মায়ের হাতে সন্তান খুন এই প্রথম হয়নি, আরও হয়েছে। একজন মা সন্তানদের হত্যা করে নিজেও অত্মহত্যা করে, কোন কোন ক্ষেত্রে মা সফল হন কোন ক্ষেত্রে বিফল হন।
মিডিয়া এথিকস, রাইট টু প্রাইভেসি এগুলো সম্পর্কে আমাদের সম্যক সচেতনতা নেই।
নিরাপত্তার কত অভাব হলে মা তার সন্তানকে হত্যা করে একবার ও কি কেউ ভেবে দেখছে? মা হল সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। সেই জায়গাটাই কত অনিরাপদ? একজন মায়ের হাতে দুটি সন্তান খুন হবার স্পর্শকাতর ঘটনাটি মিডিয়াকে জানানোর ক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা মা এবং সন্তানদের নাম পরিচয় গোপন রাখতে পারতো। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেও তার পরিচয় ও ছবি প্রকাশ আইন-শৃংখলা বাহিনী করতে পারেনা।
তাই এই খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে মিডিয়া নৈতিকতা ভেঙ্গেছে। একটি ঘটনার অগ্র-পশ্চাত কিছু না জেনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণ রায় দিয়ে অভিযুক্ত আসামীকে শাস্তি দিতে শুরু করে দিয়েছে।
একজন মা- একজন নারী। এই মার জন্ম মূহুর্তে কেউ খুশি হয়নি। তার কানে কেউ আজান শোনায়নি কিংবা উলুধ্বনি। কেউ তার নাম রাখার জন্য বড় প্রানী জবেহ বা বলি দেননি। খুব কৃচ্ছতার মধ্যে একটি ছাগল হয়ত দিয়েছে কিংবা দেয়নি।
বাবা মা মুখে যতই বলুক ছেলে/মেয়ে আমার কাছে সমান কিন্তু সমাজের ভয়ে তারা চুপ অথবা সামাজিক শিক্ষায় সেটাই ঠিক। প্রতিটি মূহুর্তে তাকে বুঝতে হয়েছে তুমি মেয়ে, তুমি ভোগ্য,তুমি পন্য। তোমার কোথাও কোন অধিকার নেই, কোথাও মাথা উঁচু করে কথা বলার অধিকার নেই। পুরুষের লোলুপ হাত তোমাকে ছুঁলেই তুমি কুকুরের মুখ দেয়া মাটির হাড়ি হবে। তোমাকে অচ্ছুৎ করা হবে। তুমি ধর্ষিতা হলে সমাজ বিচারের নামে তোমাকে ঐ ধর্ষকের সাথেই বিয়ে দেবে, প্রতিবাদ দূরে থাক একবারও চোখ তুলে তাকাতে পারবে না। যদি ধর্ষক না পাওয়া যায় বা প্রভাবশালী হয় তবে তুমি পতিতালয়ে যাও। ওটাই ভবিতব্য। যেখানে ঐ সমাজপতিরাই তোমাকে ভোগ করে করে নিজেরা শুদ্ধ হবে।
এই সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রের নিগৃহ প্রতিটি নারীকে পাগল যে করেনা এর কারন একজন নারীর প্রচন্ড মানসিক শক্তি ও মানিয়ে নেবার ক্ষমতা।
একজন মা যে তার পিছনের কথা ভাবে তার বর্তমানের কথা ভাবে তার ভবিষ্যৎ, তখন সেখানে দেখে একটি বিশাল ব্লাক হোল। পিতা থেকে স্বামী সেখান থেকে ছেলে।
এই অসহায় নারীই আশ্রয়স্থল তার সন্তানের। হায় নারী, উহ্ নারী, ওহ্ নারী ইস্ নারী, হুস্ নারী।
