পাশেই থ্রিপিসের দরদাম, কোয়ালিটি দেখছিলো মেয়েটি। পছন্দও করলো একটি। কোন দেশের কাপড় জিজ্ঞেস করায় দোকানি জানায় যে, পাকিস্তানী লন। শুনেই মেয়েটি ঘুরে দাঁড়ায়, বের হয়ে যাচ্ছে দোকান থেকে।
দোকানি জিজ্ঞেস করে ‘ কিনবেন না আপা ?’
একটু জোড় দিয়েই মেয়েটি বলে ‘ না ‘
তাঁর কণ্ঠস্বরে কি জানি ছিলো। তাকাই মেয়েটির মুখের দিকে।
দোকানি আবার জিজ্ঞেস করে ‘ কেন কিনবেন না ? দাম বেশী ? ‘
মেয়েটি দৃঢ় কণ্ঠে উত্তর দেয় ‘ ওটা পাকিস্তানী, পাকিস্তানী কোন কিছু কিনি না আমি ।’
বলেই হনহন করে দোকান থেকে বের হয়ে যায়। তাঁর কণ্ঠে এমন কিছু ছিলো যে, দোকানে উপস্থিত সবকিছু স্তব্দ হয়ে যায়। অন্য ক্রেতাদের কথা বলা থেমে যায়, বিক্রয় কর্মীরা দাঁড়িয়ে আছে যেন স্টাচু হয়ে। আমার কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে তাঁর বলিষ্ঠ উচ্চারন’ পাকিস্তানী কোন কিছু কিনি না আমি।’
ইচ্ছে করছিলো দৌড়ে গিয়ে বলি ‘ মা তোমরাই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাও, তোমাদের কারণেই স্বপ্ন দেখতে পারি এখনো আমরা , হতাশা চলে যায় ‘ ।
হৃদয়ে যার বাংলাদেশ, স্যাল্যুট সেই অচেনা মেয়েটিকে।
৩৭টি মন্তব্য
সাইদ মিলটন
এদের দিকে তাকিয়েই স্বপ্ন দেখে যাওয়া দাদা – আলো আসবেই
বেঁচে থাকুক না দেখা বোনটি
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, আলো আসবেই ।
স্যাল্যুট সেই অজানা, অচেনা মেয়েটিকে।
আজকের বিকেলের সত্য ঘটনা এটি।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্য ই স্যালুট সেই সন্মানিতা কে।
জিসান শা ইকরাম
এমন মা ই আমাদের দরকার এখন খুব।
মামুন
সুন্দর অনুভূতি! ভালো লাগল।
জিসান শা ইকরাম
জি, ধন্যবাদ আপনাকে।
হৃদয়ের স্পন্দন
না দেখা এই মায়ের জন্যে স্যালুট কম হয়ে যায়
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ, স্যাল্যুট কম হয়ে যায়।
বন্য
হৃদয়ে যার বাংলাদেশ, অবশ্যই স্যালুট সেই বোনকে। আলো আসবেই।
জিসান শা ইকরাম
আমরা সে আলোর প্রত্যাশায় —
নওশিন মিশু
স্বপ্ন দেখানো মেয়েটি কে স্যাল্যুট দিয়েই কি দায়িত্ব শেষ কবরো আমরা!!!!?? নাকি তার মতকরে হৃদয়ে দেশমাতা কে ধারন করবো যা আমাদের সত্যিকারের মুক্তির পথ দেখাবে। (আমি আমার জীবনে কোন দিনও পাকিস্তানি কোন পণ্য কিনি নাই) ে
জিসান শা ইকরাম
শুধু স্যাল্যুটেই আমাদের দায়িত্ব শেষ হবেনা, পাকিদের প্রতি সেই মেয়ে যতটা ঘৃনা ধারন করে আছে, আমরাও যেন তাঁর মত ঘৃনা ধারন করতে পারি, সে চেষ্টা করবো।
আপনাকেও স্যাল্যুট মিশু।
আপনিও একজন উদহারন।
মোঃ মজিবর রহমান
লাল স্যালুট তোমাই মা।
আসলে আমরা খুব হতাশায় ভুগছি বস।
আমরা সরকারের দদুল্যতায়
যা করে করুক নিজের ঘর আর সাধারণ মানুষের ভালোমন্দ না ভাবলে চিন্তা শক্তি কাজ করেনা।
তবে ঐমায়ের মত আমাদের চলতে হবে।
শুভেচ্ছা অবিরত।
জিসান শা ইকরাম
সব কিছু চাপিয়ে দেই সরকারের উপর।
আমরা নিজেরাই তো ঘৃনা করতে পারি রাজাকারদের।
রাজাকারকে আমরা না বলিনা কেনো ?
