আমি যখন নতুন ব্লগার ছিলাম

নীরা সাদীয়া ১০ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ০১:১৪:৩৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৫৮ মন্তব্য

দেখতে দেখতে ব্লগে আমার দু বছর পার হয়ে গেছে! মনে হয়, এইতো সেদিন ইঞ্জা ভাই আমাকে ব্লগে নিয়ে এলেন। কিভাবে সময় চলে যায় বুঝতেই পারি না।

প্রথম যখন ব্লগে লেখা পোস্ট করি, তখন খেয়াল করলাম ব্লগ বিষয়টা ফেসবুক থেকে একটু আলাদা। ফেসবুকে কিছু একটা লিখলে প্রায় সবাই মন্তব্য করতেন,

ওয়াও
অসাম
সেই
দারুন

ইত্যাদি। গঠনমূলক মন্তব্য হয়না বললেই চলে। লেখা পড়লো কি না পড়লো, মন্তব্য একখানা জুড়ে দিলো। এমন কি মৃত্যু সংবাদের পোস্টেও মন্তব্য “অসাধারণ! ” ভাবা যায়? উদ্দেশ্য একটাই, নিজের পোস্টেও মন্তব্য পাওয়া।

কিন্তু ব্লগে এসে আমি প্রথম দেখতে পেলাম গঠনমূলক মন্তব্য। সিনিয়র লেখকেরা আমার লেখার প্রশংসার পাশাপাশি খুঁটিনাটি ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে লাগলেন। এতে করে আমার লেখার কাঁচা হাত অল্প অল্প করে পাকতে লাগলো। সেই যে সেদিন থেকে শিখছি, আজও শিখেই চলেছি।

ব্লগটা ঠিক একারণেই ফেসবুক থেকে একটু আলাদা। এখানে একটি লেখা পড়ে তার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য দিতে হয়। সেক্ষেত্রে আমি যখন যার লেখা পড়ি, একটু মনযোগ নিয়ে পড়ি। তাতে আমি কিছু শিখতেও পারি, যথাযথ মন্তব্যও করতে পারি। এক্ষেত্রে আমি কয়েকটা বিষয় মেনে চলি:

*লেখার মূলভাব বা মূল বিষয়বস্তু কি,তা প্রথমে উদ্ধার করার চেষ্টা করি। যেমন ধরুন: শ্রদ্ধেয় মান্নাদের কফি হাউজ গানটা। এটা একজন পোস্ট করলো। আমি না পড়েই মন্তব্য দিতে পারি: ” গানটা শুনেছি “/ ” গানটা দারুন”/ “আরো গান লিখুন” ইত্যাদি। কিংবা বিতর্ক করতে পারি, ” সাংবাদিক ছেলেটা কফি খেত না, খেতো চা।” কতটা অপ্রাসঙ্গিক, ভাবুন একবার! কিন্তু না, আমি খুঁজে পাই এই গানটিতে একপ্রকার স্মৃতি কাতরতা।হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোকে ভীষণ মিস করা, পুরোনো স্মৃতিগুলো আগলে বসে থাকার নিরন্তর এক চেষ্টা। মন্তব্যেও তাই লিখি। অর্থাৎ লেখা থেকে মূল নির্যাস তথা মূলভাবটা টেনে বের করে মন্তব্য করার চেষ্টা করি।

*মূলভাবটা বের করে আনাটাকে আমার কাছে এক প্রকার দক্ষতা বলে মনে হয়। এতে করে আমার নিজের বোধশক্তি, আমার চিন্তার প্রখরতা সর্বপরি আমার ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আমার জ্ঞান বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

*এছাড়াও আরো কিছু দিক আমি খেয়াল করি। যেমন, কি ধরনের মন্তব্য লিখলে লেখক নিরুৎসাহিত হবেন না, বরং নিজের ত্রুটিটাও ধরতে পারবেন। সুন্দর সাবলীল ভাষায় যদি আমি লেখার ত্রুটি বিচ্যুতি ধরিয়ে দেই, তাতে লেখক তাঁর লেখাকে আরও উন্নত করতে পারবেন এবং আমার প্রতি কৃতজ্ঞও থাকবেন।

