বিকাশ একাউন্ট খোলা কত্ত সহজ।
ঘরে বসে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে একটা ছবি আর এনআইডি ভেরিফিকেশান কমপ্লিট হলেই একাউন্ট ক্রিয়েশান সাকসেসফুল। বাহ্ সেই গলির মোড়ে বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থাকা লাগে না।
কোন ঝামেলা নাইক্কা-
শুধু একটা এনআইডি দিয়ে একজন মানুষ একটাই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে।
__________________কত্তো সিকিউরড-
তাহলে বিয়ের মতো একটা জীবনের অংশীদারিত্বের একাউন্ট খুলতে এনআইডি ভেরিফিকেশান এর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাবিননামা রেজিষ্ট্রেশন হলে কেমন হতো ?
মুখে মুখে বলে আর গৃহপালিত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে একজন বিবাহিত পুরুষ বা মহিলা একটার অধিক গুরুত্বপূর্ণ জীবনের অংশীদারিত্বের একাউন্ট খোলার পথ খোঁজে পেত না।
অধিক নারীলোভী / পুরুষলোভী মানুষগুলি ধরা খেয়ে যেত এনআইডি ভেরিফিকেশান এর ডিজিটাল জালে।
বদলে যেত সমাজ- চিন্তা চেতনা।
সেই বগলে ছাতা আর মাথায় টুপি রেখেও যারা সামান্য কমিশনের জন্য একটা বিবাহিত ছেলে বা মেয়ের বিষয়ে মিথ্যে বানোয়াট গল্প প্রচার প্রচারনা করে তা চিরতরে সমূলে বন্ধ হয়ে যেত।
আরে বাহ্ – কত্তো সহজ, শুধু গুগল প্লে ষ্টোরে একটা আধুনিক অ্যাপ খোঁজে নিয়ে ডাউনলোড আর ইন্সষ্টল। ব্যাস ।
প্রয়োজন বোধে চলমান কাজীগীরির প্রক্রিয়া চালু রাখার ইচ্ছে থাকলে, শুধুই রেজিষ্টার্ড কাজীগণকে উপযুক্ত অনলাইন ফর্মে তথ্য ফিলাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় ওই “শুভ বিবাহ” অ্যাপ এ এক্সেস করার সুযোগ করে দিন।
এই অ্যাপ তৈরীর কাজে আমাদের বাঙালিরা কত্তো এক্সপার্ট- নইলে বিকাশ কি করে কোটি টাকার লেনদেন এতো সুন্দর করে করতে পারে !!
বর কনের আঙ্গুলের ছাপ- সকল গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান।
জাতি পেয়ে যাবে আঙুলের ছাপে- এনআইডির ডিজিটাল প্রতিদান।
নীতিনির্ধারক মহল চাইলে হয়ত –
আসছে আগামি কাল থেকেই বদলে যেতে থাকবে দেশ।
কি বলেন ?
“অসম্ভব কে সম্ভব করাইতো এনআইডি’র কাজ”
-০-
প্রতিকি ছবি
৩৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নুবেল প্রাপ্তি থেকে খুব সামান্য দূরে!
চার খানা এস্তেমালের বিষয়টি শুধু এ্যাড করলেই কেল্লা ফতে!
এস.জেড বাবু
ঐ দিকে সময় দেয়ার সময় কই আসলে।
নাওয়া খাওয়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকি যে,
তাছাড়া খেটে খাওয়া মানুষ, দিনের অন্ন দিনেই জোগাতে হয় এখনো।
বিষয়টি পশ্চিমা বিশ্বে বর্তমানেও এক্টিভ। কারও ন্যাশনাল আইডি ভেরিফাই করলে তার বৈবাহিক অবস্থা বলে দেয়া যায়। এমনকি দ্বিতীয় বিবাহ রেজষ্ট্রি সম্ভব হয় না যতক্ষন না পূর্বের পার্টনারের সাথে আইনত ছাড়াছাড়ি হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
আর ডান হাতের বিষয়টি- ও আমলে রাখতে হবে!
