ছাইরাছ হেলাল

লেখালেখি আমার কম্ম নয় - সে আমি বুঝেছি জেনেশুনে বেশ আগে এবং ভালভাবেই, তবে পাঠক হওয়ার অদম্যতা দমনে অপারগ আমি বরাবরই......

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১২ বছর ৫ মাস ৫ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৭৭৮টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ১৯৪৯৩টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ২২৩৬২টি

হাস-ভাসা হ্রদের খোঁজে

ছাইরাছ হেলাল ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার, ০২:৪৯:১৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২২ মন্তব্য
  হাসপাতাল-কান্নার আহাজারিতে ছয়লাব চারিদিক, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা,সঙ থেকে ভড়ং সুন্দরী; লহরী-ক্রন্দন ধীর থেকে দ্রুত লয়ে করে পথ অতিক্রম। হাসি হাসি সুখ-মুখের ভান করে অপেক্ষমাণের মিছিল-ছিজিল, একটু পরেই চিৎকার চেঁচামেচির অপারেশন টেবিল, সদাশয় চিকিৎসকের; আজ অকাতরে বিলানো মানত-শিরনী কুড়োবার কেউ নেই, বিধাতার কাছে করুন আকুতি, মাফ করে দিন এবারের মত এই একটি বার, বিধাতা ব্যস্ত এখন!নিজ কাজে; [ বিস্তারিত ]

গল্পের সাথে ক্ষাণিক্ষণ

ছাইরাছ হেলাল ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রবিবার, ১০:২০:০০পূর্বাহ্ন গল্প ২৬ মন্তব্য
  গল্প হেঁটে যাচ্ছে হনহনিয়ে তীর-বেগে/সর্পিল গতিতে, যাক না সে এমন করে দূরে কিম্বা কাছে, আর-ও কাছে। সিদ্ধ বা নিষিদ্ধের তোয়াক্কা না করে। ভোর-বিহান থেকে ক্লান্ত- বিকেলে গল্পের পেট এবার চো চো, পথ-ঘাটের জনহীনতায় ভরকে গিয়ে দারুণ-চাঙ্গা এবার খিদে; প্রত্যাশার ইতালিয়ান কোজিন, কাউন্টারে বসা ঢাউস ভূরি বাগিয়ে আধ-কপালি টাকের গমগমে গলার সদা-হাস্যের ম্যানেজার; এগিয়ে দেয়া [ বিস্তারিত ]

অপেক্ষার দিনক্ষণ

ছাইরাছ হেলাল ২৮ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ০৪:১৬:৫০অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৬ মন্তব্য
  ব্যস্ত (অহেতুক) জীবনের বাজার-রাস্তায় কোন এক অনুষঙ্গ ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে অথবা আলটপকা লাফিয়ে পড়ে পথ আগলে দাঁড়ায়; সমুখের বিস্তর কোলাহলের ভিড় ঠেলে, অগুন্‌তি বিষাদ বিসম্বাদ ছুঁড়ে দ্যায়, নির্দয় ভাবে। ঝানু শিকারীর মত নির্দয়তায় ছিঁড়ে-ফেড়ে কেটে-কুটে টুকরো-টুকরো করে। ভবিতব্যের লুকনো পৃষ্ঠা খুলে যায় অকস্মাৎ তপ্ত কালো দীর্ঘস্থায়ী কণ্ঠস্বর, ঘর সন্দেহ বাতিকগ্রস্ততায়। স্বর্নীল-উষ্ণ-শ্বাসের ঠাসবুনটের অলস-অপেক্ষারা নিপাট [ বিস্তারিত ]

