এই আধো রাত্রি কেটে যাক
ভরে যাক বিষ-পেয়ালা
অটুট হেমলক ছড়িয়ে পড়ুক
ধীর স্থিরতায়, ধীরে ধীরে;
আমি নতজানু হবো ঈশ্বর-পল্লীতে
নীরব নিবিড় সান্নিধ্য-আনন্দ-খোঁজে,
হে ঘুমহীন বিধাতা, চির ঘুমের বিধাতা,
আমি জেগে আছি, জেগেই থাকি
বিধাতার আকুল আহ্বানে,
বিধাতার অহোরাত্রি নিবিড় আলিঙ্গনে,
অনন্তের তৃষ্ণায়।
৪০টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
আলোর পথের যাত্রীরা সব কে কে যাবি আয়,
নিয়ে যাব অনন্তের তৃষ্ণায়।
ছাইরাছ হেলাল
একা একা যাওয়ার চেষ্টা নিয়েন না, ভয় পাবেন, আমাদের সাথে রাখুন।
মুশকিল আছান হবে।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি নতজানু হবো ঈশ্বর-পল্লীতে
নীরব নিবিড় সান্নিধ্য-আনন্দ-খোঁজে,————- নতজানু হতেও মনে একাগ্রতা লাগে গুরু যা আমার নাই।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, প্রাকটিসে থাকলে সব ফক ফকা হয়ে যাবে।
মোঃ মজিবর রহমান
চেস্টা করে যাচ্ছি ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
লেগে থাকতে হপে।
প্রহেলিকা
সহজ সরল এই মজিবর ভাইকে অনেক পছন্দ করি। অনেকদিন ধরেই সোনেলাতে আছেন। কেমন যেন শান্ত-স্বভাবের একজন মানুষ। লিখুক না লিখুক, ব্লগে এসে ঘুরেফিরে যায়, আন্তরিকতা বেশ দেখেছি উনার মাঝে। ভাল থাকবেন মজিবর ভাই।
হঠাৎ কথাগুলো বলতে ইচ্ছা হলো, বলা হয়ে উঠে না অনেক সময় যা বলা প্রয়োজন
ছাইরাছ হেলাল
সে আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ।
প্রহেলিকা
আপনার সাথে একটু মিল আমার থাকা ভাল লক্ষন। কবি হবার সম্ভাবনা থাকবে তাইলে।
ছাইরাছ হেলাল
মিল হবার কুন রাস্তা খোলা নেই, আপনি কবি।
আমি কবিদের দ্যাক্তারিনা।
প্রহেলিকা
এক কবি কবিতা দিয়া সরাই ফেলছে। কষ্ট করে লেখা আমার মন্তব্য বিফলে গেলো! তীব্বত প্রতিবাদ
ছাইরাছ হেলাল
সেটি কখন ঘটল?
আহারে!! কোনটি সেটি?
প্রহেলিকা
নব্য কুবি কুবিতা দিসিলো একখান, কাচামরিচ মাখানো মন্তব্যও দিসিলাম একখান। কিন্তু দুক্কু মন্তব্য জমা দেয়ার আগেই পোষ্ট উধাও।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, আপনি কপি রাখলেন না ক্যা?
আর যেন ভুল না হয়।
নীরা সাদীয়া
বেশ লিখেছেন। উপমার ব্যবহার আরো অলঙ্কৃত করেছে লেখাটিকে।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
সামান্য শব্দ-প্রিতী আছে।
শুন্য শুন্যালয়
পুরোটাই বিসর্জন দিয়ে দিলেন দেখছি।
বিষ দিয়ে বিষ ক্ষয়ের কথা শুনেছি, আদৌ কী তাই হয়? বিষ কিন্তু অই আপনার কথার মতোই অটূট থাকে। কিসের এতো তৃষ্ণা কে জানে!
ছাইরাছ হেলাল
দিলে পুরোটাই দেয়া উচিৎ।
যার বিষ-ই নেই তার আর ক্ষয় অক্ষয়ের কি আছে।
ঠিক ঠিক, কিসের যে তিয়াস তাই তো লেখা হল না।
দোয়া দিয়েন!!
সাবিনা ইয়াসমিন
পরম তৃষ্ণায় যা পান করা হয় তাই অমৃত হয়ে যায়, হতে পারে যমুনার জল অথবা হেমলক। তৃষ্ণা যদি তৃষ্ণা বাড়ায় তবে ঈশ্বর পল্লীতে গমন ছাড়া বিকল্প পথ থাকেনা।
ঈশ্বর পল্লী —যেখানে বিধাতার বিধান বোঝা– না বোঝার কারণে জ্বলতে হয়, হেমলকের জ্বলন কেবলি ম্রিয়মাণ হতে থাকে…..
ছাইরাছ হেলাল
যমুনার জল/ছল চাই না, বিষ-ই খামু,
তাহলে বলতে চান সামনে আরও কড়া বিষ অপেক্ষমাণ!!
