অনেকেই বোবা ধরা রোগে ভুগে থাকেন, পৃথীবির কম মানুষই আছে যার বোবাই ধরার অভিজ্ঞতা নেই, আমার জীবনের এই পর্যন্ত একবার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে, আবার আমার ছেলে বেশ কয়েকবার এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে, আমার আরেক ছোট ভআই, আমাদেরই সোনেলার ব্লগার তৌহিদ ভাইও তার এক লেখাতে এই বোবাই ধরার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন, আসুন আজ আমরা জানি বোবাই ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস কি এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি, তাহলে শুরু করা যাক।
বোবাই ধরাঃ
হঠাৎ মধ্যরাতে আপনার ঘুম ভেঙে গেল, আপনার বুকের ওপর ভারী কিছু বসে আছে বলে অনুভব করলেন, এত ভারী কিছু যে ঠিকঠাক নিশ্বাসই নিতে পারছেন না, যখন টের পেলেন, আপনি চাইলেও শরীরের কোনো অংশ নাড়াতে পারছেন না, এমনকি চিৎকারও করতে পারছেন না। এটি সাধারণত একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়া বা জেগে ওঠার আগমুহূর্তে ঘটে। সহজ কথায় নিজেকে এমন অসহায়ভাবে আবিষ্কার করাকেই স্লিপ প্যারালাইসিস বা বোবায় ধরা বলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস স্রেফ ইন্দ্রিয়ঘটিত ব্যাপার, যখন শরীর গভীর ঘুমের একটি পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে প্রবেশ করে, তখনই এটি ঘটে থাকে। বোবা ধরলে একেকজনের একেক রকম অনুভূতি হয়, কেউ ঘরের ভেতর ভৌতিক কিছুর উপস্থিতি টের পান, কেউ দুর্গন্ধ পান, কেউ বা আবার ভয়ানক কোনো প্রাণী দেখতে পান।
নিদ্রা বিশেষজ্ঞদের মতে, বোবায় ধরা তেমন গুরুতর কোনো অস্বাভাবিকতা নয়, তাই ওই অর্থে কোনো রোগ বা রোগের আলামত বলতেও তারা চান না।
তাদের মতে, বোবায় ধরা হচ্ছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন অবস্থা, যেখানে আমরা ঘুম ও জাগরণের একটি মাঝামাঝি দশায় অবস্থান করি।
ঘুমোনোর সময় আমাদের মস্তিষ্ক কথা বলা সহ চলনক্ষমতা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে, যাতে আমরা ঘুমের মাঝে চলতে গিয়ে আঘাত না পাই, কিন্তু এমন স্থিতাবস্থার মাঝেই অনেক সময় আমরা জেগে উঠি। অর্থাৎ কখনো কখনো মস্তিষ্কের চেতন অংশের পুরোটা একত্রে কার্যকর হয় না। তখন অন্য অনুভবশক্তি সচল থাকলেও চলন ও বাকশক্তি ফিরতে একটু সময় নেয়। এর মাঝেই তৈরি হয় সাময়িক পক্ষাঘাত বা স্লিপ প্যারালাইসিস।
বোবাই ধরার অন্যতম কারণ হলো চাপের মধ্যে থাকা এবং যথেষ্ট বিশ্রামের অভাব, অনিয়মিত ঘুমও এর আরেকটি কারণ, বিশেষজ্ঞরা এটিও বলেন যে যখন ঘুমের এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে যাওয়ার সময় শরীর সাবলীলভাবে নড়াচড়া করতে পারে না, তখনই মানুষ বোবা ধরা বা স্লিপিং প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়, এ ছাড়া আরও কিছু ব্যাপার বোবা ধরার কারণ হতে পারে, যেমন ঘুমের নির্দিষ্টতা না থাকা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ঘুমের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সমস্যা, হাত-পায়ের মাংসপেশিতে খিঁচ ধরা, অনিদ্রা, বিষণ্নতা প্রভৃতি।
মানসিক অস্থিরতাও ‘বোবায় ধরা’র একটি কারণ, এর বাইরে সাধারণভাবে যেসব কারণে বোবা ধরা দেখা যায়, সেগুলো হলো- কম ঘুমানো, ঘুমের সময় পরিবর্তন, উপুড় হয়ে ঘুমানো, মাদকাসক্তি, বাইপোলার ডিজঅর্ডার বা এ জাতীয় মানসিক সমস্যা থাকা, নার্কোলেপ্সি বা অতি ঘুমকাতরতা, ঘুমের মধ্যে হাত-পা ছোঁড়া বা হাঁটাসহ অন্যান্য নিদ্রাজনিত রোগ থাকা
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
আগেও বলা হয়েছে, বোবায় ধরা আসলে গুরুতর কোনো রোগ বা এমন কিছুই নয়, তাই এর জন্য কোনো চিকিৎসারও প্রয়োজন নেই, তবে এটি যদি বাড়াবাড়ি রকমের হয় অর্থাৎ আপনার ঘুমে নিয়মিতভাবে ব্যাঘাত ঘটায় বা উদ্বিগ্নতার দরুণ আপনার রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে বা কমে যায়, তখন এই বোবায় ধরা থেকে বের হবার জন্য আপনাকে কিছুটা উদ্যোগী হতে হবে বৈকি।
