যে শহরের জীবিত মানুষের চেয়ে কবরের সংখ্যা বেশি। নাজাফ শহরের জীবিত মানুষের সংখ্যা ৬ লক্ষ, আর শহরের কবরস্থানের কবরের সংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি।
ওয়াদি আল সালাম হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ কবরস্থান। ইরাকের নাজাফ শহরে এর অবস্থান। ওয়াদি আল সালাম অর্থ হচ্ছে ( Valley of Peace ) শান্তির উপত্যকা। এটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম কবরস্থানও হিসেবে গন্য করা হয়।
যতদুর দৃষ্টি যায়, শুধু কবর আর কবর । এটি ইরাকের বাগদাদ থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত। প্রায় ছয় বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে কবরস্থানটি । নাজাফ শহর শিয়া স্মপ্রদায়ের তৃতীয় পবিত্র শহর হিসেবে পরিগনিত। যার ফলে শিয়া সম্প্রদায়ের অনেক শাহ, কিং , প্রিন্স, প্রিন্সেস, ধর্মিয় নেতা, উচ্চ পদস্থ সামরিক নেতা, দার্শনিক তাঁদের শেষ শান্তির আবাস এর জন্য এই স্থানকে বেছে নিয়েছেন।
এই ছবি বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
গুগলআর্থ থেকে দেখলে মনে হবে এটি কোন পারমানবিক বোমায় ধংশপ্রাপ্ত শহর।
ইমেজ বড় করতে থাকুন, দেখবেন ধীরে ধীরে কবর স্থানটি স্পস্ট হচ্ছে।
এই ছবি বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
প্রতি বছর এই শান্তির উপত্যকায় নতুন করে আশ্রয় নিতে আসেন পাঁচ লক্ষাধিক মৃত মানুষ।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন কবর জিয়ারত করতে।
তাই অনেকেই মৃত্যুর পরে এখানে সমাধিস্থ হতে চান।
এই ছবি বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
এখানে বিভিন্ন ধরনের কবর আছে। বাধানো ছোট কবর, টাওয়ার কবর ( এটি বেশ বড় বড় ভবন বলা যায় ) , বাধানো ব্যাতিত কবর। টাওয়ার কবরে রুম আছে, যেখানে এসে মৃতর আত্মীয় স্বজন প্রথমে বিশ্রাম নেন, পরে সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে কবর জিয়ারত করেন। এর সংখ্যা খুব বেশি নয় ।
এটি এখন বিশ্বের অন্যতম দর্শনিয় স্থান হিসেবে পরিগনিত। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লক্ষের অধিক দর্শনার্থি এই কবরস্থান দেখার জন্য আসেন।
এই ছবি বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
ওয়াদি আল সালাম ( Valley of Peace ) শান্তির উপত্যকার একটি ভিডিও দেখুন
কোন তথ্য বাদ পরে গেলে বলবেন। কিছু একটা দিতে ভুলে গিয়েছি, এই মুগুর্তে মনে পরছেনা।
কিছু ফটো এবং প্রশ্ন
কবরথানের অভ্যন্তরে এই জীপের সৈনিকগন কি আসল ?
আমাদের দেশের ইসলাম রক্ষকরা কই ? কবরে ফটো দিয়েছে কেন ?
নাউজুবিল্লাহ ! কবরে মোমবাতি ! এরা অগ্নি উপাসক। নাস্টেক ।
হায় হায় হায় , তেতুল হুজুর আপনি কুতায় ? কবরস্থানে তেতুল ! আপনি ইরাক চলে যান তেতুল হুজুর ।
হেফাজত করেন ইসলামের। ইরাকের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেন- তেতুল কেন কবরস্থান ?
এই কারটি এখানে এসে শাহাদাৎ বরন কেন করলো ? কারন অজ্ঞাত
৪১টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুন্দর উপস্হাপনা।
শিশির কনা
ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
পোষ্টে ভেরিয়েশন এনেছেন, ভালো লাগলো এটা।
এই পোষ্ট সিরিজ করা যায় —
বৃহৎ ১০ টি সিমেট্রি ধারাবাহিক ভাবে দিতে পারেন।
শুভ কামনা ।
পাগলা ঘন্টা
সহমত পোষণ করছি জিসান ভাইয়ে মতের সাথে । চমৎকার উপস্থাপনা।
শিশির কনা
ধন্যবাদ পাগলা ঘন্টা ভাইয়া।
শিশির কনা
পাগলা ঘন্টা? এই নামে কি কোন আইডি ছিলো? নিক পরিবর্তন করা হয়েছে কি?
শিশির কনা
আচ্ছা করবো। ভালো আইডিয়া পেলাম 🙂
বনলতা সেন
আপনি না বললে কিছুই জানা হত না ।
প্রকৃত ব্যাখ্যা আমরা মন হয় কখনও জানতে পারব না ।
শিশির কনা
আসলেই, প্রকৃত ব্যাখ্যা আমরা মন হয় কখনও জানতে পারব না ।
মিথুন
বৃহৎ কবরস্থান কোনটি এমন চিন্তা ভাবনা কোনোদিন করিনি :p জানলাম। বছরে ৫ লাখ মানুষ এখানে সমাহিত হন। ভাবতেই তো পারিনা। কবরে ফটো, মহিলারা যেতে পারছেন কবর জিয়ারতে ? অবাক হলাম।
শিশির কনা
আমিও তো অবাক আপু।
শাদমান সাকিব
আমাদের ধর্মের যে কে জিম্মাদার তা জানিনা ।
মসজিদের ভিতরে তার সুন্দর অবকাঠামোর ছবি তোলার জন্য ঢুকতে দিতে চাইল না ।
শিশির কনা
মসজিদের মধ্যের অবকাঠামোর ছবি তোলাও নিষেধ? 🙁
কৃন্তনিকা
কিছুই জানতাম না পৃথিবীর বৃহত্তম কবরস্থান সম্পর্কে। আজ প্রথম জানলাম। জানানোর জন্য ধন্যবাদ। 🙂
লেখার ভঙ্গি বরাবরের মতই দারুণ। (y) (y) (y)
শিশির কনা
আমিও জানতামনা আপু, গতকাল কি মনে করে সার্চ দিয়ে পেলাম এটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্লগার সজীব
শহরের জনসংখ্যার চেয়ে কবরের সংখ্যা বেশি। এত দেখি এলাহি কাজ কারবার। বছরে পাঁচ লক্ষ মানুষকে কবর দেয়া হয় এখানে। বিশ লক্ষ দর্শনার্থি। দারুন এক পোষ্ট দিলেন। জানতামনা কিছুই। মুসলিম কবরে ফটো, মহিলা ! আমাদের ইসলাম মনে হচ্ছে এদের থেকে আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে ড: শিশির কনা 🙂
শিশির কনা
ড: শিশির কনা :p মনে আছে আপনার ?
ছাইরাছ হেলাল
এই বিভেদের বেড়াজাল পেরিয়ে প্রকৃত সত্য আমরা কবে জানব কে জানে ।
শিশির কনা
প্রকৃত সত্য মনে হয় আমাদের জানা হবেনা
জিসান শা ইকরাম
” এই ছবি বড় করে দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন ” — এই আইডিয়াটিও নতুন এখানে।
অন্যরা অনুসরন করলে ভালোই হয়।
শিশির কনা
মুল ছবি দিলে পেইজ জুড়ে আসে, ভালো লাগছিলোনা, তাই এমন করে দিলাম।
স্বপ্ন
এসব কিছুই জানতাম না। ব্লগে আসলে অনেক কিছুই শিক্ষা গ্রহন করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
শিশির কনা
এজন্যই তো ব্লগে আসি আমরা ।
মিসু
শিশির আপনি লেখায় বেশ পরিপক্ক হয়েছেন এতদিনে। যতটুকু দরকার, ঠিক ততটুকুই লিখতে শিখেছেন। এত বড় গোরস্থান আছে, তা ধারনাতেই ছিলো না। আমাদের দেশে গোরস্থানে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। বুঝলামনা হুজুররা এই সিদ্ধান্ত কোথায় পেলেন।
শিশির কনা
হুম সেটাই। লজ্জা পেলাম মিসু আপু :p
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
তাজ্জব হয়ে গেলাম, এত কবর এক স্থানে? কবরে ফটো ? মহিলারা কবর জিয়ারত করছেন !
শিশির কনা
তাজ্জব আমিও হয়েছিলাম প্রথম দেখে।
সাবালক
অসাধারণ উপস্থাপনা, এমন পোষ্ট অনেক প্রয়োজনীয়, অনেক কিছু জানার এবং শেখার থাকে, অবশ্যই আপনাকে এই পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ, আমি বারকয়েক পড়েছি এবং সব তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছি, এমন পোষ্ট আরো চাই।
শিশির কনা
ধন্যবাদ আপনাকেও। এমন পোষ্ট আসবে আরো।
শুন্য শুন্যালয়
সত্যিই অবাক হলাম। মোমবাতি, ছবি, নারী। ওনাদের মুখ থেকে ব্যাখ্যাও জানতে করছে, এই পোস্ট দেখে আমাদের অতি জ্ঞানী দেশি ভাই ভাইরা কি বলে তাও জানতে ইচ্ছে করছে।
চমৎকার পোস্ট। জানানোর জন্য এক ধন্যবাদ তো পাবেনই।
শিশির কনা
দেশি জ্ঞানী ভাইয়েরা নুতন কোন ব্যখ্যা দিবেন হয়ত। আপনাকেও ধন্যবাদ।
মরুভূমির জলদস্যু
তথ্যবলহুল চমৎকার উপস্থাপনা। বিষয় বস্তু একটু মন খারাপকরা।
শিশির কনা
ধন্যবাদ আপনাকে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
বড় ছবি গুলোতে ক্লিক করে তো ভয় পেলাম। এতো ধারনার অতীত একটি স্থান। ধন্যবাদ এমন সুন্দর উপস্থাপনা এবং জানানোর জন্য।
শিশির কনা
আমি প্রথম যখন দেখি আমিও অবাক হয়ে গিয়েছিলাম নীলাদি। ধন্যবাদ আপনাকে।
লীলাবতী
ড: শিশির কনা, আপনি আসলেই একটি ভালো পোষ্ট দিয়েছেন। সিরিজ চাই সিরিজ।
শিশির কনা
সিরিজ হবে লীলাদি। ড: বলার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা (3
মিথুন
নুতন পোষ্ট চাই আপু।
শিশির কনা
কি যে লিখি তাই তো ভেবে পাইনা আপু 🙁
ঘুড্ডির পাইলট
নাজাফ এর কথা জানতাম কিন্তু পরিসংখ্যান জানতাম না ।
অবাক হলাম এখানে কবরের সংখ্যা্ জেনে ! চমৎকার পোস্ট !
শিশির কনা
আপনি চমৎকার বলছেন, এত আনন্দ রাখবো কোথায় ? ধন্যবাদ আপনাকে।