*গল্পে/লেখায় তিনি যে চরিত্রগুলো ব্যবহার করেছেন, তারা কেমন, কোন চরিত্রটা কেমন লেগেছে, তার কারন কি…ইত্যাদি নিয়ে মন্তব্য করলে বোঝা যাবে পাঠক সত্যি সত্যিই লেখাটা পড়েছেন। আর ওপর দিয়ে শুধু মন্তব্য করে গেলে যেমনঃ “ভালো হয়েছে ” বা ” ভালো হয়নি” অনেক সময় বোঝা যায় তিনি আসলে কিছুই পড়েন নি, শুধু নিজ পোস্টে মন্তব্য সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন অথবা দায় সেরেছেন। এক্ষেত্রে লেখকেরও দায় হয়ে যায় ওনার পোস্টে দায়সারা একটা মন্তব্য করে আসার। তাতে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ঐ পাঠক নিজেই। তাই ব্যাখ্যা করা ভালো, পোস্টটা কেন ভালো লেগেছে অথবা লাগে নি।

*অনেক সময় আমরা আসল প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে ” পুরো পোস্টে একটা শব্দ মনমত পেলাম, কপি পেস্ট মন্তব্য ছুঁড়ে দিলাম ” এমনটা করি। যেমন কফি হাউজের সেই গানটি…এই পোস্টে কফি নিয়ে একটা রচনা লিখে এলাম! কিংবা বললাম, “কফি খাওায়া ভালো না।” অথচ কফি এখানে মূল প্রসঙ্গ ছিলোই না! এতে করে আমার এই মন্তব্য পড়ে আমার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও একটা নেতিবাচক ধারনা হবে ব্লগপাড়ার অন্যদের।

*আমার কাছে মনে হয় মন্তব্যের সংখ্যার চেয়ে গুনগত মান বেশি জরুরী। অনেক গুলো ‘নাইশ’ লেখা মন্তব্যের চেয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য লেখকের জন্য অনেক বেশি উপকারী।

পরিশেষে বলতে চাই, আমি যেহেতু একজন ব্লগার, আমার মন্তব্যও হতে হবে সেই আনুপাতিক। পুরো পোস্ট পড়ে বুঝে তার তাৎপর্যটাকে ফুটিয়ে তুলতে হবে বিশ্লেষণধর্মী ভাষায়।
কোন বিষয় বুঝতে না পারলে লেখককে প্রশ্ন করতে পারি।
লেখার কোন বিষয়টা ভালো লেগেছে, কেন লেগেছে কোনটা লাগেনি, কেন লাগেনি, গুছিয়ে বলে যেতে পারি, যা লেখকে উৎসাহিত করবে। আর অপ্রাসঙ্গিক তর্ক এড়িয়ে ব্লগের পরিবেশটাও সুন্দর রাখতে পারি।

এই ব্লগে আমরা সবাই একটি পরিবারের মত। আমি এখানে বয়সের দিক দিয়ে অনেকের তুলনায় ছোট। এই পোস্টে আমি শুধু আমার নিজস্ব মনোভাব উপস্থাপন করেছি। তাই এটাকে আপনারা আন্তরিকভাবেই গ্রহন করবেন বলে প্রত্যাশা করি। হ্যাপী ব্লগিং।

১১২৫জন ৭৫০জন
0 Shares

৫৮টি মন্তব্য

  • ছাইরাছ হেলাল

    অবশ্যই আপনি সহ সহব্লগারদের লেখা ও মন্তব্য আমরা পড়ি,
    এবং নিজ মেধানুযায়ী মন্তব্য প্রতি-মন্তব্য এবং এমন-কী আলাদা পোস্ট দিয়ে আমাদের লেখা-লেখি
    বিতণ্ডা(আন্তরিক)! চালু রাখি। আপনি তা জানেন। কেমন করে আপনার দু’বছর হয়ে গেল ভাবতে পারছি না।
    ইঞ্জা ভাইকে ধন্যবাদ, আপনাকে তিনি নিয়ে এসেছেন। আমাদের মাঝে লেখা-লেখি চালু রেখেছেন।
    আপনি আর বড় লিখিয়ে হবেন এ প্রত্যাশা অবশ্য-ই মনে-প্রাণে করি।

  • ইঞ্জা

    সময় উপযোগী পোস্ট, লেখাটি সকল ব্লগারেরই মন দিয়ে পড়া উচিত বলে আমি মনে করি, সকল ব্লগারের মনে রাখা উচিত, এইটি ব্লগ, ব্লগকে সম্মান করতে হবে, লেখার মূল্যায়ন করতে হবে, যথার্থ মন্তব্য অবশ্যই করতে হবে, সকলের মনে রাখা উচিত ব্লগে ব্লগারের মতোই মন্তব্য করতে হবে, গৎবাধা মন্তব্য ব্লগে কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
    ধন্যবাদ নীরা আপুকে অসাধারণ পোস্টটি দেওয়ার জন্য।