পাশ থেকে একজনকে খুব বড় গলায় বলতে শুনলাম — কি বললেন? ওয়াইফ ছাড়া অন্য কোন নারীকে কখনও ভোগ করেন নি? ছিঃ আপনি কি ? হয় আপনি নঃপুংশক অথবা মহা পুরুষ। শোনেন মিঃ নিরামিষ জীবন দিয়ে কি করেন? জীবনতো একটাই। আর ঐ বহু ব্যবহৃত বুড়ি বউ তার চেয়ে চারিদিকে কত টাটকা মাল—— নারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের আগে ঘরের নারীরও অন্য পুরুষকে কামনা করতে পারে এই ভাবনা মাথায় রাখতে হবে। সন্মান পেতে হলে দিতে হয়।
নারী চোখ মেলে দেখে তার মেয়েটা কি পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাছে,কিন্তু মায়ের কোলের বাইরেই সে একটি স্পঞ্জ রসগোল্লা / কোরবানী পশু / পুরুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার দাসী। সেই পুরুষ তার বাড়ির চাকর থেকে সমাজপতি, একবছর থেকে ১০০বছর।
একজন মা তার ভিতরে ডাক শুনতে পায় তার মেয়ের—— বাচাঁও মা, যদি বাচাঁতে নাই পারবে তবে জন্ম দিলে কেন? আমি মানুষের মর্যদায় বাঁচতে চাই। দিশেহারা মা সন্তান রক্ষায়।
মা চেয়ে দেখেন তার ছেলেটা কি পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। মার তার ভবিষ্যত দেখেন— ওর মাঝে খুঁজে পান তার পিতার প্রতিচ্ছবি, ছেলের বাবার প্রতিচ্ছবি, সমাজপতির প্রতিচ্ছবি — যে নারীর দন্ডমুন্ডের কর্তা।
এক মা চান তার মেয়েটা নারী নয় মানুষ হোক। তার ছেলেটা পুরুষ নয় মানুষ হোক। যদি সেপথে কোন আলোর আভাস না পায় তবে সে কি ভুল করবে না?
খুব সহজ প্রশ্ন —
বাপের বাড়ি ঐ যে নারী, স্বামীর বাড়ি ঐ, তোমার বাড়ি কই গো নারী, তোমর বাড়ি কই?
কেউ কি দিতে পারবেন এর উত্তর?
এই সমাজ মায়েদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে সন্তানের অনিরাপদ ভবিষ্যতের কথা ভেবে মায়েরা আরও বড় ভুল করতে পারে। সামজাকেই এই দায় নিতে হবে। মায়ের নিরাপত্তা দিতে হবে।
পরিবারই সভ্যতার সুতিকাগার। শিক্ষাটা সন্তানকে পরিবার থেকেই দিতে হবে। নারীকে সম্মান করতে হবে, দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। আমি আমার ওয়াইফকে চাকরী করতে দেই —কখনই এই মনোভাব প্রকাশ করে আত্মতৃপ্তি প্রকাশ করা বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে সে তার যোগ্যতায় চাকরী করে, পুরুষ স্বামীর দয়ায় নয়। পুরুষ বিয়ে করে আর নারী বিয়ে বসে, এই শিক্ষা না দিয়ে শিখাই নারী বিয়ে করবে।
৪৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
মাতৃত্বের বিকল্প নেই, আর তা হয় ও না।
সম্মান হীন নারীত্ব জাতীয় অনুজ্জ্বল হতবিহ্বলতার ই প্রতীক।
আমাদের মা মাথায় থাকুন, এটাই চাই।
খসড়া
মা আমাদের মাথাতেই থাকেন। বোন থাকে বুকের গভীরে। কিন্তু স্বামীর স্ত্রী, সে কোথায় থাকে?
গভীর রাতের অসন্মানের কান্নার সাক্ষিতো ঐ দূরের তারারা।
ছাইরাছ হেলাল
বাপরে, খুব কঠিন বিষয়!!
