উত্তরার একটি পার্কে দুজনের প্রথম ডেটিং। বাসা থেকে নেমে রাস্তায় কিছুদূর গিয়ে বাসস্টান্ড। দাঁড়িয়ে আছে ঝিরি। প্রশ্ন ফোন দিয়েছে, ‘ঝিরি তুমি আসার সময় সাদা সুতো আর সুই নিয়ে এসোতো, আমার টি- সার্টের একটা বোতাম খুলে গেছে’। বলেই কল কেটে দিলো।
এমন কথা শুনে ঝিরি হতবাক, প্রথম ডেটিং তাদের, কত রোমান্টিকতায় পূর্ণ থাকবে সময়, এর মাঝে সুই সুতো! জীবনে কেউ প্রথম ডেটিং এ সুই সুতো নিয়ে গিয়েছে!
ঘন্টা খানেক পরে, উত্তরা লেক ঘেষে ঘন সবুজ গাছ পরিবেষ্টিত সিমেন্টের একটি বেঞ্চে দুজন যুবক যুবতীকে দেখা গেলো। যুবতীটি পরম যত্নে খুলে যাওয়া যুবকের বুকের কাছের একটি বোতাম সুই সুতো দিয়ে লাগাচ্ছে, লাগানোর পর দাঁত দিয়ে সুতো কাটছে। যুবতীর মনে স্বর্গীয় সুখ, সুধু বোতাম লাগানোতেই এত সুখ! দাঁত দিয়ে সুতো কাটার সময়ে যুবতীর নাক যুবকের বুকে স্পর্শ।
এই প্রথম যুবতীটি যুবকের শরীরের গন্ধ নাকে নিল, গন্ধটি অনেক চেনা।
৬২টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
🎖🎖🎖
জিসান শা ইকরাম
ইমো চলবে?
নাকি পোত্তম এর মেডেল?
প্রহেলিকা
মেডেল মেডেল! মন্তব্যতো এত সহজে করা যায় না।
জিসান শা ইকরাম
পোত্তম মন্তব্যের প্রতিযোগী ( মেহেরী তাজ) এসে যাবে অচিরেই, মেডেল পাওয়াটা কঠিনই হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।
প্রহেলিকা
মেডেল আমি আনতে যাই না, মেডেল আমার কাছেই চলে আসে। সবসময় দেখেনই কে পায় এটা।
ছাইরাছ হেলাল
যুবক গন্ধ নিলে লেখকের সমস্যা কী!!
বুক চিড়ে রক্ত খেয়ে ফেলুক,
সোনেলা তো পরে প্রেম ছয়লাব হই গেল।
জিসান শা ইকরাম
কুনই সমস্যা নাই,
রক্ত মাখা কইলজা খাক সুই দিয়ে গুতিয়ে, তাতে আমাদের কি?
প্রেম ছাড়া দুইন্যাই অচল,
সোনেলাকে সচল রাখা লাগবে না?
প্রহেলিকা
মিষ্টি একটা গল্পের ভেতর কোত্থেকে আবার রক্তমাংস ঢুকাই দিলেন আপনারা।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার সাথে সহমত। সুখের মাঝে দুখ কেন??? মানুষের সুখ অন্যের সইনা এটা দেখছি।
জিসান শা ইকরাম
এরপর গল্প লিখলে তেতো আর টক গল্প লিখবো ভাবছি, প্রহেলিকা মজিবর।
মোঃ মজিবর রহমান
তেতোতে পেটের সমস্যা আর টকে ভিটামিন সি আর আর শারিরিক সমস্যা দূর করবে!!!
