সময় বয়ে যায় নিয়মের নিয়মে
নিয়মের বেড়াজাল টপকে,
একা ফেলে যায়, একাকী রেখে,
দারুণ অবহেলে;
নিমজ্জিত সময়ে যুক্ত করি
অনুপম স্বপ্নের আকাশ-বাড়ী
ধারাপাতের বৃক্ষটি আগলেও রাখি।
তুচ্ছতায় ভাবি
কেটে যাবে প্রেমের শীত-নিদ্রা এক্ষুনি,
দহন জ্বালায় জ্বলে জ্বলে আঁকিনি
অবিরল অনুভব উচ্ছলতায় নৈঃশব্দের
কোন এক নিপুণ অবদমিত সন্ন্যাসিনী;
সময়ের সিঁড়িতে সিঁড়িতে পা ফেলে ফেলে
দূর-নিকট-পড়শির ফানুস জানালায় চোখ রেখেছি
দারুণ নির্মোহ প্রেমাবেশে;
ঘুম-অ-ঘুমের কাজল-মেয়ে ঘুমোয় এবার,
চাঁদহীন রাত-অন্ধকারের আতীব্র ঝলকের নিকুচি করে;
ছিটেফোঁটা ভেজাশ্রুর স্মারক পেছনে ফেলে।
২৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
অসাধারণ শব্দশৈলিতে বিমোহিত হলাম ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
যাক ভাই!! তাও তো এলেন!!
ভুলে গেলে হবে না, নানান ছুতোয়;
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
ভাইজান, ইদানিং নিজেকেই খুঁজে পাইনা, কেমন যেন হয়ে গেছি। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার ভাই, ঠিক হয়ে যাবে।
মায়াবতী
আহ… কি দারূণ সময়ের অসময় নিয়ম! এভাবে ও ভাবা যায় বুঝি কুবি রাজ? কত কিছু ভাবতে শেখালেন কুবি রাজ!!!
ছাইরাছ হেলাল
আমিতো আপনার/আপনাদের কাছ থেকে শিখতেই আছি, শিখতেই আছি!!
আপনি এর থেকেও সুন্দর করে ভাবতে পারেন/পেরেছেন
মায়াবতী
^:^ না আমি পারি না এতো সুন্দর সুন্দর ভাবনা, আমার ভাবনা জুড়ে শুধু ঘুম আর অঘুমের যন্ত্রণ…
ছাইরাছ হেলাল
না-পারার বাহানায় আমাদের বঞ্চিত করা ঠিক-না।
ঘুমটুকু আপনার-ই থাকুক, আমাদের অ-ঘুমটুকু শুধু দিয়ে দিন।
সাবিনা ইয়াসমিন
মন ছুঁয়ে গেলো,,,,
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্,দারুণ বলেছেন!!
তবে মনের ঘর-বাড়ীর ঠিকানা খুঁজে পাইনি,
আপনি পেয়েছেন তা দেখতে পাচ্ছি!!
সাবিনা ইয়াসমিন
অনুপম স্বপ্নের আকাশ-বাড়ি,,,খুঁজতে বেশি সময় লাগেনি।ঐরকম বাড়ি খুব বেশি নেইতো তাই।
আজ আর কিছু বলবো না।স্বপ্নের বাড়িটা দেখে মন স্বপ্নালু হয়ে গেছে।কাজল-মেয়েটি কি এবাড়ি তেই থাকে? তাকে কোথাও দেখলাম না!! ঃ(
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি ভাগ্যব্রতদের একজন, প্রায় না-খুঁজেই পেয়ে যাচ্ছেন অঢেল!
ঠিক আছে আজ না হয় কাল বা অন্য কোন দিন বললেও হবে!! তবে বলা -বলি চালু থাকলেই হবে।
কাজল-কালোটি আমি-ও-তো খুঁজে পেতে জেরবার হচ্ছি!
বন্যা লিপি
বাহ্….. সুন্দর!
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
সন্ন্যাস কি বাধ্য হয়ে, না কি পরিনতি।
ছাইরাছ হেলাল
প্রতিটি জীবনেই সন্ন্যাস থাকে, কেউ পায় কেউ পায় না।
এ খুব মহার্ঘ বিষয়!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সময়ের সিঁড়িতে সিঁড়িতে পা ফেলে ফেলে
দূর-নিকট-পড়শির ফানুস জানালায় চোখ রেখেছি
দারুণ নির্মোহ প্রেমাবেশে;
দারুণ অনুভুতি প্রকাশ -{@
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
‘ঘুম অঘুম এক কাজল মেয়ে ঘুমায়
আধো তার খোলা চুল, আধো খোলা চোখ
অথচ কানে বাজে তার শিশিরের টুপটাপ, রাতচোরা পাখির আর্তনাদ।
উঁকি মারে দূরে সে আধো খোলা চোখ,
যেখানে এক বাসর সাজে।
স্বল্প আয়ুর জীবনে হাজার কল্পনার এলোমেলো তুলির আঁচড়।’
হুম, শীত বেশ জেঁকেই বসেছে। শীত বড় প্রেমের ডাকে সাড়া ফেলে আবারো প্রমাণিত।
শীতের সকালে এমন কবিতার জন্য ধন্যবাদ গুরুজী।
ছাইরাছ হেলাল
সাবধানে থাকবেন এমন শীতে!!
জেঁকে বসা শীতে কিছুতেই শীতার্ত হওয়া যাবে না, যা দিন-কাল!!
কাজল মেয়েকে যে কে ঘুমপাড়ানিয়া গান শোনাবে কে জানে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
শীতের জন্য এতো এতো কবিতা? তাই বুঝি আজ আমাদের এখানে এই মধ্য-ডিসেম্বরে ভারী জ্যাকেট লাগছেনা পরতে। প্লাস তাপমাত্রার ভেতর আজকের দিনটা কেটে গেলো। শনিবারটা যেনো আজকের মতোই থাকে, কুবিরাজ ভাই গো একটু ফুঃ দিয়া দ্যান তো!
কুবিতায় আসি।
###########
কালো মেঘ আঁকা ছিলো শাড়ীর গায়ে,
লাল সূর্যের হম্বিতম্বি যতোই জোড়ালো হোক না কেন;
জয়ী হতে গিয়েও পারেনি।
কেবল শাড়ীর পাড় ধরে ঝিমুচ্ছিলো।
অপেক্ষার দরোজায় কড়া নেড়ে ফিরে চলে গেছে মুহূর্ত
অথচ, তখনও বৃষ্টি নামেনি নদীর ধার ঘেঁষে।
তাই পৌষ এসেছে, কিন্তু শীত আসেনি কাজল মেয়ের কাছে।
ছাইরাছ হেলাল
বিনা দক্ষিণায় ফু!! বরফ নামিয়ে দেব কিন্তু।
হায়, অভাগা শীত!
অপেক্ষার কাজল মেয়ে ঐ যে দাঁড়িয়ে
আঁচলে বাঁধবে বলে, বুকের ওমে ঘুম পরাবে,
আগলে রেখে খাইয়ে দেবে,
এসো তবে এক্ষুণি, গড়ি স্বপ্ন-বাড়ী দুজনে।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্লিজ এমন একটা ফু দিন, শনিবার যেনো রোদমাখা, প্লাস তাপমাত্রা থাকে। কথা দিলাম হেব্বি একটা লেখা দেবো, যদি তাপমাত্রা মায়নাস না হয়।
ছাইরাছ হেলাল
ও সব বুঝি না,
লিখতে থাকুন।