মা !
বাবা কি আসবে ?
থমকে গিয়েও উচ্ছাসে ভিজে উঠে আলেয়ার চোখ-
কেঁপে কেঁপে উঠে থেমে যায় নিরব অন্তর্দহন-
গাল গড়িয়ে ঠোটের কোনায় লেগে থাকা অশ্রু কনার সাথে নিস্পাপ হাসিতে উদ্ভাসিত ভেজা মুখ-
সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেও পরক্ষনেই মিলিয়ে যায় উচ্ছাস, ভয়ার্ত চোখের ভাষায় শব্দহীন নিরব দৃষ্টি ফেলে তিথীর চোখে-
আড়াই বছরের মেয়েটা বুঝতে পারেনা ভয়ের সুর- বুঝেনা চোখের জলের অর্থ-
আবারও আকুতি-
মা !
বলোনা মা – বাবা আসবে ?
তেল কুচকুচে তিথীর বেণী করা মাথাটা টেনে নিয়ে বুকে হুহু করে উঠে আলেয়া____
মেয়ের মাথায় চুলের ফাঁকে আঙ্গুলের কড়া গুণে বের করে সময়ের ব্যাবধান –
সেই সাত মাস- আগে বৈশাখী মেলায় রেশমী চুড়ি, লাল ফিতা আর মেয়ের জন্য আলতা কিনতে গঞ্জে গিয়েছিলো মুহিত-
আর ফিরেনি-
নয়ন মাঝির মুখে, শুনেছিলো আলেয়া
হানাদারদের রেট পড়েছিলো সেদিন
১৮জন তাজা যুবকের হাত পা বেঁধে নৌকায় তুলেছিল ওরা-
মাঝ নদীতে যাওয়ার পর শুনতে পাওয়া যায় এলোপাথাড়ি গুলির শব্দ-
এর পর আর শুনতে পারেনি আলেয়া-
শুনতে চায়নি সে-
বিশ্বাস জাগেনি পরের গল্পে-
আলোয়ার বিশ্বাস – মুহিত আসবে___
দু বছরের বাক প্রতিবন্ধী (তোতলা) মেয়েটাকে দেয়া কথা ভুলতে পারেনা সে-
ওকে আসতেই হবে।
আলতা পড়াতে হবে তিথীর পায়।
দখিনা হাওয়ায় নদীর ঘাটে ভেসে আসা কিছু ক্ষতবিক্ষত লাশের খবর নড়াতে পারেনি আলেয়াকে-
শুনেই চিৎকার করে বলেছিলো আলেয়া-
নয়ন চাচা- ওখানে সে নেই-
মুহিত বেঁচে আছে,
সে আসবে-
-০-
যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাত মাস পর, আজ এ ঘরে প্রাণ ফিরে আসবে, এ দেহে জান ফিরে আসবে___
গেল সন্ধ্যার চিরকুটে সেই পরিচিত হস্তাক্ষর,
আমার আলো,
কেমন আছো ?
চিনতে পারছো ? আমি !
আমি তোমার মুহিত-
মনে পড়ে আলো, গাঁয়ের মাঠে হা-ডুডু খেলার সময় কেমন করে সামনের এক একজনকে ঘায়েল করতাম !