  • বন্যা লিপি

    ফেসবুকেই আমার পদার্পন দু’বছর। আপনি আমার থেকে ব্লগার হিসেবে জ্যেষ্ঠা। পুরো এক বছর দুইমাস বিশ দিনের বড় আপনি আমার।
    মন্তব্য প্রসঙ্গে মাত্র কিছুদিন হলো সবিস্তারে ধারনা হলো। ব্লগে আসার পরে মন্তব্যে ভীষণ আনন্দিত আমি। কপিপেষ্ট মন্তব্য সম্পর্কে ধারনা হলো কিছুদিন আগে। এবং সবচেয়ে মনোপীড়া দায়ক আমার আত্মার জন্য।
    আমি আমার বোধটুকুই যদি লেখা পড়ে প্রকাশ করতে না পারি, আমি মন্তব্যেই যাবোনা। এটাই আমি। এটাই আমার ব্যাক্তিত্ব।
    সময়োপযোগী পোস্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা।

  • মনির হোসেন মমি

    প্রথমে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ব্লগিং ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট সেয়ার করার জন্য। এবার আসি আপনার লেখা প্রসঙ্গে। লেখায় মন্তব্যের বিষয়ে যে যুক্তি দিয়েছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই যে একজন প্রকৃত ব্লগার বা লেখককে তা মেনে চলার তাতে আপনার কথার মত আমিও বলবো পাঠক যে বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য করবেন তা লেখককে সহজ ভাবে মেনে নিলে পাঠকের চেয়ে বরং বেশীই লেখক উপকৃত হবেন তার লেখার মান বাড়বে কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এ বিষয়টি অনেক লেখকই একটু বিরক্তিকর চোখে দেখেন যার ফলাফল ইতি মধ্যে এ ব্লগে কিংবা অন্যান্য ব্লগে দেখেছি।বেশী চাপাচাপি করলে বরং উল্টো সে ব্লগই ছেড়ে দেন তাই আমার মতে যে যা বুঝেন তাই নিয়েই তাকে থাকতে দেয়াই ভাল।

    আর একটি বিষয় আপনি বলেছেন যে গা ছাড়া মন্তব্য। এ কথাটির আমি আপনার সাথে সহমত। কারন লেখক তার লেখার গঠনমুলক মন্তব্য পেলে লিখতে উৎসাহিত বোধ করেন বা করবেন এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু এ ক্ষেত্রে গঠনমুলক মন্তব্যে আমিও পক্ষপাতি তবে হয়তো অনেকে সময় পান না কিংবা লেখা ঠিকমত পড়েন না অথবা অনেকে লেখা পড়েও(কবিতা) বুঝতে পারেন না সে ক্ষেত্রে নাইস ফাইস ইত্যাদি বলে যাষ্ট চালিয়ে যান।এ ক্ষেত্রেও আমাদের কারো কিছুই করার নেই।বলতে পারব না শুনলে জোর করা যায় না বা আমরা জোর করিও না।তারঁ শান্তনা মন্তব্য পেয়ে আমরা শান্তনা পাই যাক তিনিও আমাদের ব্লগেই আছেন।

    তবে একজন প্রকৃত লেখক বা ব্লগার আমার লেখায় সহ-মতামত না জানিয়ে পাশ কেটে যেতে পারবেন না।
    লেখাটা সত্যিই অসাধারণ। ধন্যবাদ এমন লেখায়। শুভ ব্লগিং।

    • প্রদীপ চক্রবর্তী

      সময়োপযোগী ও শিক্ষণীয় পোস্ট।
      আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই এরূপ পোস্টের জন্য।
      ব্লগে আসার আমার মাস তিন এক হবে। আপনার এই পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম একজন ব্লগারে লেখা ভালোভাবে পড়ে তারপর মতামত প্রকাশ করতে এবং ভুল হলে থাকে অনুসরণ করিয়ে দিতে।
      ব্যক্তির চিন্তাধারা ভিন্ন আর এই ভিন্নমতামত থাকবে। তবে লেখার সাথে এই মতামত যেন মানানসই হয়।
      আপনাকে আবারও অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি গঠনমূলক লেখা উপস্থাপনের জন্য।

    • নীরা সাদীয়া

      আপনি অনেকাংশে ঠিক বলেছেন, অনেকেই সহজভাবে মেনে নিতে চায় না সমালোচনা। আর তাই আমাদের সমালোচনার ভাষাটাও হতে হবে বন্ধুত্বপূর্ণ। যেন লেখক তার ভুলটা বুঝতে পারলেও মনে আঘাত না পান। এ ক্ষেত্রে তাকে চাপাচাপি করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

      আর লেখা বুঝতে না পারলে তা লেখককে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে। তবে অপ্রাসঙ্গিক তর্ক করা যাবে না। এটাই হওয়া দরকার ব্লগের ক্ষেত্রে। ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষধর্মী মতামতের জন্য।

