পোষা কুকুরটা করিম মিয়ার।
দেখতে খুবই বিচ্ছিরি, গা থেকে দুর্গন্ধ বের হয় সবসময়।
পাড়ার সবাইকে বিরক্ত করাই যেন তার কাজ।
মনে হয় এই বুঝি কামড়ে দেবে এখুনি।
পাড়ার প্রতিটা মানুষ একদমই কুকুরটাকে সহ্য করতে পারে না।
এইতো সেদিন তেড়ে এসেছিলো রতন আলীর দিকে,
সবাই ভেবেছিলো ঝাপিয়ে পড়বে ওর উপর যে কোন সময়।
না, তা করেনি কুকুরটা।
কিন্তু যেটা করলো তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না।
তার পায়ের সামনে পা একটা উঁচিয়ে পেচ্ছাব করে
আবার উল্টো দিকে দিলো ভোঁ দৌড়।
তাজ্জব বনে গেলো সবাই, এমন ঘটনা আগে কখনো দেখেনি।
এর পর থেকে এ ঘটনা নিয়মিত হয়ে উঠলো।
সবাই ভাবে পাড়ায় তো আরো অনেকেই আছে,
শুধু রতন আলীর বেলাতেই কেন ঘটে এমন ঘটনা!

পাড়ার সবচেয়ে বুড়ো চাচাটি একদিন ঠিকই আবিস্কার করলো,
কেন এমন হচ্ছে? কেন শুধু রতন আলীই?
রতন আলী এলাকার চেয়ারম্যান ছিলো এক সময়।
তার দাপটে কাঁপতো পুরো এলাকা,
ধরাকে সরা জ্ঞান করতো সবসময়।
পাড়ার শান্তি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলো তার ভয়ে।
একটা পাপ রাজ্য ছিলো যেন পাড়াটা,
মদ, জুয়া, নারী, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট!ওহ!!!!
পাড়ার মানুষগুলো সব হিজড়া হয়ে গিয়েছিলো যেন!
সময় গেলো দুই যুগ, রতন আলীর দাপট গেলো,
কিন্তু মানুষগুলো সব হিজড়াই থেকে গেলো।
হো হো করে হেসে উঠলো বুড়ো চাচা,
চিৎকার করে বললো, দেখো তোমরা, দেখো,
তোমরা তো আর পারলে না,
করিম মিয়ার ওই পোষা কুকুরটাই পেড়েছে দেখো!

কিছুদিন পর কুকুরটার মৃতদেহকে পড়ে থাকতে দেখা গেল,
পাড়ার কোণায় থাকা ডাস্টবিনটার ধারে।

৭৩৮জন ৬৪৭জন

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