তুমি আসতে আমার খেলা দেখতে, মিটি মিটি হাসতে, তোমায় দেখলে আমি নিজেও কেমন বন্য হয়ে উঠতাম।
সেভাবেই-
সেদিন নৌকায় গুলি করার সময়, সামনের একজনকে ষাঁড়ের মতো গুতো মেরে নিয়ে পানিতে পড়েছিলাম।
ওরা গুলি করেছিলো পানিতে, আমার ডান হাটুতে লেগেছে। যতক্ষন নি:শ্বাস ছিলো সাঁতরে গিয়েছিলাম পানির নিচ দিয়ে।
পরে শুনেছি সবাইকে মেরে ফেলেছে ওরা।
সেদিন শুনলাম দুধেল গাইটা কেড়ে নেয়ার সময়, ওরা গুলি করেছে আমার বাবাকে- বাবা বলেছিলো, সদ্য বাঁছুরটা মরে যাবে, আমি কঁচি বাঁছুরটার চিৎকার সহ্য করতে পারবো না-
সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছি,
আমার গ্রাম হানাদার শূণ্য হবে,
হানাদার শূণ্য হবে এ দেশ।
আমরা ফিরেছি,
পাশের গ্রামে আছি, আজ আমাবস্যা- আমি আসবো, চার মাস ধরে আলতার শিশি কোমরে রেখে ট্রেনিং নিয়েছি, অস্ত্র তুলে নিয়েছি, এখন সময় এসেছে নিজের গাঁয়ে ফিরবো, মেয়েটার মুখে বাবা ডাক শুনার বড় শখ।
এর পর হামলা হবে আলো-
-০-
হারিকেনের আলোয় চাঁদের মতো চকচক করছে তিথীর মুখ- বাবাকে দেখার আনন্দে না খেয়ে ঘুমিয়ে গেলেও মুখে হাসিটা লেগে আছে নিঃস্পাপ –
হটাৎ গোয়ালে বাছুরটা ভয়ার্ত সুরে ডেকে উঠে-
খিড়কি খুলে এক দৌড়ে উঠানে আসে আলেয়া, পিছন থেকে কালো চাদরে আচমকা জড়িয়ে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে- আলো – আমার আলো-
তেমনি বুকের সাথে আলেয়ার মাথা জড়িয়ে রেখে চার কদম হেটে ঘরে ঢুকেই দরজায় খিল লাগায় মুহিত।
মেয়েটার মাথায় হাত বুলাতে গিয়ে ঝড়ঝড় করে কেঁদে ফেলে সে-
চিৎকার করে বলে উঠে
যুদ্ধ- !!!
এ কেমন যুদ্ধ !!!
মেয়ের মাথায় হাত বুলানোর জন্য বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
একজোড়া কঁচি পায়ের পাতায় আলতা লাগিয়ে দিতে- সন্তানের কাছে আসার জন্য যুদ্ধ-
-০-
টমেটু আর ফুলকপির সাথে কৈ মাছের ঝোল-
চকচকে চোখে ভাতের লোকমা মুখে তোলার সময় হটাৎ বলে উঠে আলেয়া-
– মেয়েটার না খেয়ে ঘুমিয়েছে, বললো বাবার সাথে খাবে-
মুখে না পুড়ে হাত খালি করে উঠে যায় মুহিত মেয়ের দিকে- খানিকটা টেনে হাঁটছে ডান পা-
অমনি দরজায় মৃদু শব্দ- আলো দরজা খোল মা-
– কে ?
আমি তোর নয়ন চাচা- নয়ন মাঝি-
আলেয়া দরজা খুলতেই নয়ন চাচাকে ধাক্কা মেরে ঘরে ঢুকে চার পাঁচজন খাকি পোষাকধারী-
পিঠে দুই দুইটি বেয়নেট বিঁধে উঠার ধাক্কায়, ঘুমন্ত মেয়েটার উপর আছড়ে পড়তে যাচ্ছিলো মুহিত।
নিজ হাতে নিজের মুখ চেপে ধরে কোন রকমে আড়াল করে বুক ফেটে বের হয়ে আসা আর্তচিৎকার-
যেন মেয়েটার ঘুম না ভাঙ্গে,
ততক্ষণে পিঠে বুট রেখে টেনে বের করে বেয়নেট, দু’বগলের নিচে হাত রেখে দুজন টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে যায় মুহিতের নেতিয়ে পড়া শরীর- আছড়ে ফেলে উঠানে।
মাত্র দশ ফিট দুরে খড়ের গাধায় তিন তিনটে জানোয়ারের সাথে ধস্তাধস্তিতে হার মেনে আসছে আলেয়ার শরীর।
চিৎকার করছে নয়ন চাচা-
মেয়েটাকে ছেড়ে দাও!