খসড়া
খুব সহজ কথা, কঠিন বলে এড়িয়ে গেলে
যে ক্ষোভ নিয়ে নারী জেগে রইল তার প্রতিষেধক কে বানাবে
আমি আমি
তুমি সত্যি খুব ভাল বলেছ,আমিতো চিন্তাই করতে পারিনা এত সুন্দর করে বলেছ,বুঝিয়ে দিয়েছ যে আমি কখনো এত গুছিয়ে লিখতে পারব না :c
খসড়া
ধন্যবাদ। আমরা নিরাপদ সমাজ চাই। সেই সমাজ এর দূর্বল দিকগুলি তুলে আনতে হবে।
সালমা আক্তার মনি
“মা ” একটা অন্তহীন ভালোবাসাময় ঠিকানার নাম। যা ঘটছে তার মনস্তাত্বিক দিক যাচাই করতেই হবে। বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো “ম” কে কলঙ্কিত করতে পারে না। “ম” থাকুন সবার মাথার উপরে। আমরা কেবল বৈকল্য গুলো বের করে বন্ধু করার চেষ্টা করি।
খসড়া
এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় এটা অনেকদিনের অনেক ঘটনার ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া। অতএব সাধু সাবধান।
সালমা আক্তার মনি
দুই জায়গা তে মা এর আ কার পড়েনি
খসড়া
তা বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
আপনি তো সব সময়ই ভালো লেখেন। এই জীবন যুদ্ধে তবুও সন্তান নিরাপদ থাক মায়েরই বুকে। না!আর যেন কিছুই লেখা হচ্ছে না।
যে আমি অথর্ব সেরেনা পড়ে বাবা মেয়ের দূরে থাকা নিয়ে হাউ মাউ করে কাঁদি,বুসেফালাস পড়ে সামান্য ঘোড়ার মৃত্যুতেও কান্নায় গাল ভাসাই, সেই আমি এখানে কি লিখব জানিনা। আমার কিছুই মাথায় আসছে না।
খসড়া
শুধু একবার বুকে হাত দিয়ে বলতো, কখনও কি মনে হয়না — এই বাচ্চারা না থাকলে কবে এই —–
অথবা এই বাচ্চাদের মুখের দিকে চেয়ে ই এখানে আছি
কিংবা অন্য কিছু।
মৌনতা রিতু
যে আমার অন্তর আত্না সে তো আমার সবই জানে।তার কাছে কিছুই লুকানো নেই।ইচ্ছা করলেও পারি না।
পুরুষ তথা স্বামী সন্তানকেই ব্যাবহার করে।
খসড়া
সমাজের নিরব নির্যাতন বন্ধ না হলে এই অপরাধ বাড়বেই।
বেশির ভাগ নারীই মনে করে আমার জীবনতো শেষ আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। ওদের মানুষ করাই আমার কাজ , আমার সুখ আসবে ওরা মানুষ হলে?
কিন্তু মাথায় যদি ঢুকে যায় এই অমানুষের জনপদে মানুষ কি হবে ওরা ? সদর দরজা বন্ধ থাকলে সবাই খিড়কি খোঁজে। বাচ্চার নিরাপত্তা দিতেই ——
জিসান শা ইকরাম
একজন মা কতটা অনন্যপায় হয়ে তার সন্তানকে হত্যা করতে পারেন, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা।
আমাদের সমাজের নারীর অবস্থানকে আপনি সঠিক ভাবেই তুলে ধরেছেন।
নারীকে আমরা মানুষ ভাবি না,ভাবি নারী হিসেবে, ভোগ্য পণ্য হিসেবেই।
প্রকৃত শিক্ষা এবং মন মানসিকতা ব্যতীত এই অবস্থানের উন্নয়ন হবে না।
খসড়া
সন্তানের নিরাপত্তা দিতেই সন্তান হত্যা। যেভাবে অপমানের হাত থেকে বাঁচার একমুঠো ভাতের জন্য আত্মহত্যা।
জিসান শা ইকরাম
এমন মন্তব্য বুঝতে খুব কঠিন, সহমত।
আমরা সবাই যেন ভাল থাকি।
খসড়া
আসলে এটা অপার্থিব বিষয়। এক বিমূর্ত চাদর যা চেয়েই গেল নারী যুগে যুগে, অধিকার ছেড়ে দিয়ে অধিকার আকরে ধরে।
অপার্থিব
