্ধ করা না হয় সে মারা যাবে।”
“ মারা যাক তাতে আমাদের কিছু করার নাই। কারন ওর চিকিৎসা করার পর যদি মারা যায় এরপর পুলিশি ঝামেলা, আদালতে দৌড়াদৌড়ি এইসবে পড়তে হবে। মেহমুদ আমি কোন কথা শুনতে চাই না। তুমি ওই ছেলেটির চিকিৎসা এখানে করবে না। দিস ইস মাই অর্ডার।”
ওদিক থেকে ফোন কেটে দিলে আমি স্তব্দ হয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে, তারপর তাড়াতাড়ি নিজেই ছেলেটিকে কোলে তুলে নিলাম। আমার নিজের গাড়িতে করে মেডিকেল নিয়ে গেলাম। সেখানে ইমার্জেন্সীেতে যখন পৌছলাম তখন ডিউটি ডাক্তার রোগী দেখে বললেন অনেক দেরি করে ফেলেছ, তারপরও চেষ্টা করে দেখি। তুমি দ্রুত চলে যাও তা না হলে ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তোমাকে আইনী ঝামেলায় পড়তে হবে। “
আমি উনার কথা মত চলে এলাম। এরপর আর কোনদিন ওই ক্লিনিকে যাই নাই।
সন্ধ্যা শেষে রাতের আধারে ছেয়ে গেছে পাহাড়ি এলাকা। এখন গাছ আর পাহাড় আলাদা করে চেনা যাচ্ছে না। সম্বর, বন মোরগ আর পাখিদের ডাক থেমে গেছে। নিঃসংগ সেই হাতি এখনও ডাক দিয়ে যাচ্ছে তার সাথে যোগ হয়েছে ঝিঁ ঝিঁ আর শিয়ালের ডাক। রাতের বৃষ্টি ভেজা বাতাসে পাহাড়ী নাম না জানা ফুলের ঘ্রানে চারদিক মৌ মৌ হয়ে আছে।
ডাঃ মেহমুদ চুপ করে আধাঁরে ঢাকা পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবলেন। কিছুক্ষন পর আবার বলা শুরু করলেন।
“ ছেলেটা বাঁচেনি।
এরপর যথারীতি আমি ইন্টার্নি শেষ করে বের হলাম। দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেলে পোস্টিং হওয়ার কয়েকবছর পর বান্দরবনের এক দূর্গম এলাকার সরকারী হাসপাতালে আসলাম। ওখানে তখন আমিই একমাত্র পাশ করা ডাক্তার। আসার পর প্রায় মাসখানেক হয়ে গেল, কিন্তু সাধারন কোন রোগীই পেলাম না। সিরিয়াস অর্থাৎ বেডে ভর্তি হওয়ার রোগী শুধু আসে। ঘটনা কি?
এক নার্সের সাথে কথায় কথায় ব্যাপারটা নিয়ে আলাপ করলাম। সে বলল
“ স্যার এখানে সাধারন রোগী পাবেন না। “
“কারন কি? “
“ এই এলাকায় গত কয়েক বছর আগে একজন বৃদ্ধ কবিরাজ এসেছে। উনি আাসার পর থেকেই আামাদের সরকারী হাসপাতালে সাধারন রোগী আসে না বললেই চলে। সত্যি বলতে কি স্যার সেই কবিরাজের চিকিৎসা খুবই ভাল। আমি নিজেও উনার কাছে চিকিৎসা করাই। এই যে আজকেও ঔষধ এনেছি। ”
এই বলে নার্স একটা প্যাকেট বের করে দেখাল।আমি হাত বাড়িয়ে ওর থেকে প্যাকেটটা নিয়ে ঔষধের একটা পুটলি খুললাম। দেখলাম এ্যালোপথিক ঔষধকে গুড়ো করে নির্দোষ কিছু খাওয়ার পাউডার মিশিয়ে দিয়েছে। আমি বুজতে পারলাম কবিরাজ একজন ভন্ড। সে মুলত এল এম এফ ডাক্তার। রোগীদের ধোকা দিয়ে নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছে। কারন এল এম এফ ডাক্তারদের রোগী কম হয় তাই হয়ত এ কাজ করছে। নার্সকে জিজ্ঞাসা করলাম “ এই ঔষধের দাম কত?