এস.জেড বাবু
এইটাই তো বুঝি না-
লেন-দেন বুঝি
শুনেছি আজকাল লেন-দেনে ডিগ্রী ও কিনতে পাওয়া যায়। হাহাহা। অবশ্য আমি ক্ষুদ্রতর বযাবসায়ি, ডিগ্রী লাগে না- ভালমত যোগ বিয়োগ করতে পারলেই ক্যাশম্যামো লিখা যায়।
শুভেচ্ছা রইলো
নাজমুল হুদা
বিয়া পদ্ধতি ডিজিটাল করতে চাচ্ছেন বুঝছি।
এটাও ডিজিটাল হয়ে গেছে আরো আগেই।
এস.জেড বাবু
এনআইডি ভেরিফাই করলে ঐ ব্যাক্তি বিবাহিত কি না তা এখনো আমাদের দেশে এড হয় নাই।
বাট এনআইডি ভেরিফাই করলে আপনার নামে কয়টা সিমকার্ড আছে তা বলা যায়। আপনার বিকাশ একাউন্ট আছে কি নাই তা ও বলা যায়।
নিতাই বাবু
অ্যাপ’র মাধ্যমে সবকিছু সমাধান হলে ভালো হতো মনে হয়। যেমনটা হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ’র মাধ্যমে। আপনার যুক্তিটির সাথে আমিও একমত পোষণ করছি।
এস.জেড বাবু
সবগুলি মন্তব্য পড়েছি, আপনিই একমাত্র লিখার মূল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছেন।
আমি হয়ত তেমন করে বলতে পারি নাই যে সবাই বুঝবে। অপারগতা প্রকাশ করছি।
ঐ বিশেষ অ্যাপ শুধুই রেজিষ্টার্ড কাজীগণ এক্সেস করতে পারবে, সবাই না।
আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা
রেহানা বীথি
কথায় যুক্তি আছে।
এস.জেড বাবু
বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা অশেষ
সুপর্ণা ফাল্গুনী
জটিল আইডিয়া। আপনাকে গিনেস বুকে নাম লেখানো দরকার
এস.জেড বাবু
বিষয়টি পশ্চিমা বিশ্বে এখনো চলমান।
গিনেস বুকে নাম লিখলে আসলে ওদের নাম আগে লিখতে হবে যারা যুগ পূর্বে ঐ সব দেশে এমন আইডিয়া সফলভাবে প্রয়োগ করেছিলেন। শ্রদ্ধা তাদের প্রতি। ঐসব দেশে ন্যাশনাল আইডি ভেরিফাই করলে বৈবাহিক অবস্থা, ছেলেমেয়ের সংখ্যা ও পরিচিতি এমন হাজারো প্রয়োজনিয় তথ্য বের করতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
জানি না তারা নাম কামানোর জন্য এমন আবাসিকের করেছিলেন না মানবতার উপকারের জন্য।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
এস.জেড বাবু
আবিষ্কার
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনাকে ধন্যবাদ বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য
এস.জেড বাবু
আমরা বুক ফুলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলি।
তবে আসুক একে একে জীবনের সাথে, সময়েপযোগি / মানুষের উপকারী সব ডিজিটাল অগ্রগতি ধীরে ধীরে।
একদিন আসবে সত্যিই।
সকালের শুভেচ্ছা আপু
তৌহিদ
ওরে তোরা কে কোথায় আছিস? এই লোকরে কেউ নোবেলটা দিয়া যা!! 😃😃😃
আইডিয়া মন্দ নয়। কাজী বেটা পাজী আর হীনমনের কিছু গার্ডিয়ানের অনেক কূকীর্তি ফাঁস হতো তাহলে।
এস.জেড বাবু
তৌহিদ ভাই
উন্নত বিশ্বে এমনটা হচ্ছে আগে থেকেই, নোবেল ওদের প্রাপ্য।
আমাদের দেশে এনআইডি তথ্যভান্ডারে
– বৈবাহিক অবস্থা
– ছেলে মেয়ের সংখ্যা
– রেজিষ্টার্ড স্থায়ী সম্পদের বিবরণ
ইত্যাদি বিষয়গুলি এড করে নিলে ভাল হতো,
আমি এইটাই বলতে চেয়েছি অল্প কথায়। বুঝাতে পারি নাই ব্যার্থতা মেনে নিচ্ছি।