শুভ কামনা।
সাতকাহন
মেয়েটি প্রতিবাদের ক্ষেত্রে রূঢ় নন, কর্কশ নন, তাঁর প্রতিবাদ বড়ই সাহসী, তাঁর সাহস বড়ই শান্ত। স্যালু নাম না জানা ঐ বোনকে।
সাতকাহন
*স্যালুট
জিসান শা ইকরাম
খুব ভালো বলেছেন আপনি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পাকিস্তানী কোন কিছু কিনি না আমি।’
স্যালুট মেয়েটিকে এবং
আসুন না আমরা সোনেলায় অনন্তঃ যারা আছি তারাই মেয়েটির সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করি।
জিসান শা ইকরাম
ভালো প্রস্তাব দিয়েছেন ভাই
সোনেলায় যারা আছি আমরা, মেয়েটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি।
সঞ্জয় কুমার
সবার মধ্যে এই চেতনা বোধ জাগ্রত হোক ।
আর কখনোই যেন বাংলার আকাশে পাকি পতাকা না ওড়ে ।
আর কোন বাঙালী মেয়ে যেন মেরি মি আফ্রিদি না লেখে ।
অনেক ধন্যবাদ মেয়েটিকে ওদের চোখেই স্বপ্ন দেখুক বাংলাদেশ ।
জিসান শা ইকরাম
দেশের প্রতি গভীর প্রেমই পারে আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে।
নুসরাত মৌরিন
স্বপ্ন আমরা দেখবই…। 🙂
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন আমরা দেখবই ……
শুন্য শুন্যালয়
মেয়েটিকে অনেক ধন্যবাদ। সবাই তার মতো হলে পিকচারটাই চেঞ্জ হয়ে যেত।
যাক, তবু তো স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
আমি এই প্রথম শুনলাম কারো মুখ থেকে
অনলাইনে তো সবাই বলি, কিন্তু বাস্তবে এই প্রথম।
আবু জাঈদ
সালাম
জিসান শা ইকরাম
সালাম সেই মেয়েকে ।
খেয়ালী মেয়ে
হৃদয়ে যার বাংলাদেশ, স্যালুট সেই অচেনা মেয়েটিকে (3
আলো আসবেই :v
হতাশ হবার কিছু নেই 🙂
যখনি আমরা হতাশ হবো, তখনি সেই অচেনা মেয়েটির মত আশার আলো আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবে, কেননা কোটি হৃদয়ে বাংলাদেশ তার স্বপ্নের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছে..
জিসান শা ইকরাম
” আলো আসবেই :v
হতাশ হবার কিছু নেই 🙂
যখনি আমরা হতাশ হবো, তখনি সেই অচেনা মেয়েটির মত আশার আলো আমাদের সামনে এসে দাঁড়াবে, কেননা কোটি হৃদয়ে বাংলাদেশ তার স্বপ্নের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছে.. ”
খুব ভালো মন্তব্য করেছেন।
আবিদ রোজীনা
ভাইয়া আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করলাম, পাকিস্থানি পণ্য আর ব্যবহার করবোনা। আপুটা পারলে,আমি কেনো পারবোনা? আমরা কেনো পারবোনা?অজানা সেই আপুর প্রতি শ্রদ্ধা,যিনি আমাকে পথ দেখালেন।আপনাকেও ধন্যবাদ, আপনি এই পোষ্ট না দিলে আমি এসব নিয়ে তেমন ভাবতামই না।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপনাকে আবিদ রোজিনা।
এই লেখা দেখে একজনও এমন সিদ্ধান্ত নিলে লেখা সার্থক–
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
আজ থেকে আমিও পাকিস্থানি পন্য বর্জন করলাম। আপুটাকে স্যালূট।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেও ধন্যবাদ তাজ
এমন সিদ্ধান্তের জন্য।
ব্লগার সজীব
স্যাল্যুট সেই আপুকে। এমন বোনই তো চাই ।
জিসান শা ইকরাম
হুম, এমন মেয়ে চাই আমাদের দেশে।
যারা তাঁদের সন্তানদের শিখাবে এমন ঘৃনার কথা।
শুভ্র মোহন্ত
এই রকম মেয়ে হাতে গোনা, চাঁদনীচক গেলেই তা বোঝা যায়।
জিসান শা ইকরাম
ঘটনাস্থল যে চাঁদনীচকই ।