
ভোর রাত সাড়ে চারটায় ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চ পৌছাল। পল্টুনে লঞ্চের সজোড়ে ধাক্কার বিকট শব্দে ঘুম থেকে আতংকিত অবস্থায় জাগলাম। আর ঘুম আসলো না। গন্তব্যে পৌছানোর পরে মানুষ সাধারণত যানবাহনে আর থাকতে চায় না। ব্যাগ গুছিয়ে একজন কুলি ডেকে তার মাথায় চাপিয়ে নেমে গেলাম লঞ্চ থেকে অধিকাংশ যাত্রীর সাথে।
রাস্তার বৈদ্যুতিক পোস্টে লাইটগুলো জ্বলছে তখ্নো। কয়েকটি রিক্সা আর সিএনজি যাত্রীদের ডাকাডাকি করছে। আমার গন্তব্য পল্টন, তাই রিক্সা নিলাম। রাস্তা একদম ফাঁকা। পথচারী বলতে মসজিদের নামাজ ফেরত কয়েকজন। একবার ভাবলাম আরো কিছুক্ষণ পরে না হয় যাই। কিন্তু অনেক যাত্রী যাচ্ছে দেখে আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম চলে যাবার।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কোর্ট পেরিয়ে ধোলাইখালের সিগনাল অতিক্রম করে সোজা নবাবপুর রোড হয়ে পল্টন যাবে আমাকে বহন করা রিক্সা। সিগনাল মোড় এর মাঝামাঝি আমি, হঠাৎ ধোলাইখালের দিক থেকে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা বোঝাই এক ট্রাক দানবের মত এসে আমার রিক্সা কে সামনা সামনি চাপা দিল। রিক্সা সহ রিক্সা ওয়ালা ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে গেলো ট্রাকের চাকার আওতার বাইরে। আর আমি ট্রাকের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে পরে রইলাম রাস্তার উপর। মাথার উপর দিয়ে চাকা চলে যাওয়ায় হলুদ মগজ আর লাল রক্তের মিশেলে রাস্তার উপর এক অ্যাবস্ট্রাক্ট চিত্রের মত দেখাচ্ছে। এত রক্ত ছিল আমার শরীরে! একটা চোখ কোটর থেকে বের হয়ে একটু দূরেই আমার দেহের দিকে তাকিয়ে আছে। মৃত্যুর পরে মানুষের চোখ আরো চল্লিশ মিনিট কর্মক্ষম থাকে, এরপর চোখের মৃত্যু হয়। হাত পা তখনো লাফাচ্ছে। দুহাত দিয়ে শরীরকে জাগানোর ব্যার্থ চেষ্টা করছে। একসময় নিথর হয়ে গেলো শরীর।
রাস্তার অন্য পাশে রিক্সা ওয়ালা অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। আমার ব্যাগ, ল্যাপটপ আমার মৃতদেহ আর রিক্সার মাঝামাঝি। চারজন লোক এলো। একজনে আমার ল্যাপটপটি কাঁধে নিয়ে চলে গেলো, যেন ল্যাপটপটি তার নিজের। সাইড ব্যাগটি নিয়ে নিলো অন্য একজন। লাগেজটি জাগানোর চেষ্টা করলো অন্য দুজনে, ভারি হওয়ায় হাতে নেয়া যাবেনা বুঝতে পারলো। মাথায় নিলে পুলিশের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে এই চিন্তায় এখানেই লাগেজটি খুলে ফেললো।