বিমূর্ত যখন দুঃখের সুখ

ছাইরাছ হেলাল ২৫ আগস্ট ২০১৯, রবিবার, ১০:১৯:২৬পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৯ মন্তব্য
  দুঃখ! লুকিয়ে পড়ো এক্ষুণি, সুচারু/সযত্নে লুকিয়ে রাখি, গুটিয়ে রাখা আস্তিনের হা হা হাসির ভাঁজে ভাঁজে! দুঃখ! লুকিয়ে থাকার ভান করো, বত্রিশ দাঁতের খটখটে হাসির আড়ালে। দুঃখ! ছিচ-কাঁদুনে বা হৃদয়ের এফোঁড় ওফোঁড়ে অট্টহাসির আড়াল নিয়ে, লুকোনোর বাহানা করো শাড়ির নিপুণ/নিঝুম ভাঁজে, নিশ্চিত আত্মহত্যার সহজতম পথে। দুঃখ! কল কল ছল ছল করে ওঠো, ঝাঁপিয়ে দাপিয়ে পড়, [ বিস্তারিত ]
  কোন এক বিরল সন্ধ্যায় ঠাটা-মৃত্যুর অভিশাপে ভারাক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা এ হৃদয়, খোঁজে একটুখানি উন্মুখ জানালা; বিনিদ্র রাত্রির শঙ্কায় একটু বাতাস, গলে-যাওয়া চাঁদের হিম-শ্রী হ্রদে খরতাপের অন্তহীন একাকীত্বে। ক্ষণ-জীবনের জল-বৃষ্টিতে নির্বাক বিস্ময়ে ভাবে, কে আর রাখিবে কারে আধার-স্মরণে! আচ্ছন্নের মসৃণ খুশি, অনুপকারী প্রত্যহের ফুটে থাকা কিরণ-কল্পন আফসোসের কারণ, সবেধন-নীলমণি চাঁদ, ফিকে আজ দূর আকাশে স্তব্ধতায় ডুবে [ বিস্তারিত ]
  হৃদয়-গভীরের-গহীনে অব্যক্ত সুর/কথার ছলে কবিতারা উঁকি দেয়, অসামান্য নিষ্ঠার হেয়ালী-পরায়ণতায়; বাগজালের বাগবিস্তারে তাদের ছুঁতে পারি না, এড়াতেও পারি না, হাতছানি!! সে-ও তো থেমে নেই; নেই, প্রতিভার আলোকসামান্যতা, তা-ও বুঝতে পারি। খর-বাস্তবতায় মিষ্টি রঙের অনুভূতিটুকু-ও হৃদয়ের সোনা-মুখে তুলে নিলে ছাইমাটি ছাইমাটি হয়ে ওঠে, অনুপুঙ্খানুপুঙ্খ-বিবরণে ধরা দিচ্ছে না, হাঁপিয়ে /লাফিয়ে ওঠা মন; সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম-অনুভূতি-আশ্রয়ী অন্তহীন-বর্ণনা-অর্চনায় গা –এলিয়ে [ বিস্তারিত ]
  ধ্বনিরা সব শূন্য ফু হয়ে উড়ে বেড়ায় চতুর্দিকে পার্থিবে, যূথ-চিন্তনের ভিড়-বাট্টায় নিঃসঙ্গ গৃহহীন নিবিড় ভাবে দু’ফোঁটা রক্তাশ্রু একান্তের এই নিগূঢ় গৃহযুদ্ধে; এই তো অবশ-বিবশ সবল-জানু মেলে রেখেছি, পরস্পরের কাঁড়াকাঁড়ি বিহীন, মন উজাড় করে রক্ত চোষ, কামের টঙ্কারে বলকে ছলকে ফোঁটায় ফোঁটায়, তরল হাসিতে টুং টাং শব্দ তুলে, নিরীহ পরাভবের ছল ধরে। প্লাটিলেট নেমে যাক, [ বিস্তারিত ]
  গেঁয়ো ভুল ছিল না, চাষাড়ে অবয়বের জন্য টলটলে স্বপ্ন-বৃষ্টি পুঞ্জিভূত মেঘের বাঁধ ভেঙ্গে নির্দোষ অনুভবে আছড়ে পরছে না; শুধু বেঁচে বর্তে থাকে, শুধু হাড়-জ্বালানোর মূল শর্তে; উধাও-বৃষ্টির নাগাল পেতে মেঘকে বুঝিয়ে শুনিয়ে উল্টে-পাল্টে নির্লজ্জের মত কত কী-না বলি! সঠিক ভাবে কষা অংকের মূল সমীকরণের বিচ্ছিন্ন সংযোগকে ভালোলাগা-না-লাগা ভুলে দ্রুত ছুটে-ফুটে মেঘের দেশে ঝুলে থাকি, [ বিস্তারিত ]

নীলের দংশনে

ছাইরাছ হেলাল ৩০ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ০৭:৪৮:৩৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য
  সেই কত কাল! নিঃশব্দচারিতায় মুখিয়ে আছি, ক্রম-নিঃশব্দতা থেকে চুড়ান্ত স্তব্ধতার কাছাকাছি অব্ধি, অন্ধকারের প্রবাল-প্রবল-ছোবল থেকে যে টুকু বিষ উঠে আসে সে নীল-দংশনে ঝাঁপ দিতে দিতে চিৎকারটুকু-ও আঁচল বিছিয়ে সলজ্জ-চুম্বনে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে না। ঘূর্ণায়মান নীল-রক্ত-চাদরে ডুবে যেতে যেতে আকন্ঠ অঙ্গ-তৃষ্ণা বরণ করে নিতে চায় দুস্থ-হৃদপিণ্ড, চাঁদ-নগ্নতায় সুতীব্র জলজ দাহে নিষঙ্গ-নিঃশব্দ-স্তব্ধতা ছুটে আসে ঠোঁটের দারুন [ বিস্তারিত ]

একটি অপরিপাটি গল্প-কথা

ছাইরাছ হেলাল ২৬ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ০৭:২৫:০০পূর্বাহ্ন গল্প ২৬ মন্তব্য
ঠোঁটের কোণে একদম মাপা পরিপাটি হাসি ঝুলিয়ে গল্পরা সারাক্ষণ গুণগুণ করে গল্প-টল্প করে, এসব শুনে-টুনে গল্পদের সাথে ভাব করতে ইচ্ছে হয়, এরা গুনগুন করে করে একদম কাছাকাছি চলে আসে সবার অলক্ষ্যে, খুব বেশি সময় ব্যয় করে না, ক্ষুদে ক্ষুদে মুহূর্তগুলো তড়িৎ জড়ো করে রক্তটা চুষে খেয়ে মুণ্ডুটা ফেলে দ্রুত সটকে পরে। এই স্ফীতোদর গল্প-ষণ্ডদের নির্ভেজাল [ বিস্তারিত ]

