
দুধ-গাঢ়-চাঁদ চেয়ে আছে পূবাকাশে
পবিত্র পিপাসার স্বাদে,
আছড়ে পড়া জ্যোৎস্নার খোঁজ রাখে
উত্তুরে দক্ষিণা হাওয়া ক্ষণে ক্ষণে,
দিকভ্রান্ত পাতা-ঝরা দিন-রাত্রে;
স্ফীত-শীতের শেষ রেশটুকু কুণ্ঠিত হয়ে
চলে/ফিরে যাওয়ার সুবোধ অনুমতি চাচ্ছে
সাধ-স্বপ্নগুলো দল বেঁধে লোভী লোভী ভাব নিয়ে,
আর একটু চাই বিছানা বন্দিত্ব, রাত তো অনেকটাই বাকী
অনিঃশেষ প্রগারতা নাই বা হলো ষোলআনা;
ছেঁড়া ঘুড়ি/ছিঁড়ে ফেলা ঘুড়ির সুতো খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়
ওঁত পেতে থাকা কঠিন আধারের অন্ধকারে,
বসন্ত এ-বেলায় অর্থহীন এ কথা মানছি/বলছি না,
যদিও ভালবাসা শুধুই কুহক/ভানুমতীর খেল
জ্যোৎস্না বা অমাবস্যায়;
রাতের শেষ প্রহরে পশ্চিমাকাশে নিজেকে পুরো মেলে ধরে
এত আলো এত রঙ এত আভা, এত লেলিহান হাতছানিতে
অতিথিসৎকার হচ্ছে বুঝি! গাঢ় ঘুমের পৃথিবীতে,
আঁচলে করোনা লুকিয়ে কাকে কাকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছ?
কে জানে! কে কোথায় শিকার হচ্ছে তছনছি স্বভাবের, কে জানে!
সুনিপুণ নিস্তব্ধতার বিবস্ত্র উত্তেজনার আঁতে! কে জানে!
৩২টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আঁচলে করোনা লুকিয়ে কাকে কাকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছ?
কে জানে! কে কোথায় শিকার হচ্ছে তছনছি স্বভাবের কে জানে!
সুনিপুণ নিস্তব্ধতার বিবস্ত্র উত্তেজনার আঁতে! কে জানে! আহারে করোনা তো ধন্য হয়ে গেলো এতো করে ,এতোভাবে ব্যবহার করার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্য-টন্য কিচ্ছু না, গুপ্তাস্ত্র, খুন করার ফন্দি আঁটে।
শেষ রাতের চাঁদ খুউব দুষ্ট!
প্রথমের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
তৌহিদ
চাঁদের রং গাঢ় দুধের মত আজকেই প্রথম জানলাম। এতদিন তাহলে ভালো করে চাঁদই দেখিনি!! কবিদের উপমা বোঝা মুশকিল!
বিছানার হাতছানি এ বড় কায়া। জানালার ফাঁক গলে এক ফালি চাঁদের আলো অদ্ভুত মায়াময়। প্রেম কুহকতায় নিমগ্ন প্রেমিক-প্রেমিকার একহাতে মায়া, অন্য হাতে অনল। কি যে করি!
ছাইরাছ হেলাল
আমরা দুধপায়ী জাতি, এত এত দুধ (গরু/ছাগল/মহিষ………অন্যান্য, বাঘের দুধ ছাড়া) খেলেন খেলেন,
তাকিয়ে দেখলেন না! এবার থেকে দেখে দেখে খাবেন, তা হলেই কেমন এবং কী রং নিজ চোখে দেখতে পাবেন।
অবশ্য বাঘের দুধ, দুধ সাদা না। এ্যাহানে আবার কবি পাইলেন কই!
আপনাকে তো বিশেষজ্ঞ /বিশারদ মনে হচ্ছে।
ভাল থাকুন।
তৌহিদ
আমি গরু ছাড়া অন্য কিছুর দুধ খাই নাইক্যা 😃😃
ছাইরাছ হেলাল
সন্যাস নিয়েছেন প্রকাশ্যে!
সাবিনা ইয়াসমিন
সব দোষ দখিণা হাওয়ার। সে এক স্থানে স্থির হতে পারে না। দিনের ব্যস্ততায় থমকে থাকে, রাতে উড়ায় বিজয় নিশান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যত দোষ নন্দের মাথায় দেয়াই নিরাপদ।
পূবাকাশের চাঁদ আর পশ্চিমাকাশের চাঁদে বিস্তর ফারাক।
হ্যা, করোনা ছোঁড়াও বিশাল বিজয় অবশ্যই।
আপনার কবিতা কৈ!
রাফি আরাফাত
এইসব লেখা ভালোবাসার উৎস ভাই। ভালো লাগলো
ছাইরাছ হেলাল
এর মধ্যেও ভালুবাসা আছে!