ভিতরে মালামাল দেখে তো অবাক দুজনেই। মৃত ব্যাটা শিওর পাগল। আমি তো হাসছি তখন এদের চিন্তা জানতে পেরে। লাগেজে প্রচুর পুরাতন জামা কাপড় যাতে আমার প্রিয়তমার স্পর্শ লেগেছিল বিভিন্ন সময়ে। একটি আস্ত ইট, কয়েক কেজি পাথুরে কয়লা ( আমি ইট প্রস্তুতকারক ছিলাম বলে প্রিয়তমার আবদার ছিলো এ দুটো সংগ্রহে রাখার), এক লিটার মাম পানির একটি খালি চ্যাপটানো বোতল যা শেষ বার দেখা হবার সময় প্রিয়তমা খেয়েছিল, শুকিয়ে যাওয়া পাঁচটি লাল আঙুর যা প্রিয়তমার দেয়া আঙুর থেকে না খেতে পারায় থেকে গিয়েছিল। একটি ভাঙা চাইনিজ মোবাইল যাতে প্রিয়তমার স্পর্শ লেগে আছে। পলিথিনের সুদৃশ্য একটি প্যাকেটে তার একটি চুল, আর আমার নিজের কয়েকশত ছবি যে গুলো সে তুলে দিয়েছিল নিজের মোবাইলে।
এইসব জিনিসপত্র দেখে রাগে দুজনে অস্থির হয়ে আমার মৃত দেহের কাছে এসে কয়েকটা লাথি দিল। আমার বাম হাতের আঙুলে সোনালী রঙের আংটি দেখে ফেলল একজনে। থেতলে যাওয়া আঙুল থেকে টেনে খুলে সোনার আংটি ভেবে নিয়ে চলে যাচ্ছে দুজন। আমি চিৎকার করে বলিছি ” প্লিজ নিওনা ওটা, সিলেট হযরত শাহজালাল এর মাজারের সামনে থেকে আংটিটি কিনে দিয়েছিল আমার প্রিয়তমা, রেখে যাও ওটা……..
ছবি: গুগল থেকে।
৪১টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
হাজিরা দিয়া গেলাম।তব্দা খাইছি গল্প পইড়া। মাথা আউলাইয়া আছে। মন্তব্যে পরে আসছি।
জিসান শা ইকরাম
সমসাময়িক বিষয়ের বাইরে লিখতে গেলে ইদানিং এমন লেখা চলে আসে, চেষ্টা করেও অন্য গল্প লিখতে পারছি না।
হয়ত এমন দু একটা লেখার পরে এমন ধরনের গল্প মাথা থেকে নেমে যাবে।
মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ভাবলাম সত্যি ঘটনা নিয়ে লিখলেন তাই মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু। পরে দেখলাম দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তি লিখে যাচ্ছে। যাক গল্প তো গল্পই।
প্রিয়জনের ছোঁয়ায় জিনিষগুলোর মুল্য অনেক তাতো সাথে থাকবেই। কিন্তু মৃত ব্যক্তির গাঁয়ে লাথি দেয়াটা মেনে নেয়া যায় না।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
” প্রিয়জনের ছোঁয়ায় জিনিষগুলোর মুল্য অনেক তাতো সাথে থাকবেই। ” এটিই গল্পের মূল ম্যাসেজ।
একজনের কাছে যা মহামূল্যবান, অন্যের কাছে তা অপ্রয়োজনীয়।
চোরেরা এমন উদ্ভট জিনিসপত্র দেখে অত্যন্ত রাগে মৃতদেহকে লাথি দিয়েছে দাদা, কিছুই করার নেই।
শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
আরজু মুক্তা
চোর কি আর বোঝে, দামহীন জিনিস গুলোই কতো অমূল্য! ওদের পেট কীভাবে চলবে সেটা দেখে। মৃত লাশটারও যে সৎকার দরকার, ওরা বেমালুম ভুলে গেছে।
মনুষ্যত্ব নাই।
আসুন,, মানবিক হই।
জিসান শা ইকরাম
আজ কাল দুর্ঘটনা হলে কিছু মানুষ মালামাল নিয়ে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়।
এদের কাছে আবেগ মূল্যহীন।
প্রিয়তমার স্মৃতি অমূল্য হয়।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
দারুন গল্প, আগে বললে চুনকাম করে ফকফকা করা যেত।
চালু থাকুক।
এ সব প্রিয়তমারা গল্পে গল্পে ই ভাল। বাস্তবতায় এরা ভং ধরা পেত্নী !!
