
আজকাল স্মৃতি গুলো কেমন যেন বাস্তব হয়ে চোখের সামনে দেখে তারা দুজনেই। স্মৃতি এমনই উজ্জ্বল যে এসব রঙ্গিন হয়ে থ্রি ডি মুভির মত চলমান।
অনেক স্মৃতি আছে তাদের একটি নদী কেন্দ্রিক। নদীটার মালিক যেন তারা দুজনে।
একদিন শান্তা বায়না ধরেছিল ‘ আমাকে একটি নদী দাও। ‘
এ নদী সে নদী দেখতে দেখতে প্রবাল অন্য একদিন বললো ‘ চলো আমাদের নদী খুঁজে পেয়েছি, যেখানে দু’কুলে ছায়া দেয়া বৃক্ষের সারি আছে, আছে বহমান নদীর স্রোত। আরো আছে ঢেউ জাগানো হালকা হাওয়া। ‘
সেদিন থেকে নদীটি ওদের হয়ে গিয়েছে।
প্রতি জোছনা আর অমাবশ্যা তিথিতে নদীটি পানিতে হত টইটুম্বর। নদী উপচে পরা জলে দুজনে একই সাথে পা ভেজানো । ভিতরে তখন দুজনের একই আবেগের ডানা ঝাপটানোর তীব্র অনুভব।
বসন্তে বৃক্ষরা নতুন পাতায় সজ্জিত হয়। কোকিলের কুহু কুহু ডাক যেন ভিতর নাড়া দিয়ে যেত দু’জনের। ঝিঁঝিঁ পোকার একটানা ঝিঁঝিঁ ঝিঁঝিঁ ডাক দুজনের আচ্ছন্নতা বোধ । বিকেলে ওদের নদীর কাছে যাওয়া চাইই। বেশ কাছে এসে বসা এক জোড়া দোয়েল ছিল ওদের। মাস যায় বছর যায়, দোয়েল এর উপস্থিতি পাল্টে যায় না। দোয়েল জাতটাই হয়ত তাদের দুজনকে চিনে নিয়েছিল বংশ পরম্পরায়।
দুজনের মিষ্টি ঝগড়া বিবাদও এই নদীর মাধ্যমে মিমাংসা। কত ছোট ছোট বিষয় নিয়ে তাদের ঝগড়া! ‘ আজ তুমি আমাকে তেমন সময় দাওনি, সময় দিয়েছ মেসেঞ্জারে, তুমি ম্যাসেঞ্জার নিয়েই থেকো, খোদা হাফেজ। ‘ এসব মান অভিমানের পরেও তারা বিকেলে নদীর কাছে , নদী মাধ্যমে তাদের মান অভিমান ভুলে মিলমিশ ।
নদীর কথা বুঝতে পারত দুজনেই। অস্তমিত সুর্যের স্বর্ণালী আভা নদীকে সোনালী করে দিত, আর সে আলোতে দুজনেই ভিজত। একান্ত ভালোলাগার মুহূর্তগুলো অতি দ্রুততার সাথে শেষ হয়ে গেলেও, ভালোলাগার আবেগকে সাথে নিয়েই দুজনে বসে/ দাঁড়িয়ে থাকত নদীর তীরে বৃক্ষের মত, বৃক্ষকে সাথী করে।
তাদের দুজনের একটি নদী ছিল
এখনো আছে, থাকবে বহমান
বুকের গহীনে ঢেউ এর শব্দ ছলাৎ ছলাৎ,
৪৩টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম 🙂
জিসান শা ইকরাম
আমিও প্রথম হলাম অনেক দিন পরে 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
রঙ্গিন
উপস্থিতি
মীমাংসা,, বানান গুলো চেক করুন।
জিসান শা ইকরাম
আজ পোস্টটি মোবাইলে লিখেছি, অনেক বানান আমার এই আইফোনে ইচ্ছে করলেও ঠিক ভাবে লিখতে পারিনা। তখন গুগল সার্চে গিয়ে কপি করে এনে দেই।
ল্যাপটপ এর চার্জারে কাজ করছে না, তাই ল্যাপটপও নেই।
ভুল দেখিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ম্যাডাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
বানান ঠিক করে দিয়েছি। আরেকবার ধন্যবাদ দিতে পারেন 🙂
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু স্রোত, মিষ্টি, দাঁড়িয়ে , কেন্দ্রিক এগুলো ও ঠিক করা লাগবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহা, সব তিনি করবেন, আমার সাহস নেই তার লেখায় হাত দেয়ার। উল্টো তিনিই আমাদের বানান ঠিক করেন 🙂
জিসান শা ইকরাম
