আমি জানতাম ব্লগাররা উদারমনা হয়, আসলেই কি তাই? জিসান ভাইয়া একবার আমায় বলেছিলেন ব্লগাররা অভিমানী হয়। তাদের পোস্টে মন্তব্য না করলে অন্যদের পোস্টেও তারা মন্তব্য করেন না। বিষয়টি কি তাই? তাহলেতো এখন আমার নিজের লেখায় যারা মন্তব্য করেন শুধু তাদের লেখায় আমার মন্তব্য করা উচিত, তাই নয় কি?
লেখায় ভালোমন্দ মন্তব্য করলে লেখক উৎসাহ পান নতুন কিছু লেখার। আশাকরি এটা সবাই মানেন। কিছু লেখক পোস্ট দিয়ে নিজের পোস্টের কমেন্টের জবাব দেন, আর অন্যদের পোস্টে ঢুঁ মারেননা কেন? এমন অনেকেই আছেন কিন্তু যারা আমার লেখাও পড়েননি কোনদিন।
সময়ের অভাব, নাকি অন্যকিছু?ছোট লেখক বলে যদি এড়িয়ে যান তবে আপনাকে অভিনন্দন। একজন মুক্তমনার মতই আচরন করছেন আপনি। হয়তো সব লেখায় সবসময় মন্তব্য করা হয়না সবার। তবে মাসে একবারও কি আসেননা ব্লগে? নিজের লেখাতো মাসে দুটি করেও দেন এখানে, তাহলে?
আফসোস!! অন্যদের মত বড় লেখক হতে পারলামনা। আচ্ছা একদিনে বড় লেখক হওয়া যায়? যদি যায় তাহলে সে উপায়টি বলে দিননা প্লিজ। আমিও বড় লেখক হতে চাই একদিনে।তবে আমি কিন্তু তখন সবার লেখাতেই কমবেশি মন্তব্য করবো, গঠনমূলক মন্তব্য।
আসলেই এটা ইচ্ছের অভাব।
মনে কষ্ট পেলে দুঃখিত। কি করবো, আমার মনও যে ব্যথিত।
৩১টি মন্তব্য
রিতু জাহান
মনে এসব রাখতে নেই। আপনি লিখবেন আপনার জন্যই। আমি আমার লেখা পড়ি। সেখান থেকে নিজেকে শিখি। নিজেকে আরো বোঝার চেষ্টা করি।
লেখার বিষয়ে বড় ছোটো নেই। হ্যাঁ, আমিও সবার পোষ্টে যাই না। যেমন, যারা আজাইরা ভাব নিয়ে থাকে। আপনার যদি মনে হয় সেরকম আপনিও করবেন না। কারণ, আপনি অবশ্যই আপনার যায়গায় বড়।
মনে ব্যাথা নিয়েন না। আমরা সংসার সামলে যারা লেখালেখি করি তাদের সময় বের করা মুশকিল।
লিখুন ভাই। আপনি আপনার মতো করেই লিখুন। এ ব্লগের একজন সদস্য আপনি। আপনি আপনার মতো করেই লিখবেন।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
তৌহিদ
আমি আসলেই আমার জন্য লিখি আপু। লিখতে ভালোবাসি, শখের লেখক আমি। মনের কথাগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করি এতেই আমার ভালোলাগা। তবুও মাঝেমধ্যে মন খারাপ হয় আর কি! আপনারা আছেন বলেই ব্লগে ভালো লাগে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
বন্যা লিপি
ভয়াভহ এক তথ্য দিলেন তো ভাই!! মন্তব্যের উদারতা। বাহ্…. আসলেই ভাববার মতো বিষয়! বড় ছোট জানিনা। মন্তব্য পেলে লেখার ইৎসাহ বাড়ে। এটা বেস বুঝি। ব্যাথাতুর ব্যাথায় আমি আপনার সহ যোদ্ধা। আপনার প্রতি শুভ কামনা।
তৌহিদ
আপনাকেও শুভেচ্ছা আপু। আসলে জানেনতো ছোট বড় বিষয় নয়, সান্নিধ্যটাই আসল ব্যাপার। এই যে আসলেন মন্তব্য করলেন এটাই চরম ভালোলাগা।
ইঞ্জা
ভাই, আমি এ বিষয়ে লজ্জিত, কারণও আছে, আম্মা ইন্তেকাল করলেন গত ২০১৭তে, তখন থেকেই আমি ব্লগে হাতে ঘোনা কয়েকবারই এসেছি, আবার গ্রুপে যা দিয়েছি সবই ২০১৭, ১৮ তে লেখা যা আমার ফেইসবুক মেমোরিতে আসতো, গত কয়েকদিন ধরে আবার লেখা শুরু করেছি, জানিনা কতদিন এই লেখা আমি লিখে যেতে পারবো।
অনুরোধ রাখবো যখনি ব্লগে লেখা দেবেন যাস্ট একটা রিমাইন্ডার দিয়ে দেবেন, দেখবেন সিউর হাজির হয়ে গেছি প্রিয় ভাই।
তৌহিদ
দাদাভাই, আপনার বিষয়টা আমি কিছুটা জানি। দুঃখ পাবেন না। আপনিতো আমার মনের ভিতর।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, এক আকাশ ভালোবাসা।
তৌহিদ
ভালোবাসা অফুরান দাদা
ইঞ্জা
😍
মাহমুদ আল মেহেদী
মন্তব্য অবশ্য ই প্রেরনা দেয়। কিন্তু লেখা এমনি এমনি আসে না হঠাৎ মনে উদয় হয় তাই আমি মনে করি নিজের জন্য সহ সবার জন্যই লেখা উচিত যখনই মনে লেখা আসে লিখতে বসে যাই আমি।সেই লেখাটা হয় সত্যিই অস্বাধারন ।
