
ব্লগার বন্ধুদের কাছে জানতে চাই, কেমন কাটছে আপনাদের, এমন লম্বা ছুটি কিভাবে কাটাচ্ছেন, কমেন্ট বক্সে যার যার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
আমি কিভাবে কাটাচ্ছি শুনবেন?
ছুটি ঘোষণা শুনার পরই আমি পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, মাস্ক এবং ব্লিচিং পাউডার কিনে ফেলেছি, গিন্নি গেলেন বাজারে বড় ছেলেকে নিয়ে, আমি পই পই করে বলে দিয়েছি দ্রুত নষ্ট হয় এমন কিছু কেনা যাবেনা।
চারজনের সংসারে অবশ্য তেমন কিছুই লাগে না, তাই দশ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, কয়েক কেজি আলু, বড় সাইজের কুমড়ো, তেল, চিনি, দুধ সহ জরুরী কিছু বাজার সদাই করা হলো যেন বন্ধের মাঝে যেন এটলিস্ট না খেয়ে মরি।
ইতিমধ্যে সবার উপর রুল জারি করেছি, সবাই ঘরে আসলেই যেন টিস্যু দিয়ে কলিং বেল চাপ দেয়, ঘরের দরজা খুলেই প্রথমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয় হাত জীবাণু মুক্ত করার জন্য, এরপর আগতের পুরা শরীর সহ জুতার উপরে নিচে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে তৈরি কীবাণু নষ্ট করার জন্য পানি স্প্রে করে এরপর ঘরে প্রবেশ করা হয়।
এছাড়া আমার পুরা ঘর সেই ব্লিচিং পাউডারের পানি দিয়ে পরিস্কার করা হয়, সাথে আসবাব পত্র, দরজা বা যেখানেই হাত বা শরীর লাগতে পারে তা পরিস্কার করা হয় স্প্রে করে।
এরপর শুরু হয়, হোম কোয়ারেন্টাইন, গত ছাব্বিস তারিখ থেকে আগামী যতদিন লাগে আমরা কেউ ঘরের বাইরে যেতে চাইনা যদিনা কোন কারণে বাধ্য হই।
আমি চাইনা আমরা কেউ করোনায় আক্রান্ত হই, সাথে সাথে আমাদের কারো কারণে অন্যরা আক্রান্ত হয়।
কিভাবে সময়টা কাটাচ্ছি?
সেলফোনে লুডু খেলছি চারজনে মিলে, আমি মাঝে মাঝে লিখছি, ছেলে মেয়ে তাদের মাকে হেল্প করছে, টিভিতে মুভি দেখছি, নিউজ দেখছি, সিরিয়াল দেখছি।
কি কি খাচ্ছি?
প্রতিদিন লেবু পানি, পেয়ারা, ওটস দুধ দিয়ে, গাজর, টমেটো দিয়ে সালাদ খাচ্ছি, সাথে সাধারণ খাবার তো আছেই।
মোদ্ধা কথা বাইরে উঁকি দিয়েও দেখছিনা।
এখন বলুন আপনাদের কি অবস্থা?
Stay at home, be safe.
ছবিঃ গুগল।
৮০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
উপস্থিত
আজকে প্রথম হলাম
ভাইজান আমার গিফট দিন 🙂
ইঞ্জা
গিফট পরে, আগে বলুন আপনি কেমন কাটাচ্ছেন?
