ছুঁয়ে দিতে গিয়েই উত্তালতায় ডুবে যাচ্ছে আনন্দাদি
চুমুক দেয়ার মতোই চুমুর স্বাদ
কে নেয় ওই বিষ ঠোঁটের স্পর্শ?
তবুও খুঁড়ে খুঁড়ে বালুর তল থেকে তার জল-ডুবুরী হবার ইচ্ছেটাকে
রোদের ডানায় ওড়াতে যাওয়া দেখে ভয় নিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিজের থেকেই নিজের।
হারিয়ে যাবার তাড়নায় বিষাদাক্রান্ত সাপের বিষ পান করতে করতে বুঝে গেছি
সেই একাই আমি;
কেউ ফিরে আসেনি ডুবে গেছে যে আমায়।
দীর্ঘ পথে ছায়ার সাথে ছায়াও থাকেনা। থাকে কি?
অশরিরী ভালোবাসায় টুপটাপ বৃষ্টিতে ভিঁজতে ভিঁজতে টুংটাং কাঁপুনির ছন্দে নুপূর মত্ত কেন থাকে,
কিংবা,
কেনই বা জমে থাকা নি:শ্বাস ঘন অন্ধকার পাড়ি দিয়েই চলছে?
সহজ উত্তরও অনেক সময় দেয়া কঠিন হয়ে যায়।
গুটিকয়েক প্রশ্নের কারণেই জীবনের হিসেব-নিকেশ সব পালটে যায়—
তবু স্বস্তি আসে। তবুও প্রেম আসে।
হে স্বস্তি পথ দেখাতে এসেছোই যখন,
উত্তাপ নয় উষ্ণতায় জড়াও।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ইং।
(লেখাটিকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করা হলো আজ ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ইং।)
৩০টি মন্তব্য
লীলাবতী
শিরোনামের তিনটি শব্দই তো একটি পোষ্ট 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাবতীদি বেশ বলেছেন। কি লেখা যায় বলুন তো!?
লীলাবতী
গুটিকয়েক প্রশ্নের কারণেই জীবনের হিসেব-নিকেশ সব পালটে যায়—
তবু স্বস্তি আসে। তবুও প্রেম আসে। — এমন কথা ভাবায় মানুষকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই! জীবন থেমে থাকেনা। কারুর জন্যে না। প্রকৃতি শূণ্যস্থান যেমন পূরণ করে, তেমনি মানুষের হৃদয়ের অনুরণনও কারো না কারো জন্য হয়। হতে থাকে।
এতো প্রেম চারিদিকে, স্বস্তি তো থাকবেই। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
বরাবরের মতোই ভাল লাগা নীলা’দি 😀 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ নীতেশদা এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। -{@
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
ভালো লেগেছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ফ্রাঙ্কেন্সটাইন। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
দিদি দুয়েকদিন আগে কানাডায় একটা উৎসব হয়েছে। কি যেন নাম, ভুলে গেছি। তবে উৎসবটা প্রতি বছর হয় ডিসেম্বর মাসের শুরুতে। জানতে চাই সেই সম্পর্কে। ইন্টারনেট থেকে নয় তোমার কাছ থেকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাই নাকি ভাইয়া? আসলে আমি জানিনা। আসলে এতো ব্যস্ত থাকি। আর এখানে হ্যামিল্টনে কোনো উৎসব হয়েছে কিনা উহু না তো! হয়তো অন্য কোনো শহরে। অটোয়াতে নয়তো!?
রিমি রুম্মান
সহজ উত্তরও অনেক সময় দেয়া কঠিন হয়ে যায়__ আসলেই। ভালোলাগা রইলো লেখায়। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
সহজ কথা যায় না বলা অতি সহজে…তাই না রিমি আপু?
অফুরান ভালোবাসা তোমার জন্যে। -{@ (3
দীপংকর চন্দ
//দীর্ঘ পথে ছায়ার সাথে ছায়াও থাকেনা।//
মুগ্ধতা!!
শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
//কেউ ফিরে আসেনি ডুবে গেছে যে আমায়।//
ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এ দুটো লাইন ভালো লেগেছে আপনার?
ভালো থাকবেন আপনিও। নিরন্তর।
দীপংকর চন্দ
মন্তব্য আসলে অসম্পূর্ণ!
এই দুটো পঙক্তিতে বিশেষ ভালো লাগা।
পুরো লেখায় ভালো লাগার কথা বলা হয়নি।
বলা হয়নি সুন্দর উপস্থাপনের কথা।
এবং ছবি। ছবির প্রতি মুগ্ধতা থাকছেই।
আর শিরোনামের কথা উল্লেখ না করাটা উচিত হয়নি একদম।
সুতরাং আবার ফিরলাম। কথাগুলো বলতে।
শুভকামনা। শুভকামনা পুনরায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। এই যে মন্তব্য মাথায় থাকবে অন্য লেখায় অক্ষর ব্যয়ে। -{@
শুন্য শুন্যালয়
কেউ ফিরে আসেনি ডুবে গেছে যে আমায়——–অদ্ভূত লাইনটা। কি করে এলো মাথায়?