জিসান শা ইকরাম
আমার লেখার সমস্যাটি আপনি জানেন,
হঠাৎ মনে হয়, লিখে ফেলি ব্লগে।
এরপরে ভাবছি প্রকাশ আর করবো না, খসড়ায় রেখে চুনকাম করার পরে পোষ্ট দেবো।
প্রকৃত প্রিয়তমা সব সময়ই ভালো।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ও মাগো, এ্যয়া কিয়া লিখছইন ভাইজান, বুকডা তো ঢিবির ঢিবির করে।
এই দেশে মৃত্যু যে কত সহজ তা গল্প পড়েই বুঝতে পারছি, এই মৃত্যর প্রতি কারো কোনো আফসোস নেই, তার কাছে যা আছে নিয়ে যা, এই হলো চোরদের প্রকৃতি, কি নির্মম।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ভাইজান, বাস এক্সিডেন্টের পরে কিছু মানুষ আসে লুটপাট করার জন্য।
দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীদের আঙুল কেটে আংটি নিয়ে যাবার ঘটনাও আছে বাস্তবে।
গল্পটির মাঝে প্রিয়তমার স্মৃতি আঁকড়ে রাখার ম্যাসেজ আছে। আর আছে অনুভূতিহীন মানুষদের মৃতের মালামাল লুট করার বাস্তবতা।
শুভ কামনা ভাইজান।
ইঞ্জা
দুঃখজনক
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ভাইজান।
ইঞ্জা
☹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার লিখেছেন দাদা ভাই। বাস্তবতা এমনি রাস্তায় এমন দূর্ঘটনা ঘটলে বেশীরভাগ সময় এমনি হয় তাও ভোরের দিকে যখন লোক জন তেমন থাকেনা । তবে বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে মনে হচ্ছিল ঘটনাটি চাক্ষুষ দেখলাম। এমন দূর্ঘটনায় যা হতে পারে তার পুরোটাই অবিকল তুলে ধরেছেন। ভাবতেই গা শিউরে উঠলো এমন মৃত্যু কারোরই কাম্য নয়, দেখা তো যায় ই না এমন মৃত্যু। প্রিয়তমার স্পর্শ মাখানো জিনিসগুলোর মূল্য প্রেমিক ই শুধু বুঝবে, চোর ছ্যাচর বুঝবে কি করে, অন্যেরাও বুঝবে না। কারো মূল্য ই অন্যকেউ দিতে পারে না , যার যার মূল্য তার কাছে। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
জিসান শা ইকরাম
সুযোগ সন্ধানী মানুষদের অভাব নেই আজকাল।
এরা দুর্ঘটনার পরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেয়ে লুটপাটে মনযোগী থাকে।
প্রিয়তমার স্পর্শ মাখানো জিনিসের মূল্য চোর ছ্যাচররা বুঝবে না, যার মূল্য তার কাছেই।
শুভ কামনা ছোটদি।
খাদিজাতুল কুবরা
মৃত্যুই এখনকার সময়ের সহজ প্রাপ্তি। বাস্তবতাই তুলে ধরেছেন গল্পে। আমার ছোট বোন হাইজ্যাকের শিকার হয়েছিলো। এতো জগন্য নিষ্ঠুর ওরা বেচারী এখনো মনে পড়লে কাঁপুনি দিয়ে বেহুশ হয়ে পড়ে। আর স্মতিময় জিনিস অমূল্য।
চোর তো চোরই।
খুব সুন্দর গল্প পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেছে।
জিসান শা ইকরাম
মন খারাপ হলেও কিছু মানুষের নিষ্ঠুরতার বাস্তব চিত্র গল্পে নিয়ে এসেছি ছোট আপু।
এরা মনযোগী থাকে মূল্যবান মালামাল লুটপাটের জন্য।
দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার কথা ভুলে যায়।