সাবিনা ইয়াসমিন
তাতো জানাবোই, আমি বাসার ফ্রিজ ঠিক করেছি। ওটা ঠিকমতো ঠান্ডা হচ্ছিলো না। মেকানিকের দোকান বন্ধ। তাই গত দুইদিন লাগিয়ে ঐ কাজে হাত দিয়েছি। আর,,,,,, আমি সফল হইছি 😊😊
ইঞ্জা
বাহবা, আফা দেখি ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেছেন। 😆
সাবিনা ইয়াসমিন
হুম, আমার ভাই ইঞ্জিনিয়ার না? তাই আমিও ক্ষুদে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি 😂😂
ইঞ্জা
হ হ মুই গাড়ীর ইঞ্জিনিয়ার আর আফনে ফ্রিজের। 😆
তা আপু আর কি কি করছেন কোয়ারেন্টাইন মানার জন্য?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চাল, ডাল, তেল, চিনি, মাছ, মাংস মোটামুটি নষ্ট হয় না এমন সব কিনে রাখছি। বাইরে গিয়েছি বাসার নিচেই কাছাকাছি মোটামুটি সব পাওয়া যায় সেখানে। বৃদ্ধ বাবা-মা আর আমি। নিজের কাজ নিজেই করি, বাজার রান্না এগুলোও সময় সুযোগ মতো করা হয় আগে থেকেই । ফটোশপের প্রাকটিস চলছে, ব্লগিং ও চলছে পুরোদমে। মাঝে মাঝে গান শোনা, বই পড়াও হচ্ছে ইদানিং। ফেসবুকিং তো কমন। লেখালেখি ও করছি নিয়মিত। মাঝে মাঝে দুএকজনের সাথে চ্যাটিং ও করছি। এইতো চলছে আমার, আমাদের তিনজনের কোয়ারেন্টাইন । সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
ইঞ্জা
বাহ বেশ বেশ, এভাবেই চলুক আমাদের হোম কোয়ারেন্টাইন, বেঁচে থাকতে হবে আমাদের নতুন পৃথীবির পরিচ্ছন্ন বাতাসে শ্বাস নেওয়ার জন্য।
আপু রান্না কে করে আপনার ঘরে, কি কি রান্না হয়?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মা-ই বেশীরভাগ সময় রান্না করে। আমি ও করি। ভাইয়া রান্নার কি শেষ আছে? যখন যেটা ভালো লাগে চেষ্টা করি ঘরেই করতে।
ইঞ্জা
তা আপনার কি ভেজিটেবল খান, নাকি মাছ মাংসও খান?
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মাছ, মাংস ও খাই।
ইঞ্জা
বেশ বেশ, আপু বেশি বেশি লিখুন, এখন এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। 😆
বন্যা লিপি
আমিও আইছি……কিছু কওয়ার আগেই ফরমাইশ জারি হইয়া গেছে…..সন্ধ্যার নাস্তা রেডি করো। তো এহন যাই পরে আসতাছি বিস্তারিত কইতে।
ইঞ্জা
সন্ধ্যার নাস্তা সেরে দ্রুত ফিরে আসুন আপু, অনেক কথা আছে।
জিসান শা ইকরাম
এখন চা বিস্কিট নুডলস খাচ্ছি,
খেয়ে আসতেছি।
ইঞ্জা
খান ভাইজান, আমি খেয়ে বসেছি। 😊
কামাল উদ্দিন
খেয়ে আমাদের জন্য কিছু নিয়াও আইসেন
জিসান শা ইকরাম
চৈত্রের গরমে অস্থির হয়ে আছি ভাইজান,
রাস্তা আমাকে ডাকে, কিন্তু ভিতর বলে বাইরে যাবা না
ইঞ্জা
সাবধান ভাইজান, এখন বাইরে বেরুলেই বিপদ, কিছুক্ষণ আগে নিউজে দেখলাম বরিশালে দুইজন মারা গেছে করোনা সিনটম নিয়ে, আপনি তো আরও রিস্কে।
কামাল উদ্দিন
সংসারে পাঁচজন ছিলাম করোনার সময়ে আরো একজন এসে হাজির। এখন ছয়জন, ৬ নম্বর জনই বাকী পাঁচজনকে নাচায়। ঐ নাচতে নাচতে আমাদের দিন রাত্রী চলে যাচ্ছে, তবে প্রতিদিন আমাকে এক বেলা অফিসে হাজিরা দিতেই
কামাল উদ্দিন
+দিতেই হয়।
কামাল উদ্দিন
খাবার দাবার ছাড়া কিন্তু আড্ডা পোষ্ট জমে না। কিন্তু আমাদের ব্লগে তো আবার সেই ব্যবস্থাটা নাই 🙁
ইঞ্জা
ভাই গত ফেব্রুয়ারিতেই তো খাবার দাবার চললো, আশা করছি করোনা বিদায় হলে তখন আরেকবার চলবে, আসবেন তো?
