রাতের বুকে বালতি বালতি জ্যোৎস্না ঢেলে
চাঁদ হেসে ওঠে, ধ্রুপদ আলোর নিপুণ মূর্ছনায়
অনন্ত-তৃষ্ণা ডানা মেলে, নিভৃতে রোপণ করা
স্বপ্ন অভিলাষে, ঝাঁপায় এদিকে-ওদিকে;
খুবই স্বাভাবিক,
ঝকানো বিজ্ঞাপনে নটি সুখের মিচকে হাসি
একটি নিলে একটি ফ্রি, দু’টিতে তিনটি!!
শহুরে অহংকার ছুঁয়েছে চুল থেকে পায়ের নখ অব্দি;
এই-ই হয়।
আলোকসুন্দরী পাখিরা আধারেই খুঁজে নেয় উলুবন
ভাগ্যের দোহাইয়ের জিকিরে, বাঁকে বাঁকে।
অস্বাভাবিক নয় কিছুই এখন,
সময়দৈর্ঘ্যের আমি-তুমি,
তুমি-আমি,
তুমি-তুমি
এখন শুঁকিয়ে যাওয়া দীঘল নদী,
এক কুড়ি বজ্র দাগাই হলো সার
কিছুতেই ছুঁলো না জলবৃষ্টি।
এমন হতেই পারে,
না-জল না-বাতাসেও সারা শরীরের আলপথ জুড়ে
রঙিন জোয়ার, ঝাঁকে ঝাঁকে ধুম লাগা ধনুক ভালোবাসায়
সুগন্ধি বিছানা উর্বর আবার,
সাধের শরীরী আহ্লাদে এমন হতেই পারে।
দেখা হবেনা, কথাও না আর, না-কথার খৈ ফুটিয়ে বিনা কারণে
নিরন্তর খিস্তি-খেঁউড় হবে না, জ্ঞানী জ্ঞানী কথার তুবড়ি ছুটবেনা,
এমন কথাবলা মোটেই ঠিক না, ঠিক না;
মূখ-বধিরতায় এ কোন্ অনড় ম্লেচ্ছ সুখ!
হেলে যাওয়া যৌবনকুটিরে!
সহস্র সহস্রাব্দের নিভাঁজ ভালোবাসা ফেলে রেখে
অভেদ্য ধোঁয়ার নিপুণ বুননে নিঃসঙ্গতার আঁক এঁকে!!
২৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
দেখা হবেনা, কথাও না আর, না-কথার খৈ ফুটিয়ে বিনা কারণে
নিরন্তর খিস্তি-খেঁউড় হবে না, জ্ঞানী জ্ঞানী কথার তুবড়ি ছুটবেনা,
এমন কথাবলা মোটেই ঠিক না, ঠিক না;
ভাল লাগলো , আসলেও উচিত না।
ছাইরাছ হেলাল
ঔচিত্যের ধার কেই ধারেই না!
বায়রনিক শুভ্র
নটি সুখ!!
ছাইরাছ হেলাল
অনেক রকম সুখের এটিও একটি!
নিহারীকা জান্নাত
এক কবিতায় চাওয়া পাওয়ার বর্ণনা নিখুঁতভাবেই দিয়েছেন।
দারুন!
ছাইরাছ হেলাল
নিখুঁত কী না জানি না,
বর্ণনা নিজের মতই দেয়ার চেষ্টা করেছি।
আবু খায়ের আনিছ
না ভাই, আমার প্রেমের কবিতা চাই, এই কবিতা দিয়ে প্রেম হবে না।
ছাইরাছ হেলাল
প্রেমের কবিতা!!
তা লিখতে পারব বলে মনে হচ্ছে না,
নিজে নিজেই লিখতে শুরু করে দিন,
আবু খায়ের আনিছ
কবিতা আমাকে দিয়ে হয় না, তবে আপনাকে দিয়ে হবে বিশ্বাস হবে।
ছাইরাছ হেলাল
তাহলে তো অপেক্ষা করতেই হচ্ছে!!
গাজী বুরহান
দুবার করে পড়লাম। বেশ ভাল লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাবছি কি বলা উচিৎ! বহুবার পড়েছি।
ভালোবাসা কি তবে সরলরেখা নয়! বাঁকানো? আজ জানলাম।
কুবিরাজ ভাই ঋতুরাজ বসন্ত এলো। ফাল্গুনী শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার ভালোবাসা তীরপথে হয়ত গমন করে!!
আমি দেখি ধনুকপথ!
আপনাকে ফাগুনাগুন শুভেচ্ছা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করার ভাষা নাই। 😮
ছাইরাছ হেলাল
ভালই বুদ্ধি পাইছেন দেখছি,
নাসির সারওয়ার
আমি-আমি বাদ কেনো? আমি আমি ছাড়া আর কিছু থাকর কথা নাই কুবি। সব কিছুতে চাই, আমি আমি আমি।
আসলে কিছুই বুঝি নাই, বুঝতাম চাইওনা। বেশী বোঝা ভালূনা।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও প্রায় না বুঝে-সুঝে হুদাই হাউ-কাউ চালাই,
তুমি-তুমি ই করতে চাই জোর গলায়!!
কিন্তু তুমিটা যে কই কই থাকে তার কিনারাই করতে পারিনি।
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম প্যারা বুঝেছি। দ্বিতীয় – বুঝিনাই। তৃতীয় – উলুবন বলে কিছু নেই, আলোকসুন্দরী পাখিরা যা চায় হয়তো তাইই পায়। আলো বলেই হয়তো আঁধার চায়। আঁধারের রুপগুন তো কম হবার কথা নয়।
চতুর্থ – বসন্তকালেই শুকিয়ে গেছে!! গ্রীষ্ম তো এখনো বাঁকি।
পঞ্চম – কল্পনা? ষষ্ঠ -কখন কোথায় দেখা হয়ে যায়, কথা হয়ে যায় কেউ জানেনা, তাই মোটেই না বলাই ভালো।
সপ্তম -ফিরে এসেছেন আবার সেই নি:সংগ একার সুখে? গুড। নি:সংগতা নিয়ে বসন্ত কাটুক, ফিঙ্গে তো আছেই।
এক কবিতায় এতকিছু লিখলেন, তারপরেও কাল আরেকটা প্রসব হবে। ক্যাম্নে পারে কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, দারুণ পোস্টমর্টেম!!
এই না হলে দাঁতের দাক্তার!!
আতুড় ঘরে স্থান সংকট!!
এমন সরব উজ্জয়িনী উর্বরতায় টিউবেক্টমি করে খুনির তকমা কেউ নিতে চাইবে বলে মনে হয় না।
আসলে পারে সবাই, কেউ দেখায় কেউ লুকিয়ে দেখায়!!
আজ কিন্তু দেইনি, কাল বাদ যাবেনা কিন্তু,
আপনার দেয়া নিসংগতার বসন্তবর ফুলে ফলে গড়ে উঠুক সে অপেক্ষায়-ই থাকি,
ইঞ্জা
চাওয়া পাওয়ার কথা খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
ভালোলাগা জারি থাকুক এ কামনা করি।
ইঞ্জা
শুভকামনা
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও।
জিসান শা ইকরাম
শিরোনামটা আমার, আপনি নিছেন ক্যান?
এখন আমি এই শিরোনামে পোস্ট দেই ক্যামতে?
এত ল্যাহা আসে ক্যামনে আপনার মইধ্যে?
ছাইরাছ হেলাল
আগে কইবেন্না এইডা আপনার বিষয়!!
ব্যাপার না, ধনুক দিয়ে দেন, ধনুকের জয় হবে নিশ্চয়ই,
খালি ধনুক আর ধনুক,
ধনুক অকেজো, নেই, তাই লেইখ্যা জ্বালা মিটাই।
জিসান শা ইকরাম
হ, ধনুক দিয়ে দিমুই দিমু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দ্যান, দিয়া দেন, ভাল করে, সমূলে!!