সে সাত মাসের অন্তস্বত্তা ।
মুহুর্তেই মুহিতের পায়ের কাছে হাটু গেড়ে আছড়ে পড়ে নয়ন চাচা-
আমাকে ক্ষমা করে দে বাপ।
তোকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য আমার চৌদ্দ বছরের মেয়েটাকে ক্যাম্পে তুলে নিয়ে গেছে ওরা।
ততক্ষণে আলেয়ার দেহের উপরে জানোয়ার বদল হচ্ছে-
কেউ একজন সিগারেট জ্বালতে ম্যাচের খোচা দিতেই আলেয়ার মুখটা চোখে পড়ে মুহিতের-
লালচে চোখ দুটি যেন ঠিকরে বেড়িয়ে আসছে।
আঁচলের অনেকটা অংশ মুখে ঢুকিয়ে রেখেছে ওরা- কখন থেকে থেমে গেছে ধস্তাধস্তি। নেতিয়ে পড়ে আছে হাত।
মৃদূ সুরে ডেকে উঠলো মুহিত- ওসকো ছোড় দো- ও জীন্দা নেহি রাহি ।
যেন জীবনের সবটুকু সঞ্চয়কৃত শক্তি ফিরে পেল নয়ন মাঝি- হটাৎ বিজলী খেলে উঠে মাথায়-
দৌড়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে দুরে সরিয়ে দেয় আলোর উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে থাকা খাকি পোষাকের জানোয়ারটাকে-
আরে- কুত্তা – আল্লাহ সহ্য করবে না !
মেয়েটা গর্ভবতী ছিলো-
আর কখন যেন মরে গেছে তোদের অত্যাচারে-
কেমন মায়ের ঘরে জন্ম তোদের ?
শেষ পর্য়ন্ত একটা লাশের সাথে ………..
একটা গুলির শব্দ__
গড়গড় শব্দে থমকে গেল নয়ন চাচার কন্ঠ…
গুলির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেছে তিথীর।
এক হাতে হারিকেন, অন্য হাতে চোখ কচলাতে কচলাতে বাবার দিকেই এগিয়ে আসছে মেয়েটা____
মামনি- আমার মা, ডেকে উঠলো মুহিত
চোখ দুটি চকচক করে উঠলো তিথীর-
– তু.তু.তু তুমি আমাল বাবা !!!
কাছে এসে জড়িয়ে ধরে বাবার গলা-
– তু.তু তুমি আমার জন্য আ.আ আলতা এনেছ ?
পিঠে হাত বুলিয়ে বুকের উপর মেয়েটারে বসায় মুহিত। কোমড়ে রাখা আলতার শিশির দিকে হাত যেতে যেতে ফিরে আসে ধীরে ধীরে।
বুকের তাজা রক্ত আঙ্গুলে নিয়ে মেয়ের পায়ের পাতায় লাগিয়ে দিতে দিতে মুহিত বলে,
– মামনি, এইতো আলতা, দেখো কত সুন্দর দেখাচ্ছে তোমার পায়ে ‘লাল’ রং ।
একটা মিস্টি হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে তিথীর মুখ-
সে রাতে, পায়ে আলতা মাখানোর আনন্দে বাবাকে তেমনি বুকে আগলে ধরে ঘুমিয়েছিলো তিথী-
আর অবুঝ সন্তানের পায়ে রক্ত রেখা এঁকে দিয়ে, চিরদিনের তরে ঘুমিয়েছিলো স্বাধীনতা প্রত্যাশী মুহিত।
-০-
সেদিনের সে ভয়াল রাতের পরও পূবের আকাশে সূর্য্য উঠেছিলো।
তারও একমাস পর বাংলার আকাশে উড়েছিলো স্বাধীনতার পতাকা।
আজ স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর পর- আবছা আলোয় নিজের পায়ের আলতা দেখতে দেখতে, কিশোরী নাতনীটাকে বুকে আগলে রেখে, সেদিনের সে ভয়াল গল্প শুনায় তিথী-
কে জানে,
““পরাধীনতার শৃংঙ্খলে আবদ্ধ না হলে, কোন জাতি-
জন্মসূত্রে পাওয়া স্বাধীনতার মর্ম কতটা বুঝবে !!””