কামাল উদ্দিন
খাবার দাবারের অপেক্ষায় আছি, জানিনা কবে জুটবে।
ইঞ্জা
আল্লাহ ভরসা ভাই, উনি নিশ্চয় সহায়তা করবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমিও সহমত! আড্ডায় একটু খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করুন ভাইজান। মানে, একটু আদা দিয়ে রং চা দিলেও গলায় জোর বাড়তো 😜😜
ইঞ্জা
@sabina yesmin
আপু, রঙ চাটা আপনিই বানিয়ে দিন, আমি সার্ভ করে দেবো নাহয়। 😇
কামাল উদ্দিন
আমারটায় একটু গরম মসলা দিয়ে দিয়েন আপু, গলাটা খুস খুস করছে
ইঞ্জা
এই সময়ে অফিস কেন,
ইঞ্জা
এ সময় অফিস কেন?
সবই তো বন্ধ থাকার কথা?
কামাল উদ্দিন
নিজের অফিসে কিছু কার্যক্রম প্রতিদিন থেকেই যায়, অবশ্য আমি সাবধানতা অবলম্বন করেই যাতায়াত করে থাকি ভাই।
ইঞ্জা
ভাই খুব ডেঞ্জারাস বিষয়টি, ব্যস্ততার চাইতেও জীবনটা অমূল্য, খেয়াল রাখতে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
রাতের খাওয়া শেষ করলাম একটু আগে, কিটো ডায়েটের উপ্রে আছি।
ইঞ্জা
হুম তাহলে তো ঝামেলায়, তা ঘরে আছেন তো নাকি ভাইজান খুশির ঠ্যালায় ঘোরতে যান?
ছাইরাছ হেলাল
ওজন কমানোর ডায়েট। ঘুরতে যাওয়ার তো সুযোগ নেই।
ইঞ্জা
আহারে, এই করোনা কি এয়েক্টা অবস্থা যে করলো ভাইজান। 😣
জিসান শা ইকরাম
বারো ঘন্টার বেশী ঘুমাই,
কিছুক্ষণ বাসার কাজে সহযোগিতা করি,
বাকি সময় ব্লগের বিভিন্ন কাজ করি।
ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেই, লাইক কমেন্ট করি। এভাবেই দিন চলে যায় ভাইজান 🙂
ইঞ্জা
চলুক জীবন এইভাবেই, করোনা কি চোখ রাঙ্গাবে, সে সুযোগ দেবোনা আমরা।
তা ভাইজান আপনার ব্যবসার কি অবস্থা, এখন তো পিক টাইম?
জিসান শা ইকরাম
ব্যবসার এখন পিক টাইম, তবে লেবাররা থাকতে চাচ্ছে না এখন আর,
সবাই এই অবস্থায় পরিবারের সাথে থাকতে চাইছে।
৮০% লেবার সাতক্ষিরার, যাবার উপায় নেই, তাই যাচ্ছে না।
জিসান শা ইকরাম
আমাদের চিন্তা ভাবনার প্রায় সবটুকুই করোনা দখল করে নিয়েছে।
করোনা মুক্ত চিন্তা আবার কবে করবো জানিনা।
ইঞ্জা
আহা বেচারাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। 😢
ইঞ্জা
আল্লাহই ভালো জানেন কবে মুক্ত হবে এই পৃথীবি, যেন সাক্ষাত জম দুয়ার ধাক্কাচ্ছে।
সুপায়ন বড়ুয়া
মেয়েকে মেরে বউকে শিখানো অবস্থা।
কি করতে হবে সব বলে দিলেন।
সবাই তাই করছি।
Stay home in safe.
ইঞ্জা
না দাদা, সবাইকে সচেতন করা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব, এই আড্ডার ছলে সবাইকে সচেতন করতে পারলে অসুবিধা কোথায়?
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই।
চালিয়ে যান বন্ধু।
মনোবল রাখুন চাঙা।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
শুভকামনা অবিরত
তৌহিদ
আমাদের নিয়মতান্ত্রিক জীবন চলছে। বাইরে যেতে হচ্ছ্র দু’একদিন পরপর জরুরি প্রয়োজনে।
সংসারের টুকটাক কাজ করছি, মোবাইল, টিভিতো আছেই। তবে গেম খেলার সময় কই?