  • চাটিগাঁ থেকে বাহার

    আপনার লেখাটি আসলেই সময়োপযোগী এবং ইহা স্টিকি করায় মডারেশান টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ব্লগ হচ্ছে লেখক তৈরীর প্লাটফর্ম।
    এখানে শূন্য মেধায় এসেও একজন মনোযোগী ব্লগার লেখক হয়ে বের হতে পারেন। আমি কমপক্ষে ২০জন ব্লগারকে জানি যারা ব্লগিং করেই লেখক হয়েছেন এবং বর্তমানে বাজারে তাদের লিখিত বই আছে। ব্লগাররা পরস্পরের প্রতি আন্তরিক বলেই এটা সম্ভব হয়। পজেটিভ বা ইতিবাচক সমালোচনা ব্লগারদের জন্য ব্লগারদের মূলধন। এখানে ব্লগাররা জুনিয়রদের ভুল ধরিয়ে দিতে কার্পণ্য করেন না আবার জুনিয়ররাও সিনিয়র থেকে অজানা কিছু জেনে নিতে সংকোচ বা লজ্জিত হন না। এই পারস্পরিক বোঝাপড়া কেবলমাত্র ব্লগেই দেখা যায়।
    আমি মনে করি ফেসবুক পুকুর হলে ব্লগ হচ্ছে সাগর। এই সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে একদিন দক্ষ সাঁতারো হয়ে যান ব্লগাররা। সাহিত্য জগতে অবদান রাখতে থাকেন ধীরে ধীরে। পড়ার কোন বিকল্প নেই। ব্লগ থেকে যারা লেখক হিসেবে নিজেকে দেখতে চান তাদেরকে প্রচুর পড়তে হবে। ব্লগের বাইরেও পড়ালেখা করতে হবে।
    ব্লগে নতুন কেউ আসেন আবার পুরাতন কেউ হারিয়ে যান। এটা গতানুগতিক। কারণ প্রত্যেকের আছে নিজস্ব ব্যস্ততা, অনেকের আছে নানারকম টেনশন। তারপরও কোন কোন ব্লগার আমার মত মাঝে সাঝে এসে ব্লগে ঢু মারেন। হয়তো সবার লেখা, পড়ার সময় সুযোগ হয়ে উঠেনা। এটাকে আমরা নেগেটিভলি না নিই। পরিবারের সবার সমান সক্ষমতা থাকে না। তবুও সবাইকে নিয়েই একটি সুন্দর পরিবার। ব্লগও তেমনি একটি পরিবার। আসুন সবাই মিলেমিশে করি হৃদি ব্লগিং, হ্যাপী ব্লগিং এবং ‍সুন্দর ব্লগিং । মাতিয়ে তুলি ব্লগটিকে। সবার জন্য শুভ কামনা।

  • আরজু মুক্তা

    নাম বলছিনা, একজন ব্লগারের লিখায় একটু সমালোচনা করেছিলাম, দেখি উনি আর আমার পোস্টে মন্তব্য করেনা। কিন্তু আমি করে যাই। কারণ তার লিখা থেকে আমি শিক্ষণীয় কিছু নেই। গঠণমূলক কথা বলেছেন। ভালো লাগলো। আমি ব্লগে মাত্র ৬ মাস। আমি এখনও শিখছি। শিখার শেষ নেই। নানা বিষয় নিয়ে লিখে হাত পাকানোর চেষ্টা করি। তবে, পড়তে হয় বেশি। ভালো থাকবেন।

    • নীরা সাদীয়া

      এটা ঠিক যে ভালো লিখতে গেলে বেশি বেশি পড়তেও হবে। এর কোন বিকল্প নাই। কেউ যদি মনোক্ষুণ্ণ হয়ে থাকে তা হয়ত তাঁর মানসিক পরিপক্কতার অভাবে। তবে অনেক সময় আমরা যা ভাবি, তা ভুলও হতে পারে। এইতো কিছুদিন আগে আমি একজনকে ভুলভাল বুঝে কত কি বললাম, পরে দেখি আমার ধারনা পুরোটাই ভুল। এরকম ভুল আপনারও হতে পারে। হয়ত তিনি আপনার লেখা চোখের সামনে পানই নি। আর হ্যাঁ, সমালোচনার ভাষাটাও হতে হবে সাবলীল যেন লেখক আঘাত না পান, কিন্তু নিজের ভুলটা বুঝতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে মতামত প্রকাশের জন্য।