-0-
কাল্পনিক প্রেক্ষাপট- মুক্তিযুদ্ধ
ছবি- নেট থেকে
২৭টি মন্তব্য
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কাল্পনিক প্রেক্ষাপট- মুক্তিযুদ্ধ
কল্পনা হলেও বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে। এভাবে কত শত আলেয়া, মুহিত, অন্ধকারে হারিয়ে গেছে মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়। ধিক্কার সেই কুখ্যাত চরিত্রহীন নরপশুদের যারা গর্ববতী মায়েদের পর্যন্ত রেহাই দেয়নি।
এস.জেড বাবু
শত ধিক্কার জানাই সেই সব হায়েনাদের।
চমৎকার মন্তব্য ভাইজান
সাবিনা ইয়াসমিন
মুক্তিযুদ্ধের সময় দূরের শত্রুরা যা করতে পারেনি, নয়ন চাচাদের মত মানুষেরাই তা করেছে। তাদেরও হয়তো আত্মপক্ষ বাঁচানোর বিভিন্ন ব্যাখ্যা ছিলো/আছে, কিন্তু তাই বলে তারা তাদের অপরাধ থেকে মুক্ত হতে পারেনা। একাত্তুরে পাক-সেনারা আমাদের দেশের যত না ক্ষতি করেছে তাদের থেকে বেশি করেছে এই দেশে থাকা তাদের সাহায্যকারীরা। নয়তো বাংলাদেশ স্বাধীন করতে বাঙালীর পুরো নয়মাস সময় লাগতো না।
লেখাটি কাল্পনিক হলেও হৃদয়স্পর্শী। খুব ভালো লাগলো পড়ে।
শুভ কামনা 🌹🌹
এস.জেড বাবু
/////তাদেরও হয়তো আত্মপক্ষ বাঁচানোর বিভিন্ন ব্যাখ্যা ছিলো/আছে,
অসামান্য বলেছেন আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
মুক্তিযুদ্ধের সব চেয়ে বড় শত্রুই ছিলো স্বজাতির কিছু ধর্মান্ধ মোল্লারা যারা মনে করত পাকিদের এমন অত্যাচার তাদের জন্য হালাল। ধিক্কার সেই সব ভন্ডদের। আবেগ এসে গিয়েছিল। চমৎকার গল্প।
এস.জেড বাবু
অসংখ্য ধন্যবাদ মমি ভাই
আজন্ম ধিক্কার জানাই তেমন মানষিকতার স্বজাতি হায়েনাদের।
হালিম নজরুল
“আড়াই বছরের মেয়েটা বুঝতে পারেনা ভয়ের সুর- বুঝেনা চোখের জলের অর্থ-”
———ভীষণ ভাল লাগলো লেখাটি।
এস.জেড বাবু
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় ভাই
সুরাইয়া পারভিন
পুরো ঘটনাটা যেন চোখের সামনে ঘটে গেল। শিউরে উঠলাম আমি। কেঁপে উঠল পুরো শরীর। কি ভয়ানক দৃশ্য। ছি! এমন নৃশংস রাজাকারদের জন্য অজস্র মা-বোনকে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে হয়েছে।
লেখক হিসেবে আপনি সার্থক। চমৎকার লিখেছেন
এস.জেড বাবু
এমন মন্তব্যে কি জবাব দিবো প্রিয় আপু ?
যে কোন শব্দ লজ্জা পেয়ে যাবে আপনার মন্তব্যের কাছে।
শুধু একরাশ আন্তরিক শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
রেহানা বীথি
লেখার গুণে চোখের সামনে ভেসে উঠলো দৃশ্যপট। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে লেখায় সুন্দরভাবে।
এস.জেড বাবু
সবটাই পাঠকের সুন্দর মনের গুনাগুণ।
আপনি তেমন মমতায় লিখাটা পড়েছেন জেনে অনেক খুশি লাগছে।
অশেষ কৃতজ্ঞতা আপু
সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি।
জিসান শা ইকরাম
মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে চলে গিয়েছিলাম,
কত ভয়াল, ভয়ংকর দিন ছিল নয়টি মাস।
স্বাধীনতাটি খুব অল্প সময়ে এসেছে। এই যুদ্ধ কমপক্ষে দশ বছর এবং প্রতি পরিবারে প্রানহানী হলে, স্বাধীনতার মর্ম বুঝত এই জাতি।
