
প্রাচীন প্রাচীন ভাব নিয়ে ক্রমাগত মুখ ভার করা বর্ষা
এই আলো এই অন্ধকার মেলে একটু ঝুঁকেই পড়ে
কোর্টশিপে, নো ছলাকলা।
মাঁদি হাসের মত উঁচু গলায় ডানা ঝাপটিয়ে প্যাক প্যাক
প্যাক-প্যাক করেই যাচ্ছে, সঙ্গী-সুবিধার খোঁজে;
নো নির্লজ্জতা;
গাছেরা চুইয়ে-পড়া জল-জল ছল-ছল শব্দদের মাঝে
আড় চোখে দ্যাখে সবই, কিচ্ছুটি বলার নেই, মুক বধিরতায়;
চাপা খল খল খিল খিল হাসি লুকিয়ে!!হাঁড়িয়া সে খায়-নি!!
ফসকে ফুর্তিবাজ না, সে;
ধুসর পাঁশুটে জল ঘোলাটে শরীর মেলে, ডুব-সাতার খ্যালে,
ভাবখানা এমন, কিছুই ঘটছে না যেন এখানে,
ঘটেও-নি কোন কালে;
শরৎ এখন রাধিকা-ধ্যানী, নির্জনতার আশ্রয়ে,
নীলাকাশের পেঁজা মেঘের বাঁশি বাজলো বলে,
মেঘ-বৃষ্টির খাঁজে আটকে রাখা আকাশপটের বনেদীপনা এড়িয়ে;
ছবি নেট থেকে।
৪৩টি মন্তব্য
রুমন আশরাফ
শরতের আকাশ আমার খুব প্রিয়। শুভ কামনা রইলো ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
ঋতুর আগমন আমাদের উন্মাতাল করে দে ক্ষণে ক্ষণে।
ভাল থাকবেন আপনি।
আরজু মুক্তা
শরতের আগমন শুভ হোক। অনন্ত বন্যা দুর্গতদের তো ভালো হবে। বর্ষার পলায়ন রূপটা ভালো ফুটেছে আপনার কাব্যে।
“নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই, লুকোচুরির খেলা!”
ছাইরাছ হেলাল
আমার একটি প্রিয় গান মনে করিয়ে দেয়ার জন্য সাধুবাদ।
শরৎ ডানা মেলুক নীলাকাশে, দুর্গতি পেছনে ফেলে তা ও কামনায় রাখি।
ভাল থাকুন আপনি।
আলমগীর সরকার লিটন
শরত যে কখন এলো বুঝতেই পারিনি কবিতা পড়ে বুঝলাম কবি দা
অনেক শুভেচ্ছা রইল———-
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শরৎ শুভেচ্ছা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কাশবনে শরৎ এসেই গেছে। শিউলি, কাশবনের রুপে মাতোয়ারা হচ্ছে প্রকৃতি। হাঁসদের ডুবোডুবি , প্যাক প্যাক সঙ্গীর খোঁজে নির্লজ্জের মতোই। চমৎকার লাগলো ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা অহর্নিশি
ছাইরাছ হেলাল
ভালোবেসে শরৎ কে যে যেভাবে আপন করে নিতে পারে সেটুকু সুখ ই যার যার।
অনেক সুন্দর মন্তব্য , ভাল থাকুন এ শরতে।
মোঃ মজিবর রহমান
গতরাত ১২টা পর্যন্ত শরতের আকাশ দেখলাম। লঘুচাপের শো শো ভন ভন বাতাসের শব্দে কান পেতে শুনলাম।
ভাল লাগা রেখে গেলাম ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
শরৎ এখন লুকিয়ে আছে আকাশের গভীরে ,
তাকে দেখতে অব্শ্যই পাবেন, অপেক্ষার পর।
ভাল থাকুন।
মোঃ মজিবর রহমান
অপেক্ষার পালা ভারি বর্ষনে। শরত আসবেই এসেছে মন ডুবিয়ে দেখা দরকার
ছাইরাছ হেলাল
শরৎ সে আসবেই। দেখুন মন দিয়ে।
তৌহিদ
করোনাকালে নীভৃতেই এসে গেলো শরৎ। প্রকৃতির পরিবর্তনে বোঝা যাচ্ছে সেটি কিন্তু নিজের চোখের দেখা আর হচ্ছে কই?