প্রহেলিকা
আহ আহ! বাহ বাহ! আমি যত প্রেমের গল্প এ যাবৎকালে পড়েছি, তবে এই গল্পের মতো কোনো গল্প শেষ করে প্রেম করার ইচ্ছা জাগেনি। বুড়া হইসি নাইলে আবার ট্রাই করা যেত। কত্তো কিউট একটা গল্প লিখলেন আপনি। যুগ যুগ ধরে মনে থাকবো মইরা গেলেও ভুলব না এই গল্পের কথা। মুখস্ত, ঠোটস্ত, অন্তস্ত, পড়স্ত হয়ে গেছে একবার পাঠেই।
এই গল্প পড়ে সোনেলার কোন ব্লগার যে কোন দিকে ভৌ-দৌড় দিবে তা বলা মুশকিল। সবাইকে সামলান কঠোর হাতে।
জিসান শা ইকরাম
বুঝি কিন্তু প্রহেলিকার মন্তব্যের ভিতরের মন্তব্যকে ☺
আর কেউ দৌড় না দিলেও জিসান যে দৌড় দেবে তাতে সন্দেহ নাই, তারে সামলানোরও কোন ইচ্ছা নাই৷
প্রহেলিকা
মন্তব্যের ভেতরে আবার কিসের মন্তব্য! ফকফকা সব তো বলেই দিলাম, ইচ্ছা করতেছে প্রশংসা করে ভাসাই ফেলি। কিন্তু এমন আরও পাওয়ার জন্য অল্প করে করলাম।
জিসান শা ইকরাম
গুপনে এক কাজ করা যায়,
প্রহেলিকা একটা গল্প লেইখ্যা মন্তব্যে দিয়ে দিক, আমি তা আমার পোস্ট এডিট কইর্যা আমার নামেই চালায়ে দেই।
সব আমরা আমরাইতো 😊😊
প্রহেলিকা
আমি রীতিমতো হেনস্তার শিকার মনে হচ্ছে।
নেক্সট গানের লিরিক্স “আমারে পচাইয়া কি সুখ যে পায়”
মোঃ মজিবর রহমান
প্রহেলিকা ভাই ভাসায়ে দিয়েন না। থাকতে দিন না হলে এরকম মিস্ট প্রেমের গল্প পাব কোথায়??
প্রহেলিকা
প্রশ্নঃ এত সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প লিখে শেষ হবার পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
জিসান শা ইকরাম
অনুভুতি হচ্ছে গল্প লেখা আমায় দিয়ে হবেনা,
তৌহিদ
নাম দুটো কিন্তু বেশ হয়েছে ঝিরি এবং প্রশ্ন। এমন প্রেমের গল্প যে লিখে তার মনে কত প্রেম তাই ভাবছি।
লেখক যেন আবির্ভূত হয়েছেন তারুণ্যের প্রেমের দীপ্তি নিয়ে।
জিসান শা ইকরাম
প্রেম বিহনে বাচেনা প্রেম ভাই,
তৌহিদ
তাইতো! এভাবে ভাবিনি আমি।☺
প্রহেলিকা
ভবিষ্যতবাণীঃ গত ৩০ দিনের জনপ্রিয় লেখায় এই লেখা অতি শীঘ্রই স্থান করে নিবে।
মোঃ মজিবর রহমান
যাই পাক মনে থাকবে এটা নিশ্চিত।
জিসান শা ইকরাম
স্থান নিয়ে ভাবা উচিৎ না মজিবর ভাই।
জিসান শা ইকরাম
মনে হয় না,
আমার লেখা ওখানে স্থান করে নেয়ায় আমি অস্বস্তিতে থাকি।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনিত অখানে স্থান পান না, পাই আপনার লেখা। ভাল থাকুন।
মাহমুদ আল মেহেদী
আমিও চাই এই লেখা শীর্ষস্হানীয় লেখায় থাকবে। অনেক সময় পার করে সোনেলা একটা প্রেমের গল্প পেল। জিসান ভাইয়ের হাত ধরে। সমাপ্তিটা শিহরণ ।
জিসান শা ইকরাম
আমি সত্যি চাইনা এই লেখা শীর্ষ পঠিত লেখায় আসুক,
শুন্য শুন্যালয়
এতো রোমান্টিক গল্প ক্যাম্নে লেখে!! 🙂
ভাষার কাঠিন্য নেই, হাজার উপমা নেই, যাস্ট বলে যাওয়া।
সবাই তো সব বলে গেলো, আসলে ঠিক তা নয়, এক প্রহেলিকাই একশো কথা বলে গেলো, কিছু তো পাচ্ছিনা লেখার মতো। প্রেম করতে মন চাচ্ছে এই লেখা পড়ে 🙂
