বাংলা কি ? দেশ কি? দেশের প্রতি ঘৃণা বা ভালবাসাই বা কি? এসব প্রশ্নের যথাযথ কোনো উত্তর আমি দিতে পারবো না। অবস্থানগত দিক থেকে খুবই সাধারন জীবনযাপন করে আসছি জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত। জন্মদাতা পিতা মাতার শেখানো নানা রকম শিষ্টাচার শিখতে শিখতে কিছু অভ্যাস আজো ধারন করে চলি যা নিজের স্বভাবে পরিনত হয়েছে। কিছু স্বভাব অভ্যাস নিজস্বতায় ধারন করি নিজের মতো। ভালো মন্দের বিচারিক দায়ভার অন্যের। ভুল বিচারে আমি প্রতিবাদ করতেও নারাজ। দেশপ্রেম কিভাবে বোঝায়। আমার জানা নেই। বিদ্রোহ কিভাবে করে দেশের বিরুদ্ধে তাও জানা নেই। ক্রোধ হয়, হয় রাগ। যখন দেখি,দু আড়াইমাস ভিজিট ভিসায় তেলের দেশ খ্যাত মধ্যপ্রাচ্যে বেরিয়ে এসে আমারই মুখের ওপরে বলে– ‘জানেন আন্টি, আমি ভাবাতাম বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট কত্ত বিশাল আর সুন্দর! কিন্তু দু্বাই এয়ারপোর্টে নামার পরে আমার ধারনা বেমালুম পাল্টে গেলো। এত্ত পরিচ্ছন্ন আর নিট&ক্লিন! তখন আমার বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সবচে *খয়রাতি* মনে হইছে’। আমি জানিনা ওই খয়রাতি শব্দটাতে কি ছিলো? আমার মুখাবয়বে রক্ত ঝলক দিয়ে উঠেছিলো। আমি মেয়েটার কথার কোনো প্রতিবাদি শব্দ খুঁজে পাইনি। আমি অসহায়ের মত চোখ ফিরিয়েছি বাংলাদেশের ব্যাবস্থাপনার দিকে। আসলেই তো! তুলনা করার মতো তো আসলে বাংলাদেশের ব্যাবস্থাপনায় গলদ আছেই। অস্বীকার করবো কিভাবে?
তখন খুব ছোট। স্কুলে যখন এ্যাসেম্বেলীতে জাতীয় সংগীত বেজে উঠতো মাইকে! সকাল সাড়ে এগারোটার রোদ্দুর দেখতাম আমি কেমন ভাবালু চোখে। শৃঙ্খল বেঁধে দাঁড়ানো সব সহপাঠীদের সাথে থেকেও আমি হয়ে পড়তাম উদাস! বুকের বাঁশ না কোনপাশ খুঁজে দেখা হয়নি তখন। টের পেতাম চিনচিনে এক অদ্ভূত অনুভূতি। সে অনুভূতির নামও জানিনা তখন। হয়ত আজো জানিনা। ঝলমলে রোদ্দুরে রবীঠাকুরের রচিত ‘ আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ সুরের সাথে সাথে দুলতে থাকতো নারিকেলের পাতা, কাঁঠাল গাছের পাতা, আমার চোখ আটকে থাকতো এইসব প্রকৃতির সবুজের মধ্যে।
আমি আজো জানিনা- কুট্টি কাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াকালীন সময়ে যখন ছুটিতে বাড়ি ফিরে তাঁর বড়দা’কে বলে –‘ বড়দা, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের গানের ক্যসেট রিলিজ হবার পরে হট কেকের মত বিক্রি হচ্ছে ক্যাম্পাসে! ‘ আব্বার ( কুট্টি কাকা, শামসুল আজিম সোহাগ ওরফে সোনা, জিসান ইকরাম মোঃ শামসুলের বড়দা) গম্ভীর মুখে চোখে অপার্থিব হাসি ছড়িয়ে পরা দেখে , আমার চোখে কেন পানি চলে আসে? আমি আজো জানিনা। জানিনি তখন, উঠোনে কেন ছুটে বেরিয়ে আসি বিজয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবসে মাইকে যখন বেজে ওঠে ‘ তীরহারা ওই ঢেউয়ের নদী পড়ি দেবরে….’ এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না – আমরা তোমাদের ভুলবো না….’ আমার ভেতর থেকে কেন কান্নার ঢেউ ওঠে? আমি অবাক হয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেও উত্তর পাইনি আজো।