—
একজন মানুষ তিন চারটা বিয়ে করে,
ঘরে ঘরে বাচ্চাকাচ্চা রেখে অন্যত্র পালিয়ে যায়, বেঁচে যায়।
পশ্চিমা বিশ্বে সন্তান রেখে বৌ ছেড়ে দিলেও সন্তানের ভরন-পোষন ঐ ব্যাক্তিকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বহন করতে হয় বাধ্যতামূলেক ভাবে।
ন্যাশনাল আইডি ছাড়া চাকরি হয় না, না ব্যাংক একাউন্ট- না ব্যাংক একাউন্ট ছাড়া বেতন।
সরকার নিজ দায়িত্বে এমন ব্যাক্তিকে ট্র্যাক করে তার একাউন্ট / আয় থেকে উপযুক্ত হাতে তারই সন্তানের ভরন-পোষনের খরচ পৌঁছে দেয়।
ভেবে দেখলে পারেন আপনি/ ভাবতে পারে আমাদের সরকার।
তৌহিদ
আমার মন্তব্যে কস্ট পেলেন নাকি বাবু ভাইয়া? আপনার সিরিয়াস বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেইনি। যাস্ট পরিবেশটাকে হালকা করার জন্যই বলা।
আমাদের দেশে এসব সম্ভব তবে তার জন্য আগাগোড়া সিস্টেম চেঞ্জ করতে হবে। যা এক কথায় অসম্ভব। তবে আপাতদৃষ্টিতে আপনি যা বলেছেন যদি তা করা যেত তাহলে সমাজের অনেক স্থানেই সাম্যাবস্থা বিরাজ করতো।
ভালো থাকবেন
এস.জেড বাবু
কষ্ট পাবো কেন তৌহিদ ভাই,
আপনি আমি ভাই ভাই, নিজেদের পছন্দ অপছন্দ, চিন্তা ভাবনা, এমনকি কল্পনা গুলো এতজন হাজারও মানুষের সামনে প্রকাশ করি।
এখানে ভুল / দৃষ্টিকটু অনেক কিছুই ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃতভাবে উপস্থাপন হতে পারে।
আবার সব কিছু সবার পছন্দ হয়না, আবার যে মানুষটা কোন কিছুই পছন্দ করে না সে হটাৎ এমন এক বিষয় পছন্দ করে ফেলে যে বিষয়টি অন্য সবাই উপেক্ষা করে।
কারো সাথে / কারো কথায় কখনো কষ্ট পেতে হয়না।
আমার কোন কথায় আপনিও কখনো কষ্ট নিবেন না বলে বিশ্বাস রাখলাম।
অশেষ শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইজান।
বন্যা লিপি
হাসমু না কানমু বুঝতাছিনা…… 😆😆
ভাইডি আপনার সিরিয়াল নাম্বার সবতের আগে নোবেল প্রাইজের কাতারে😊
ডিজিলাইজেসনের বিবাহ! ব্যাপারটা খারাপ না।
প্রযুক্তিগুলান যে এত ধীরে ধীরে প্রকাশিত ক্যান হইলো? চিন্তার বিষয়।
এস.জেড বাবু
> অধিক বিয়ে বন্ধ করা যেত-
> বিয়ের পর সন্তান রেখে পালিয়ে গেলে খুঁজে বের করা সম্ভব হত। একদিন সন্তান রেখে পালিয়ে যাওয়া মানুষটাকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত ভরন-পোষন আদায় করা যেত।
এমনটা অন্য সব দেশে হচ্ছে অনেককাল আগে থেকেই। নোবেল আসলে ওদের প্রাপ্য, যদি পায়।
বিষয়টি আমাদের সরকারের দৃষ্টিগোচর অবশ্যই হয়েছে বলে মনে হয়, কার্যকর হলে “হাসবে” আগামী প্রজন্মের সবাই।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
সকালের শুভেচ্ছা।
সাবিনা ইয়াসমিন
বাহ! বিয়ে নিয়ে ভাবনা আর না, আর না।
বাবু ভাইয়ের আবিষ্কারে
এবারে সফল হবে প্রত্যেকের বিয়ে,
তবে এই এ্যাপ কি আদৌ কেহ ডাউনলোড করবে কিনা, ঐটা নিয়ে আরেকটা গবেষণা দ্রুত শুরু করে দিন। প্রযুক্তির খাতিরে, যুক্তির তর্কে কতখানি মুক্তি মিলে আমরা অধির আগ্রহ নিয়ে দেখার অপেক্ষায় আছি। 😀😀