বিষে বিষ ক্ষয়, চিন্তা নাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
বিষে বিষ ক্ষয়, তাই বলে বিষের জয়োৎসব করার কি দরকার? বিষ খেতে হয় চুপচাপ, বিষের তান্ডব দেখাতে হয় প্রকাশ্যে নইলে বিষ পান করেন বা চিবিয়ে খান, কোনো ফায়দা নাই। 😁😁
ছাইরাছ হেলাল
বিষ অনেকেই খায়, কয় না, তবে বিষখোরের (ভালুবাসার) কাব্ঝাপ দেখতে পাবেন অচিরেই।
বিষের ক্ষয় নেই, বিষ বিষ-ই। অবশ্য বিষহীনেরা এগুলাইন জানে-ই না।
জিসান শা ইকরাম
জেনে শুনে বুঝে আনন্দ চিত্তে হেমলককে কাছে টেনে নিলো লেখার লেখক। চাপিয়ে দেয়া কোনো কিছুর জন্য নয়ত?
লেখাটি আরো পড়তে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
বিষ খাইয়া ঈশ্বর পল্লীতে যাইয়া কান্দাকান্দি করমু।
এ ছাড়া তো উপায় দেহি না।
পড়েন পড়েন, লগে গৃহ শিক্ষক নিয়েন।
রিতু জাহান
বিধাতার আকুল আহ্বানে নতজানু হয়ে তাকে জানিয়ে যাই, হাজির আমি তোমার ডাকে।
রাত ভোর হয়, তবু কেনো যেনো অতৃপ্ততা বুকে পাথর চাপা দিয়ে বসে থাকে।
কি যেনো করার ও কি যেনো পাওয়ার বাকি ছিলো এমন কিছু নিয়ে ভোরের আলো ফোটে। ভয় হয়, সব ঠিক থাকবে তো!!
মনটা ভারি বা হয় কেনো?
বড় সড় দীর্ঘশ্বাস বের হয়েও যেনো হয় না। আটকে যায় বুকের পাঁজরে।
ছাইরাছ হেলাল
আজকাল আপনি সব বলে দেন, আমার আর কওনের জায়গা থাকে না।
ঈশ্বর চায় প্রকৃত আত্মসমর্পন। এ কাজটি সব থেকে কঠিন, এখানেই পাশার দান উল্টে যেতে পারে, যায় ও।
আমরা ভারি মনে তার-ই সাহায্য চাই।
রিতু জাহান
বিধাতা জানে কতোটা আত্মসমর্পণে মাথা নতজানু হয়।
হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে মন। পারব তো সব! এ মনে যা কিছু সে দিয়ে দিয়েছো তার পবিত্রতা তারই হেফাজতে রেখে দেই রাত্রির গভীরতায়।
যা কিছু অপূর্ণতা তা ঢেকে রাখি, বালিশে মুখ লুকিয়ে শুয়ে পড়ি।
এবার এটার উপরেই কিছু লেখা জোড়া দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সাহস চাই গুরুজী,,,
ছাইরাছ হেলাল
চিন্তার কিচ্ছু নেই,
বিধাতা শুধু আন্তরিক প্রচেষ্টা টুকু চান।
আপনার সাথেই আছি। লিখে ফেলুন মন যেমন চায়।
প্রহেলিকা
অনন্তের তৃষ্ণার কিংবা নিবিড় আলিঙ্গনের আবডালে ঈশ্বরকে পটানোর চেষ্টা যে খুব হচ্ছে তাও সে বিধাতা জানে। উনি সব জানে। লেখক লেখাকে সাক্ষীরূপে নথিবদ্ধ করার প্রয়াস কোথা পর্যন্ত গড়ায় দেখা যাক।
ছাইরাছ হেলাল
তিনি সব-ই জানেন, তাও সোনেলার আপনজনদের সাক্ষী রাখলাম।
দেখতে থাকি কোথাকার জল পারকি দিয়ে পানি হয়ে গড়ায়!!
পাই না ক্যা!! বাড়ীর টান!!
প্রহেলিকা
একটু বাইড়ানো দরকার, গিঁটে গিঁটে আলসামো ধরছে ভালা কইরা।
ছাইরাছ হেলাল
ও কিচ্ছু না!! একটু পিটি-প্যারেড লাগবে, শই্ল্লে!! (শরীরে) আর কলমে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
যেতে হয় ই। তবু যেতে দিতে মন চায় না। এই না-চাওয়াগুলোই কেন যে পাওয়া হয়ে এসে দাঁড়ায়!
ছাইরাছ হেলাল
একে এই পোস্ট, তায় আপনার মন-ভারী সময়,
চ্যাতাইতে পারলাম না!!
দেখে সত্যি ভাল লাগল।
তৌহিদ
দিনশেষে সবারই নতজানু হতে হয়, তবে আর বিষপান কেন??
আমারেও পাশে রাখবেন কিন্তু!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বিষখোর হতে চান! ভয়ানক ঘটনা!!
প্রহেলিকা
এই মানুষটা গেছে! আমূলে গেসে!
ছাইরাছ হেলাল
সব দোষ কবিদের।
সব নষ্টের গোরা এরা।
মনির হোসেন মমি
আপনার এ কবিতা মনকে নিয়ে যায় আধ্যাতিক অধ্যায়ে।বিধাতা কিসে যে খুশি হয় তাই ভাবছি।তবুও জয় বিধাতা।
ছাইরাছ হেলাল
স্রষ্টাকে নিবেদন করেই এই লেখা।