
২৯ জানুয়ারি ২০১৮
পদ নেবে কিন্তু অনেকেই পদবী নেবে না এটা ঠিক না।
যেমনঃ
*একজনের নাম হওয়া উচিত মিজানুর রহমান ঘোষ, কারণ তার পেশা হচ্ছে দই মিষ্টি বানানো। কিন্তু তিনি নাম লিখছেন মিজানুর রহমান তালুকদার।
** বর্তমানে বহু মুসলিম চুল দাড়ি কাটার পেশায় নিয়োজিত আছেন। কেউই কিন্তু নামের শেষে শীল লাগাচ্ছেন না।
জিজ্ঞেস করলাম ‘আক্তারুজ্জামান শীল’ লিখতে সমস্যা কি আকতার?’
“কি যে কন স্যার, আমি কি নাপিত যে শীল লাগামু নামের শেষে?” গালে শেভিং জেল দিতে দিতে আক্তারুজ্জামান খান এর উত্তর 🙂
*************************************
২৯ জানুয়ারি ২০১৫
সাদা স্কুল ড্রেস পরে ছেলেটা স্কুলে যাচ্ছে। জামার বুতাম ঠিক ভাবে দিতে পারেনি। জামার নীচ টা উপর নীচ হয়ে আছে। ছেলেটিকে ইচ্ছে করেই বলিনি। ধমক খাবে মাস্ট স্কুলে গিয়ে। খাক ধমক। আমি কত মাইর খেয়েছি এজন্য 🙂 ধমক খেলেও ও মাইর তো খাবে না, আজকাল মাইর দেয়া নিষেধ।
কতদিন যে সময় নেই, দ্রুত পাজামা পড়তে গিয়ে, পাজামার এক পায়ের মধ্যে নিজের দু’পা ঢুকিয়ে আটকে গেছি, বহু কষ্টে পা মুক্ত করে আবার ঠিক ভাবে পাজামা পড়েছি।
আহা কোথায় গেলো সেই দিনগুলো? পাগলাটে ইয়াসিন স্যারের চায়ের মধ্যে কলা চুবিয়ে খাওয়া, চায়ের মধ্যে কলা চুবিয়ে খেতে আমি আর কাউকে দেখিনি। একদিন স্যারের প্যান্টের বেল্ট ছিড়ে যাওয়ায় গরুর দড়ি দিয়ে প্যান্ট বেঁধে ঢোলা প্যান্টের পতন রোধ করেছিলেন 🙂 স্মৃতিতে অমলিন সেসব ঘটনা।
***************************************
২৯ জানুয়ারি ২০১৪
দেশীয় রাজনীতিতে ক্ষমা চাওয়ার প্রচলন শুরু হয়েছে।
প্রকাশ্যে ধূমপান এর জন্য সমাজ কল্যান মন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন।
এখন-
বাবুর বাবা , তিন আংগুলী , ময়না পাখি পালকরা তাদের কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন। আমরা ক্ষমা করে দেবো । এখনই সময় 🙂
২৬টি মন্তব্য
পর্তুলিকা
স্মৃতিচারণ পড়ে হাসি পাচ্ছে 🙂
জিসান শা ইকরাম
কত যে স্মৃতি থাকে সবার কাছে।
আপনি অনেকদিন লিখছেন না,
ঝটপট লিখে পোস্ট দিন।
পর্তুলিকা
আপনারাই বলেছেন সবার লেখা পড়তে। তাই পড়ি আর মন্তব্য দেই। এখন আবার লেখাও চাচ্ছেন!