মৃত ব্যাক্তির কাছে যা আছে তা নিয়ে নেয়ার ধান্ধায় থাকে।
শুভ কামনা।
ইসিয়াক
অন্যরকম গল্প। আমি তো ভেবেছিলাম সত্যি ঘটনার বর্ণনা।যাহোক গল্পে ভালো লাগা।
সুযোগ সন্ধানী লোক সব জায়গাতেই থাকে।
জিসান শা ইকরাম
অনেক দিন পরে আপনাকে ব্লগে দেখে ভালো লাগলো খুবই ইসিয়াক ভাই।
এই স্থানেই কয়েক বছর পূর্বে এমনই এক দুর্ঘটনা হয়েছিল আমার। তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তার সাথে কিছু যুক্ত করে লিখে ফেললাম গল্প।
হ্যা ভাই, ‘ সুযোগ সন্ধানী লোক সব জায়গাতেই থাকে ‘।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
আমি প্রথমেই মৃত ব্যাক্তিকে স্যালুট জানাই। তার কারন বেটা মরে যেয়েও দেখার ইচ্ছাটা ছাড়েনি। সে দেখতে চাচ্ছিলো তার সঙ্গে থাকার জিনিষগুলি কি হয়। যার যার মতন পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে ভাগ বাটোয়ারা করে নিলো। এদের ভাগ-বাটোয়ারা দেখে মনে হলো বাবার মৃত্যুর পর সম্পদ ভাগ করছে।
গল্পটা এমন করে সাজিয়েছেন যে, একটি দূর্ঘটনায় যা যা ঘটে তার বাস্তব চিত্র ফুঁটে উঠেছে। এমনটিই হয় প্রতিটি দূর্ঘটনায় কবলিত মানুষদের সঙ্গে। যতটুকু প্রান দেহে থাকে তা রক্ষা করার জন্য কোন মানুষ এগিয়ে আসতে চায় না। তাদের লোভ কাজ করে আহত বা নিহত ব্যাক্তিদের সম্পদ লুট করার প্রবনতায়। গল্প হলেও বাস্তবতায় যথেষ্ট মিল রয়েছে।
হায়রে মানুষ!! কবে যে হবে তোদের হুঁশ।
আরেকটা কথা ভাইজান
বাংলা একাডেমীর মতন গরু যেমন গোরু হয়েছে তেমনটি সাড়ে চারটা সারে চারটা হলো?
জিসান শা ইকরাম
যতটা সম্ভব বাস্তব করতে চেয়েছি গল্প। কিছু সুযোগ সন্ধানী লোক থাকেই প্রায় দুর্ঘটনায়। বাস দুর্ঘটনায় আহত জীবিত মানুষদের আঙুল কেটে সোনার আঙটি নিয়ে যাবার ঘটনাও আছে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে মাঝে মাঝে যে লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে, ডুবুরিরা প্রথমেই গিয়েই মৃত মহিলাদের গলার, হাতের, কানের সোনার অলংকার নিয়ে নেয়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
দূর্ঘটনায় কবলিত মানুষদের মরেও শান্তি নেই।
মানুষের হুঁশ আর ফিরবে বলে মনে হয় না ভাই।
সাড়ে আর সারে শব্দ নিয়ে কনফিউশনে আছি খুব। গুগলে দুটোই পেলাম বানান। গুগল বাদ, আমাদের শামীম ভাইর বানানই সঠিক, তাই সারেকে সাড়ে করে দিলাম।
শুভ কামনা ভাই।
শামীম চৌধুরী
বাস্তব কথা বলেছেন। ডুবুরী আশায় বসে থাকে কখন লঞ্চ বা জাহাজ ডুবে প্রাণহানী হবে।
জিসান শা ইকরাম
ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কিছু জেনেছি ভাই।
হালিম নজরুল
সত্যি বলছি মরার আগে অতটা ভাল লাগছিল না। কিন্তু মরার পর এতটা মুগ্ধ হয়েছি যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। চমৎকার লিখেছেন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