এই দেশে সব আছে, দুঃখ, দুর্দশা, দুর্নিতী, সঠতা, দলীয় নিতী, উচ্চপর্যায়ের চাটুকারিতা, অব্যাবস্থাপনা, রাজনিতী নামের হটকারীতা, ব্যাবসা নামের ডাকাতিপনা, মিথ্যার বেসাতিপনা, খাদ্যে ভেজাল, অসাস্থ্যকর পরিবেশ, সাস্থ্যখাতে দুর্নিতী, শিক্ষাক্ষেত্রে অনিয়ম, ন্যায্য নাগরিক অধিকারের অভাব, প্রত্যেকটা সেক্টরের হতাসামূলক অব্যাবস্থাপনা সব সব আছে।
গণতন্ত্র নামে আছে প্রহসনও। আশাবাদী মানুষেরা স্বপ্ন দেখে দেখে রোজ বাজারঘাট করে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির নিত্য মূল্য বাড়া কমার মধ্যেও প্রয়োজনীয় চাহিদা কমিয়ে নিজেদের মতো করে। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। আমিও ডাক্তারের চেম্বারে গেলে সিরিয়াল ব্রেক করে আগে ডাক্তারের সাক্ষাত পাবার জন্য , সিরিয়াল মেনটেইনকারীর হাতে কুড়ি টাকা ধরিয়ে দেই। মেয়েকে নাম করা স্কুলে ভর্তি করাতে উন্নয়ন ফি নামক (ডোনেসন) উৎকোচ দেই বিশ হাজার টাকা। এর বেশি আমার পক্ষে কখনো কিছু করা সম্ভব হয়নি আজো।
আমি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেইনা অনেক বছর। এ আমার অনীহা। যখন দেখেছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। জালভোটের হিড়িক। আমার মনে পরে গেছে তখন। মাত্র ১২/১৩ বছর বয়সে আমার ছোট চাচা আর তার বন্ধুরা আমাকে আর সমবয়সী ফুপু, মেজো ফুপুকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য নামের ভোট দিতে। যখন ভোটাধিকার প্রয়োগ করার বয়সই হয়নি। কিছুই বুঝিনি তখন। বুঝতাম একটাই মার্কার প্রতি পুরো পরিবারের অমোঘ পছন্দের তীব্র আকর্ষন।
বিবাহিত হবার পরে নাম উঠলো নির্বাচন কমিশনের রেজিস্টার খাতায়। আমিও পেলাম রাষ্ট্রের ভোটের অধিকার। মতিঝিল আরামবাগের কোনো এক স্কুলে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করলাম ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে।
মজার ব্যাপার হলো তখনো নিজস্ব পছন্দ বলতে কিছু ছিলোনা। ওই মার্কাটাই ছিলো মেজো চাচার বলা — ‘ভোট দিবি না ?দেলে কিন্তু হানিফ সাইবেরই দিস্’ দ্বিধা হয়নি তখন । তখন এতটাও প্রশ্ন ছিলোনা মনে। গেলো নির্বাচনের আগে আমার এক স্কুল সহপাঠী আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো ভোট দেব কিনা? বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলাম। অল্পতেই ক্ষান্ত দিয়েছি। কথা বাড়াবার মতো কথা নেই আমার কাছে।
আমাকে আজ পর্যন্ত কেউ প্রশ্ন করেনি বা বলার সুযোগ পায়নি আমি কেন এ দেশে আছি? আমিও সুযোগ পাইনি ভাবার…. আমি কেন ‘ জয়-এর পরে বাংলা বলতে পারিনা। সবাই যেমন করে বলে — জয় বাংলা। জয় বলার বাংলা কেন বললাম না বা বলছি না এই দন্ডে আমাকে কেউ অনায়াসেই দেশান্তর করে দেবেন? আমার বোধ আমি লালন করি আমার মতো।
কিরে ? ভালো আছিস ?
–বেঁচে আছি। তুই?
আমিও
— আলহামদুলিল্লাহ্। বেঁচে থাকা জিন্দাবাদ
হ
জিন্দাবাদ, জয় বাংলা
–হ, জয়…..
বাংলা কইলিনা?
–কইলাম না
ক্যা কইলিনা?
—মন চাইলো না
ও তুমি জয় কইতে পারবা আর বাংলা কইতে পারবা না?
–যা বোঝার বোঝ
সবাই যদি আজ বাংলাকে ঘৃনা করি তবে এদেশ বাঁচবে কিভাবে?