প্রথমত, আপনি একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে কাছে যাবেন, তিনি আপনার মেডিকেল রেকর্ড ঘেঁটে দেখবেন এবং আপনার অন্য কোনো নিদ্রাজনিত রোগ আছে কিনা দেখবেন, এরপর প্রয়োজন হলে তিনি আপনাকে ঘুম বিশেষজ্ঞের কাছে সুপারিশ করতে পারেন, তবে যে কাজগুলো আপনার করতে হবে, তা হলো- নিয়মিত কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।
ঘুমানোর পদ্ধতি পাল্টান, বিশেষত উপুড় হয়ে কখনোই ঘুমাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক এন্টি-ডিপ্রেসেন্ট বড়ি সেবন করতে পারেন ঘুমের জন্য, অন্যান্য নিদ্রাজনিত বা মানসিক সমস্যা থেকে থাকলে সেগুলোর চিকিৎসা নিন।
বোবায় ধরা বা স্লিপিং প্যারালাইসিস থেকে বাঁচার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ উপায়টি হলো ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই সমস্যা সাময়িক, কিন্তু যদি এটি ঘন ঘন হতে থাকে এবং কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যার জন্ম দেয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া ঠিক হবে না।
আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন বোবাই ধরা কি এবং এর থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়?
———————————————————————–
———————————————————————–
পরিশেষে বোবাই ধরা বিষয়ক এক মজার গল্প বলিঃ
রোজ রাতে বোবায় ধরে রমন বাবুকে। ডাক্তারকে সেটা জানাতেই ডাক্তার বললো, “মানে আপনি বলতে চাইছেন স্লিপ প্যারালাইসিস!?”
“অত কিছু তো জানি না, স্যার। এমন ভাবে ধরে আর নড়তে চড়তে পারি না। আগের মত শক্তিও নাই। থাকলে দেখাইতাম ব্যাটারে। আমার এক দোস্তরে ঘটনা খুইলা কইতেই, অয় আপনার ঠিকানা দিলো। আমি অল্প কয় কিলাশ মাত্র পড়ছি। অত ইংরেজি তো জানি না, স্যার।”
ডাক্তার হাসলেন। তবে সেটা রমন বাবুর থেকে আড়ালে মুখ নিয়ে৷ তারপর প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়ে বিদায় দিলেন সেদিন এর মত। আর বলে দিলেন কিছু মেডিটেশন এর ব্যাপারে।
এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই রমন বাবু আবার হাজির। নাহ! কোনো লাভ হয়নি। রমন বাবু ডাক্তারের উপরে বেজায় খাপ্পা। তবে রমন বাবু কিন্তু আজ একা আসেননি। সাথে আছে বেশ নাদুসনুদুস এক লোক। মনে হচ্ছে ডাক্তারকে পেটাতেই এসেছে দুজন মিলে। ডাক্তার ঢোক গিয়ে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো, ওষুধ গুলো সে ঠিক মত খেয়েছিলো কিনা?
রমন বাবু বললেন, ” রাখেন আপনার ওষুধ। সব বেকার। কোনো লাভ হয় নাই৷ দু রাত একটু ঘুম বেশি হইছে এই যা।”
ডাক্তার চিন্তায় পড়লেন। কিন্তু সাথের লোকটা কে এতক্ষণ কথায় কথায় ভুলে গেলেও এবারে তা রমন বাবুকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি যেন আকাশ থেকে পড়লেন। অথচ ডাক্তার যে লোকটাকে চিনবে না এটাই স্বাভাবিক। নয় কি?
-” এই হালায় তো সেই বোবা। এইটা আমার বৌ এর ছোট ভাই। আমাগো বাড়িতেই থাকে। শুধু বাড়িতে না, সারাক্ষণ আমার পিছে পিছে থাকে। বৌ এর অর্ডার। আমার একটা দোকান আছে মনিহারী মালের। সেটাই বন্ধ করে ফেরার পথে রাতে যখন একটু হাত পা ছাড়া দিতে মদের দোকানের দিকে পা বাড়াই, এই আমার হালাটায় পেছন থেইকা জাপটে ধরে। ওর লগে কি আমি শক্তিতে পারি। কথা কওয়ার শক্তি ওরে ঈশ্বর না দিলেও, গায়ে জোর দিছে হাত্তির মত। আপনে ওর একটা ব্যবস্থা করেন, ডাক্তার। জীবনে সুখ বইলা আর কিছুই রইলো না।”
এসব শোনার পড়েও কি ডাক্তার সেখানে আছেন। তিনি ধড়াম করে মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। দেখলে যে কেউ বুঝবেন ডাক্তার নিজেই স্লিপ প্যারালাইসড এর শিকার।
তথ্যসূত্রঃ Google, Medical Science News.