খাচ্ছি দাচ্ছি আর ঘুমোচ্ছি ☺☺
ইঞ্জা
জরুরী প্রয়োজন তো থাকবেই, এরপরেও নিজেদের সেফটি মানেই পরিবারের সেফটি।
তৌহিদ
বাম চোখে অঞ্জনি উঠেছে তাই চোখ খোলা যাচ্ছেনা দুদিন ধরে প্রচন্ড ব্যাথায়। অন্যচোখ দিয়ে বেশিক্ষণ তাকাতে পারিনা দাদা।
ইঞ্জা
তেমন কিছুই নয়, ভাবীকে বলুন পরিস্কার বিশুদ্ধ সিল্কের কাপড় নিয়ে সাদা হয়ে মুখ বের হওয়াটিতে হাল্কা ডলা দিতে, একদিনেই আরাম।
শবনম মোস্তারী
আপাতত 12 দিন হয়ে গেলো বাসাতেই আছি। গেটের বাহিরে যাইনি।
পড়া-শুনা, গান শুনা, রান্নাবান্না , লুডু খেলা ..মোবাইলে সবার সঙ্গে কথা বলে কেটে যাচ্ছে দিন…
ইঞ্জা
এভাবেই থাকুন আপু, সবার দিকে খেয়াল রাখবেন।
হালিম নজরুল
বই আর গানে কেটে যাচ্ছে দিন।
ইঞ্জা
বাহ আপনিই দেখছি বেশ আছেন, ভালো থাকবেন ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
কাজে কাজে কেটে যাচ্ছ দিন, কাজ শেষে বাসয় ফিরে মোবাইল দেখা, এই চলছে দিন।
দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
ইঞ্জা
এখনো বাইরে কাজ করছেন শুনে আতংকিত হলাম দাদা, সেফ থাকার চেষ্টা করবেন।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা কাজ করি ঠিকই কিন্তু আনন্দে নয়, আতংকে।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয দাদা শুভ কামনা রইলো।
ইঞ্জা
শুভকামনা অনিঃশেষ
মনির হোসেন মমি
বাইচ্চা আছি ভাইজান।এমন সময়ে এমন পোষ্ট সত্যিই প্রশংসনীয়।
ইঞ্জা
ভালো থাকবেন ভাই, নিজেকে সেফ রাখুন, শুভেচ্ছা।
নীরা সাদীয়া
আমার কাটছে বেশ, কবুতর নিয়ে। আনন্দে কাটছে সময়। বাবা কথা শোনে না, বন্দী থাকতে চান না। বাজার করেন। এই তো।
ইঞ্জা
বাবাকে বুঝিয়ে হলেও ঘরে রাখুন, নাহয় বিপদ হতে কতক্ষণ?
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমার কাজ তো দাদা অনেক।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে লোকজন নিয়ে মাল্টা বাগানের জন্য ৩৭৫ টি গর্ত করে রাখলাম। তারপর বাড়ির প্রতিটি কমলা গাছে স্প্রে করলাম। এছাড়া আরও দুজন লোককে নিয়ে আতর গাছের ( আগর গাছ) ডাল গুলো মাঝেমধ্যে ছাটাই এবং পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য তাঁদের দেখিয়ে দিয়ে আসলাম।
.
দুপুর ২ টার দিকে স্নান করে একটু আরাম আয়েশ করে রেহানা দিদির বই ওখান থেকে আলো আসে পড়তে বসলাম তারপর অপরাহ্ণ বেলা ফুল গাছে জল দিলাম।
আর এসবের ফাঁকে ফাঁকে মনের আনন্দে গান গাই।
..
এসব নিয়ে বেশ কাটছে দাদা।
ইঞ্জা
বাহ আপনি দেখছি বেশ ধনী মানুষ, আগর গাছ মানেই তো কোটি টাকার খেলা, তা পেরেক টুকবেন কত বছর পর?
প্রদীপ চক্রবর্তী
বেশ কয়েকবছর থেকে আমাদের বিশেষ করে সিলেটের আজিমগঞ্জে আগর গাছে পেরক টুকানো হয়না দাদা।
ইঞ্জা
কেন ঠুকা হয়না দাদা, এর কি বিশেষ কারণ আছে?