  • রেহানা বীথি

    ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। কিছু লিখলাম, তা যেমনই হোক, মন্তব্য পেতে ভালোলাগে সবারই। আর মন্তব্য যদি গঠনমূলক হয়, তাহলে তা থেকে শেখাও যায় অনেককিছু। শুধু প্রশংসা নয়, সমালোচনাও ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে লেখকের লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

  • সুরাইয়া পারভিন

    আপনার লেখাটা খুব মন দিয়ে আর যত্নসহকারে পড়লাম আপু। এই পোস্টের প্রত্যেকটা কথায় অতি মূল্যবান। লেখক হয়ার আগে অবশ্যই মনোযোগী আর ভালো মানের পাঠক হতে হয়।
    আমি আমার কথা বলি,,টুকরো টুকরো অনুভূতি, অনুভব যা লিখি তা কারো না করো কবিতা গল্প উপন্যাস থেকে উৎসাহিত হয়েই।
    ভালো মানের লেখক হবার জন্য ভালো মানের পাঠক হওয়া অাবশ্যক

  • মোঃ মজিবর রহমান

    দারুন একটি বিশ্লেষন্ধর্মী লেখা। ফেবু আর ব্লগ সম্পুরণ আলাদা।
    ফেবুতে যা পাওয়া যাবে পছন্দ বা লাইক কিন্তু ব্লিগে তার চেয়েও বেশি পাওয়া যাবে বিশ্লেষন পক্ষ বা বিপক্ষে তা থেকে জ্ঞ্যান ভান্ডার সম্রিদ্ধ হবে নিশ্চিত জানার আগ্রহ থাকলে।
    সুন্দর এক্তি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ রইল।

  • নাজমুল হুদা

    আপনার লেখাটি দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সকল ব্লগারদের অবগত করে বা ইঙ্গিত করে। কোনো লেখার পড়ার পর পাঠকের উচিত ভালো দিক এবং মন্দ দিক সমালোচনা করা। এমনকি সমালোচনা করার পর যদি লেখক সহ্য করতে না পারেন তখন পাঠকের জানা হয়ে গেলো লেখক কেমন দৃষ্টিভঙ্গির।

    এক্ষেত্রে আমি সব না ভেবে ইতিবাচক বা নেতিবাচক সমালোচনা করা হোক পাঠকের উদ্দেশ্য।

  • নিতাই বাবু

    সোনেলা ব্লগে আপনার এই পোস্ট, এই লেখা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। সময়োপযোগীও বলা চলে। এমন একটা পোস্টের জন্য প্রথমেই আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। সাথে সহ-লেখক হিসেবে আপনার প্রতি এক নদী ভালোবাসাও থাকলো। এবার আসি আপনার লেখা প্রসংগে। এই সোনেলা ব্লগে আপনার আগমন সোনেলা উঠোনের সকলের প্রাণপ্রিয় সম্মানিত ইঞ্জা দাদার হাত ধরে। শুভকামনা আপনার জন্য। আপনার মতো এমন সুচিন্তিত পরিশ্রমী লেখিকাকে ব্লগে আনার ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইঞ্জা দাদাকে।

    আপনি ব্লগে এসেছেন বর্তমান বিশ্বের অনলাইন জগতের জনপ্রিয় সাইট ফেসবুক থেকে। সোনেলা ব্লগে আপনার প্রথম পোস্ট বা প্রথম লেখা প্রজ্ঞা ১ সেই হিসেবে সোনেলা ব্লগে আপনার বয়স ২ বছর ১১ মাস ২০ দিন। যা ব্লগে আপনার প্রোফাইল রিপোর্টে পাওয়া যায়। তার মানে হলো, আপনি লিখেছেন সোনেলা পরিবারে আপনার দুইবছর। হিসাব করে দেখা যায় আর মাত্র ১০ দিন পরই সোনেলা ব্লগে আপনার পদচারণা তিনবছর। এপর্যন্ত সোনেলা ব্লগে আপনি পোস্ট লিখেছেন ৭১টি। মন্তব্য করেছেন ৯৪০টি। মন্তব্য পেয়েছেন ১৩৪১টি। ব্লগে আগমণের পর থেকে এতোগুলো পোস্ট, এতোগুলো মন্তব্য পাওয়া কিন্তু যেই-সেই ব্যাপার নয়। এরজন্য অবশ্যই আপনাকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে হয়।

    এবার আসি আপনার পোস্টের মূল বিষয় নিয়ে। আমার কাছে আপনার পোস্টের মূল বিষয় মনে ব্লগে লেখা, তারপর ব্লগার বা লেখকদের লেখা প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়া। তারপর বুঝেশুনে মন্তব্য করা বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা।