সমস্যা হল কোন বিবাহিতা নারী অপরাধে জড়িয়ে পড়লে এক শ্রেনীর মিডিয়া পরকীয়া পরকীয়া বলে চেঁচানো শুরু করে। মিডিয়ার পাঠক কিংবা দর্শকদের অধিকাংশই যেহেতু পুরুষ তাই তারা এই টাইপের নিউজকে পুরুষ পাঠকদের উপযোগী করে যতটা সম্ভব রসালো বানিয়ে উপস্থাপন করে। এক্ষেত্রে এথিকসের চেয়ে তাদের কাছে মার্কেট মেকানিজমটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ার মালিকানা যখন দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যায় তখন এটাই স্বাভাবিক। প্রতিদিন দেশের হাজার হাজার মানুষ পরকীয়া করছে, কিন্ত সবাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে না। পরকীয়া অনৈতিক হতে পারে কিন্ত অপরাধ নয়। পরকীয়া করলেই সবাই অপরাধ করবে ব্যাপারটা এমন নয়। তাছাড়া সবারই নিজের সঙ্গী পরিবর্তনের অধিকার রয়েছে। আর অপরাধীকে নারী- পুরুষে শ্রেনী বিভক্ত না করে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। মা যদি সত্যিই সন্তানদের খুন করে থাকেন তবে তার প্রতি সহানুভুতি দেখানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তিনি যদি মানসিক রোগী না হয়ে থাকেন তবে তার এই অপরাধের পিছনে সামাজিক ও মনস্তাত্বিক কারণগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে তবে যে কারণই থাকুক না কেন একই সঙ্গে তার অপরাধকে মারাত্নক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।
খসড়া
আপনার কথার উত্তরে অনেক কথাই বলা যায়। কিন্তু খুব বিরক্ত লাগছে। আমার প্রশ্নগুলির উত্তর পাই নি। আপনি এটাও বুঝতে পারেন নাই যে আমি অপরাধকে সাপোর্ট করেছি কিনা।পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়।
পাপী হয়ে কেউ জন্ম নেয় না।
অপার্থিব
আপনি প্রশ্নগুলো ষ্পেসিফেকালি আমাকে করেন নাই তাছাড়া সময়ের অভাবে সব প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয় । আমি জাস্ট সংক্ষেপে আমার মতামত দিয়েছি। সেই মতামতে আপনি বিরক্ত হতেই পারেন, সমস্যা নেই কিন্ত বিরক্তের স্বপক্ষে যুক্তি দেখানো ব্লগীয় নিয়মের মধ্যে পড়ে। যাই হোক না দেখাতে পারলেও সমস্যা নেই , এটা দিন শেষে আপনার মর্জির উপর নির্ভর করে। আমি আমার মন্তব্যে কোথাও বলিনি যে আপনি অপরাধকে সাপোর্ট করেছেন বরং আপনি যে মিডিয়ার এথিকস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছি। কিন্ত আপনি এই লেখা শুরু করেছেন মা দ্বারা সন্তান হত্যার ঘটনায় মিডিয়ার এথিকস নিয়ে শেষ করেছেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবস্থান এবং পুরুষ কর্তক নারীদের শোষণ করার নানা উদাহরন দিয়ে। আপনি যে উদাহরন দিয়েছেন তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র প্রশ্ন নেই কিন্ত পোষ্টের শুরুতে যে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে তার সাপেক্ষে আপনার শেষের কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে কিংবা বলা চলে উদাহরণগুলোর প্রাসঙ্গিকতা যুক্তি দিয়ে সাজাতে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি নারী শোষণ কিংবা মিডিয়ায় নারীর নেগেটিভ চিত্রায়ন নিয়ে অবশ্যই লিখতে পারেন কিন্ত যে ঘটনার সাপেক্ষে এইসব লিখছেন সেই ঘটনার যথাযথ বিশ্লেষণটাও জরুরী(যে ঘটনাকে উপজীব্য করে এই পোস্ট লিখেছেন সেই ঘটনায় দোষী নারী তার স্বামী কিংবা অন্য কোন পুরুষের কাছ থেকে বড় কোন শোষণ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এখন পর্যন্ত এমন কোন খবর আসেনি) । অন্যথায় বিশ্লেষনের সীমাবদ্ধতা অনেকের মধ্যেই প্রশ্নের উদ্রেক করবে। ধন্যবাদ।
রিমি রুম্মান
এখানে, এই নিউইয়র্কে আমার চেনা এক মা’কে জানতাম। তিনি স্বামী’র সাথে কলহ হলেই সন্তানদের মেরে ফেলতে চাইতেন। স্বামী জবে গিয়েও শান্তি পেতেন না। চিন্তিত থাকতেন। অতঃপর একদিন জানলাম সেই মা হাসপাতালে। তাঁকে মানসিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসার অংশ হিসেবে অনেক অতীত ইতিহাস, তথ্য ঘেঁটে জানা গেছে যে, তিনি ছোটবেলায় বেশ ক’বার শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
আমাদের দেশে হলে যাকে পাগল বলে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো , কিংবা যিনি হয়তো এক সময় সকলের অগোচরে সন্তানদের মেরেও ফেলতে পারতেন__ এখানে, উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সারিয়ে তোলা হয়। সুন্দর জীবন যাপন করার জন্যে সোশ্যাল ওয়ার্কাররা কাজ করে ।
খসড়া
মানসিক বিকারগ্রস্থ হলে কিছু বলার নেই কিন্তু আমি নিরাপত্তার অভাবজনিত কারনে মানসিক অবসাদের কথা বলছি। হয়ত এই মৃত্যু অন্যকারনে হয়েছে কিন্তু সমাজের দায় সমাজকেই নিতে হবে। মাকে অসুস্থ্য করার অধিকার কারো নেই। সাধু সাবধান।
অনিকেত নন্দিনী
“এক মা চান তার মেয়েটা নারী নয় মানুষ হোক। তার ছেলেটা পুরুষ নয় মানুষ হোক।” (y)
একজন মা শত ঝড় ঝাপটা সয়ে তার আঁচলে বাচ্চাদের আগলে রাখেন সময়ে কেউ আঙুল তুলে বলেনা, “দেখো, উনি কত মহান। কত ঝুট ঝামেলার মাঝেও কেমন করে সন্তানদের আগলে রেখেছেন” বরং কোনো মা যদি পারিপার্শ্বিকতার কারণে বিকারগ্রস্ত হয়ে কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলেন তখন তার দিকে দোষের আঙুল তোলার লোকের অভাব হয়না।
কেউ খোঁজ নিতে যাবেনা কতোখানি মর্মজ্বালা থেকে একজন মা তার নিজের সন্তানের হন্তারক হয়। 🙁
খসড়া
মর্মান্তিক অবস্থায় আছি আমরা। বড় দূর্ঘটনা থেকে পরিত্রানের উপায় একমাত্র পারস্পরিক সন্মানবোধ।
অনিকেত নন্দিনী
এই সম্মানবোধটাই তো নাই গো আপু। সবাই নিজেকে হনু মনে করে আর বাকি সব ফালতু।
খসড়া
ঠিক বলেছেন সব হনু হয়ে বসে আছে, মানুষ কই।
আবু খায়ের আনিছ
মন্তব্য করতে হলে বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে কিছুই জানার আগ্রহ আমার হয়নি। তবে হেড লাইনে যা দেখলাম তাতে মনে হয় অনেক কিছুই আছে এর ভিতরে।
আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে হলে আগে পোষ্টটাকে কিছু ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রথম যে ঘটনার কথা বলেছেন সে বিষয়ে বলব, পুলিশ তদন্ত করছে,সত্য বাহির হোক অপরাধী সাজা পাক এই চাওয়া।
মিডিয়া শুধু নয়, অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন ভাবেই অপরাধী সাবস্ত করা আইন বিরুধী। তবু মিডিয়াগুলো তাই করে যাচ্ছে।
ইথিক্স, ছবি প্রকাশ না করার কথা বলছেন, হ্যা সহমত। কিন্তু আপু মিডিয়াগুলো ব্যাণিজিক দিক দেখে, আর এই জন্যই এই ইথিক্স তারা মানছে না।
নারীর অধিকার, অবস্থান, সামাজিক মর্যাদার কথা বলছেন, সবই ত আইন করে দেওয়া হযেছে? মুক্তি কি পেয়েছে? কিভাবে পাবে? কারণ মেয়েরা নিজেরাই ত তাদের পরিচয় দেওয়ার সময় বলে আমি মেয়ে। কোন মেয়েকে আজ পযন্ত বলতে শুনিনি আমি মানুষ আগে পরে মেয়ে।
তবে সমাজ ব্যবস্থা অনেক এগিয়েছে, মেয়েরাও এখন পায়ে পাড়া দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
খসড়া
শুধু এই হত্যাকান্ড নিয়ে পোস্টটা নয়। এটা একটা অপরাধের উদাহরন। এই ধরনের অপরাধের কারন পারস্পরিক সন্মানহীনতা।
আমরা কি আমাদের নারীদের মানুষ ভাবতে শিখিয়েছি। যুগ যুগ ধরেই তো বলেছি ও মেয়েদের জন্য নয়, তুমি মেয়ে তোমার কাজ আলাদা। মেয়েদের বুদ্ধি যে শোনে সেও মেয়ে। মেয়েরা বলে আমরা পারি না কারন আমরা মেয়ে, ঠিক আছে কখনও কি বলেছেন না তুমি মানুষ পারতেই হবে, আমি পারলে তুমি নও কেন?
পরীক্ষায় কি নারী পুরুষের প্রশ্ন আলাদা আসে?
ছেলে বা মেয়ে তাদের জন্ম কি আলাদা প্রক্রিয়ায় হয়। মেয়েকে যে জন্ম থেকেই শেখানো হয় মাথা তুলতে নেই, চোখ তুলতে নেই। আমরা মেয়েদের মানুষ হতে শেখাই মেয়ে নয়।
( মেয়েমানুষ কথাটা আমি গালি হিসাবে ধরি তাই তা ব্যবহার করি না শুনতেও পছন্দ করি না)
আবু খায়ের আনিছ
বিশ্বাসটা আপনার হাতে, তবে আমি আমার পূববর্তী একটা লিখায় এই কথা বলেছিলাম, যে একটা মেয়েকে যখন আমি বললাম তুমি আগে মানুষ তারপর মেয়ে তখন সেই মেয়েটি আমার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল সে এবং তার আশেপাশে অনেকগুলো মেয়ে বাস করে। আমি পারিনি তাকে স্বীকার করাতে যে সে আগে মানুষ তারপর মেয়ে।
আমার ব্যাক্তিগত বা মুষ্টিমেয় মানুষের কথা দিয়ে আমি তা কখনোই প্রমাণ করতে পারব না। আর সেটা করার চেষ্টাও করব না। আমি শুধু বলব, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আইন দিয়ে কি করা যাবে? যদি নিজেরা জাগ্রত না হয়।
মেয়েদেরকে হেয় করছে পুরুষ, সেখানে কি মেয়েরা জড়িত নয়? অনেকগুলো উদাহারণ দিতে পারব।
মিডিয়াতে কি হচ্ছে? মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের পন্য হিসাবে উপস্থাপন করছে, পিছনে কলকাঠি কি শুধুই পুরুষ নাড়ছে? মেয়েরাও ত নাড়ছে?
আসলে একটা বিষয় আমাদের কাছে পরিস্কার নয়, নারী মুক্তি বলতে আমরা কি বুঝি? বির্তকটা এখানেই সৃষ্টি হয়।
আপু আমিও নারী মুক্তি চাই, নারীরা পায়ে পাড়া দিয়ে কাজ করুক, অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হোক, মেয়ে নয় মানুষ হিসাবে পরিচয় হো। এগিয়ে যাক আমিও চাই।
খসড়া
এগিয়ে যাক চাও কিন্তু তাকে পথ দেখাবেনা।
যে কোনদিন চিনি দেখেনি সে বুঝবে চিনি কেমন তার স্বাদ কেমন। তা দিয়ে কি কি বানানো যায়। সে তো চিনি চেনেই না। তাই নারীকে চেনাও জানাও বুঝাও “তুমিও মানুষ”
অরুনি মায়া
আমি মানি আপু মেয়েদের সামাজিক জীবনে অনেক বহুমুখী কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় | তাই বলে জীবন শেষ করে দেওয়া সকল সমস্যার সমাধান নয় | আমি আত্মহত্যা বা হত্যা দুটোকেই চরমভাবে ঘৃণা করি |
ভবিষ্যৎ কেউ জানেনা | ঝলমলে সকাল আচমকাই ঝড়ের আঘাতে ভেঙে পড়তে পারে, আবার ঝড়ের পরেও আলো ফোটে | একজন মেয়ে যখন মা হয় তখন তার জীবনটাই বদলে যায় | হতে পারে সন্তান না থাকলে হয়ত অন্যরকম জীবন পেত | এটা একটা শুধুই সম্ভাবনা, তেমনে তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবনও সুন্দর হতে পারে | এটাও সম্ভাবনা | নাহ মা নিষ্পাপ শিশু হত্যা করতে পারেননা |
আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি কিভাবে নিজের আশা ভবিষ্যৎ সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে একটি অটিস্টিক শিশুকে তার মা নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে রক্ষা করছে | প্রকৃত মা হার মানেনা |
খসড়া
আমি আগেই বলেছি মেয়েরা প্রচন্ড মানসিক শক্তি মনোবল ও অভিযোজন ক্ষমতার অধিকারী। তা না হলে নারীরা পাগল হয়ে যেত। এই পৃথিবীতে মানুষ নামের প্রানী বিলুপ্ত হয়ে যেত। নারী মেনে নেয় তাই সমাজ টিকে আছে।
পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়। এই ধরনের অপরাধ দমন করতে হলে সব কিছুই বিস্তারিত জানতে হবে।
অরুনি মায়া
অবশ্যই আপু | প্রতিটি অপরাধের পিছনে একটি যৌক্তিক কারণ থাকে | আমরা ভিতরটা না দেখেই পাপের লেবেল লাগিয়ে দেই |
আল্লাহ্ সবাইকে শান্তিতে রাখুক | এমন পৃথিবী আমরা চাইনা আপু |
খসড়া
আমার ব্যাক্তিগত অভিমত মা বাচ্চাদের হত্যা করেনি, অন্য কিছু আছে এর মাঝে অন্য কারন। এই মন্তব্য পোস্টেরর বাইরের।
খসড়া
মা আবার প্রকৃত অপ্রকৃত হয় নাকি? মা প্রশ্নাতীত ভাবেই মা। মা যা করে সন্তানের মঙ্গলের জন্যই করে। মায়ের আতি ভালবাসা সন্তানের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনে তা মা বোঝেই না অনেক সময়। কত সংসার ভেঙ্গে গেছে শুধু এই অতিভালভাসায়।
একজন পুরুষ সুযোগ পেলেই নারীকে ভোগ করতে চায়, সেই নারী যদি মেথর/ ডোম হয় তাতেও কিছু আসে যায় না। চেহারা যাই হোক কোন সমস্যা নেই। কিন্তু একজন নারী খুব কমই পারে তার থেকে নিচু স্তরের কারও সাথে সেচ্ছায় সম্ভোগে।
হায়রে নারী এত বোকা?
স্বপ্ন
একজন মা কতটা অনন্যোপায় হয়ে তার বাচ্চাকে মেরে ফেলতে পারেন তা অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। নারী এবং পুরুষের পারস্পরিক সন্মান এবং শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে এই বৈষম্য চলতেই থাকবে আপু।
খসড়া
ধন্যবাদ আপনাকে।আসুন চিন্তা করি। সমাজ বদলাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার লেখাটি পড়ার পর একটা লেখা না দিয়ে পারছি না। আমার ভাই রানা আর ওর মেয়ের কথোপকথনটুকু তুলে দিচ্ছি।
রূপকথাঃ বাবাই জানো, নুসরাত আর আলভী নামের দুই বাচ্চাকে তাদের মা পড়াশুনা করেনা বলে মেরে ফেলছে।
আমিঃ কে বললো তোকে?
রূপকথাঃ বাবাই তুমি তো টিভিও দেখোনা, কিছুই জানো না।
আমিঃ টিভি ঠিক বলে- তোকে কে বলল? ওর মা পড়াশুনা না করার জন্য মারবে কেন? তাছাড়া ওরা ঢাকা শহরের সবচে ভালো স্কুলে পড়তো। কোনো মা – এভাবে মারতে পারে?
রূপকথাঃ তাইতো। তাহলে ওদের মা কেন এভাবে মেরে ফেলল?
আমিঃ আচ্ছা, ধর তোর মা তোকে ঠাস করে চড় দিলো, ভীষণ রাগ উঠবে না তোর?
রূপকথাঃ উঠবে না মানে? আমাকে চড় দিলে, মা’র দেয়া সব পুতুলকে ঠাস-ঠাস করে চড় লাগিয়ে দেবো। লাত্থি দিয়ে পুতুলের ভুড়ি ফাটিয়ে ফেলবো।
আমিঃ ঠিক এমনই হতে পারে না নুসরাত, আলভীর মায়ের?
রূপকথাঃ তুমি এতো অদ্ভুত কথা বলো কেন বাবা?
আমিঃ সমাজে অনেক ভাবে আমাদের দেশে মা’রা চড় খায়। সেই চড় খালি চোখে দেখা যায় না। মা- দেখাতেও পারে না কাউকে, বলতেও পারেনা। কিন্তু তার রাগ জমতে থাকে। আস্তে আস্তে ভারসাম্য হারাতে থাকে মা। জমতে থাকা আগুনের ফুলকি একদিন গনগনে আগুন হয়। তারপর যা হয়- তার উপর কারো হাত থাকে না। এ নিয়ে অনেক দার্শনিক কাজ করেছে রে, মা। তারা বলে- অনেক দিনের জমতে থাকা চাপ, হেয় করা, অসন্মান, নির্যাতনের পরিবেশ- এ সবের মধ্যে যারা বড় হয় তারা এমন কাজ করতেই পারে।
রূপকথাঃ কি বলো বাবাই?
আমিঃ আচ্ছা ধর, তুই চড় খেলে তোর পুতুলকে মারবি। মা চড় খেলে সে কোথায় তার চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করবে? দিন-দিন যে একটু একটু করে মা-রা মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছে- তার দায় কি সমাজ নেয়? আবার ধর, আমার খুব রাগ উঠলে কিংবা বসের বকা খেলে আমি কি করি? আমার অফিসের পিয়নকে আচ্ছা ধমক লাগাই। তাতে মনে জমে থাকা ক্ষোভ, রাগ সব নেমে যায়। মনের ক্ষোভ জমিয়ে রাখা একটা বিরাট অসুখ।
রূপকথাঃ মনের ক্ষোভ কেন জমিয়ে রাখবে? বলে ফেললেই হয়।
আমিঃ ব্যাপারটা এত সহজ না রে মা। আরেকটু বড় হলে বুঝবি। যখন “সে” মুল সমস্যায় হাত দেবার ক্ষমতা কিংবা সাহস রাখে না, তখন মনের ক্ষোভ লুকিয়ে রাখে।
রূপকথাঃ কিন্তু এমন তো হতেই পারে।
আমিঃ এমন হওয়াটা যখন চলতেই থাকে, একদিন বিস্ফোরণ হয়।
রূপকথাঃ তাহলে কি নুসরাত আর আলভীর মায়ের কোনো দোষ নেই?
আমিঃ মায়ের ক্ষোভ কতটা হলে এ কাজ করতে পারে- ব্যাপারটা এভাবে ভাবতে হবে। নাহলে এ ধরনের হত্যা চলতেই থাকবে। বর্তমান সমাজে এমন কিছু হচ্ছে যা সুস্থ না। এ ঘটনা, বিচ্ছিন্ন না। এ ঘটনা অল্প অল্প করে জমে থাকা ক্ষোভের। এই জমানো ক্ষোভের শিকার কে কখন হবে- কেউ বলতে পারেনা।
খসড়া
অপরাধীর শাস্তি পেতে হবেই। এরসাথে অপরাধের কারন খুঁজে দেখতে হবে। সেই কারনগুলির সমাধান না করলে এই ধরনের অপরাধ আরও হবে।
শুন্য শুন্যালয়
পুরুষ বা নারী যারাই অন্যায় করুক, খুন করুক তার পেছনে সমাজ বা পরিবারই দায়ী। একজন মানুষ হুট করে খুনী হয়ে যেতে পারেনা।
নারীর মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গ একটা পোস্টে কিভাবে শেষ করা সম্ভব, হবেনা কোনদিনও। আমি তো নারীকে দেখে বরং আশ্চর্য্যই হয়, সমাজে খুনী, অত্যাচারী, ধর্ষক এসব তো নারীরই হবার কথা, একজন পুরুষ কি করে জানবে জন্মানোর পর থেকেএকটা মেয়ে ঘরের লোক থেকে শুরু করে কি কি ভাবে কোথায় কোথায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
খসড়া
অপরাধ বন্ধ করতে হলে এর কারন সমূহ দমন করতে হবে। বারবার এই কথা সবাইকেই মনে রাখতে হবে। মা প্রতিশোধ নিতে হত্যা করেনি হত্যা করেছে নিরাপত্তা দিতেই। সে কি অসুস্থ মানসিকতার নাকি আমি /আমরা যারা শত নির্যাতনেও বাচ্চাকে বুকে আগলে রাখি কিন্তু পথের দিশা দিতে পারিনা তারাই অসুস্থ। আজ বাল্য বিবাহের কারন নিরাপত্তাহীনতা, কন্যা শিশু জন্মে পরিবার অখুশি কারন নিরাপত্তাহীনতা, নারীর উপর কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন কারন নিরাপত্তাহীনতা। পুরুষের বহুবিবাহে উৎসাহ প্রদান নারীর নিরাপত্তাহীনতা। কিন্তু একবারও সমাজ বদলাবেনা।
নাসির সারওয়ার
আমার যতটুকু মনে আছে, একটা নিউজ পেপার বের করতে হলে তার যোগ্যতা দেখা হতো একসময়। এখন মনে হচ্ছে সে ব্যাপারটা আর নাই। এথিক্স এর মানেও তো ভুলতে বসেছি আমরা।
“পরিবারই সভ্যতার সুতিকাগার”
আমার ভিত পরিবার থেকে তা ভুল বা সঠিক। তার উপরেই ভর করে আছি।
এলেখায় মন্তব্য করতে অপারগ আমি। ইচ্ছে হয় আমরা শুধু মানুষ ভাবি সবাইকে। হয়তো আমিও ভুলে যাই তা মাঝে মাঝে।
খসড়া
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
যে লেখার কথা ছিল তা দিচ্ছেন না কেন!!
খসড়া
কোন লেখা? প্রেম কাহিনী? একবারে সব বলে ফেললে নিঃস্ব হয়ে যাব তো কিছুটা ধীরে বয়ুক্না বাতাস।
অরুণিমা
্ভালো লাগল