এখন ঠিক হয়েছে না ছোট দি? 🙂
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এখনো কেন্দ্রিক, ঝিঁঝিঁ বহাল আছেন দাদা ভাই। ধন্যবাদ দাদা ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা ঠিক করে দিচ্ছি।
ব্লগে অনেক কাজ করতে হয়, তাই এসব চোখে পরে না।
জিসান শা ইকরাম
অনেক অনেক ধন্যবাদ এগুলো দেখিয়ে দেয়ার জন্য @ সাবিনা ম্যাডাম
সুপায়ন বড়ুয়া
“তাদের দুজনের একটি নদী ছিল,
এখনো আছে, থাকবে বহমান
বুকের গহীনে ঢেউ এর শব্দ ছলাত ছলাত,”
লম্বা ছুটি গুলো অনেক কাজ দিয়েছে
সুন্দর লেখা গুলো বেরিয়ে এসেছে।
শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
লিখে যাচ্ছি যা মনে আসছে তাই,
ভালো খারাপ ভাবছি না মোটেই দাদা 🙂
শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুন্দর হয়েছে দাদা ভাই। সব প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যেই মনে হয় একটা নদী থাকে। নদী ছাড়া যেন প্রেম নেই। ধন্যবাদ দাদা ভাই। ভালো থাকুন সবসময়
জিসান শা ইকরাম
তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোট দি।
শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
মনোমুগ্ধকর লিখনশৈলি ।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
শান্তা প্রবালের মান অভিমান ভেঙে দিয়ে মিলমিশ করে দিতো নদী!
চমৎকার লিখেছেন মিষ্টি প্রেমের গল্প
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ছোট আপু।
শুভ কামনা।
এস.জেড বাবু
শেষ তিন লাইন জবরদস্ত হইছে-
ভিন্ন মাত্রার গল্প লেখা আপনার লিখা পড়ে শিখতে হবে- এ জীবনে তা পারবো না।
চমৎকার অনুভূতি ছড়িয়ে গেলেন-
ভালো থাকবেন সবাইকে নিয়ে।
শুভেচ্ছা
জিসান শা ইকরাম
আপনাকে ধন্যবাদ বাবু ভাই,
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
স্মৃতির স্রোতে কত যমুনা বহে।
আপনার লেখা আপনার অনুভূতি সবসময় ভিন্ন।
ভালো লাগলো দাদা।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ প্রদীপ,
শুভ কামনা সব সময়ের জন্য।
সাদিয়া শারমীন
আহা আমারও যদি এরকম একটা নদী থাকতো! খুব ভালো লাগলোভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
নদী খুঁজে নিন, অবশ্যই পাবেন আপু।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
নিটোল শিশু-প্রেমের গল্প। বড় কালের গপ্পো লিখতে হবে বড়দের জন্য।
গুগল সার্চ সঠিক বানানের নিশ্চয়তা দেয় না। প্রাথমিক ধারণা তৈরি করে।
জিসান শা ইকরাম
শিশুদের লেখা লিখতে লিখতে একদিন ঠিকই বড়দের লেখা লিখুম 🙂
যেমন কচু গাছ কাটতে কাটতে …………
বানান নিয়ে খুবই ঝামেলায় আছি।
হালিম নজরুল
চমৎকার গল্প ভাই।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ভাই,
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আহা গল্পে যেন হেরিলাম মন আমার, খুব ভালো লাগলো ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ ইঞ্জা ভাই,
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা অহর্নিশ ভাইজান
রেহানা বীথি