    আমার কথা:
    আপমার মতে ব্লগে আমি লিখছি, পোস্ট করছি। আমার লেখা বা পোস্ট কে পড়লো আর কে পড়লো না, তা আমার বিবেচনায় থাকার দরকার নেই। দরকার নেই পোস্টের মন্তব্যে মনে ক্ষোভ নেওয়া। আমার লেখায় পাঠক সংখ্যা নির্ভর করবে আমার বিশ্লেষণধর্মী লেখার উপর। সহ-ব্লগারও বেশিরভাগ তার উপরই ভিত্তি করে মন্তব্য করবে। আবার অনেকেই পুরো লেখা না পড়ে-ই মন্তব্য করে। অনেকে আবার তা করে না, পোস্ট পড়েও মন্তব্যে যেতে চায় না। অনেকে আবার ভালোবাসার বিনিময়েও একটু আধটু শব্দ প্রয়োগ করে, প্রিয় মানুষটিকে খুশি রাখার জন্য। তা করুক, না পড়ুক, এড়িয়ে যাক! তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমি যখন ব্লগে নিবন্ধিত হয়েছি, তখন কিছু-না-কিছু লিখবোই। আর না লিখলেও ব্লগ কতৃপক্ষের কিছুই যায় আসবে না। তবে আমার অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সহ-লেখকদের লেখায় মন্তব্যদানে লেখক লেখকের মাঝে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তাই কেউ আমার নগন্য লেখায় মন্তব্য করলে, আমি চেষ্টা করি তাঁর লেখায় একটা মন্তব্য করতে। হোক আগডুম বাগডুম, নাহয় বিশ্লেষণধর্মী।

    আপনার মনোভাব:
    লেখায় আপনার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। সেই ক্ষোভটা মনে হয় আপনার করা পোস্টে কোনো-না-কোনো লেখকের মন্তব্যের উপর। কিছুদিন আগে ব্লগে আপনার একটা পোস্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম। আপনার পোস্টের শিরোনাম ছিল,হ্যাকার (২য় ও শেষ পর্ব)
    মন্তব্য ছিল হ্যাকার, হ্যাকিং নিয়ে। আমি মন্তব্য করেছিলাম
    আমার ব্যক্তিগত ধারণা থেকে। তা আপনার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে না-ও মেলতে পারে। সবার সব মন্তব্যে যে লেখকের লেখার বিষয়বস্তুর সাথে মিলিয়ে করতে হবে, এমন তো কোনও কথা নয়! অন্য একজন ভিন্ন ধারণাও তাঁর মন্তব্যে প্রকাশ করতে পারে। তাতে আমার লেখার মান যাবারও তো কোনও কথা নয়। আমি মন্তব্য দানকারীর মন্তব্যের উত্তর দিবে। তর্কবিতর্ক এড়িয়ে যাবো। চেষ্টা করবো, মন্তব্য দানকারীকে খুশি রাখতে। আপনি কিন্তু তা করেনি! আপনি করলেন, রাগ। রাগ করা ভালো নয় দিদি। রাগে মনমালিন্য হয়। বিবাদ সৃষ্টি হয়। মনে জ্বালা বাড়ে। আমার মনে হয় তেমন কোনও জ্বালা থেকেই ব্লগ, ব্লগপোস্ট, ব্লগার/লেখক/লেখিকাদের উদ্দেশ্যে আপনার আজকের এই পোস্ট।

    পরিশেষে এইটুকুই বলবো, একেক ব্যক্তির একেকরকম চিন্তাধারা থাকে। থাকাটাও স্বাভাবিক। তাই লেখকের লেখায় ভিন্নমতামত থাকবেই। তবে আমি চাই মন্তব্যে আগডুম বাগডুম কিছু লিখেও আপনার সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে। তাই আপনার এই পোস্টে আমার এরকম বিশাল মন্তব্য। আপনাকে আবারও অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সময়োপযোগী গঠনমূলক লেখা উপস্থাপনের জন্য। জয় হোক আপনার। জয় হোক সোনেলা পরিবারের সকলের।