–তুই বাঁচা
তাইলে তুই এদেশ ছাইড়া যা
—তুই কইতে কেডা
যেহেতু আমি দেশ বাঁচানোর দায়িত্ব নিছি
–মুখে আ-কথা আইছিলো, কইলাম না……
কি কবি?
তুই বাংলাই কইতে পরোনা
জয় কইয়া থাইময়া গেলি!
–এই তুই আমার মেজাজ খারাপ করতে আমারে নক দেও?
যত্তসব অর্থহীন টপিক লইয়া ঝগড়া করার তালে থাহো খালি!!
মেজাজ খারাপ হয় ?
তোর মতো অত জ্ঞানতো আমার নাই।
আমার জ্ঞান আমারই থাকুক। খাটো কিংবা বড় যাই হোক। আমি প্রকাশে অক্ষম আমি কি অনুভব করি এ দেশ নিয়ে! আমি শুধু প্রশ্ন করি নিজেকে জাতীয় সঙ্গীতে আমার চোখ কেন কাঁদে???
১৮টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ গভীর ভা্বনাময় লেখেছেন আপু
অনেক শুভেচ্ছা রইল————-
বন্যা লিপি
শুভেচ্ছা রইলো আপনাকেও।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমার ও একই কথা , লোকদেখানো কিছু কেন করতে হবে। এইযে স্বাধীনতা, বিজয়, মাতৃভাষা দিবসে লোকদেখানো হুলস্থুল করা হয়, ছবি পোস্ট করে নিজের খোমা খান দেখানো লাগে- এসবে কি দেশপ্রেম ১০০% প্রমানিত হয়? প্রকাশ ভঙ্গি কারো সাথে কারো মিলবে না। দেশের হাজার হাজার সমস্যা আমিও তাই বলি , তাই বলে সেটাতো আমার জন্মভূমি। আমি আমার মতো করে, স্বাধীনভাবে, মনের আনন্দে যা করার করবো সে নিজের জন্য হোক আর দেশের জন্য হোক। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
বন্যা লিপি
নৈতিকতা যার যার আলাদা আলাদা বিষয়। তবুও একই প্রসঙ্গে যখন সবার নিতী একই কোঠায় একরকম হয়, তখন কিন্তু আমার / আপনার মতের মিলটাও সমান হয়। এখন আপনার কাছ থেকে আমি আশা করতে পারিনা আপনি আমার মতো কেন আপনার কথা উপস্থাপন করলেন না? আমি যদি নাই বুঝতে পারি আপনার ও নিজস্বতা বলে একটা নিতী আছে।
আমার সাথেই কেন এরকম আজগুবি সব বোধের মানুষদের দেখা মেলে? আমি কেন জয়’এর পরে বাংলাটুকু উচ্চারন করলাম না, তাই আমাকে দেশ ছাইড়া চলে যাবার মতো এত বড় উক্তি বলে ফেললেন মহা পন্ডিতজন।
ভালো থাকবেন দিদি।শুভ কামনা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
দেশ নিয়ে গভীর প্রেম, দেশত্ববোধ এবং নিজের চিন্তা ভাবনার অপূর্ব প্রকাশ ঘটিয়েছেন লেখায়। আশা, হতাশা, ক্ষোভ অনেককিছুরই সুন্দর এবং বস্তুনিষ্ঠ প্রকাশ ঘটেছে লেখায়। আপনার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা আর ভালবাসা রইলো দেশ নিয়ে। মাতৃভুমি নিয়ে নিজের যুক্তিপূর্ণ লেখার জন্য। অভিবাদন এবং শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রানিত করলো। শ্রদ্ধা জানবেন। ভালো থাকবেন।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার মতো লেখককে অনুপ্রাণিত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সুস্থ এবং ভালো থাকবেন। শুভ কামনা অফুরান।
বন্যা লিপি
আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।
ফয়জুল মহী
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
বন্যা লিপি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি
চিরদিন তোমার আকাশ
তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাঁজায় বাঁশি
সোনার বাংলা……
তৌহিদ
আমার সোনার বাংলা গান এবং জাতীয় পতাকার দিকে তাকালেই আমার দেহমনে শিহরণ জাগে। দেশকে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে তা মোটেই সহ্য হয়না আমার। সে যেই হোক মুখের উপর কথা শুনিয়ে আসি।
