সেই কবিতার ভাবার্থ লেখব এখন। যা কেউ বুঝলনা বা বুঝেনি। সারা দিন রাত সব মিলিয়ে তিন দিনের প্রচেষ্টায় এবং প্রচন্ড বেদনার একটি কবিতা প্রসব করলাম। হ্যা দ্যার্থহীন কন্ঠে স্বীকার করেই বলেছি যে যা লিখেছি তার মাঝে কোন ছন্দমিল নেই। অর্থাৎ আমি নিজেই খুঁজে পাই নি। তাই তার নাম দিয়েছি গদ্যকবিতা। আমিতো বলিনি তা পদ্য। জানি কবিতা হয়নি , তাতে কি কবিতায় কি শ্রমের অভাব ছিল অথবা ভাবের। আমার মনে হয় না কোন অভাব ছিল ভাবের। আমি পরিষ্কার ভাবে কবিতার ভাব প্রকাশ করেছি। কেউ বুঝলনা বলে তাদের অবুঝ মন্তব্যের আমি কোন উত্তর দেইনি।
ব্লগে প্রকাশ করার হ্যাপার কথা না হয় বাদ ই দিলাম, কিন্তু এই কবিতা প্রকাশের উত্তেজনা, উহ সে যে কি সুখ যন্ত্রনা । রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদকতা। শিরায় শিরায় ছুটে চলা রক্ত কনিকা চলার বেগেই উত্তপ্ত। কিছুটা লজ্জা , কিছুটা বোকামী , সেই বকামিকে স্মার্ট করার চেষ্টা , যেন বার বার আয়নায় নিজেকে দেখে মেরুদন্ড সোজা করে ভাব গাম্ভির্য্য আনা। এ রোমাঞ্চের তুলনা শুধু চলে বাসর ঘরে নববধুকে প্রথম স্পর্শ করার সাথেই।
সেই যে অবগুন্ঠিত বধু ফুলেল খাটে বসে আছে। ধীর পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছি। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম, কণ্ঠনালী শুকিয়ে কাঠ। মনে কত শঙ্কা। আমি যাকে এক পলকের তরে চোখ তুলে দেখেছিলাম এ সেই তো? আমাকে সে পছন্দ করবে তো ? আমাকে ভালবাসবেতো? এই মুহূর্তে আমার যেন কী কাজ? নববধুর মনোযোগ আকর্ষনের জন্য কি যে করার কথা বন্ধুরা বলে দিল যা চ্ছাই ভুলেই তো গেলাম। কোন কিছু মনে করতে না পেরে বোকার মত প্রশ্ন করে ফেললাম —আমাকে বিয়ে করে তুমি সুখি হয়েছ? বউ এর স্মার্ট উত্তর——– খুশি হয়েছি বলতে পারি, কিন্তু সুখী হয়েছি কেমন করে বলব।
এই উত্তরের পর যা ছিল মনে অর্থাৎ যা বলতে চেয়ে ছিলাম তাও গেল উল্টে । তারাতারি করে কি বুঝাতে চেয়েছি বলবার জন্য খাটের কাছে দ্রুত ছুটে যেতে যেয়ে সাইড টেবিলে রাখা পানির জগ উল্টে পড়ে ঘরময় পানি, তার চেয়ে ভয়াবহ কামানের গোলার শব্দের মত শব্দ করে জগ চূর্ণবিচূর্ন হওয়া। এত্ত কপাল পোড়া বর বোধ হয় এই ধরাধামে আর একটিও জন্ম গ্রহন করেনি। নববধূর অবগুন্ঠন আর আমার খোলা হলো না। সে নিজেই তার অবগুন্ঠন তুলে খুব শান্ত স্বরে বলল—- তুমি শান্ত হয়ে বস। আমি দেখছি। দরজা খুলে চলে গেল। যাবার পথের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখ জ্বালা করে উঠল। এই চব্বিশ বছর বয়সে যদিও একটি মেয়ে পেলাম যে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে সর্বোপরি ভালওবাসতো সেও বোধ হয় চলে গেল, আর ফিরবে না।
(চলবে—————–
৩৭টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
দারুন এবং অবশ্যই দারুন — চলুক
খসড়া
চলবার আশায় বসে আছি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বেশি দূর যাবে না। এই তো এলো বলে, ঘাড় মটকে পান করে নেবে সবই।
চলুক।
আমাদের এদিকেও একটু সময় দিয়েন।
খসড়া
আপনার মুখে ফুল চন্দন পরুক। আশায় বসে রইলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলুম,
আমরা হন্তদন্ত হয়েই না হয় চলি।
খসড়া
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
আহারে,চলে গেলো বধু 🙁 তাও বাসর রাতে? 🙁 আমি পেলামই না,আর আপনি পেয়েও হারালেন?