    বি.দ্র: ব্লগে আপনার তিনবছর পূর্তিতে এরকম একটা পোস্ট চাই।

  • নিতাই বাবু

    মন্তব্য-১
    সোনেলা ব্লগে আপনার এই পোস্ট, এই লেখা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। সময়োপযোগীও বলা চলে। এমন একটা পোস্টের জন্য প্রথমেই আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। সাথে সহ-লেখক হিসেবে আপনার প্রতি এক নদী ভালোবাসাও থাকলো। এবার আসি আপনার লেখা প্রসংগে। এই সোনেলা ব্লগে আপনার আগমন সোনেলা উঠোনের সকলের প্রাণপ্রিয় সম্মানিত ইঞ্জা দাদার হাত ধরে। শুভকামনা আপনার জন্য। আপনার মতো এমন সুচিন্তিত পরিশ্রমী লেখিকাকে ব্লগে আনার ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় ইঞ্জা দাদাকে। আমি স্বনামধন্য সোনেলা ব্লগে এসেছি সম্মানিত লেখিক শ্রদ্ধেয় মজিবর রহমান দাদার সহায়তায়। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা সবসময়। একসময় একটা ব্লগে আমরা একসাথে লিখতাম। আমি আমার লেখালেখি শুরু করেছি ব্লগ থেকেই।

    আপনি ব্লগে এসেছেন বর্তমান বিশ্বের অনলাইন জগতের জনপ্রিয় সাইট ফেসবুক থেকে। সোনেলা ব্লগে আপনার প্রথম পোস্ট বা প্রথম লেখা প্রজ্ঞা ১ সেই হিসেবে সোনেলা ব্লগে আপনার বয়স ২ বছর ১১ মাস ২০ দিন। যা ব্লগে আপনার প্রোফাইল রিপোর্টে পাওয়া যায়। তার মানে হলো, আপনি লিখেছেন সোনেলা পরিবারে আপনার দুইবছর। হিসাব করে দেখা যায় আর মাত্র ১০ দিন পরই সোনেলা ব্লগে আপনার পদচারণা তিনবছর। এপর্যন্ত সোনেলা ব্লগে আপনি পোস্ট লিখেছেন ৭১টি। মন্তব্য করেছেন ৯৪০টি। মন্তব্য পেয়েছেন ১৩৪১টি। ব্লগে আগমণের পর থেকে এতোগুলো পোস্ট, এতোগুলো মন্তব্য পাওয়া কিন্তু যেই-সেই ব্যাপার নয়। এরজন্য অবশ্যই আপনাকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানাতে হয়।

    এবার আসি আপনার পোস্টের মূল বিষয় নিয়ে। আমার কাছে আপনার পোস্টের মূল বিষয় মনে ব্লগে লেখা, তারপর ব্লগার বা লেখকদের লেখা প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পড়া। তারপর বুঝেশুনে মন্তব্য করা বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা।

  • নিতাই বাবু

    মন্তব্য-২
    আমার কথা:
    আপমার মতে ব্লগে আমি লিখছি, পোস্ট করছি। আমার লেখা বা পোস্ট কে পড়লো আর কে পড়লো না, তা আমার বিবেচনায় থাকার দরকার নেই। দরকার নেই পোস্টের মন্তব্যে মনে ক্ষোভ নেওয়া। আমার লেখায় পাঠক সংখ্যা নির্ভর করবে আমার বিশ্লেষণধর্মী লেখার উপর। সহ-ব্লগারও বেশিরভাগ তার উপরই ভিত্তি করে মন্তব্য করবে। আবার অনেকেই পুরো লেখা না পড়ে-ই মন্তব্য করে। অনেকে আবার তা করে না, পোস্ট পড়েও মন্তব্যে যেতে চায় না। অনেকে আবার ভালোবাসার বিনিময়েও একটু আধটু শব্দ প্রয়োগ করে, প্রিয় মানুষটিকে খুশি রাখার জন্য। তা করুক, না পড়ুক, এড়িয়ে যাক! তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমি যখন ব্লগে নিবন্ধিত হয়েছি, তখন কিছু-না-কিছু লিখবোই। আর না লিখলেও ব্লগ কতৃপক্ষের কিছুই যায় আসবে না। তবে আমার অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সহ-লেখকদের লেখায় মন্তব্যদানে লেখক লেখকের মাঝে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তাই কেউ আমার নগন্য লেখায় মন্তব্য করলে, আমি চেষ্টা করি তাঁর লেখায় একটা মন্তব্য করতে। হোক আগডুম বাগডুম, নাহয় বিশ্লেষণধর্মী।