এদেশের আলোবাতাসে বড় হয়ে দুইদিনের বিদেশভ্রমনে এদেশকে নিয়ে যারা কথা বলে তাদের এদেশে থাকার দরকার কি! দেশ ছেড়ে চলে গেলেই পারে।
আপনার দেশপ্রেমকে শ্রদ্ধা জানাই। ভালো লিখেছেন আপু।
বন্যা লিপি
এরা খাবে এ দেশে, পরবে এ দেশে ট্যাক্স দেবে তেলের দেশে। ব্যাপারটা এরকম যেন। অনেক বড় হয়ে গেলো লেখা। পড়েছেন দেখে আনন্দিত হলাম ভাই।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
সুপায়ন বড়ুয়া
সুন্দর অনুভুতির বহি:প্রকাশ।
দুই একটা অনাচার দেখলেই আমার বিশ্বাসে চীর ধরবে
এ ধারনার বিশ্বাসী নই।
জন্মগত ভাবে আমরা পরশ্রীকাতর।
তাই আমরা বা্চ্চাদের বলি দেখ ওদের ছেলে কতসুন্দর কবিতা বলতে পারে। তুমি পার না বলেই তাকে অপরাধী করে তুলি।
ছেলেকে উৎসাহ দিয়ে বলি না তুমি কত সুন্দর গান পার করিতা ও পারবে।
ফলে শিষ্টাচার হয় না শেখা। আমাদের এয়ারপোর্টে গেলে নিয়ম মানতে চাই না। কারন আমাদের ধারনা আমি জমিধার তোরা চাকর।
আর দুবাই এয়ারপোর্টে ওরা না বলার আগে কাপড় চোপড় খুলতে ও সংকোচ করি না।
যাক আপু হতাশ হওয়ার কারন নেই।
আসুন মিছিলে যাই বলুন জয় বাংলা।
একাত্তরের শকুন লুকাবে গর্তে।
দেশটা হবে সুন্দর পরিপাটি।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
আমার হতাসা বলতেও কিচ্ছু নেই, আবার আশা বলতেও কিচ্ছু নেই দাদা। আমি দেশ নিয়ে কি ভাবলাম না ভাবলাম তা বলে প্রকাশ করারও কিচ্ছু নেই। আমি শুধু জানি, এ দেশ ছাড়া কোথাও আমার ঘাঁটি নেই। এই কাদামাটি জলের কোলেই আমার জন্ম সংসার মৃত্যু।
শুভ কামনা দাদা।
মনির হোসেন মমি
তীরহারা ওই ঢেউয়ের নদী পড়ি দেবরে….’ এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না – আমরা তোমাদের ভুলবো না-
যখনি এরকম দেশাত্ববোধক গান কবিতা পড়লেই আমারও শরিরের পশম শিরশির করে উঠে ,কেন জানি।জয় বাংলা” নিপেষিত পুরো বাঙ্গালী জাতির একটি শ্লোগান ছিলো যে শ্লোগানে এদেশ স্বাধীন হইছে ,নিজের পায়ের তলায় দাড়াবার একখন্ড জমি পাইছি সেই শ্লোগানকে অনেকে দলীও দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে অবহেলা-ছোট করে দেখে।নিজেকে এ দেশের নাগরিক ভাবলে এটাকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। জয় বাংলা মানে বঙ্গবন্ধু(সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রিয়) আর বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।
খুব ভাল লিখেছেন ।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ মনির ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
আরজু মুক্তা
কিছু কিছু মানুষকে দেখলে মনে হয় ওরা টাকা দিয়ে কিনছে এদেশ। আমরা গোলাম। অথচ আমাদের ঐ জাতীয় সংগীত শুনলে, শাপলা ফুল দেখলে, কেমন জানি গা শিউরে ওঠে। এটা বোঝাতে হয় না, এটা দেশপ্রেম।
ভালো লাগলো, ছোট লেখায়, অনেক না বলা কথা
জিসান শা ইকরাম
রোটারির একজন মেম্বার হয়ে বিদেশে কয়েকবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছি। অংশ নেয়া দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। শুনে প্রতিবারই চোখ বিজে ওঠে। বুকের ভিতর একটি আবেগে শরীর কাপতে থাকে।
দেশের ক্রিকেট যখন আন্তর্জাতিক কোনো খেলায় অংশ নেয়, জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় একই অনুভুতি হয়।
যে পরিবারে তোমার জন্ম সে পরিবারের একজন হয়ে এমন অবস্থায় চোখে পানি আসবেই।
দেশপ্রেম নিয়ে লেখাটি ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা।