হাতছানি দিয়ে ডাকছে অশরীরী কেউ।
হয়তো ওর সঙ্গী করে নিতে চায় আমায়,
হয়তো আমার উপর ভর করতে চায় নতুন
জীবনলাভের আশায়।
আমি নিশ্চুপ হয়ে তার তামাশা দেখতে থাকি।
একটু পর পর ভোল পাল্টায় নিজের,
কখনো সুন্দরী অপ্সরী, কখনো কালো
কুচকুচে বিভৎস্য নারী সত্তা, কখনোবা
লাস্যময়ী টানাটানা চোখের কোন কুমারী মিস্টি মেয়ে,
আবার কখনোবা দূরন্তপনা থেকে সদ্য মুক্তি
পাওয়া গ্রামের সেই লাজুক বউয়ের বেশে
চলে আসে আমার চোখের ঠিক সামনে।
শ্বাস প্রশ্বাস ঘন থেকে ঘনতর হতে থাকে আমার,
হাত পা কেমন যেন নিস্তেজ হতে থাকে,
মনে হতে থাকে মৃত্যুকূপের গভীরে কেউ যেন
আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে কিংবা নিজেই
ধাবিত হয়ে যাচ্ছি অচেনা সেই পথের দিকে!
কিছু সময় পর যেন সম্বিত ফিরে পাই।
এইতো আমি বেঁচে আছি!
শ্বাসপ্রশ্বাস অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ভাবনার দুয়ার খুলে যায় আমার,
‘মৃত্যু’ নামক বস্তুটা কোন লিঙ্গের তা নিয়ে
উল্টোপাল্টা ভাবতে থাকি।
এভাবেই ভাবতে ভাবতে ভাবতে ভাবতে…..
ঢলে পড়ব একসময়, মৃত্যুর কাছেই।
অবসান হবে এক দিগভ্রান্ত জীবনের!
১০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
পোস্ট কই সোয়েব ভাই ? শুধু শিরোনাম লিখেছেন?
ফজলে রাব্বী সোয়েব
দুঃখিত। কোন এক সমস্যার কারনে তখন পোস্ট হয়নি
ফয়জুল মহী
অসামান্য ভাবনায় নান্দনিক লেখনী ।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ধন্যবাদ। শুভ কামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু এত সুন্দর মৃত্যু ভাবনা ভালোই লাগলো। ভালো থাকুন। আরো অনেক দিন বাঁচুন আর সুন্দর সুন্দর কবিতা উপহার দিন। শুভ কামনা রইলো
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ধন্যবাদ। ভালোবাসা অবিরাম।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ধন্যবাদ অনুপ্রেরণার জন্য।
ইঞ্জা
মৃত্যুকে এভাবে ডাকতে নেই ভাই, আল্লাহ্ গুণাহ মাফ করুন।
ফজলে রাব্বী সোয়েব
এটা এমন এক অনুভূতি যা আপনা আপনি চলে আসে। ভালবাসা রইলো
ইঞ্জা
আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবি করুন, আমীন।