“ উনি রোগীদের থেকে কোন টাকা নেন না।
“ তাই নাকি!! তাহলে একদিন যাব ওর কাছে। এইসব ঔষধ ব্যাবহারের সার্টিফিকেট সে কোথায় পেল? ”
তবে আমার এই মনোভাব নার্সকে বুঝতে দিলাম না।
একদিন বিকালে সেই নার্সকে বললাম “ চল সেই কবিরাজের সাথে দেখা করব। “
নার্স আমাকে নিয়ে গেল। কবিরাজ একাই থাকেন। এখানে উনার পরিবারের কেউ থাকে না। নার্স বলল উনার পরিবার সম্পর্কে কেউ কিছুই জানে না কারন উনি চিকিৎসার বাইরে কারও সাথে তেমন কোন আলাপ করেন না।
আমরা কবিরাজের ঘরে প্রবেশ করলাম। কাছারি ঘরে আমি বসে অপেক্ষা করছি। নার্স ভিতরে যেয়ে উনাকে জানাল আমি এখানকার হাসপাতালের ডাক্তার। উনার সাথে দেখা করতে এসেছি। উনি বললেন
“ বসতে বল আমি আসছি।”
উনার এই কথা নার্স আমাকে বলতেই, আমার আত্মসম্মানে লাগল। কারন আমি একজন এমবিবিএস ডাক্তার উনি সামান্য একজন কবিরাজ। উনার এমন কি কাজ আছে যে আমাকে বসিয়ে রাখতে হবে। অশিক্ষিত লোকদের এই এক সমস্যা যখন কোন শিক্ষিত লোক তাদের কাছে যায় তখনই তাদের ভিতর একটা অহংকার চলে আসে। আমি এইসব ভাবতে ভাবতেই উনি কাছারি ঘরে আসলেন। আমি উনাকে দেখে নিজের অজান্তেই দাড়িয়ে গেলাম।
দেখলাম কবিরাজ একজন বৃদ্ধ লোক। বৃদ্ধের সৌম্য শান্ত চেহারায় মুখভর্তি সাদা দাড়ি। মাথায় সাদা বাবড়ি চুলে সাদা টুপি পড়া। পড়নে হুজুদের সাদা রংয়ের জোব্বা।
কামরায় প্রবেশ করে আমাকে দেখে কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন, তারপর বললেন
“ মেহমুদ তুমি!!! “
আমি চমকে উঠলাম স্যারের কন্ঠ শুনে
“ স্যার আপনি।!!! “
তিনি দ্রুত পায়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠলেন।
“ মেহমুদ তুমি আমাকে ক্ষমা কর। আমি ওই দিনের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি। ওই দিনের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।”
আমি স্যারের কথার কিছুই বুজতে না পেরে চুপ করে থাকলাম।
কিছুক্ষন পর স্যার ধাতস্ত হয়ে বসলেন তারপর বলতে লাগলেন।
“ সেদিন তোমার ফোন রাখার পর আমি আমার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়লাম। তুমিত জান আমি দুপুরে বাসায় যেতাম না। কাজের চাপে বিকাল চারটা বাজে ভাত খেতে বসেছি। অর্ধেকের মত খাওয়া হয়েছে , এই সময় একটা ফোন আসল। আমি ফোনটা রিসিভ করতেই বলল “ আপনি ডাঃ জাবেদ বলছেন?
“ জ্বি ডাঃ জাবেদ বলছি। “
“ আমি এস আাই অমুক বলছি মেডিকেল কলেজ থেকে । “
“বলুন।”
“ আপনাকে স্যার একটু কষ্ট করে মেডিকেলে আসতে হবে।”
“ আমি মেডিকেলের সার্জারির বিভাগীয় প্রধান। আমি মেডিকেলেই আছি। “
“ স্যার এখানে একজন রোড এক্সিডেন্টে ইনজুরড পেশেন্ট মারা গেছে। উনার নাম ফাহিম চৌধুরি। পিতা……….”
“ এস আইয়ের মুখে আমার ছেলের নাম শুনে আমি কেঁপে উঠলাম। আমি বেহুশের মত দৌড়ে ইমারজেন্সীর পাশে লাশ রাখার রুমে চলে এলাম। এসে দেখি আমার একমাত্র সন্তান, যাকে আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটির পর বিয়ের এগার বছর পর পেয়েছি। যাকে জন্ম দিতে যেয়ে আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়েছি, যার জন্য আমি আর বিবাহ করিনি। সেই আমার কলিজার টুকরা আমার সাত রাজার ধন শুয়ে আছে রক্তাত্ত দেহে। চেহারা ফুলে যাওয়ায় আর কারও চিনতে কষ্ট হলেও, আমি পিতার হয়নি কারন সেই ছোট থেকে ওর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি নিজ হাতে খাওয়ানো, গোসল করানো, কাপড় পড়ানো সব করেছি।”
স্যার আবার কাঁদতে লাগলেন। কিছুক্ষন পর বললেন।
“ পরে আমি জানতে পারি আমার ছেলে সেই ছেলে যার চিকিৎসা করার জন্য তুমি আমার কাছে বারবার অনুরোধ করছিলে। আমি হতভাগা পিতা ক্ষুদ্র ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য নিজের প্রাণপ্রিয় ছেলের চিকিৎসা করতে তোমাকে বাঁধা দিয়েছি। আমি নিজের সন্তানকে নিজ হাতে মেরে ফেলেছি। মেহমুদ আমি সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি।”
সামনে বসা জুনিয়র ডাক্তাররা দেখল ডাঃ মেহমুদের দুই চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। তিনি চোখের পানি লুকানোর জন্য চেয়ার ছেড়ে উঠে বারান্দার রেলিংয়ে দাড়িয়ে দুর পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
সমাপ্ত
৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আপনার গল্পের আসল আকর্ষন, শেষ দিকে এসে গল্পের মোর অন্যদিকে নিয়ে যান, দারুন লাগে এই ব্যাপারটা।
ভালো লেগেছে খুব। দেশের ডাক্তারগন যদি এমন হতো!
সিকদার
ধন্যবাদ। আছে অনেক আছে ।
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন আপনার গল্প ভাল লেগেছে। সতত ভালোবাসা রইল।
-{@ (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খুব ভাল একটি গল্প পড়লাম।লিখে যান।নিরন্তর শুভ কামনা -{@