প্রহেলিকা
পরোক্ষভাবে বাচাল বইলা গেলেন আপনি! কোথায় যেন শুনেছিলাম, ক্ষমতাবান মানুষ যখন ক্ষমতা হারায় তখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। প্রথম হতে না পেরেই এত ক্ষেপছেন।
যাইহোক আপনাকে প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে ঘোষনা করলাম।
জিসান শা ইকরাম
আজ আমি লেক্তে পারিনা বলে প্রশংসার নামে এমন করে বললেন,
আর লেখুমই না।
আপনি কিন্তু আপনার প্রেমের কাহিনী গুলো আমাকে ইনবক্স করেননি এখনো।
গল্পের মত করে লিখে দিয়েন, আমি আমার নামেই না হয় প্রকাশ করে দেবো।
কৃতজ্ঞতা শুন্য শুন্যালয় দিয়ে দেবো 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা আচ্ছা ইনবক্স করতেছি প্রেমের গল্প। আউলাইয়া যাইয়েন না যেন! 🙂
জিসান শা ইকরাম
ইনবক্স করেন করেন। এই সিরিজের ২য় পর্ব থেকে বলতেছেন যে আপনার প্রেমের গল্প দেবেন কয়েকটা। একটাও পাইনি। ভয় পাবেন না, আপনার নাম প্রকাশ করবো না। আমি আউলাইয়া যাবো না 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
মিষ্টি প্রেমের গল্প মিষ্টিতে ভরপুর হয়ে আছে। নট–সুগারিরা ইনসুলিন নিতে দ্বিকবিদিক হয়ে কোথায় কোথায় হামলে পড়ে কে জানে!! 😂😂
মনে হচ্ছে অষুধের দোকানীরাও আজ মিষ্টি খাবে মিষ্টি প্রেমের গল্পের প্রভাবে।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা,
কাক এর গান শুনে মানুষ যেমন পালায় তেমন?
ঔষধের দোকানে খবর নিতে হয় তাহলে।
ইঞ্জা
আহ প্রেম 😍
এমন করে লেখেন যেন নিজেই সেই যুবক, দারুণ লিখেছেন ভাইজান। 😊
জিসান শা ইকরাম
লেখার সময় ভাবতে হয় তো 🙂
ইঞ্জা
জ্বি ভাইজান, নিজেকে নায়ক বা নায়িকার স্থলে রাখতে না পারলে যে লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
জিসান শা ইকরাম
যা ইচ্ছে লিখুন, কত কিছু দেখছি আমরা চোখের সামনে।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ভাইসাব।
গল্প টল্প বাদ দিয়ে সমসাময়িক বিষয়ের উপরে লিখবো ভাবছি,
আপনিও লিখতে পারেন।
ইঞ্জা
ভাইজান, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কি লিখবো বলুন, কিছুই তো ঠিক নেই, সব কিছুই কেমন যেন ব্যারাছ্যারা টাইপের, বেখাপ্পা টাইপের, মনই খারাপ হয়ে যায়। 😑
মোঃ মজিবর রহমান
ছবিটি অনেক অনেক পছন্দ হইছে ভাইসাব।
জিসান শা ইকরাম
নেট থেকে নেয়া মজিবর ভাই।
মায়াবতী
“ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী ” এমন একটা ডায়লগ সমৃদ্ধ বিজ্ঞাপন নিয়মিত বিটিভি তে দেখেছি স্কুল জীবনে আর তার ই প্রয়োগকৌশল নানা ভাবে বিস্তারিত হতে দেখেছি…. স্যারের সকল লেখা খুব সুন্দর ভাবে ছোট হয়ে আসছে ধীরে ধীরে…. তারপর ও স্যার যে ডেডিকেশন নিয়ে অসুস্থতা উপেক্ষা করে ধৈর্যের বাঁধ কাঁধে নিয়ে সোনেলায় সোনার আলো ছড়িয়ে রেখেছেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাকের দরবারে শুকরিয়া মেহেরবানী…
একটা সময় আমি ( খুব ই নগন্য একজন মেয়ে ছেলে) উন্মাদের মত হুমায়ুন স্যারের বই পড়েছি আর যক্ষের ধনের মত আগলে রাখতাম তাঁর লেখা গুলো। সোনেলায় অংশ গ্রহনের পর স্যার আপনার লেখা গুলো বার বার ই আমাকে সেই সব দিনের কথা মনে করিয়ে দেন। সত্যি ই আপনি একজন লেখক এবং প্রিয় লেখক ♥♥♥
জিসান শা ইকরাম
এমন প্রশংসায় লজ্জা পাই মায়াবতী।
ছোট হতে হতে এক সময় দেখবেন লেখা নাই হয়ে গিয়েছে।
নীরা সাদীয়া
প্রথমদিনেই বোতাম সেলাই? যুবক কি তবে ইচ্ছে করে ছিঁড়েছিলো ওটা? এত অল্পেতে মন ভরে না। পর্বটি আরেকটু বড় হতে পারত। ঝিরি নামটা সুন্দর হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
নিজে মনে হয় ইচ্ছে করে ছিঁড়েনি।
হ্যা বড় হতে পারতো, তবে গল্পের এই অংশ টুকু ভালো লেগেছে আমার কাছে বেশী বলে কিছু অংশ বাদ দিয়ে দিয়েছি।
মনির হোসেন মমি
পড়েছিলাম বহু আগেেই মন্তব্যে জানান দিলাম শেষে।লেখার শুরুটা পড়লে যেই কেউ আগ্রহ প্রকাশ করবে এর শেষটা পড়ার।কিন্তু এত অল্প মন ভরল না।
জিসান শা ইকরাম
আমারো আসলে মন ভরেনি।
নীলাঞ্জনা নীলা
হায়রে পেরেম! আমি ফেরেমের লিখা ছাড়লাম, আর হগলেই দ্যাহি পেরেমের ফেরেম বানায়।
ঝিরিরে মনে হয় চিনি আমি। তিরির মুখে নামটা হুনছিলাম।
এমন একখান প্রেমের গল্প বহুকাল পড়ি নাই। একডা পেরেম করোনই লাগবো। ও নানা হয় একখান প্রেমিক খুইজ্যা দ্যাও, নাইলে এমন মিষ্টি প্রেমের গল্প লেখোন শিখাইয়া দ্যাও।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ঝিরির নাম তিরির মুখে আমিও শুনেছিলাম 🙂
আবার লেখা আরম্ভ করে,
তুই লেখো না বলেই তো লেখার চেষ্টা করলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
তিরি সেই আগের মতো কি আর আমায় পাবে?
নানা প্রেমের ভেতর ডুবে আছো তুমি সবসময়ই।
জিসান শা ইকরাম
পাবে, তিরিকে নিয়ে অন্য কিছু লেখ,
আমি প্রেমের মধ্যে ডুবে আছি কই?
কাঠখোট্টা, পাথুরে মানুষ আমি।
নীলাঞ্জনা নীলা
অহম ছাড়া তিরিকে নিয়ে লেখা অসম্ভব যে নানা।
ভালো থেকো।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা লিখিস।
অপেক্ষায় থাকি অহম তিরির জন্য।
জিসান শা ইকরাম
অহম তিরিকে নিয়ে লেখ মাঝে মাঝে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে নানা লিখবো কোনো এক সময়।
সেডরিক
গন্ধটা চেনা হইলো কিভাবে, প্রথম ডেট না? যুবক কোন বডি স্প্রে ইউজ করে? 🤨
জিসান শা ইকরাম
বডি স্প্রের কারনে চিনতে পারে, বা ব্যাখ্যাতিত অন্য কোন কারনে।
রিতু জাহান
ওরে! আমার ভাইটা কি রোমান্টিক
এমন একখান দৃশ্য কোনোদিন হইলো না জীবনে। বোতাম ছিঁড়ে গেলে দেয় কষে ধমক। বলে,’ একটু খেয়াল করবে না!’
আমি তখন মনে মনে বলি, খাড়ুচ একটা ব্যাটা প্রেম করেছে ক্যামনে!’
সকাল স্বপ্ন
জীবন এর চৈত্র মাস এর কথা
গল্প- ভাল