আজ জোড়া ভোরে
সুবেহ সাদেকের পয়লা রোশনিতে
তাজ্জব আমি, স্নায়ুর তন্ত্রীতে কাঁপন লাগিয়ে,
তাকাতাকি-দেখাদেখি ক’রে ক’রে
না-দেখা-না-দেখি ক’রেও
দেখা হয়েই যায়!!
সিনা চিতিয়ে সংগোপনে না-ক্যাঁচমাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে
আন্ধার-আলো করে তল-কুঠুরিতে নেয় টেনে,
ক্যাঁচরম্যাঁচর করে, ধুমান্ধারর পরামিশ দেয়,
খুব পরামিশ দেয়, যুদ্ধে ঝাঁপানোর!
কাজে-কামে উদ্যম-রহিত হালতে (তাগা-তাবিজ ব্যর্থ)
আগে বাড়ি না, কামিয়াব না-হওয়ার ভয়ে;
৪৩টি মন্তব্য
অরণ্য
হে কবি হে চিত্ত!
আগে যে বাড়াতেই হয়;
তবেই না কাটে ভয়!
তোমায় দেখেই ভয়ে মরে ভয়
থামায় উদাম নৃত্য।
হেলাল ভাই, লেখাটা বোধহয় একটু বুঝলাম। ভাল লাগলো। (y)
ছাইরাছ হেলাল
আগে বাড়তে চাইলেই কী সব সময় আগে বাড়া যায়!!
সাধ্যের ব্যাপারটি উপেক্ষা করা যায় না সব সময়,
অবশ্যই বুঝবেন, আপনার বোঝারই কথা,
গুনী মানুষ আপনি।
অরণ্য
তবে হেলাল ভাই শব্দভান্ডার আমার খুবই কম। মাঝে মাঝে কষ্ট হয়। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না,
কম-বেশি বেশি-বেশি বলে কিচ্ছু নেই,
সব মিডিয়ার সৃষ্টি!!
মিষ্টি জিন
সাব্বাস,
এই না হলে আমাদের কুবিরাজ!!!!
কুবিতা অনেক অনেক ভালু হইছে।
এন্টেনা ছাডাই সব বুঝি ,ফকফকা দেখি। ^:^
এত সাধের চুল আমার , আর মনে হয় রক্ষা করা গেল না । ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে……………কৈ কৈ জানি যায়, মনে নেই।
এ লেখার সাধ্য সবার হয় না, সম্ভবও না,
আসলে বোঝাবুঝির কিছু নেইও, না-আউলা মাথায় পড়ে মনের মত ভেবে নিলেই হবে,
আর মাথাটির দেয়াল-সখ্যতা খুব দরকার!!
চাটিগাঁ থেকে বাহার
পরামিশ মানে কি? ;?
ছাইরাছ হেলাল
গোপনীয় পরামর্শ বোঝাতে চেয়েছি।
মৌনতা রিতু
পরামর্শ দিলেই ঝাপিয়ে পড়ব এবার শব্দ খোঁজার যুদ্ধে। কুবিতা এবার লিখেই ছাড়ুম ইতিহাস পাতিহাস সব বাদ।
ছাইরাছ হেলাল
দেরি নয় আর, ঝাঁপিয়ে পড়ুন, মাথা বিঁধিয়ে,
তবে ইতিহাস কিন্তু আমাদের লাগবে।
গাজী বুরহান
ভোরের পরামিশ দুপুরে এসে নিঃশেষ হয়ে যায় কেন? তা বুজিলাম শেষের লাইনে.. ওই যে “না-কামিয়াব” হওয়ার ভয়ে।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে দুপুর বলে কিছু নেই,
নিজের অপারগতার কথা ভেবে পারামিশ নিতে রাজি হচ্ছে না।
নীহারিকা জান্নাত
এত ভয় পেলে চলে?
এগিয়ে যান…
ছাইরাছ হেলাল
নিজের সামর্থ্যের কথা জানি বলেই ভয় পেতেই হচ্ছে!!
এগিয়ে যেতে চাইলেই কি সব সময় এগুনো যায়!!
নীহারিকা জান্নাত
ইচ্ছে করুন, অবশ্যই পারবেন…
ছাইরাছ হেলাল
দেখা আগে ইচ্ছেদের সাথে রফা করি!!
অনিকেত নন্দিনী
না কামিয়াবিরে এত্ত ডরান কেনু?
ফুঁওওওওওওওওওওওওও!
ঝাড়ফুঁক দিয়ে দিলাম, যান। এইবারে কামিয়াব হওয়ার সম্ভাবনা এক্কেরে ১০০%। (y)
ছাইরাছ হেলাল
মাঝ পথে চিৎপটাং দেয়া থেকে ডর-ভয় অনেক ভালু,
আচ্ছা আপনি কি এক নম্বর ওঝা!! কাগজ-কুগজ কিছু আছে? পূর্ববর্তী সাফল্যের হার কেমুন!!
নিজের অভিজ্ঞতা কিরাম!!
শেষে না যুদ্ধের মাঝ পথে অক্কা পাই!!
অনিকেত নন্দিনী
কাগজ কুগজ আছে মানে! জলরঙা পেলাস্টিকে মোড়ানো (লেমিনেটিং করা) ছাড়পত্র আছে তয় কথা হইলো যারা আমার চাইতে একহাত বেশি লম্বা আর যাগোর বুদ্ধিশুদ্ধি আমার চাইতে উপ্রের সারিতে হ্যারা আমার ওই ছাড়পত্র দ্যাখতে পায়না। :p
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অরিজিনাল ঝাঁড়ফুকার কী না তা না বুঝে লাইন বেলাইনে গেলে
দায় নেবেন!!
প্রহেলিকা
এতো ভয় পেলে কি হয় বলুন!! পরাজয়ে ডরে না বীর, এই তত্ত্বে বিশ্বাস রেখে ঝাঁপ দেন। ভার্চুয়ালি আমরাও সাথেই আছি। ডরের কিছু নাই। তাবিজ কবজে কাজ হবে না হে কবি, কিছুটা অনুনয় করে দেখেন হয় কি না !! অনুনয়ের ফল মিষ্ট হয় কিন্তু। আপনাকে নিশ্চয় এসব বুঝাতে হবে না আর।
ছাইরাছ হেলাল
সতের না কুড়িবার ভারত আক্রমণের কাহিনীটি আবার পড়তে হবে দেখছি,
পরাজয়ে ডরে না বীর, কিন্তু বিনা অস্ত্রে তো যুদ্ধে নামা ঠিক না,
যতই পরামিশ দিক না কেন!!
আপনি অনুনয় অস্ত্রের প্রয়োগবিষেশজ্ঞ নাকি!!
জয়ের হার শতকরা হিসাবে কেমন কে জানে।
আমার সন্দেহ হচ্ছে আপনি ‘শহীদ’, ‘গাজী’ না!!
প্রহেলিকা
শহীদ বা গাজী কোনটাই নয়। তবে ডাইনীদের ক্ষপ্পড়ে পড়িনি।
কাটখোট্টা ভাব এড়িয়ে একবারই দেখুনই না অনুনয়ের ভেষজগুণ। ফল ভালো।
মানুষকে আসলে ফ্রিতে কিছু দিতে নেই, কবিদেরতো না’ই! ফ্রিতে এতো পরামিশ দিচ্ছে নিতে অসুবিধে কই। পরামর্শ শুনুন, কে জানে পাছে ফায়দা হলেও হতে পারে। কবিরাও আজকাল দেখছি হালখাতা তৈরির দিকে মনযোগী হচ্ছে। ভালো না।
ছাইরাছ হেলাল
ডাইনিরা খপ্পর দিলে না পড়বেন!!,
সবাইকে খপ্পরের আওতায় নেয় না।
আচ্ছা চিডি লিখেছি খুব অনুনয়ে, দেখি কী হয়!!
সব ফ্রি, ফ্রি কী না আগে বুঝতে হবে, তা ছাড়া অপেক্ষার একটি ব্যাপার থেকেই যাচ্ছে,
খাতাওয়ালা একটি কবি আমিও খুঁজছি, দেখি সেখানে কী হয়!!
নিতাই বাবু
কবিতাখানি মুগ্ধ করেছে আমাকে!
খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন, তারজন্য আপনাকে কীভাবে ধন্যবাদ জানাই ভাবছি!
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি,
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিতা বুঝার কম্ম কইরা আসি নাই। তাই সব মন্তব্য ভালো কইরা পড়লাম।
যেইটা হইলো মিষ্টি জিন আপুর চুলের বারোটাও বাজছে দেখে মনটা উদাস হইলো। কারণ আমারও তো একই অবস্থা হয়, কুবিরাজ ভাইয়ের কুবিতা পড়লে। ^:^ ^:^
ছাইরাছ হেলাল
“আমার স্যার একদিন বলেছিলেন কবি যে কবিতা লেখেন তাঁর ভাব একরকম থাকে।
আর পাঠকরা সেই কবিতার মর্মকথা নিজের মতো করে তৈরী করে নেয়।”
এইটা কে জানি কইছেলে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার স্যার কইছিলেন। আমিও তো পাঠক হইয়া সেইটাই কইলাম। বুঝার মতো ঘিলু নাই আমার। 😀
শুন্য শুন্যালয়
কিচ্ছু বলছিনা, দেখছি শুধু। ভেবেন না লেখা ফিরবে না আর। তখন দেখিয়েই দেব ভোর নিয়ে লেখার মজা!
বাই দ্যা ওয়ে, জোড়া ভোরের যুদ্ধ আহ্বান? ;?
গায়ে গুয়ে শক্তির জোড়, জিরাফ লম্বা দেহ আর মেগা সূচালো কলম নিয়েও না কামিয়াব হবার ভয় কি হে বাপু?
ইয়ে এতো জায়গা থাকতে তল কুঠুরি কেন?
ছাইরাছ হেলাল
ভোরের মৌরসিপাট্টা নিয়েছেন মনে লয়!!
আল্লার দুইন্নাইতে কোন কিছুর অভাব নেই, এ-কালে!!
দেরি করতে চাই না, মজা এক্ষুণি চাই,
সামর্থ্যের দিকে তাকালে ভয় লাগেই!!
শুনেছি তলকুঠূরিতেই নাকি সব আনন্দ-খনি!! তাই পরামিশ দিতেও সেখানেই ঠাই!!
মোঃ মজিবর রহমান
সৎ শসে আগে বাড়ান দুই হাত ফেরত পাবে কিছু থেকে।
দয়াল দেবেই।
ভয় না করি
কাজে নেমে পরি
ভয়ডর টুটেজাবি
বালামসিবত পালাবি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন বলছেন তখন হালে যেন পানি পাচ্ছি!!
নীরা সাদীয়া
বেশ কঠিন লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, কোন কঠিন না;
জিসান শা ইকরাম
পারিবনা একথাটি বলিও না আর,
একবার না পারিলে দেখো লক্ষবার,
ব্যাপারনা।
মজারু হইছে।
ছাইরাছ হেলাল
শতবার তো অনেক বেশি হয়ে গেল!!
মেহেরী তাজ
ভাইয়া কমায়াবি হওয়া না হওয়া তো পরের কথা!
সামনে না বাড়লে কিভাবে হবে?
ছাইরাছ হেলাল
হ, সামনে বেড়ে কুপোকাত হই আর কী!
বুদ্ধি সুবিধার মনে হচ্ছে না।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আমরা এতোগুলা,সোনামুখ আপনার সাথে থাকতে আপনাকে কুপোকাত করবে এমন সাধ্য কার?
বুদ্ধি সুবিধার না নয় সে আগ না বাড়লে বুঝবেন না!
ছাইরাছ হেলাল
যাক, আপনি এমন ভাবে সাহস জোগালে আশাবাদী হতে ইচ্ছে হয়,
আগে বেড়ে সব বুঝতে হবে!!
আবু খায়ের আনিছ
যাক শেষ পর্যন্ত রক্ষে, ভাবলাম কান ঘেষে চলে যাবে। ভয় পেলে কি আর হবে?
ছাইরাছ হেলাল
অনেক সময় ভয়ও পেতে হয়।