মরার পরের অংশ লিখতে আমারো ভালো লাগছিল খুব।
আপনার মত সাহিত্যিককে মুগ্ধ করতে পারা কঠিন, আমি ধন্য হলাম ভাই।
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমি তো প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
দাদা এসব কি লিখছেন।
অবশেষে হযরত শাহাজালালের মাজারের সামনে থেকে কেনা আংটি।
চোর তো মনে করেছে মহামূল্যবান জিনিস পেয়েছে😃
বাস্তবমুখী গল্পের সার এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন সত্যিই প্রশংসনীয় দাদা।
মরে গিয়েও ইচ্ছাশক্তি থেকে থাকে।
চোরের ধর্ম কখনো মানবিক নয় তাই পাশে না দাঁড়িয়ে জিনিসপত্র নিয়ে পালাচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতি সংরক্ষণের ইচ্ছে মরার পরেও থেকে যায়। মানুষ মারা যাবার পরে চোখ সবার শেষে অকার্যকর হয়।
মৃত্যু হবার পরে আরো চল্লিশ মিনিট চোখ দেখতে পায়, জীবিত অবস্থায় যেমন দেখতে পেত তেমন। একারনেই হয়ত মৃত্যু বরেনের সাথে সাথে চোখ বুজিয়ে দেয়া হয়।
গল্পতে কিছুটা বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে কল্পনা যুক্ত করে লিখেছি।
চোরের কাছে মৃতের মালামালই মুখ্য, অন্য কিছু নয়।
ভালো থেকো প্রদীপ, শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
ভয়ঙ্কর মৃত্যু দিয়ে শুরু। বর্ণনা পড়ে শিউরে উঠেছি। কিন্তু যখন এই মৃত্যুই আমাদের বাস্তব চরিত্র উন্মোচন করল, মুগ্ধ হলাম। আরও মুগ্ধ হলাম প্রিয়তমার স্মৃতি আগলে রাখায়।
শেষ বাক্যটা এক অনন্য প্রেমের কবিতা যেন।
জিসান শা ইকরাম
আরো ভয়ঙ্কর বর্ণনায় লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু শব্দের অপ্রতুলতার কারনে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
চেষ্টা করছি গল্প লেখার, কিছুটা পরামর্শ দিলে পারতেন আপু। গল্পটির দুর্বলতা কোথায়, আরো ভালো কিভাবে লেখা যেত ইত্যাদি। আপনার গল্প পড়ে শিখছি গল্প লেখা।
প্রিয়তমার সব কিছুই আসলে প্রেমের কবিতা এক একটি।
এমন মন্তব্যে ধন্য হলাম।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
লেখা পড়ে শিউরে উঠলাম! মৃত হয়েও এ যেন সদা জাগ্রত প্রেমিকের প্রেমাসক্ততা ফুটে উঠেছে লেখায়। মানুষ মরে গেলেও ভালোবাসার স্মৃতি মন থেকে মুছে যায়না।
অনেকদিন পরে লেখা দিলেন কিন্তু! তবে পুরাই সেঞ্চুরি হাকানোর জন্য অগ্রিম অভিনন্দন।
শুভকামনা ভাই।
জিসান শা ইকরাম
চেষ্টা করেছিলাম আরো ভীতিকর ভাবে উপস্থাপন করার। কিন্তু শব্দ স্বল্পতার কারনে তা আর পারিনি।
ভালোবাসা অমর ভাইসাব। এটি জন্মজন্মান্তর চলতে থাকে।
মাত্র ৩৫৫, সেঞ্চুরী বহু দূর…………
ভালো থাকুন সব সময়, শুভ কামনা।
তৌহিদ
হিট লেখা পড়তে অলটাইম সেঞ্চুরি করার মতই আনন্দ। লেখকের লেখা লা জবাব!