তৌহিদ
আমিও তাই মনে করি ভাই। নিজের ভালোলাগারর জন্যই লেখা। লিখলে আমার মন ভালো হয় সত্যি। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সিকদার
আমি ব্যাস্ততার কারনে বল্গে অনিয়মিত তাই সরব উপস্হিতি কম ।
তৌহিদ
আপনার উপস্থিত একান্ত কাম্য বড়ভাই। আপনারাইতো আমাদের পথিকৃৎ। ভালো থাকবেন ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
মনের কথাগুলো প্রকাশ করে ভালো করেছেন। এই পোষ্ট দেখার পর হয়তো অনেকেরই একটু বোধদয় হবে। নিজের লেখা, নিজের পোষ্ট আর নিজের জগতে ডুবে যাওয়া মানুষগুলো কবে বুঝবে অন্যদের মনোভাব ! এরা নিজেদের নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকে যে অন্যদের ভাবে ভিনগ্রহের প্রানী আর তাদের লেখাগুলোকে মনে করি মুড়ি ভর্তা খাওয়ার ঠোঙা।
ব্লগাররা অভিমানি হয় হয়তো , তবে অনেক ক্ষেত্রে অহংকারিও হয়। আসলে তারা কি আর কেন এমন করেন তা আজো জানা হলো না ভাই।
অভিমান দুর হয়ে যাক, ভালো থাকুন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
আপনি আমার পাশে দাড়িয়েছেন দেখে আপ্লুত হলাম আপু। আমি আসলে কিছু অভিমান থেকে এ লেখাটি লিখেছি। হয়তো বাচ্চাসুলভ আচরন কিন্তু লেখক হিসেবে অন্য লেখকের সান্নিধ্য আমারো প্রাপ্য নয় কি?
যারা অন্যের লেখাকে মুড়ি ভর্তা খাওয়ার ঠোঙা ভাবে তারা আসলে কি আমারো জানতে ইচ্ছে করছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম যখন সোনেলায় এসেছি তখন মন্তব্য দিয়েই এসেছিলাম। মন্তব্য একটি লেখাকে প্রানবন্ত করে। সোনেলায় থাকবো, লিখবো আর একে অপরের পাশে থাকবো না তা কি হয় ভাই ! প্রথমে আমারো খারাপ লাগতো যখন দেখতাম আমি কারো লেখায় কমেন্ট করেছি আর সেই লেখক আমার পোষ্টে কমেন্ট দেয়াতো দুরের কথা তার লেখায় আমার কমেন্টের উত্তর পর্যন্ত দিচ্ছেন না।
তবে এখন এইসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। সবার লেখাই পড়ি ভালো লাগলে কমেন্ট দেই না ভালো লাগলে বা না বুঝলে জিজ্ঞেস করি।
এখানে সবাই আমরাই আমরা। তাই মান- অভিমান ভুলে বেশি বেশি লেখা শুরু করে দিন।
বসন্তের লেখা চাই। তাড়াতাড়ি লিখুন। শুভ কামনা অবিরত।
তৌহিদ
আপনার মন্তব্য সবসময় আমাকে চাঙা করে আপুমনি। ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
বিষয়টা অন্যভাবে দেখা যায়ঃ লেখকের লেখা পাঠককে পড়াতে হলে পাঠকের কাছে যেতে হবে। যেমন প্রয়াত হুমায়ুন আহমদ এবং জাফর ইকবাল স্যার তো সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। ওনারা কিন্তু বই মেলায় গিয়ে পাঠকদের সময় দিতেন, অটোগ্রাফ দিতেন। জনপ্রিয়তায় ওনাদের কাছাকাছি কে আছেন? পাঠক সংযোগ একটা বড় বিষয়।
ব্লগে একজন লেখক আবার পাঠকও। বিভিন্ন মানসিকতার ব্লগার থাকেন ব্লগে। সমস্ত ব্লগেই এমন পাবেন।অনেক ব্লগই আছে যেখানে লেখকরা কেবল পোস্টই দিয়ে যান, কোনো মন্তব্য নেই।
একজন ব্লগার তখনই সফল হন, যার সাথে অন্য ব্লগারদের যোগাযোগটা ভালো হয়। ব্লগারদের মধ্যে আন্তরিক একটি ব্লগীয় সম্পর্ক তৈরী হয়। সম্পর্ক তৈরীর ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে আড্ডা পোস্টের দরকার হয়।
পরের কমেন্টে একটি লিংক দিচ্ছি। আপনার এই পোস্টের কথাই ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছেন একজন ব্লগার। আপনি সম্ভবত তখন সোনেলায় আসেননি। এসব পোস্ট , মন্তব্য পড়ে বুঝতে পারবেন অনেক কিছু।
তৌহিদ
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। অনেক কিছু বুঝলাম, শিখলাম। আসলে আমার মাথা গরম আর অভিমান বেশি। এইজন্যই এত কথা ভাইসাব। ভালো থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