আপনার এই মিষ্টি গল্পগুলো খুব ভালোলাগে ভাইয়া। চমৎকার লিখেছেন।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ আপু,
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
একটি নদীকে ঘিরে দুজন মানুষ, নাকি দুজনের মাঝেই একটা নদী ব্যাপারটা বোধগম্য হলো না। যদি নদীকে ঘিরে হয় তাহলে তাদের মতো সুখী কেউ হবেনা। আর যদি দুজনের মাঝে নদী থাকে থাকে তাহলে তাদের মাঝে দূরত্ব কখনো কমবে না। যতই মীমাংসা দিক, নদীর দুইপাড়েই তাদের থাকতে হবে।
গল্প হিসেবে ভালো। কিন্তু লেখাটি যথাযথ গল্পের মতো হয়নি। খুব তাড়াহুড়োর ভাব লক্ষ্য করা গেছে। কিছু জায়গায় শব্দ অসম্পূর্ণ লেগেছে। যেমন একটা লাইন দেখাচ্ছি “একদিন শান্তা বায়না ধরেছিল‘আমাকে একটি নদী দাও।‘
এ নদী সে নদী দেখতে দেখতে প্রবাল অন্য একদিন ‘ চলো আমাদের নদী খুঁজে পেয়েছি,”
এখানে অন্য একদিনের পরে/আগে “বললো” বা এর সমার্থক কোনো শব্দ এ্যাড করলে লাইনটা পড়তে ভালো লাগতো। এমনই কিছু কিছু জায়গায় লেখাটির ছন্দ নষ্ট হয়েছে। আরেকটু স্থিরতা নিয়ে লিখলে গল্পটি নিঃসন্দেহে সুপাঠ্য হতো।
সমালোচনা করার জন্যে দুঃখিত। পাঠক হিসেবে ভালো না লাগার কারণটা জানিয়ে দিলাম।
শুভ কামনা 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
জবাব দিতে একটু সময় লাগবে, তাই পরে দিচ্ছি জবাব।
জিসান শা ইকরাম
একটি নদীকে ঘিরে দুজন মানুষ- নদীর দুই পাড়ে দুজন থাকলে রোজ একসাথে যাওয়া হত না নদীর কাছে। হয়ত বুঝাতে পারিনি লেখার মাধ্যমে, এ আমার অক্ষমতা।
সময়ের অভাবে আমার সব লেখাই হঠাৎ করে লেখা। তাড়াহুড়া করি বৈকি। আগে লিখে রাখতে পারিনা যে ধীরে সুস্থে তা সংশোধন করে নেবো। প্রবালের কথা শুরুর আগে ‘ বলল ‘ না দিলেও বুঝা যায় ওটা প্রবালের কথা। যাই হোক আপনার কথা মত বলল শব্দটি যুক্ত করে দিয়েছি।
পাঠক হিসেবে সমালোচনার অধিকার আপনার আছে। ধন্যবাদ একারণে।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রবালের কথা শান্তা বুঝবে, সে কিছু না বল্লেও। আমরা কেন জোর করে বুঝতে যাবো! পড়ে কমেন্ট দেই। আপনার পুরো লেখা লিখতে কষ্ট হয়, আর পাঠকের লেখা কেন ভালো লাগেনি ওটা লিখতে বুঝি কষ্ট করা লাগে না? এক লাইনে প্রশংসা করার চাইতে সমালোচনা করা বেশি কঠিন 😡😡
বুঝতে পেরেছি, ব্লগে হজমী বড়ি রাখতে হবে।
সঞ্জয় মালাকার
তাদের দুজনের একটি নদী ছিল,
এখনো আছে, থাকবে বহমান
বুকের গহীনে ঢেউ এর শব্দ ছলাত ছলাত,”
অসাধারণ লেখা ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
ধন্যবাদ দাদা,প্রবাসে ভালো থাকুন।
তৌহিদ
আহা আহা! এমন নদী যদি আমার একটা থাকতো!! সারাদিন তার হাত ধরে হেঁটে বেড়াতাম পাড়ে। সুখ দুঃখের সব স্মৃতিরা ভেসে যেত সে নদীর ঢেউয়ে। যখনি মন চাইতো ছুঁয়ে দেখতাম অগনিত স্মৃতিবিজড়িত সেসব ঢেউ!!
দারূন লিখেছেন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
খুঁজুন খুঁজুন পেয়ে যাবেন এমন নদী আশাকরি।
শুভ কামনা ভাই।
তৌহিদ
না হলে আপনার বাসার পাশে যে নদী আছে সেটাই ধার নেব ☺