লেখা ভালো হয়েছে বাবু।
এস.জেড বাবু
লিখার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে মন্তব্য করলেন গুণী ভাইজান।
কৃতজ্ঞতা ।
যেদিন পরাধীনতার ভয়ংকর দিনগুলি পরবর্তি প্রজন্ম আন্তরিকভাবে অনুধাবন করবে- সেদিন বুঝবে স্বাধীনতা কি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, আত্মত্যাগী বীরাঙ্গনা এখনও যারা বেঁচে আছেন, তাদের মিডিয়ায় প্রাণ খুলে কথা বলতে দিলে হয়ত জাতি কিছুটা অনুমান করতে পারত, কতটা ভয়ংকর ছিলো পরাধীনতার শেকল।
শুভেচ্ছা ভাইজান।
বন্যা লিপি
হৃদয়স্পর্শি লেখা। খুব ভালো লেগেছে। বেশি কিছু বলার শব্দের অভাব বোধ করছি।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
তবুও অনেক মূল্যবান মন্তব্য। আমি অনেক খুশি যে “যা লিখতে চেয়েছিলাম – হয়ত পেরেছি।
একরাশি হৈমন্তি শুভেচ্ছা আপু
সঞ্জয় মালাকার
দাদা প্রিয়তে রেখেদিলাম, কিচুটা পরেছি, বাঁকিটুকু পরে পড়ব।
এস.জেড বাবু
সময় করে পড়বেন। আপনাদের চোখে যাচাই হলে লিখে সার্থকতা পাই।
সুস্বাস্থ কামনা করছি ভাইজান
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা আপনিও ভালো থাকুন সব সময় শুভ কামনা 🌹🌹
অনন্য অর্ণব
লেখাটা পড়তে বসে প্রিয়জনের ফোন অগ্রাহ্য করলাম। নিজের অজান্তেই চোখ জলে ভিজে গেলো। সমস্ত শরীরে শিহরণ খেলে গেলো কয়েকবার।
খুব রিসেন্টলি স্বাধীনতার ইতিহাস আর পড়া হয় না। কেমন যেন সব কিছু খেই হারা হয়ে গেছে। তবুও আরো একবার কেঁদে ফেললাম।
প্রশ্ন জাগে মাঝে মাঝে আমরা কি সত্যিই স্বাধীন? মুহিত রা বেঁচে থাকলে হয়তো আরো একটি স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিতো। শোষণের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে।
এস.জেড বাবু
মন থাকলে যেমনটা হয়।
দেশকে অনেক ভালবাসেন বলেই আপনার অনুভুতি কান্না পর্যন্ত গড়িয়েছে।
সত্যি আর একটা সংগ্রাম শুরু হয়ে যেত সেই কবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইজান
সুখময় জীবন কামনা করছি।
ছাইরাছ হেলাল
একটু সময় নিচ্ছি।
এস.জেড বাবু
শিউর ভাইজান।
অবশ্যই ফ্রি হয়ে আসবেন। 💕
ছাইরাছ হেলাল
সহজ করে বলি অদের আমরা হারিয়ে দিয়েছি।
কিন্তু নয়ন চাচারা জগদ্দল পাথর হয়ে অনড় বসে আছে, অলক্ষ্যে নয় প্রকাশ্যে।
আমি জানি না, আপনি এই মুক্তি যুদ্ধ দেখেছেন কী না, যারা দেখেছে, যারা হারিয়েছে তাদের দগদগে ঘা শুকিয়ে যায় নি।
যদি ও নির্মম বাস্তবতা আমাদের চোখ রাঙ্গাচ্ছে নানা উছিলায়, না অজুহাতে। তবুও আশাবাদী হই, মেঘের ঘনঘটা শেষে
রোদ উঠবেই, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।
এস.জেড বাবু
না ভাই, নানা, মামার মুখে শুনেছি স্বাধীনতার গল্প। আমার এলাকায় হিন্দু পরিবার অনেক, সে সুবাদে হিন্দু বন্ধু ও অনেক- ওদের মুরুব্বীদের মুখে নৃশংসতার করুন গল্প শুনেছি।
একদিন সত্যিকার স্বাধীনতার পতাকা সত্যিই উড়বে।
এই আশা পুষে রাখি।
নৃ মাসুদ রানা
৭১… দম ফেটে রক্তক্ষরণ হলেই ভালো হয়।
এস.জেড বাবু
এই মন্তব্যের মানে ঠিক বুঝি নাই প্রিয় ভাই।