
হঠাৎ খুলে যাওয়া স্বর্গদ্বার থেকে
হেমন্ত-পরীরা বেড়িয়ে আসছে,দলবেঁধে,
বিলম্বিত লয়ে নূপুর-তালের আলতো পায়ে,
আনন্দ-শিহরণের ধানসিঁড়িটির তীরে;
কুয়াশা-প্রতিম শব্দ-শূন্যের এই সিক্ত প্রভাতে
পুষ্পক রথ হেলায় ঠেলে ফেলে;
মিলন-যুদ্ধ নয়, প্রাণের মিলন-মেলা,
অপলক নেত্রে শুধুই তাকিয়ে থাকা/চেয়ে থাকা,
ভাষাতীত আকস্মিক উন্মাতাল অনুভবে;
উধাও আচানক শহুরে কাব্যিক মায়াজাল
অভিবাসী চোখ শুমারি ভুলে সশব্দ-স্থবিরতায়
স্মৃতির-সূচকে কবিতায় শুধুই ভাবে, হেমন্ত-পরীদের কথা;
৩০টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
শ্রদ্ধেয় ছাইরাছ দাদা, আপনার লেখনী পড়ে ধানসিঁড়ি ধারে যেতে মন চাচ্ছে। শুভেচ্ছা অবিরত।
ছাইরাছ হেলাল
সবার-ই একবার ধানসিঁড়ি ছুঁয়ে দেখা উচিৎ।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
নিতাই বাবু
[ছবি মুছে ফেলা হয়েছে]
গোলাপের শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
আপনাকে একটি আগাম খবর দিচ্ছি।
মন্তব্য ছবি দেয়া বন্ধ করতে হবে সবার। ব্লগের সমস্যা শুরু হবে।
অনেক স্পেস চলে যাচ্ছে। লোড নেয়ার সীমাবদ্ধতা আছে, ব্লগের।
একটি অনেক বড় লেখা থেকে একটি মাত্র ফুল অনেক জায়গা নিয়ে নেয়।
লিখুন যা বলতে চান। আমরা তো আমরাই এখানে। আমি আপনাকেই আগাম জানালাম।
অন্যরাও জানবে।
মাহবুবুল আলম
দারুণ এবং নান্দিনিক হেমন্ত বন্দনা। ভাল থাকবেন সব সময়!
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
হেমন্ত পরীরা যেখানেই থাকোক আপনার কবিতার আহবানে ফিরে আসবেই…
ছাইরাছ হেলাল
তারা তো ইতমধ্যেই এসে পড়েছে।
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার হেমন্ত বন্দনা
শব্দ চয়ন,উপস্থাপন অসাধারণ
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
আপনার লেখায় বারবার দেখছি একেক রুপে ধানসিঁড়িকে…… “উধাও আচানক শহুরে কাব্যিক মায়াজাল অভিবাসী চোখ শুমারী ভুলে
সশব্দ স্থবিরতায়, স্মৃতীর সূচকে কবিতায় শুধুই ভাবে হেমন্তপরীদের কথা।
একেকটা লেখায় আপনার দেখানো ঋতু বৈচিত্রের এক মোহময় বর্ননা দেখতে পাই।
এক কথায়….. আপনি সত্যিই মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
কিছুই লিখতে পারিনা/পারিনি।
মুর্খরাজ বলুন, আমার শুনতে ভাল লাগবে।
মানুষের মন এই প্রকৃতির মতন। আমাদের কে আমরা যে যেটুকু যেমন করে দেখতে পাই।
প্রকৃতি আমাদের সহায়ক শক্তি।
ভাল থাকুন, আর-ও ভাল লিখুন।
মনির হোসেন মমি
সোনেলায় আজ তারাঁর মেলা। অসংখ্য লেখক পাঠক ভক্তের পদ চারণে সোনেলা আজ মুখরিত। হেমন্তের পুরো হাওয়া যেন লেখেছে সোনেলার ব্লগার গায়।খুব সুন্দর কবিতা। যতটুকু বুঝলাম ততটুকুই কইলাম।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই তারার মেলা, মুখরতার এই হেমন্তে সবাইকে শুভেচ্ছা।
ভাল লেহিনা দেইখ্যা ভুইল্লা গেলেন!! মনির ভাই।
জিসান শা ইকরাম
ধানসিঁড়িতে আজকাল পরীরাও আসে দলবেধে!
সাবধানে থাকবেন 😀☺
ছাইরাছ হেলাল
আসে তো, আসবে না কেন!
সাবধানতার জন্যই খালি দেহি আর দেহি!
সাবিনা ইয়াসমিন
ডাইনিদের কবল থেকে ধানঁসিড়ি মুক্তি পেয়ে গেলো নাকি মহারাজ?
হঠাৎ পরীরা সব দলবেঁধে ধরা দিতে আসছে কেন? রহস্য কি?
ছাইরাছ হেলাল
না মুক্তি পায়নি, ডাইনি আর পরী একই শ্রেণী ভুক্ত, বাইরে থেকে আলাদা,
ভেতরে সবাই সমান। হেমন্তে একটু রূপ পাল্টে ঢং/ভং করে আরকি!
রাফি আরাফাত
অসাধারণ। যেন ফিরে যাই যদি পারি সেখানে যেতে।
ছাইরাছ হেলাল
ফিরে ফিরে সেই ধানসিঁড়িটির কাছেই যাই/যেতে চাই।
ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
অভিবাসী চোখ শুমারি ভুলে সশব্দ-স্থবিরতায়-
প্রকৃতির প্রেমে কতটা মজে কেউ,
না পড়লে অজানা থাকতো
ছাইরাছ হেলাল
খুব সুন্দর করেই বলেন আপনি।
প্রকৃতি হৃদয়েই ধারণ করতে চাই আরও বেশি করে।
নৃ মাসুদ রানা
হেমন্তে…..
ছাইরাছ হেলাল
হুম, হেমন্তেই তো!
তৌহিদ
হেমন্ত পরীরা আসলে শহুরে কোলাহল মিটিয়ে যায়ই যায়। লেখা পড়ে মনে হচ্ছে হেমন্ত বুঝি এমনই।
কবিতায় আজ হেমন্ত প্রেম দেখলাম মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বেশি করেই প্রেমের কথা বলতে চেয়েছি। প্রেমিকের হৃদয় নিয়ে।
ভাল থাকবেন আপনি।
শাহরিন
ও বুঝতে পেরেছি ধানসিঁড়িতে যাওয়ার কারন। আমি না মাঝে মাঝে ভাবি যে প্রেম কতোগুলো করছেন!!!
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো ধানসিঁড়িবাসী আজীবন।
ভালোবাসা না থাকলে ওখানে থাকা যায় না
নূতন লেখা চাই-তো।
আরজু মুক্তা
পরীতো ভালোই গীত কবিতা গাইলো। শুনশান নীরবতায় বসন্তের কথাও বললো।
ছাইরাছ হেলাল
পরীরা কত কিছুই তো বলে,
বসন্তের হাতছানিও থাকে।
এত্ত দিন পর পড়লেন!