শপিং ব্যাগ

শুন্য শুন্যালয় ৬ নভেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০৭:১৭পূর্বাহ্ন ছবিব্লগ, বিবিধ ৪৯ মন্তব্য

আমার মায়ের মোটা কাপড়ে বানানো শপিং ব্যাগের দিন শেষ অনেক আগেই, বাদামী কাগজের বস্ত্রসম্ভার মার্কা শপিং ব্যাগের দিনও শেষ।
এই বস্ত্রসম্ভার দোকান থেকে যাই কিনতাম না কেনো, অবধারিত ভাবে রাস্তায় ছিড়ে পরতো। দিন পাল্টেছে, এখন একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি সিস্টেম চলে, তাই বিক্রেতারা এখন কিছু বিক্রি করলে সাথে সাথে বিনামূল্যে তাদের বিজ্ঞাপনটাও প্রচার করছেন।

খাবার দাবার যাই-ই কিনুন, মনে রাখতে হবে আমাদের পাকস্থলির কথা। চমৎকার একটি স্বাস্থসচেতনামূলক ব্যাগ। একবার ভাবুন তো আমাদের পাকস্থলীও যদি এইভাবে দেখা যেত? তাহলে সোনেলার সব ব্লগারদের পেটে এখন তেতুল আর তাল দেখা যেত 😛


এটি একটি ওজন কমানোর ঔষধ কোম্পানির ব্যাগ। ঔষধটি কেনার আগে এবং পরের অবস্থা দেখুন। বিনামূল্যে শুধুমাত্র শপিংব্যাগের মাধম্যেই এরা বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। কে কে ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস দিয়ে ঔষধটির নাম খুঁজছেন?


এটির ডিজাইন কি ভেবে করা তা বুঝতে পারছিনা, তবে এমন ভাবা যেতে পারে, শপিং ব্যাগ পূর্ণ হয়ে গেলেই পুরুষের গলায় ফাঁসি পরে… তবে আমাদের মেয়েদের যতই অপবাদ দিন, আমরা খুবই মিতব্যয়ী। ঠিক কিনা বলুন?


অটিজম শিশুদের প্রতি সহানুভুতির হাত বাড়িয়ে দিন, এই স্লোগানের চিন্তাতেই এই শপিং ব্যাগের ডিজাইন করা হয়েছে, হাও কিউট না?


বাড়ি গিয়ে কত্তো কাজ করতে হবে, পথে ফিরতে ফিরতেই বিটিং কাজটা সেরে ফেলি।


বান্দরের বাচ্চা, তোরে কইছি মাইয়াগো টিজ করবিনা, তারপরেও? চল আজকে বাড়ি।


একটু পরেই জবাই করে খেয়ে ফেলবেন, তার পরেও এইরকম ঘেটি ধরে বাড়ি নিয়ে যাবার দরকার ছিলো?

এটাকে চেনা যাচ্ছে? ইহার নাম ক্যাসেট। আহারে টেনে টেনে ফিতে বের করা, আর কলম দিয়ে ঘুরানো মিস করি খুব।

আগেকার সময়ে লোকে ইলিশ মাছ কিনে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে বাড়ি নিয়ে আসতো সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে,  আর আমি এত্তো দাম দিয়ে ক্যামেরা কিনছি, না দেখাইলে ক্যামনে চলে?

আমারে নাকি কেউ ভয় পায়না !!! হেহ, এইবার দেখি।

শুধুমাত্র বুদ্ধি খরচ করে এরা একই সাথে পন্য বিক্রি করছেন আবার অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রচারনা চালাচ্ছেন। আর আমরা সব বুদ্ধি খরচ করছি ব্লগে আর ফেসবুকে। হয়ে উঠছি ব্লগার আর বুকার। মন্দ কি?
বিঃদ্রঃ ইহাও একটি বিনামূল্যে প্রচারনা।

১৫৮০জন ১৫৭৫জন
0 Shares

৪৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