গল্পঃ কালেক্টেড
৩৪টি মন্তব্য
রেহানা বীথি
ছোটবেলায় খুব দেখতাম, এক টিংটিঙে বুড়ি আমাকে তাড়া করছে সরু কোনো রাস্তায়। সে রাস্তার দুই ধারে আমার মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, সবাই যে যার যার কাছে ব্যস্ত। আমি আতঙ্কে চিৎকার করছি, বাঁচাও বাঁচাও, কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। তাই আতঙ্কিত আমাকে কেউ বাঁচাতেও আসছে না। এ অবস্থায় ভেঙে যেতো ঘুম। আমার একটি লেখায় এই অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম অনেকদিন আগে। ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা!
ইঞ্জা
যদিও বিষয়টা আমার বেলায় অন্য ধরণের হতো, আমাকে বোবাই না ধরলেও ছোটবেলায় যখন প্রচন্ড অসুস্থ হতাম, জ্বরের ঘোরে দেখতাম ছোট একটা চাকা দৌড়ে আসতো আমার দিকে, একসময় সেইটা ইয়া বড় সাইজের হয়ে যেতো, খুব ভয় পেতাম তখন।
আমার জানামতে একবারই আমাকে বোবাই ধরেছিলো, এতো ভয় পেয়েছিলাম যে কয়েক রাত ঘুমুতেই ভয় পেতাম।
ধন্যবাদ আপু।
আরজু মুক্তা
অনেক কিছু জানলাম।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু।
মনির হোসেন মমি
ছোট বেলায় বহু বোবায় ধরেছে আর এহনতো কোন স্বপ্নই দেখি না।বোবা ধরাটা খুব ডেঞ্জার…আমি দেখতাম আমাকে বিভৎষ রকমের এক মুখ বা লোক আমাকে তাড়া করছে।আমি দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওযখন আমাকে ধরে ফেলবে ঠিক সেই সময়– চিৎকার দিয়ে জেগে উঠতাম।তখন মমতাময়ী মা বলত…কিরে খোকা, স্বপ্নে বোবায় ধরেছিলো?আমি মাথা নাড়াতাম।মা আমার মাথাা তার বুকে রেখে বলত,,,,এখানে ঘুমা।এখানে বোবা আসতে পারবে না।এখন মা নেই তাই বোবারাও আর আসে না।
লেখাটা পড়ে স্মৃতি মনে পড়ে গেল।খুব সুন্দর লেখা।উপকারী পোষ্ট।
ইঞ্জা
মায়ের কোল মানেই তো অপার নিশ্চয়তা, মা নেই তাই বোবারাও আসেনা, শুনেই মন খারাপ হয়ে গেলো ভাই। 😢
তৌহিদ
আমার এটা নিয়ে চরম ভীতি আছে দাদা। ছোটবেলায় বোবায় ধরা রোগে আক্রান্ত হতাম অনেকবার। ভয় পেয়ে আমার চিৎকারে আম্মা ছুটে আসতেন আমার ঘরে। মেডিকেল সাইন্সেরর কতকিছুই আমাদের অজানা!! আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানলাম।
আর হ্যা গল্প পড়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরলো। স্লিপ প্যারালাইজড এর মান ইজ্জত সব গেলো।
ইঞ্জা
গল্পটা পড়ে আমিও প্রথম বেশ হেসেছিলাম ভাই। 😄
বোবাই ধরা বিষয়টি বেশি হলে ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিত যা আগে আমরা জানতামনা।
ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
জ্বী দাদা
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাউ
ইঞ্জা
ভাই★
শাহরিন
ইসলামে এর অন্য রকম ব্যাখা আছে। আমিও কিছুদিন ঘাটাঘাটি করেছিলাম বিষয়টি নিয়ে। আরো অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
জ্বি আপু, ইসালামের ব্যাখ্যা আমি জানি, সাথে এখন এর সাইন্টেফিক ব্যাখ্যাটাও জানলাম, ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন!!