    আপনার মনোভাব:
    লেখায় আপনার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। সেই ক্ষোভটা মনে হয় আপনার করা পোস্টে কোনো-না-কোনো লেখকের মন্তব্যের উপর। কিছুদিন আগে ব্লগে আপনার একটা পোস্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম। আপনার পোস্টের শিরোনাম ছিল,হ্যাকার (২য় ও শেষ পর্ব)
    মন্তব্য ছিল হ্যাকার, হ্যাকিং নিয়ে। আমি মন্তব্য করেছিলাম
    আমার ব্যক্তিগত ধারণা থেকে। তা আপনার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে না-ও মেলতে পারে। সবার সব মন্তব্যে যে লেখকের লেখার বিষয়বস্তুর সাথে মিলিয়ে করতে হবে, এমন তো কোনও কথা নয়! অন্য একজন ভিন্ন ধারণাও তাঁর মন্তব্যে প্রকাশ করতে পারে। তাতে আমার লেখার মান যাবারও তো কোনও কথা নয়। আমি মন্তব্য দানকারীর মন্তব্যের উত্তর দিবে। তর্কবিতর্ক এড়িয়ে যাবো। চেষ্টা করবো, মন্তব্য দানকারীকে খুশি রাখতে। আপনি কিন্তু তা করেনি! আপনি করলেন, রাগ। রাগ করা ভালো নয় দিদি। রাগে মনমালিন্য হয়। বিবাদ সৃষ্টি হয়। মনে জ্বালা বাড়ে। আমার মনে হয় তেমন কোনও জ্বালা থেকেই ব্লগ, ব্লগপোস্ট, ব্লগার/লেখক/লেখিকাদের উদ্দেশ্যে আপনার আজকের এই পোস্ট।

    পরিশেষে এইটুকুই বলবো, একেক ব্যক্তির একেকরকম চিন্তাধারা থাকে। থাকাটাও স্বাভাবিক। তাই লেখকের লেখায় ভিন্নমতামত থাকবেই। তবে আমি চাই মন্তব্যে আগডুম বাগডুম কিছু লিখেও আপনার সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে। তাই আপনার এই পোস্টে আমার এরকম বিশাল মন্তব্য। আপনাকে আবারও অজস্র ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সময়োপযোগী গঠনমূলক লেখা উপস্থাপনের জন্য। জয় হোক আপনার। জয় হোক সোনেলা পরিবারের সকলের।

  • তৌহিদ

    আপনার লেখাটি পড়লাম। অনেক যুক্তি তুলে ধরেছেন এবং আমিও সহমত প্রকাশ করছি। সমস্যা হলো আমরা অনেকেই ব্লগ এবং ব্লগিং সম্পর্কে ধারনা রাখিনা। লিখতে হয়ে বলেই লিখি এবং মন্তব্যে আন্তরিক নই। আমরা অনেকেই লেখা না পড়েই মন্তব্য করি। লেখকের ধারনাগুলিকে বোঝার চেষ্টা করিনা।

    ব্লগে খুব কম লেখকই আছেন যিনি লেখার সমালোচনা করেন। যারা আছেন তারা কিন্তু লেখা অনুযায়ী ঠিকই মন্তব্য করেন, অনেকেই করেননা এর কারন আমরা অভ্যস্ত হতে পারিনি কিংবা চাইনা।

    হাই হ্যালো টাইপ মন্তব্য পেয়ে ফেসবুকে অভ্যস্ত যারা তাদের এ বিষয়টিতে অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। আপনার লেখায় অনেকেই মন্তব্য নাও করতে পারেন। দায়সারা গোছের মন্তব্যও করতেই পারেন। আপনি ভাবুনতো আপনি নিজে কি সবার লেখায় মন্তব্য করেন?

    পাঠক তার পছন্দমত মন্তব্য করতেই পারেন, তাদের মন্তব্যে বিরুপভাব প্রকাশ করে আপনি মন্তব্য করলেতো মন্তব্যকারী খুঁজেই পাবেননা। লেখায় সবার নয়, দু’একজনের গঠনমূলক মন্তব্যই যথেষ্ট। যাদের মন্তব্য আপনার ভালো লাগেনি বা লাগেনা তাদের মন্তব্যের উত্তরে আপনি নিজেই গঠনমূলক মন্তব্য করে তাদের বুঝিয়ে দিন বিষয়টি।

    যেহেতু আমরা সবাই একটি পরিবার তাই এই দায়িত্ব আপনার উপরেও বর্তায় বৈকি! তাইনা?

  • মোহাম্মদ দিদার

    লেখাটি বর্তমান সময়ের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।
    লেখা না পরে, বা লেখা পরে গঠোন মূলক মন্তব্য না করাটা,শুধু লেখকের প্রতি নয় নিজের প্রতিও অন্যায় করা হয়। কারণ এটা নিজের ইচ্ছে স্বাধীনতাকে আাটকে দেয়।

  • শবনম মোস্তারী

    অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। অনেক কিছুই শেখার আছে। ফেসবুকের কমেন্টে যারা অভ্যস্ত তারা ব্লগের গঠন মূলক মন্তব্য পছন্দ করেনা, আবার দিতেও চায়না।
    গুণগত মন্তব্যের বিষয়টি আমাদের বুঝতে হবে।
    শুভকামনা আপু।

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