এস.জেড বাবু
আবিষ্কার অনেক আগের আপু,
আমি আমাদের দেশে প্রয়োগের কথা বলেছি মাত্র।
শ্লোগান টা এমন হবে-
“অধিক বিয়ে নিয়ে ভাবনা-
যদি কারো মনে থাকে তা রেখ না”
এনআইডি ভেরিফিকেশান ছাড়া কাবিন রেজিষ্ট্রি হবেনা।
হাহাহা
ডিজিটাল প্রত্যাশার শুভেচ্ছা রইলো আপু
শুভ সকাল
শাহরিন
দারুণ যুক্তিসঙ্গত লেখার সাথে আমিও একমত। আশাবাদী সেদিন ও আসবে। নতুনের উদ্ভাবনের আশায় আছি সকলে। নিজের টা তো শেষ আশা করি পরবর্তী প্রজন্ম এই সুযোগ পাবে।
এস.জেড বাবু
কষ্ট করে তাৎপর্য বুঝে মন্তব্য করে কৃতার্থ করলেন।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপু
কামাল উদ্দিন
…………বাবু ভাই, বুদ্ধিটা কিন্তু কম খারাপ না 😀
এস.জেড বাবু
অসৎ লোকেদের বিয়ে বিয়ে খেলা বন্ধ হয়ে যেত।
এক সন্তানের মা বলে কুমারী
দুই ছেলের বাপ বলে অবিবাহিত
এগুলি বন্ধ হয়ে যেত। এবং একদিন তা হবে।
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইজান
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা হা
চমৎকার আইডিয়া
ভাইয়া আর দেরী না করে একটা অ্যাপস তৈরি করে ফেলুন।
এস.জেড বাবু
সরকার চাইলে অবশ্যই দারুন সব অ্যাপস তৈরী করার মতো সামর্থবান লোকবল আমাদের দেশের আছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সংকুলান করার সামর্থ ও ইচ্ছে – এই কাজটা দ্রুততার সাথেই করবে ইনশাআল্লাহ।
বিয়ে রেজিষ্ট্রেশান হলে এনআইডি মালিকের বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন হবে।
বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন হলে, মা বাবার এনআইডি তে নিবন্ধন হবে।
এটা আমাদের দেশে চমকপ্রদ, উন্নত বিশ্বে বাস্তবতা।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু
শুভেচ্ছা সকালের।
জিসান শা ইকরাম
চিন্তাটা কিন্তু আসলেই দারুন। এপসের মাধ্যমে বিকাশ, পাঠাও একটি বিপ্লব এনেছে। পাত্র পাত্রী খুঁজে নেয়া এবং সঠিক ম্যাচের বাছাই করে বিয়ে করা- দারুন একটা ব্যাপার হতো।
দুই নাম্বারী পাত্র পাত্রীও ধরা খেয়ে যেতো 😀
এস.জেড বাবু
এনআইডি তথ্য ভান্ডারে ব্যাক্তির বিয়ে এবং তালাক রেজষ্ট্রি/ নিবন্ধন করলে এবং কাবিননামা ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেজষ্ট্রি করতে হলে, মিথ্যে বলে কেউ একাধিক বিয়ে করতে পারবে না।
লোক ঠকানো বন্ধ হবে।
ধন্যবাদ ভাইজান
মনির হোসেন মমি
হা হা হা একেবারে নির্ভেজাল পদ্ধতি। খুব ভাল হয় ।
এস.জেড বাবু
জ্বী ভাই
এনআইডি চেক করলেই যদি জানা যেত বিবাহিত না অবিবাহিত
এবং ছেলে মেয়ে কয়জন, তাহলে অনেক ধান্ধাবাজের ধান্ধা বন্ধ হয়ে যেত।
ধন্যবাদ ভাইজান
মনির হোসেন মমি
এটাও সময়ের দাবী।হয়ে যাবে একদিন। ধন্যবাদ।
মাহবুবুল আলম
গ্রাম বাংলার বিয়ে পড়ানো রীতি দেখে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে গেল!
শুভেচ্ছা জানবেন । ভাল থাকবেন।
এস.জেড বাবু
সম্ভবত ছবিটার কথা বলছেন,
এটা নেট থেকে প্রতিকি ছবি হিসেবে নেয়া।