আপু অনেক মজা পেয়েছি।টান টান উত্তেজনার সাথে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
খসড়া
আশায় বুক বেঁধে রাখ, দোয়া করি রায় বাঘিনী গলায় জুটবে না।
আবু জাকারিয়া
এ
রোমাঞ্চের তুলনা শুধু
চলে বাসর ঘরে নববধুকে প্রথম
স্পর্শ করার সাথেই।”
অপেক্ষায় রইলাম পরের পার্টের।
ভাল লাগল।
খসড়া
লিখছি পরের পর্ব, কিন্তু পোস্ট করতে ———-ঐ যে বললাম অনেক হ্যাপা।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
সাইড টেবিলে মানুষ ক্যান যে পানির জগ রাখে??!!
স্মার্ট উত্তর পছন্দ হইছে। লাইকড হার এন্সার।
খসড়া
আসলেই সাইড টেবিলটার দরকার কি? খালি ঝামেলা :p
জিসান শা ইকরাম
ব্লগার খসড়া হাত খুলে লিখলে কি পারেন,এটি তার উদহারন
বিপরিত ভাবে এমন নিখুত ফিলিংস আনেন কিভাবে?
অপেক্ষা করছি ………
খসড়া
আসছে পরের পর্ব দ্রুত।
প্রহেলিকা
অবুঝ পাঠক বুঝতে পারেনি বলে, রেগে যাননি তো আবার? রেগেছেন একটু আর তাইতো জবাব দেননি।
এই লেখাকে তাহলে আগের পোষ্টের ভাবার্থ ভেবে নিচ্ছি। তবে এখনই মন্তব্য করা যাবে না সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। যেহেতু দুটোকেই একটু মিলিয়ে দেখতে হবে, বুঝে নিতে হবে নিজের মত করে।
খসড়া
রেগেইতো আর একটি পোস্ট লেখা হয়ে গেল। এতো শাপেবর। :@
লীলাবতী
আপু এখানে আবার ভাইয়া হয়ে গিয়েছেন।কিন্তু গদ্য কবিতা কোথায়?এত কষ্ট করে ভাবার্থ লিখবেন বলেছেন 🙂
খসড়া
তুমি গদ্য কবিতাই দেখ নাই, তোমার সাথে আর কি বলব। :@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুন্দর অনুভূতি -{@ অজানা এক উত্তেজনা কাজ করে সেই সময়ে। -{@
খসড়া
এতক্ষনে একজন পেলাম যিনি আমাকে বুঝলেন।
খেয়ালী মেয়ে
হায়!!হায়!!এটা কি হলো?–কেনো চলে গেলো?..নিশ্চয় পরবর্তী পোস্টে উত্তর মিলবে–তাই অপেক্ষা পরবর্তী পোস্টের 🙂
খসড়া
নিষ্ঠুর পাষাণী তাই চলে গেল।
খেয়ালী মেয়ে
খুব খারাপ হলো 🙁
খসড়া
হা হা হা। খুব খারাপ
মেহেরী তাজ
চলতে থাকুক। তা না হলে যে আপনাকে শান্ত হয়ে বসতে বললো সে কই গেলো তা জানবো কিভাবে????
খসড়া
জী একটু রসুন খবর দিচ্ছি।
শুন্য শুন্যালয়
বউ মনে হয় ঝাড়ু আনতে গেছে। না মানে, আপনার জন্য না; কাঁচগুলো পরিষ্কার করতে হবেনা!!
কবিতা বুঝিনাই বইলা এতো পানিশমেন্ট? এখন তো দুই লেখার লিঙ্ক খুঁজতে কাজ সারা হচ্ছে 🙁
খসড়া
এতক্ষনে একজন বোদ্ধাপাঠক পাওয়া গেল যদিও সে খুব কর্ম্বিমুখ। ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা প্রকাশের উত্তেজনা,সুখ যন্ত্রনা,রন্ধ্রে রন্ধ্রে মাদকতা,শিরায় শিরায় ছুটে চলা রক্ত কনিকা, কিছুটা লজ্জা , কিছুটা বোকামী ,রোমাঞ্চ এত্ত কিছু !! হাসতেই আছি এসব শব্দ পড়ে।
খসড়া
একের বেদনায় অন্যে হাসে এটা সারাজীবনের শিক্ষা, কোনদিন দেখছেন আপনে আছার খাইলে অন্যে না হেসে কাদেঁ
আগুন রঙের শিমুল
নিজেরে শব্দ শ্রমিক অথবা কবিতার বর মনে হইতাছে 😀
খসড়া
ঠিকই মনে হচ্ছে।
নীতেশ বড়ুয়া
এইরে!!! বউ কি নতুন জগ নিয়ে ফিরে এলো নাকি ঝাড়ু হাতে!!! 😀 :p
খসড়া
দেখা যাক ফেরে কিনা, ফিরলেও কি নিয়ে ফেরে।
নীতেশ বড়ুয়া
আরে! না ফিরলে বরের কি হবে তবে? জগ ভাঙা দিয়েই ‘বিবাহ জীবন শেষ হইয়া গেলো’ হবে!!
অসম্ভব!!! এ হতেই পারে না… প্লীইইইচ, বউকে ফিরিয়ে আনেন ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
নতুন লেখা চাই খসড়া -{@
খসড়া
হচ্ছে হচ্ছে