পুরো লেখাটা থেকেই এই লাইন ছেঁকে এনেছি। বাকিটা আর নজরে আসছেনা। দারুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমাতে কেউ ডুবে গেলেও ফিরে আসতে পারে কি? মনে হয় না। 😀
অরুনি মায়া
সহজ করে প্রশ্ন করতে পারা, সহজে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারা, সেই সাথে সহজে উত্তর গ্রহণ করতে পারা এই সবকটিই খুব জরুরী। আমাদের শিখতে হবে। সহজ কে মানতে হবে। ভাল লিখেছ আপু -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
“সহজ কথা যায়না বলা অতি সহজে” তাইতো সবকিছু কঠিন ঠেকে।
আপু ভালো থেকো। -{@
অরুনি মায়া
আমি পারি আপু মুখের উপর সহজ কথা বলে দিতে | তোমাকেও শিখিয়ে দিব 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
গুরুমা আমি তোমার ছাত্রী হলাম। 😀
প্রলয় সাহা
দিভাই যদি সম্ভব হয় আরেকটু ভেবে দেখ লেখাটা নিয়ে।
নীলাঞ্জনা নীলা
দাদাভাই একটু বলুন না বুঝিয়ে। জানতে চাই। খুব খুশী হবো ধরিয়ে দিলে। 🙂
প্রলয় সাহা
ছুঁয়ে দিতে গিয়েই উত্তালতায় ডুবে যাচ্ছে আনন্দাদি
চুমুক দেয়ার মতোই চুমুর স্বাদ
কে নেয় ওই বিষ ঠোঁটের স্পর্শ!
তবুও খুঁড়ে খুঁড়ে বালুর তল থেকে,তার জল-ডুবুরী হবার ইচ্ছেটাকে
রোদের ডানায় ওড়াতে যাওয়া দেখে, ভয় নিয়ে পালিয়ে যাওয়া নিজের থেকেই নিজে।
হারিয়ে যাবার তাড়নায় বিষাদাক্রান্ত সাপের বিষ পান করতে-করতে বুঝে গেছি,
সে আর কেউ না; একান্তই আমি।
কেউ ফিরে আসেনি ডুবে গেছে যে আমায়
তলের ঠাঁই আর নিজের মাঝে পার্থক্য আর রইল কই?
জল জানে না জলের অঙ্ক; হিসেব কষে সময়ের ভাগ্যে।
দীর্ঘ পথে ছায়ার সাথে ছায়াও থাকে না। থাকে কি!
অশরিরী ভালোবাসায় টুপটাপ বৃষ্টিতে ভিজতে-ভিজতে, টুংটাং কাঁপুনির ছন্দে নুপূর মত্ত কেন থাকে?
কিংবা
কেনই বা জমে থাকা ঘন নি:শ্বাস অন্ধকার পাড়ি দিয়ে চলছে?
সহজ উত্তরও অনেক সময় দেয়া কঠিন হয়ে যায়।
গুটিকয়েক প্রশ্নের কারণেই জীবনের হিসেব-নিকেশ সব পাল্টে যায়-
তবু স্বস্তি আসে, তবুও প্রেম আসে-প্রেমবাঁচে।
হে স্বস্তি পথ দেখাতে এসেছো-ই যখন,
উত্তাপ নয়; উষ্ণতায় জড়াও
কোমল হোক ক্ষণিকের পথ।
(যদিও কাজটা আমার মোটেও ভালো হয়নি। কিন্তু কি করবো পড়তে গিয়ে প্রাণ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ক্ষমা করবেন দিভাই)
নীলাঞ্জনা নীলা
ওয়াও! আমি মুগ্ধ। ক্ষমা কেন? মন ভরে গেছে।
এমন করে লেখাটির জন্যে ফুলেল ভালোবাসা -{@
স্বপ্ন নীলা
শিরোনামটা যেমন চমৎকার ঠিক তেমনি কবিতাও আরও বেশি সাবলীল। এত সুন্দর আর সাবলীল যে পড়তে খুবই ভাল লাগছিল
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখাটি ধন্য হলো।
ভালো থাকুন স্বপ্ন নীলা। 🙂
জিসান শা ইকরাম
কেন জানি আজকাল কবিতা কম বুঝতে পারছি
তবে নীলাঞ্জনা নীলার কবিতা বুঝতে পারি
ভালো লেগেছে খুব।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
না-বোঝার কথা তো না! একই আমি, একই লেখনী। সেই আমি-তুমি। প্রেম ছাড়া যার লেখায় আর কিছু থাকেনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। -{@