বহুদিন পর দেখলাম আপনাকে। ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
আপনার সবগুলো লেখা চমৎকার ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
বলেন বলেন,
শুনতে ভাল লাগছে।
এস.জেড বাবু
ঝরা পাতা / ছেঁড়া ঘুড়িদের পথ দেখাতে চাঁদটা ব্যাস্ত ছিলো,
কিছুটা ক্লান্ত ছিলো কারো ঘুম ভাঙ্গাতে।
প্রস্তাব মেনে নিলে আর কুপ্রস্তাব থাকে কই !
চমৎকার
ছাইরাছ হেলাল
চাঁদ তো রূপ পালটায় ক্ষণে ক্ষণে ক্রমান্বয়ে।
সান্ধ্য-চাঁদ আর শেষ রাতের চাঁদ এক, তা মানতে চাচ্ছি না।
যে দেখলাম তাই বললাম।
শুধু কুপ্রস্তাব দিলে ত হতোই, চাঁদ তো আঁচলে করোনা বহন করছে।
ভাল থাকুন, চাঁদ থেকে দূরে থেকে, সাবধানে থেকে।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
ত্রিস্তান
বাবু ভাই যা বললেন তার উপর আর মন্তব্য চলে না। তয় মহারাজ যে, রাতের শেষ প্রহরেও পূর্বাকাশে দুধ সাদা চাঁদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন সেটা নিয়ে ই ভাবছি। কোথাকার পানি কোন সাগরে নিয়ে যে ফেলছেন সে আমার বোধগম্য নয়।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ায় একটু মন লাগবে।
চাঁদ, সন্ধ্যায় পূর্বাকাশ থেকে রাতের শেষ প্রহরে পশ্চিমাকাশে থাকে, সেখানেই সে ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।
একটু লক্ষ্য করুন, চাঁদ ক্রমান্বয়ে আবার বলছি ক্রমান্বয়ে অবস্থান পরিবর্তন করে শেষে অন্য রকম হয়।
আবার পড়ুন সময় পেলে, নদীর পানি সাগরেই গড়ায়।
ফয়জুল মহী
পরিপাটি লেখা । বেশ মন ছুঁয়ে গেল লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
ভাল থাকবেন আপনি।
ইঞ্জা
ছেঁড়া ঘুড়ি/ছিঁড়ে ফেলা ঘুড়ির সুতো খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়
ওঁত পেতে থাকা কঠিন আধারের অন্ধকারে,
বসন্ত এ-বেলায় অর্থহীন এ কথা মানছি/বলছি না,
যদিও ভালবাসা শুধুই কুহক/ভানুমতীর খেল
জ্যোৎস্না বা অমাবস্যায়;
অনন্য অসাধারণ লিখেছেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ধারাবাহিকের অপেক্ষা করছি।
ইঞ্জা
আজ দেয়ার চেষ্টা করছি ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আনন্দ ও আনন্দ। ভাই।
আলমগীর সরকার লিটন
সুনিপুণ নিস্তব্ধতার বিবস্ত্র উত্তেজনার আঁতে! কে জানে!
চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ কবি দা
অনেক শুভেচ্ছা রইল—————
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
মনির হোসেন মমি
আঁচলে করোনা লুকিয়ে কাকে কাকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছ?
এ কোন করোনা?
পাঠে মুগ্ধ।
ছাইরাছ হেলাল
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস, অরিজিনাল।
দেখুন ভোর রাতে আসর জমালে নিশ্চিত কিছু একটা হয়,
আপনাকে কোন প্রস্তাব দিলে অবশ্য মাইন্ড খামু না।
কামাল উদ্দিন
আধার রাতে ঘুড়ির ছেড়া সুতা খুঁজে পাওয়ার কথা চিন্তা করতে হলে কাকবাসী হওয়া ছাড়া উপায় নাই।
আঁচলে করোনা লুকিয়ে কাকে কাউকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার কথা চিন্তা না করে। করোনা মুক্ত হয়েই কু-প্রস্তাবটা দেওয়া উচিৎ বলে মনে হয়, কি বলেন কবি? 😀
ছাইরাছ হেলাল
রাজি করানোর জন্য করোনা ছাড়া আর উপায় কী!
রাত আর দিনের কী এমন পার্থক্য! সুতো যদি যায় ছিঁড়ে!
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
“গাঢ় ঘুমের পৃথিবীতে,
আঁচলে করোনা লুকিয়ে কাকে কাকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছ?
কে জানে! কে কোথায় শিকার হচ্ছে তছনছি স্বভাবের কে জানে!
সুনিপুণ নিস্তব্ধতার বিবস্ত্র উত্তেজনার আঁতে! কে জানে!”
যাক বাবা করোনা এখন রোমান্টিক কবিতায় ও
জায়গা করে নিল। ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
জীবন তো একটাই,
যখন যে দিকে তাকাই
শুধু নাই আর নাই,
লেখালেখিতেই যদি পাই
একটু নিরাভরণ ঠাই!
ভাল থাকবেন ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
জবাব হলো কবিতায়।
ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
শুভ কামনা আপনার জন্য ও।