
দেয়ালের এপাশ থেকে ওপাশ!
সামান্য একটি দেয়াল মাত্র;
চাইলেই টপকানো যায়, ফুঁ দিয়েও
গুড়িয়ে দেয়া যায়,
গনগনে আগুন! তাও জ্বেলে দেয়া যায়,
পেরেক ঠুকে ঠুকে নড়নড়ে করা যায়;
তারপর ও দেয়ালেই ঝুলে থাকে দেয়াল
বিটকেল-দাঁতে, অভাব্য অসভ্যতায়;
অবশ্য ছত্রিশ/বত্রিশ চড়ে একটা/কয়েকটা দাঁত ফেলে দেয়াই যায়;
কিন্তু কিন্তু,
দাঁত ফেলে বা উপড়ে দিলে/নিলে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে থাকবে তো,
ভাত ই বা খাবে কী করে! ফোকলা হলে কী ভাল লাগবে!
বরং একটা কাজ করা যায়,
বড় একটা দেয়াল টেনে আড়াল করা যায়,
কিন্তু চিৎকার চেঁচামেচি! সে তো পৌঁছে যাবে অলিন্দ-নিলয়ে;
তার থেকে এই ই তো ভাল, গাঢ় অন্ধকার নেমে আসুক
ঠিকঠাক ক্রান্তিকালের মত নিগূঢ় নিঃশব্দে,
দেয়াল ঝুলে থাকুক দেয়ালে, দেয়াল হয়ে।
ছবি নেটের।
৮টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
ভূঁইফোড় দেয়ালের দাঁত ভাঙা যে সে কথা নয়….. চাইলেই ভাঙা যায় যে দেয়াল! তাকে স্থিত রাখাটাও সমীচীন নয় নিশ্চিত।
যে গতি উড়িয়ে নিয়ে গ্যাছে দূরারোগ্য সময়! তার ফিরে আসার প্রতীক্ষায় গুণছি দিন – দিনকে দিন….
হালিমা আক্তার
যে দেয়াল ফু দিলে উড়ে যায়, তা না থাকাই ভালো। থাক না সীমাহীন প্রান্ত খোলা।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অবশেষে আঁধারই সব ঢেকে দেয়।
সুন্দর উপমায় অনন্য রূপকের প্রকাশ।
অশেষ মুগ্ধতায় শুভ কামনা রেখে গেলাম পাতায়।
মোঃ মজিবর রহমান
কঠিন অবস্থা কবিরাজ মশায়। সব পারা যায় আবার সবেই প্যারা থেকে যায় যে……………।
হালিম নজরুল
গাঢ় অন্ধকার নেমে আসুক
ঠিকঠাক ক্রান্তিকালের মত নিগূঢ় নিঃশব্দে,
দেয়াল ঝুলে থাকুক দেয়ালে, দেয়াল হয়ে।
———–ভাল লাগল
খাদিজাতুল কুবরা
আজকাল দেয়ালগুলো চুপিসারেই ওঠে, দেয়ালে দেয়াল ঘেঁষে অনর্থক ধ্বংসস্তুপীকৃত হলেও আর করার কিছুই নেই।
এ যে সময়ের দাবি।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দেয়ালের দাঁত ভেঙে দিলে চিৎকার, চেঁচামেচি তো হবেই তবুও যদি ভালো কিছু হয় তবে জোরসে ভাঙ্গা হোক সব দাঁত। দেয়ালের পর দেয়াল গেঁথে দিলে দূরত্ব ই শুধু বাড়ে
নার্গিস রশিদ
সুন্দর প্রকাশ। ভালো থাকবেন ।