একটি হাহুতাশ বিজ্ঞপ্তি https://sonelablog.com/%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b6-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf/#comment-39846
তৌহিদ
দারুন একটা লেখা ছিলো এটা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম
আমিও একই দলে।তবে প্রতিদিনই চোখ বুলিয়ে যাই প্রতিটি লেখায়।কে কি লিখিল।তবে কেমন লিখলো তা তৎক্ষনাত না হলেও পরে মন্তব্য করার চেষ্টা করি।
জিসান ভাইয়ের লিংকটিতে ঢুকলে দেখবেন অসংখ্য ব্লগার ছিল যারা এখন জীবনের ব্যাস্ততায় দুরে থাকলেও মাঝে মাঝে আসেন এবং ফেবুক পেইজে মন্তব্যওতো চলছেই আবার অনেকে আবার বহু কাল হয়ে গেল আসছেই না।ব্লগে এ সব থাকেই তবে যারা পোষ্ট করেন তারা অন্তত কয়েকটি পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করা উচিত।অন্তত ভাল লাগল এইটুকু বললেই হল।
তৌহিদ
জিসান ভাইয়ের লিংকটাতে ঢুকেছিলাম। আসলে আগে ব্লগের যে রমরমা অবস্থা ছিলো লেখক এবং পাঠকের মেলবন্ধনে এখন সেটা অনেকটাই ম্লান হয়েছে। জানিনা ভবিষ্যতে আরো কি অপেক্ষা করছে। ভালো থাকবেন ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
এটা নিয়ে আমি ভাবি না, কারন আমি পড়তে ও শিখতে , আনন্দ করতে, আসি। লেখক হতে আসিনি। আবার কারো কমেন্টের আশাও করিনা। আর সব সময় সবার মুড না থাকায় কমেন্ট করা হয় না। আমার লেখায় হইতো কাউকে আকৃষ্ট করতেই ব্যারথ হই তাতে লেখার গুনাবলিই অনুপস্থিত থাকে বলে। তৌহিদ ভাই ভাল থাকুন লিখুন ভাল লাগবে। মন্টা অনেক ভাল থাকুক কামনা করি।
তৌহিদ
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। আসলে মুড অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর। মনে থাকবে আপনার পরামর্শ।
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো কিচ্ছু না,
মন দিয়ে নিজের লেখা লিখুন।
হ্যা, কেউ পড়ে মন্তব্য লিখলে ভাল লাগে, তবে এটিই শেষ কথা না।
তৌহিদ
কথাটি যেন শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
নিতাই বাবু
অনেক ব্লগার আছেন, তাঁরা ব্লগে পোস্ট দিয়েই কর্তব্য আর দায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে মনে করেন। নিজের পোস্টে কারোর সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যেরও জবাব দেয় না। আবার অনেক ব্লগার আছেন, তাঁরা নিজের পোস্টে মন্তব্যের আশা না করে, সহব্লগারদের পোস্ট পড়বে, মন্তব্যও করবে। অনেক ব্লগার দেখেছি একটু অহংকারীও থাকে। নিজেকে অনেক বড় মাপের লেখক মনে করে, পরের লেখা পড়ে না, মন্তব্যও করবে না। তবে ৯০ পার্সেন্ট ব্লগার/লেখক/লেখিকাদের মন থাকে সাদা। হিংসা নেই অহংকার নেই। আছে শুধু ভালোবাসা, আন্তরিকতা। আমি নিজেও একসময় সোনেলায় লিখতাম। লিখেছিও। কিন্তু সময়ের অভাব আর নিজের পারিবারিক সমস্যাই আমার জীবনের বড় শত্রু। তাই সোনেলায় উঁকি দিতে পারছি না। দুটো পর্ব এখনো অসম্পন্ন রয়ে গেছে। তা সময় করে সম্পন্ন করে আবার সোনেলায় লিখবো বলে আশা করি।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান পোস্টখানার জন্য।
ফেসবুক পোস্টের মন্তব্য থেকে কপি করে এখানে দেওয়া হলো।
তৌহিদ
ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
শুন্য শুন্যালয়
সোনেলার ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন, যখন প্রত্যেকের লেখা পড়তাম আর পড়তাম। মন্তব্য করতাম চারগুন বেশি যা পেতাম তার। যার যার ইচ্ছেমতো সে করবে। আপনার ইচ্ছা আপনি লিখবেন। মনে করুন ডায়েরী লিখছেন। 🙂
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু, অনুপ্রাণিত হলাম।