জিসান শা ইকরাম
নিয়মিত লিখুন আর সবার লেখা পড়ে মন্তব্য দিন – এই কথা বলেছিলাম 🙂
পর্তুলিকা
দেখুন মিস্টার, আমি ব্লগে নতুন। আপনাদের মত লেখা ও পড়া একসাথে চালাতে পারিনা। তাই যেকোনো একটা জিনিস করতে বলবেন। দুটো কাজ পারবো না।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা একলাইনে বলছি ” লিখুন আর পড়ুন “
তৌহিদ
কিছু স্মৃতি মধুর তবে বাস্তবিক। নামে কি এসে যায়! কর্মেই মানুষ গুণান্বিত ভাই। কলা দিয়ে চা!! খেতে হবে একদিন।
নিজেরাই আইন করে তা আবার আমরাই লংঘন করি। আমলারাওতো মানুষ!! ☺☺
ছেলের বোতাম না লাগিয়ে দিয়ে বকা খেতে স্কুলে পাঠালেন ওভাবেই? যাক এতেও শিক্ষণীয় আছে কিছু।
লেখা পড়ে ভালো লাগলো ভাই।
জিসান শা ইকরাম
ধমক খেয়ে জীবনের কঠিন অবস্থা শিখুক ছেলে।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্মৃতিগুলো বড়ই মজার। তৌহিদ ভাই আমার কথাগুলোই বলেছেন। ধন্যবাদ দাদা ভাই। ভালো থাকুন সবসময় শুভ কামনা রইলো
জিসান শা ইকরাম
অসুস্থতার জন্য নিয়মিত ব্লগে আসা হয়না,
তুমি এবং তোমরা কত লেখা দিয়েছ। পড়া হয়নি কিছু। দোয়া করো ছোটদি।
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দোয়া করি সবসময়। শুভ কামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
বড়ই জটিল প্রশ্নের অবতারনা করেছেন।
সত্য বড়ই কঠিন নির্মম ও জটিল
কেউ নেয় না দায় করে না স্বিকার।
মজার স্মৃতি , সুখকর।
লাগলো ভালো। শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
পদ নিলেও পদবী নিতে চায় না
স্কুলের স্মৃতি
ক্ষমা চাওয়া
ইত্যাদি কথাগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা। খুব ভাল লাগল।
নিতাই বাবু
তাহলে এখন থেকে আর প্রকাশ্যে ধূমপান চলবে না। কিন্তু আমি ভাবছি নিজের কথা! এই যেমন হাঁটতে চলতে আমার হাতের দুই আঙুলের চিপায় একটা জ্বলন্ত সিগারেট থাকতেই হবে। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে আমি দস্তুরমত নির্বিকার! কী যে করি!
অন্বেষা চৌধুরী
বেশ রম্য রম্য রোমন্থন। চায়ে কলা চুবিয়ে খাওয়া। হা হা হা হা দারুণ।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা
চায়ে কলা চুবিয়ে খাওয়া 😱😱
এই প্রথম শুনলাম ভাইয়া।
দারুণ দারুণ সব মজার স্মৃতি
সঞ্জয় মালাকার
স্মৃতিগুলো বড়ই আনন্দের ভাইজান, পড়ে ভালো লাগলো।
ধুমপান সুস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এস.জেড বাবু
পদবী গোষ্টি/জন্মগত না হয়ে ব্যাক্তিগত কর্ম যোগে হলেই ভালো হতো ভাবছি।
স্যার থাকলে বলতেন “মনের ভুলে টোষ্ট মনে করে কলা ডুবিয়েছি,
ক্ষমা করা মহত্ত্বের লক্ষণ -মানে, ক্ষমা প্রার্থীরা মহৎ হতে সাহায্য করে।
ভালোই লাগলো ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আহা ময়না!
কথা তো কয়না!
প্রাণে তো আর সয় না।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার বিক্ষিপ্ত ডায়েরির এবারের পাতাটা রম্য হিসেবে পড়লাম, কারণ হাসি আটকানোর তরিকা খুঁজে পাচ্ছি না। ক্যাম্নে লিখতেন এসব! 😀😀
এখন-
বাবুর বাবা , তিন আংগুলী , ময়না পাখি পালকরা তাদের কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে পারেন। আমরা ক্ষমা করে দেবো । এখনই সময় 🙂….
এগুলোর মানে বুঝিনি, বুঝিয়ে দিন। তিন আংগুলী কে? আর ময়না পাখি পালনে দোষ কিসের? পাখি পাল্লে ক্ষমাই বা চাইবে কেন? ময়না পাখিতো শুনেছি ভবিষ্যত বলে দিতে পারে, তাহলে?
রেহানা বীথি
গরুর দড়ি দিয়ে প্যান্ট বাঁধার ছবিটা কল্পনায় ভাসছে। হেসেই যাচ্ছি।
স্মৃতি শুধু কাঁদায় না, হাসায়ও। দারুণ লাগলো ভাইয়া আপনার খেরোখাতার স্মৃতিচারণ।
দালান জাহান
সুন্দর সামগ্রিক আলোচনা।
মোহাম্মদ দিদার
স্মৃতিগুলো মজার।
তবে শেষটা মনে হলো তেল মাখানো বাঁ!!
ফয়জুল মহী
অনেক ভালো লাগলো
কামাল উদ্দিন
শুধু ২৯ জানুয়ারির ঘটনাগুলোই ক্যান বড় ভাই? অন্য কোন তারিখের ঘটনা নাই। তার মানে ২৯ আপনার জীবনে বিশেষ কোন দিন। আর সিরিয়ালিও সালগুলো নাই, তাহলে আমি কি বুঝলাম ঠিক বুঝলাম না।আপনি কি ডায়েরি লিখতেন? নাকি আসলেই সব বিক্ষিপ্ত 😀
আরজু মুক্তা
স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো।