আমার ভুবনের হাওয়ারা বয়ে যায় হাওয়াদের মতো। ভোর আসে পাখিদের ডাকে, আষাঢ়ে খানিক রোদ্দুর খানিক বৃষ্টি। সোদা মাটির গন্ধ যার আস্বাদ বুকের গহীনে বিরোহী ডাহুক ডেকে যায় মনে বিকেলের আলো।
ঘর! বলতে ছোট একটা বাংলো যেখানে কাজের ফাঁকে আরাম কেদারায় নিজেকে বসিয়ে রাখা।
তথাকথিত যারা কাজ নিয়ে থাকেন তাদের একটা ঘর একটা পরিবার আছে। শেকড় ছাড়া আমি নই। জীবন আর জীবিকার তাগিদে সেই ঘর আর পরিবার থেকে বহুদিন দূরে।
ছন্নছাড়া সবুজ মাঠ, লাল পথ, গাছগাছালি আমার আরাম কেদারা, গোধূলির আকাশের নীল আলোর ঝলকানি টেনে রাখতে পারেনি আমার বিবাগী মনের অস্থিরতাকে। সেই মুখশ্রী যা দেখিনি বহুদিন ধরে, হুট করে চলে এসেছি তার কাছে। আষাঢ়ের দুপুর এই প্রথম মনে হলো আজ। কাজের ক্লান্তি ভুলে পিছনে ফেলে আসা পিছু ডাক বিছানায় শুয়ে পরেছি বহুদিন পর। কখন চোখ মুদে এলো টের পেলাম না। এমন ঘুম কবে আসে আবার কে জানে।
২৫টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
আমরা কেউই পরিবারের শিকড় ছাড়া নই। আর যারা এই শিকড়ের মূল শিকড় তারা আরাম কেদারায় নিজেকে বসিয়ে রেখে কোন সোদা মাটির গন্ধ পায় না। দারুন লিখেছেন আপু।
শিরিন হক
কি সুন্দর করে বুঝে নিলেন ।কৃতজ্ঞতা জানাই।
শাহরিন
পরিবারের সবার কথা যখন ভাববেন তখন আর একা মনে হবে না। আবার হিসাবে এই জগতের সবাই একা। তবে মাঝে মাঝে আসলেই মনে হয় সব কিছু ছেড়ে পরিজনের সান্নিধ্যে চলে যেতে। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।
শিরিন হক
শুভকামনা রইলো। আনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়েছেন এবং আপনার মন্তব্য দিয়েছেন সে কারনে।
ছাইরাছ হেলাল
হাওয়ারা বয়ে যায় হাওয়ার নিয়মে,
দোল দেয়, আমারা দুলে যাই, বে-নিয়মের নিয়ম মেনে।
বিবাগী মন খুঁজে পায়/নেয় সবুজের পরশ নিশ্চিন্ত মনে।
শিরিন হক
খুব সুন্দর করে বল্লেন ভাই। আনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদ
পারিবারিক বন্ধনের শেকড় খুব মজবুত হয়। হ্যা কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তবে তা গননায় না আনাই শ্রেয়। অনেক সময় আমার নিজেরই মনে হয়- আমি কত দূরে! ফিরে আসি বারে বারে সেই শেকড়েরই টানে। তবে মূল শেকড়ের উচিত সবাইকে আষ্টেপৃষ্ঠে রাখা।
ভালো লিখেছেন আপু। শুভকামনা রইলো।
শিরিন হক
শেকড়ের টান ফিরে আসতেই হবে যতদূর যে থাকুক না কেনো।হয়তো দূরে বহু দূর মন তবুও পড়ে থাকে সেখানে শেকড়ের টানে।
আমরা যতই সুখের সন্ধান করি, সুখে খুঁজে বেড়াই না কেনো শেকড়ের টানে একটুক্র সুখের আশায় বার বার ফিরে আসি আপন গৃহে।
আপনার মন্তব্যে অনুভুতির প্রকাশ আমি মুগ্ধ হলাম ভাই।
তৌহিদ
ভালো থাকবেন আপু।
মাসুদ চয়ন
এইতো জীবন পরিক্রমা।কখনো রঙিন কখনো রংহীন উপলক্ষ।খুব ভালো লেখা।
শিরিন হক
জীবনের গল্প ছবি নিয়ে একে যাই জীবনের ধারা
জীবন যেখানে যেমন নিয়মে বাধা।
জিসান শা ইকরাম
কিছুটা ভিন্ন ধরনের জীবনে অভ্যস্থ একজনের প্রতিক্রিতি অত্যন্ত সফল ভাবে একেছেন লেখায়।
লেখায় বৈচিত্র আনছেন,
বৈচিত্রময় লেখা চলমান থাকুক।
শুভ কামনা।
শিরিন হক
লেখার ভিতরে ডুকে অনুধাবন করতে পেরেছেন তা বুঝতে পেরেছি।সঠিকভাবে এর ব্যাক্ষা করেছেন। সার্থক আমি।
ধন্যবাদ পাশে আছেন আর মূল্যবান মতামত দিয়ে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
ছবিতে তো সবুজের কিছুই দেখলাম না 🙂
শিরিন হক
ছন্নছাড়া সবুজ মাঠ কে পুরুষে রুপক হিসেবে ব্যাবহার করেছি। এখানে সবুজ মাঠ কে না খুঁজে একজন পুরুষের জীবনের গল্প তার ঘরে ফেরা কে খুঁজলেই সুবুজের সন্ধান পেয়ে যাবেন।ছবিটা সেই গল্পের নায়কের প্রতিচ্ছবি।
বুঝাতে পেরেছি কিনা জানিনা। তবে আশাকরি আর কোনো দন্দ নেই মনে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
জিসান শা ইকরাম
বুঝেছি লেখা পড়েই, প্রথম মন্তব্যে তা বলেছি। ২য় মন্তব্য জাস্ট ফান।
তবে আপনি বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়েছেন, এখন সম্পুর্নই বুঝেছি।
শুভ কামনা।
শিরিন হক
ধন্যবাদ জনাব।
আরজু মুক্তা
ঘড়ির কাঁটার মতো চলতে চলতে ক্লান্ত মনটা চায় পিছনে ফিরতে।।
শিরিন হক
বাহ্ সুন্দর লিখলেন।
বন্যা লিপি
তোমার প্রতিক্ষারা সময়ের দোলায় ফিরে আসুক রুপময় হয়ে। সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করছি তোমাদের জন্য।ভালোবাসা জেনো মিতা।
শিরিন হক
প্রিয় কবি আমার তোমার কামনা যেনো সত্যি হয়। অনেক ভালোবাসা শুভকামনা রইলো মিতা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঘড়ির কাটা থমকে যায়, তবুও পিছু ফিরে দেখে না। তেমনি আমাদের সময়। কেবল গড়িয়ে চলে স্রোতের মতন। সারাদিন কাটে ঘর-পরিবারে। দিন শেষে যখন নিজেকে ফিরে পাই, তখন অতি নিকট জনকেই খুঁজে ফিরি। ঘুম, অতি নিকটেরও নিকট জন।
শুভ কামনা 🌹🌹
শিরিন হক
ঘুমের চেয়ে শান্তি আর কিছুতে নাই।ঘুম অতি আপনজন।
ধন্যবাদ আপু
মনির হোসেন মমি
বাহ্ !জীবনেরঅনুভুতি কতটা চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করলেন।ভাষা বাক্যের ব্যাবহারে মুগ্ধ। সত্যিই জীবন কর্মব্যাস্তার এক টুকরো অবসরে ঘুম যেন ভালবাসার শত্রু হয়ে দাড়ায়।আহারে ঘুম।
শিরিন হক
লেখাটা সঠিকভাবে অনুধাবন করে মন্তব্য করেছেন কৃতজ্ঞতা