শব্দ খুঁজে পাচ্ছেননা! বলেন কি? লেখায় দীর্ঘ বিরতি দিলে এমনটাই হয়। নিয়মিত আবার পোষ্ট দেয়া শুরু করুন ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
হু তা ঠিক, যেমন আপনাদের লেখা পড়ে আনন্দ পাই।
অভিনন্দন পোষ্ট নিয়ে একটা লেখা মাথায় ঘুড়পাক খাচ্ছে, দিয়ে দেব সহসাই।
দীর্ঘ বিরতিতে আসলেই সমস্যা হয়েছে। লেখা পালিয়ে গিয়েছে বলতে গেলে।
পপি তালুকদার
পড়াটা শুরু করেছিলাম গল্প পড়ার মানসিকতা নিয়ে।কিন্তু দুর্ঘটনা যেন থমকে দাড় করিয়ে দিল!প্রতিদিন এভাবে ঘটে যাওয়া হাজারো ঘটনা আমাদের অজানাই থেকে যায়।সত্যিই বাস্তব আর কল্পনা যেন মিলে মিশে একাকার।ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
এমন ঘটনা ঘটে মাঝে মাঝেই।
দুর্বৃত্তরা ওৎ পেতে থাকে দুর্ঘটনা কবলিত মানুষদের মালামাল নিয়ে যাবার জন্য।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
চুপচাপ মানুষরা বিপদজনক! হঠাৎ কখন, কি করে বসে আক্কেল গুড়ুম হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। কালকের দিনটা সোনলায় স্পেশাল হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এত ভালো ভালো লেখা উপহার হিসেবে সবাই দিয়েছে তার জন্য।
এ লেখকের মত স্মৃতি আঁকড়ে ধরা প্রেমিক যুগে যুগে আরও জন্ম নিক।
শুভ কামনা অবিরত ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় প্রায় সবাইই ভালো লেখেন। আপনি সমসাময়িক বিষয়ের উপর অত্যন্ত দক্ষ একজন লেখক। অত্যন্ত সহজ ভাবে প্রবন্ধ গুলো উপস্থাপন করেন পাঠকদের মাঝে, যেভাবে আমরা পড়তে চাই।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
শুভ ব্লগিং।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি প্রথমে আপন গল্প ভেবেই পড়ে যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ঘটনা! কষ্ট। চোর না শুনে ধর্মের কাহীনি। তাঁর চাই টাকা অর্থ ও সম্পদ।
কার স্পর্শ, কার মায়া, কার ছায়া যার হয় সেই বোঝে। তাঁর আত্বা ডুকরে কাঁদে। অন্তর পুড়ে মরে।
হৃদয় বিদারক ট্রাজেডি কষ্টের অন্তরে লিখা উঠে আসে।
চমৎকার লেখা।
জিসান শা ইকরাম
অসৎ অমানুষদের কাছে তাদের স্বার্থটাই বড়,
অন্য সব কিছু তুচ্ছ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা, শুভ ব্লগিং।
মোঃ মজিবর রহমান
শুভব্লগিং ভাইয়া।
উর্বশী
বাস্তবতার আলোকে চমৎকার উপস্থাপন ভাইয়া।কিছু মানুষ সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় ই থাকেন। তাদের কাছে কোনো নীতি বোধ কাজ করেনা। প্রয়োজন মিটে গেলেই হলো,অন্য দিকে দেখার মত সময় তাদের থাকেনা বা হয়না। প্রিয়জনের জন্য সুন্দর ম্যাসেজ রয়েছে,উপলব্ধির বিষয়। মৃত্যূ চিরন্ত, গল্পে এই মৃত্যূ সদা জাগ্রত। অনেক ভাল লাগলো।
ভাল থাকুন,অফুরান শুভ কামনা সব সময়।