ইকবাল কবীর
তেমন কিছুই করছি না। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা পানি করে একটু খবর পাড়ায় চোখ রাখি যা অনেক আগের অভ্যাস তারপর সারাদিন মোটামোটি কম্পিউটার নিয়েই কেটে যায়। এর মাঝে অনলাইনে অফিসের টুকটাক কাজ করা লাগে। এই আর কি যাচ্ছে কেটে কোন রকম মন্দের ভালো আর কি।
ইঞ্জা
আহারে, এই করোনা আমাদের বাইন্ধা রাখিলো ঘরে, এরপরেও সাবধান থাকতে হবে, বেঁচে থাকাটাই জরুরী, ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
আমি কী করছি?
কেমন কাটছে আমার সময়?
সবিস্তারে লিখবো কোনো দিন
ভালো থাকুন সবাই
ইঞ্জা
আপুর তো মার্শাল ল শেষ, এখন তো জমবে খেলা। 😁
রেহানা বীথি
গৃহকর্মীকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি বেশ কয়েকদিন আগেই, অবশ্যই বেতনসহ এবং বলে দিয়েছি যেন বাড়ির বাইরে না যায়। মাঝে মাঝে ফোন করে খোঁজ নিচ্ছি তার। যেহেতু সে নেই সংসারের সমস্ত কাজ নিজে করছি। অফিস চলাকালীন কন্যাদের যেসব আবদার পূরণ করতে পারি না, সেগুলো পূরণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। আর এসব কারণেই ব্লগ এবং ফেসবুকে আসা হচ্ছে কম। লেখালেখি যেটুকু করছি, রাত বারোটা থেকে দুটো পর্যন্ত। এই দুঃসময়ের একটা ভালো দিক হল, পরিবারের সদস্যদের একে অপরের সান্নিধ্যলাভ।
ইঞ্জা
আর কি চাই আপু, পরিবারের সান্নিধ্যে থাকার আনন্দটাই অন্য রকম, তা কি কি বাজার করলেন এইবার?
ফজলে রাব্বী সোয়েব
অনুসরণ করার মত প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ভালোবাসা রইলো।
ইঞ্জা
ভালো থাকবেন ভাই, তা আপনি কি কি করছেন জানতে পারি?
ফজলে রাব্বী সোয়েব
অফিস করছি আধবেলা, পরে বাসা। ব্যাংকিং পেশায় আছি বলে নিস্তার নাই। টুকটাক বাড়ির কাজও হচ্ছে। তবে পরিবারের অন্যরা পুরোদমে হোম কোয়ারেন্টাইন
ইঞ্জা
কোন ব্যাংকে আছেন ভাই, লোন নেওয়া যাবে কি? 😆
ফজলে রাব্বী সোয়েব
হাহহাহাহা। ভাই এসবিএসি ব্যাংক, ময়মনসিংহ শাখায় আছি ভাই। দাওয়াত রইলো।
ইঞ্জা
ব্যাংকার আপনি এ অনেক ভালো, ভালো থাকবেন ভাই।
এস.জেড বাবু
হযবরল কর্মে কাটছে বাসা বন্দি জীবন-
এলাকাটা পরিপূর্ণ কমার্শিয়াল হলেও বাবা বাড়ির পিছনের অংশে উঠান রেখেছিলেন. বের হতে পারলে মনে হয় দুনিয়া দেখছি নতুন করে। প্রচন্ড রোদ- ছাদে যেতে পারিনা- তবে সন্ধ্যেটা ওখানে কাটে।
রান্না করার ইচ্ছে হয়, কেউ চান্স দেয় না- বিশেষ করে মা-
তিনি বেঁচে থাকতে রান্না করে খেতে হবে না বুঝতে পারি। বাচ্চাদের সাথে ঝগড়া / কার্টুন / প্লে ষ্টেশন এ সময় কাটছে।
আর অবসর পেলে আকাশে তাকিয়ে নিজের দুরত্ব খুঁজি-
ততটা দুরেই হবে একদিন বসত বাড়ি।
ইঞ্জা
এখন তো এই জীবন ভাই, এর চেয়ে বেশি কিছু এখন চাইবার নয়, ভালো থাকুন ভাই, সবাইকে নিয়েই থাকুন।
শুভকামনা।