আমার বন্ধুর সদয় অনুমতি নিয়ে লেখাটি নীচে দিলাম… যদিও কপি করে অন্য কারো লেখা দেয়ার মধ্যে দায়মুক্তির একটা সুর থাকে, কিন্তু আমি সরাসরি বলছি, এই লেখার বিষয়ে আমি যে কোনো দায় নিতে প্রস্তুত; কারণ আমি উনার উদ্দেশ্য ও মতের সাথে সম্পূর্ণ সহমত।
– – – – – – – – – – –
– – – – – – – – – – –
বিধর্মী মারলে অনেক সোয়াব। বেহেশত নিশ্চিত। তাদের ঘর বাড়ি ভাঙার জোশে থাকা জিহাদি আফিম খাওয়া নির্বোধ দের জন্য। যদি সত্যিই ধর্মের পথে কার্য সম্পাদন করতে যাস, তবে তোর জন্য অবশ্য পাঠ্য। কারন তুমি পড় নাই, পড়লে এই নিধনে যাইতা না। তুমি নিজেই ভুলে গেছো কুরআনের প্রথম শব্দ, ইকরা….. ‘পড়’… জ্ঞান অর্জন কর।
“সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।”
[আবূ দাঊদ : ৩০৫২]
“যে মুসলিম কর্তৃক নিরাপত্তা প্রাপ্ত কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ তার ঘ্রাণ পাওয়া যায় চল্লিশ বছরের পথের দূরত্ব থেকে।”
[বুখারী : ৩১৬৬]
“আল্লাহ নিষেধ করেন না ওই লোকদের সঙ্গে সদাচার ও ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করতে যারা তোমাদের সঙ্গে ধর্মকেন্দ্রিক যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদের আবাসভূমি হতে তোমাদের বের করে দেয় নি। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের পছন্দ করেন।”
[সূরা আল-মুমতাহিনা : ৮]
“রাসূলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন,- “মনে রেখো যদি কোন মুসলমান কোন অমুসলিম নাগরিকের উপর নিপীড়ন চালায়, তাদের অধিকার খর্ব করে, তার কোন বস্তু জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরূদ্ধে অমুসলিম নাগরিকদের পক্ষ অবলম্বন করব।” (আবু দাউদ)।
=====================
এমনকি গালিগালাজ এর ব্যাপারেও বলা আছে স্পষ্ট। আপনি একজন হিন্দু কে মালাউন বলতে পারেন না। মালাউন অর্থ ‘অভিশপ্ত’।
“তারা আল্লাহ তা‘আলার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি দিয়ো না, নইলে তারাও শত্রুতার কারণে না জেনে আল্লাহ তা‘আলাকেও গালি দেবে, আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের কার্যকলাপ সুশোভনীয় করে রেখেছি, অতঃপর সবাইকে একদিন তার মালিকের কাছে ফিরে যেতে হবে, তারপর তিনি তাদের বলে দেবেন, তারা দুনিয়ার জীবনে কে কী কাজ করে এসেছে।”
[সূরা আল আন‘আম : ১০৮]
পুশন্চ: জানি, চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। তবুও বললাম, যদি শুনে তাই।
– – – – – – – – – – –
– – – – – – – – – – –
– – – – – – – – – – –
আমার বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা, এই সময়ে সবার সামনে কথাগুলো তুলে ধরার ভীষণ প্রয়োজন ছিল….. তবে তার সাথে আমিও একমত, চোরে না শুনে…….
৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
‘জানি, চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। তবুও বললাম, যদি শুনে তাই’
আমিও আপনার সাথে একমত ।
অনেকদিন পর এলেন ।
মোঃ মজিবর রহমান
100% সহমত
খসড়া
মদিনা সনদের ৪৬টি ধারার একটি —– প্রত্যেকে প্রত্যেকের ধর্ম কে সম্মান করবে এবং স্ব স্ব ধর্ম পালনে সহযোগিতা করবে।
মা মাটি দেশ
100%সহমত -{@ (y)
লীলাবতী
অনেক কিছু জানলা । কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কথা (y)
শুন্য শুন্যালয়
বই এর কথায় কি বা আসে যায়? 🙁
জিসান শা ইকরাম
অনেক ভালো পোস্ট ।
রেফারেন্স দেয়া যাবে – যদিও কোন কাজে আসবে না ।
নীলকন্ঠ জয়
বিধর্মী মারলে অনেক সোয়াব। বেহেশত নিশ্চিত। হুম আমারো তাই মনে হয়। নপিলে কেনইবা এতো হানাহানি।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার এক বন্ধু আছেন যিনি ইসলাম ধর্মালম্বী এবং জ্ঞান রাখেন। তাঁর সাথে আড্ডা দিয়ে ইসলাম নিয়ে জানতে চাইলে নানান কথা বলেন যার মধ্যে আপনার এইসব কথাও বলেছেন, সেই সাথে বলেছেন দোষ বা ভুল হচ্ছে ইসলামকে প্রচারে!
আর ব্যক্তি হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমাদের শৈশব কেটেছে যে পরিবেশে সেই পরিবেশে চারিদিকে মুসলিম এলাকা হয়েও খুবই আনন্দয়ায়ক পরিবেশ ছিল প্রতিটি উৎসব ও প্রতিটি দিনে। এখন দেখি যারা এই পোস্টের কথাগুলো সবার সামনে বলেন কিন্তু ঈদ আসলে অন্যের ধর্মের লোককে ঈদের শুভেচ্ছাও জানান না সামনে দেখা হলে বা কোলাকুলিও করেন না!
সে যে ধর্মই হোক না কেন ধর্মটা মন থেকে পালন না করে শুধু আচার হিসেবে নিলেই সমস্যা, কারণ ধর্ম হচ্ছে হলের মতো।
অনেক কথাই বলে ফেললাম…
শুভেচ্ছা -{@