গল্প-কথার ছলা-বলা

ছাইরাছ হেলাল ২১ জুলাই ২০১৯, রবিবার, ১১:১২:৩৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৮ মন্তব্য
  এখন থেকে তিন কোটি বছর পূর্বের, এ সংখ্যাটি তিন লক্ষ্য কোটি বা আমাদের সুবিধানুযায়ী তিন সেকেন্ড হিসাবে ভাবলে অসুবিধা/সুবিধার কিছু নেই, যার যার মর্জি মাফিক সাব্যস্ত হতেই পারে, হোক তা। কথা হলো গল্প লেখা না লেখা নিয়ে কী কী ভাবনা করা যায়, যা ভাবলে সামান্য আরাম বোধ হতে পারে। আচ্ছা ঝটাঝট নাকি পটাপট, বা [ বিস্তারিত ]

একটি না-জমে-ওঠা গপ্পো-কথা

ছাইরাছ হেলাল ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ০৪:০৯:২৪অপরাহ্ন গল্প ২৬ মন্তব্য
  অনেক দিন থেকে ভাবছি, আরে নাহ! এই তো একজনের গল্প-লেখা-ভাবনা শুনতে শুনতে ভাবলাম আমিও না হয় লিখে ফেলি একটি যেমন-তেমন মহা-গল্প। সহজ ভাবনা সহজেই ভাবা যায়, কিন্তু লিখতে বসে দেখি, ভাভারে ভাভা! গল্প আবার কেমনে লেখে! ঐ যে ভেতরে/বাহিরে (ইচ্ছে হলে গানটি শুনে বিমলানন্দ নিতে পারেন) ত্যাঁদড় ইচ্ছে তড়পে যাচ্ছে, গাল-গল্প এবার ফাঁদবো-ই ফাঁদবো! [ বিস্তারিত ]
  বিশাল ডানা মেলে ভেসে বেড়াচ্ছে বৃষ্টি বিভোর আনন্দে, ঢেকে ফেলেছে ও প্রান্ত অব্দি, ঝম ঝম করে হেসে হেসে গড়িয়ে দিচ্ছে জলধারা আনন্দ সরোবরে। আপাপবিদ্ধতায় অনলংকৃত নিঃসঙ্গ আজ অচতুর সময়ের জরায়ু, অযথাই গেল রোপণের ভ্রমর গুঞ্জন, স্বপ্ন-বীজ আজ ও বেঁচে আছে স্মৃতি-বিস্মৃতির ক্রম-আলিঙ্গনে, চোলাই বিষণ্ণতার জলজ অস্তিত্ব এই ঘন সন্ধ্যায়; বর্ষা-হৃদয় আজ বসে আছে ক্ষণ [ বিস্তারিত ]
  নিষেধের বেড়াজালে আকণ্ঠ ডুবিয়ে হাঁসফাঁসের এ ক্ষয়িষ্ণু জীবন, জানলার খড়খড়িটুকুও হুকুমের দাস অন্ধকার-বন্ধ কুঠুরিতে আলো-আধারের হিসেব-হীনতায় টেনে টেনে এই একটু নিঃশ্বাস; ফেঁসে যাওয়া এই স্তব্ধতায় বুকের মাঝে ছলছলানি অবিরাম দোল খায়/দোল দেয়। বাঁধা ছকে বাঁক খেতে খেতে কখন যে কে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বৃষ্টি-জলে-ভাসা চোখে চোখ লুকিয়ে কে জানে! অকস্মাৎ খুলে যায় বন্ধ খাঁচা, অচেনা [ বিস্তারিত ]

ভালোলাগে ভাল্লাগেনাকে

ছাইরাছ হেলাল ১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ০২:২১:৪৭অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৬ মন্তব্য
  এই ঘন-ঘোর বর্ষা-মাদলে ঊন-বিষ নিপাট-আলাভোলা ভাল্লাগেনাকে ভালই লাগে, নিবিড় সানুনয় সান্নিধ্যময়তার নকশীকাঁথা জড়িয়ে; নেই, সর্ষের ঝাল-মুড়ি, নেই, ঘাস-শিশিরের হীরে-ঝলকানি, নেই, এক ফোটা পাখি, দোয়েল-শীসের বিরহ ব্যথার সম্ভ্রম, পরী-বুকের উষ্ণ আলিঙ্গন, নেই, ভেজা মানি-প্লান্টের উপর্যুপরি উঁকিঝুঁকি; দেশান্তর সাগরের বাঁধা-দীর্ণ উচ্চকিত-উচ্ছলতা অকস্মাৎ ছুড়ে দেয়া লোনা জল ভাল্লাগেনা; দীর্ঘ আয়না-জলে ভেসে থাকা ভাল্লাগেনাকে দেখে দেখে ভালই লাগে, [ বিস্তারিত ]

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