আমাদের ঠকিয়েছেন বলছি না, তবে কেউ কোন কিছু লুকিয়ে রাখতে পারে না,
প্রমাণিত।
রোগের বিস্তারিত বর্ণনা সহ চিকিৎসা শেষে যে ভাবে গল্প জুড়ে দিলেন
তাতে তো বিস্মিত, তবে সাথে আছি কিন্তু।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই, লুকিয়ে ছিলামনা নিশ্চয়, হয়ত নিজের মেধা বিকাশের সময়টা একটু বেশিই লাগছে আর কি, ধন্যবাদ অফুরান। 😊
শামীম চৌধুরী
প্রায় রাতেই তো বোবা ধরে ইঞ্জা ভাই। পরিত্রানের উপায় কি? বাস্তবমুখী লেখা। ভাইটি আামার জিনিয়াস।
ইঞ্জা
ভাই দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন, সময় মতো ঘুমান, দৈনিক আট ঘন্টা ঘুম মাস্ট, চিৎ এবং উপুর হয়ে না ঘুমিয়ে পাশ ফিরে ঘুমান, আশা করি আর সমস্যা হবেনা ভাই।
শিরিন হক
বোবয় ধরেনি এমন লোক কম আছে। ব্যাতিক্রম একটি লেখা দিলেন অনেক কিছু জানতে পাড়লাম মজাও পাইলাম বেশ।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অবিরাম আপু, লেখাটি যেন সবার কাজে লাগে এই আশা।
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত তথ্য সমৃদ্ধ একটি পোষ্ট দিলেন ভাই।
যদিও এমন পোষ্ট লিখতে প্রচুর পড়তে হয়, খাটতে হয়, তারপরেও এমন লেখা লিখে শান্তি পাওয়া যায়।
মাসে এমন পোষ্ট দু একটা আশাকরি আপনার কাছে।
সোনেলায় লেখার গ্রেডিং নেই, থাকলে পাঁচ এর মধ্যে পাঁচই দিতাম।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ভাইজান, আমি চেষ্টা করছি কিছু চেইঞ্জেস আনার জন্য, দোয়া রাখবেন। 😊
বন্যা লিপি
ভাবছিলাম যা….!!হা হা হা…… প্রচুর ধরতো আগে এরকম স্লিপ প্যারালাইজে। ভাবছি এই নিজে কিছু লিখবো। আপনার লেখা পড়ে ইচ্ছেটা জাগলো মনে। এখন এই প্যারলাইজেশন আমার ভাঙাতে হয় সাহেবের। সাহেব ভয়ংকর রকম ভোগে এই “স্লিপ প্যারালাইজে”। খুব ভালো এক পোষ্ট ভাই। শুভ কামনা সবসময়।
ইঞ্জা
দুলাভাই হয় চিৎ নাহয় উপুর হয়ে ঘুমান নিশ্চিত, উনাকে কাৎ হয়ে ঘুমাতে বলুন, সাথে ঘুমানোর আগ মুহূর্তে সুরায়ে কালাম পড়ে গায়ে ফুঁক দিয়ে ঘুমাতে বলুন, সব ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, ডাক্তার বোবা কে চিনলো না! বেচারা রোগী, আগেরমত শক্তি থাকলে ডাক্তারকেও মনে হয় একচোট দেখে নিতো।
প্রথম অংশ পড়ে ভয় পেয়েছি। বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস যে নামেই ডাকা হোক, এর ভয়ানক প্রতিক্রিয়া কেবল ভুক্তভোগীই ভালো জানে। আমি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কূরসী পড়ে ঘুমাই। এসব জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে।
ভালো থাকুন ভাইজান। শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
প্রথমেই জিজ্ঞেস করি, আপু কেমন আছেন?বিষয়টা ভয়ানকই আপু, যদি ঘন ঘন হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো উচিত।
আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমান মানেই হলো আল্লাহ্ সবসময় আপনাকে রক্ষা করবেন।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
শাফিন আহমেদ
আমি বোবায় ধরা অনুভব করলে এখনও দোয়া দরুদ পড়তে শুরু করে দেই , এত চেষ্টা করি উঠে দাড়ানোর কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হয়না । রমন বাবু আর ডাক্তারের গল্পটা ভীষন মজার ছিল ।
ইঞ্জা
ভাই আপনাকে অনুরোধ করবো, যখন ঘুমাবেন তখন পাশ ফিরে ঘুমাবেন, চিৎ হয়ে ঘুমাবেননা, সাথে ঘুমানোর আগে দোয়া দরুদ পড়ে ঘুমাবেন।
ধন্যবাদ।
শাফিন আহমেদ
অবশ্যই ভাই চেষ্টা করব এখন থেকে । অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই।
জাহিদ হাসান শিশির
আমার এমন হতো আগে। যখন কিশোর বয়সী ছিলাম।
ইঞ্জা
এ আসলে এক ধরণের রোগ যা নিয়ম মেনে চললে হয়না।
জাহিদ হাসান শিশির
ঠিক
মোহাম্মদ দিদার
বোবা ধরা!
আমার কাছে খুবই অস্বস্থিকর লাগে।
অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার লেখা থেকে।
ইঞ্জা
এ হলো রোগ, যাকে বলে মানষিক রোগ।
ধন্যবাদ ভাই।