মহারাজ শরৎ নিয়ে একইদিনে লেখা দিয়ে আমি ভুলই করলাম নাকি! আপনার লেখার পাশে নিজেরটা বড্ড বেমানান লাগছে।
শুভকামনা সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
শরৎ এসেছে নিজ নিয়মে, নিভৃতচারীর বেশে, স্বরূপে সে আসবেই।
সামান্য অপেক্ষা মাত্র।
ব্যাপার না, আমরা তো আমরাই।
ভাল থাকুন।
ইঞ্জা
গাছেরা চুইয়ে-পড়া জল-জল ছল-ছল শব্দদের মাঝে
আড় চোখে দ্যাখে সবই, কিচ্ছুটি বলার নেই, মুক বধিরতায়;
চাপা খল খল খিল খিল হাসি লুকিয়ে!!হাঁড়িয়া সে খায়-নি!!
ফসকে ফুর্তিবাজ না, সে;
অনবদ্য অনুভূতির প্রকাশে বিমোহিত পাঠক।
ছাইরাছ হেলাল
আমার ভাইয়ের মন্তব্য না পেলে প্রাণ আনচান করে।
ভাল থাকবেন আপনি।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাইজান। 😍
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন আপনি। ভাই।
বন্যা লিপি
স্থিরতায় একটুও গা নেই আকাশের;
নেই একটুও লজ্জার কারন
এ যে নাগরিক বিষাদের শহর!
আকাশটাও গোঁ ধরেছে…..
বুকের মধ্যে ধরে রেখেছে রাশি রাশি
পুঞ্জভারী মেঘ প্রেয়সীর কেশ!
দেখব বলে সোনারোদ্দুরের ঝিলিক
চোখ সরাইনা মোটেই শরৎ নীলের আশে।
শরৎ এখন রাধিকা-ধ্যানী, নির্জনতার আশ্রয়ে,
নীলাকাশের পেঁজা মেঘের বাঁশি বাজলো বলে,
মেঘ-বৃষ্টির খাঁজে আটকে রাখা আকাশপটের বনেদীপনা এড়িয়ে;—— লাইনকটা অন্যরকম ভাবনা যোগালো।
ছাইরাছ হেলাল
নাগরিক বিষাদে ভার করা মন নিয়ে
আমরা আজও থাকি শরৎ অপেক্ষায়
সে আসবে বলে , সে আসবে।
অবগুন্ঠন ফেলে।
অনেক সুন্দর মন্তব্য এ লেখাটিকে ঔজ্জ্বল্য দিচ্ছে,
ভাল থাকুন আপনি।
সুপায়ন বড়ুয়া
শরৎ এলো কাশবনে মহারাজের ভাষায়
রূপ যৌবনে ভরে উঠুক থাকি তেমন আশায়।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক আশা নিয়েই আমার শরতের অপেক্ষায় থাকি অপেক্ষা করি।
তাকে আসতেই হবে, সে আসবে।
আনন্দে থাকুন, ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনি ও ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রেজওয়ানা কবির
শরতের আগমনের শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
আপনি চাইলে এখানে অন্য সবার করা মন্তব্য পরে দেখতে পারেন।
শামীম চৌধুরী
সময়োপযোগি ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে কবির ভাবনাগুলি পড়লাম। শুভ আগমন হে শরত। শরথ মানেই কাঁশবনে পাখির মিতালী। কাঁশফুলের শুভ্রতায় প্রকৃতি যেন নতুন রূপে হাঁসতে শিখে। দারুন লাগলো। শুভ কামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই পাখিদের মিতালি, যা আপনি ই ভাল করে দেখতে পাবেন /পারেন।
নব নব রূপে প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরে।
ভাল থাকবেন ভাই।
শামীম চৌধুরী
সঠিক বলেছেন। কারন ঋতুর উপর ভর করেই আামকে এগিয়ে যেতে হয়।
ছাইরাছ হেলাল
ঋতুদের এই পরিবর্তন আমাকে দোলা দেয়।
প্রকৃতি হৃদয়ে ধারণ করি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
শরৎ আমার সবচেয়ে প্রিয় ঋতু।
একদিকে আগমনী গন্ধ অন্যদিকে কাশফুলের আর আকাশজুড়ে মেঘমালা।
কী দারুণ।
বেশ ভালো লেখনী দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
ঋতুর এই পরিবর্তন আমাকে আনন্দলিত করে নূতন নূতন করে।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
নিতাই বাবু
মানুষের অত্যাচারে দিন দিন সবকিছুই নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। আকাশের নীল রঙও মাঝেমধ্যে ফেকাসে দেখা যায়। তাই মেঘেরাও গড়-সিজনে অযথা বায়না ধরে।
নদীর পাড়ে যত্রতত্র দোল খাওয়া কাশফুল এখন আর আগের চোখে পড়ে না। মানুষেরা ঐগুলো দিয়ে বিত্তশালীদের ঘরদোর পরিস্কার করার ঝাড়ু তৈরি করে।
তাই আর নদী পাড়ের কাশফুল কাশবন নিয়ে কবির কবিতা লেখা হয় না। কিন্তু আপনি থেকে নেই! লিখে যাচ্ছে শরৎ বন্দনা। তাই শরৎ নিয়ে কবির ভাবনার জয় হোক। আমার পক্ষ থেকে থাকলো শুভকামনা।
নিতাই বাবু
ভুল শব্দগুলো:
১। হবে, “আগের মতো”।
২। হবে, “থেমে নেই”।
৩। হবে, “লিখে যাচ্ছেন”।
আবারও শুভকামনা থাকলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
@ নিতাই বাবু, আপনার সংশোধন করা কোন শব্দই এই পোস্টে পেলাম না। কেম্নে কি করলেন দাদা?
নিতাই বাবু
১। নদীর পাড়ে যত্রতত্র দোল খাওয়া কাশফুল এখন আর আগের “মতো” চোখে পড়ে না।
২। কিন্তু আপনি“থেমে” নেই!
৩। লিখে “যাচ্ছেন” শরৎ বন্দনা।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, ঋতুরা আজ গোমড়া মুখ করে থাকে, আমাদের অত্যাচারে।
তাই আমাদের ভালোবাসার আকাশকে এই ঋতুতে যেমন করে পেতে চাই তা পাওয়া হয় না।
হৃদয়ের শরৎকে উপেক্ষায় রাখা যায় না, তাই কিছু না কিছু লিখতেই হয় , লিখিও।
ভাল থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
শরৎ এসেছে বর্ষারাণীর বিদায়ী বার্তা নিয়ে
শরৎ এসেছে শুভ্রতার ছোঁয়া লাগা কাশফুলের বনে
শরৎ এসেছে প্রভাতে ঝরে পড়া শিউলির তলে
শরৎ এসেছে নীলাকাশে সাদা-কালো মেঘের ভীড়ে
শরৎ এসে সমস্ত জরাজীর্ণতাকে দূরে সরিয়ে শুভ্রনীলের স্পর্শে মন রাঙাতে।
💜💜
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো শরৎ মুঠোয় পুড়ে লিয়েছেন /ফেলেছেন কত সুন্দর করে।
লিখে ফেলুন পুরোটুকু।
ধন্যবাদ লেখার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
নো ছলাকলা
নো নির্লজ্জতা
নো পন্ডিতি,,, একেবারেই গোয়াড়ের মতো বলছি তামিল ভাষায় গাওয়া সংগীত খানার বাংলা অনুবাদ লিখে দিন। আপনার কবিতার ভাষা শিখতে শিখতেই ব্লগ জনম পাড় হয়ে যাচ্ছে, এখন আর তামিল শিক্ষার কোর্স নিতে পারবো না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
পন্ডিতদের সাথে থেকে একটু আঁচ লাগতেই পারে।
আপনি বিজ্ঞানী মানুষ, সব ভাষাই আপনার জানা। মানব থেকে পক্ষীকুল !!
“মাঁদি হাসের মত উঁচু গলায় ডানা ঝাপটিয়ে প্যাক প্যাক
প্যাক-প্যাক করেই যাচ্ছে, সঙ্গী-সুবিধার খোঁজে;”
গানের নায়িকার চোখের ভাষায় এ লেখাটি খুঁজে পান কী না একটু দেখুন।
গান ছাড়াও আরো কিছু লেখা এই লেখাটিতে ছিল/আছে।
নিরাপদে থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
গান ছাড়া যা যা ছিলো সব পড়ে ফেলেছি।
যেহেতু গানটি এই লেখারই অংশ তাই একটু বেশি বোঝার চেষ্টা নিচ্ছিলাম।
আপনি দেখি ভীষণ কঠিন মানুষ মহারাজ!
ছাইরাছ হেলাল
আমার তো শিশু-মন,
তা আবার কঠিন হয় কেম্মে !!