
ঘুটে-ঘুটে অন্ধকার বর্ণলিপির ভাঁজ খুলে
উঠে এসেছে বালক-সকাল, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুয়াশার
প্রীতি-আহবানে;
ভেসে যাওয়া গাঢ় ফেনার মত গায়ে গা-ঘেঁসে
লঞ্চ যাত্রীরা নেমে যাচ্ছে আবছায়া আলোতে
যে যার দূর গন্তব্যে;
মাঝি-বিহীন ট্রলার গুলো গলাগলি করে
ভিড় করে আছে ঘাটে, অপেক্ষা অজানা গন্তব্যের,
ট্রলার-শরীরে প্রতি লোমকূপে জমে আছে
ফোঁটা ফোঁটা ঠাণ্ডা জল, অবিরত কুয়াশায়।
জোড়া কপোত কপোতী হাল্কা থেকে গভীর খুনসুটিতে
খুব-ই ব্যস্ত, একটু আড়াল মত জায়গা জুড়ে;
খেলনা-ক্যামেরা চোখ পাকিয়ে বসে আছে,
ঝুলে থাকা কুয়াশা থেকে যদি খানিকটা খেয়ে ফেলা যায়
স্মৃতির উত্তেজনা সমেত, সুন্দর অক্ষম নিষ্ফলতায়।
দিগন্তের গা-ঘেঁষে রক্ত-স্থিরতায়
উপুড় হয়ে শুয়ে/লেপ্টে থাকা সূর্যি-মামা দেখে,
কুয়াশা পালিয়ে গেল নিমিষে!
ছবি……নিজ।
৩২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
বিষন্ন সকাল, উন্মুক্ত-আহত কুয়াশার গল্প এই বসন্ত দিনে মানাচ্ছে না মহারাজ 🙁
ছাইরাছ হেলাল
এখানে কোন বিষণ্নতা নেই, শুধুই একটি কুয়াশা সকালের বর্ণনা।
পড়ায় মন নেই-ই!
প্রথমের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
হয়তো তাই-ই হবে। সকাল নয়, এই পাঠকের মনই বিষন্ন হয়ে আছে 🙁
লেখাপড়া করতে ভালো লাগেনা আজকাল :/
ছাইরাছ হেলাল
লেখাপড়ার প্রতি অনীহা হতেই পারে মাঝে মাঝে, ব্যাপার না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আগে যখন লঞ্চে বাড়িতে যেতাম তখনকার দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। এতো সুন্দর করে বললেন। ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
লঞ্চে বাড়ী ফেরার একটি বর্ণনা লিখে ফেলুন।
আপনিও ভাল থাকবেন।
ফয়জুল মহী
অতুলণীয়
ছাইরাছ হেলাল
এক শব্দে লিখলে তো হবে না!
মনির হোসেন মমি
অন্ধকার বর্ণলিপি
এই অন্ধকার বর্ণলিপি কী ভাইজান?
পথিক,পথিকের গন্তব্য, গন্তব্যের বাহনের স্থবিরতা ইত্যাদি কী কন বুঝছি না ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
অন্ধকারের রূপ বলতে পারেন বা অন্ধকার আসলে অন্ধকার না,
সেখানে ও থাকে অনেক কিছু………………
“পথিক,পথিকের গন্তব্য, গন্তব্যের বাহনের স্থবিরতা”
এ গুলো তো আমার লেখায় নেই!! কৈ পাইলেন! অন্ধকারের বর্ণমালায় এসব ছিল নাকি!
কামাল উদ্দিন
খেলনা-ক্যামেরা চোখ পাকিয়ে বসে আছে,
ঝুলে থাকা কুয়াশা থেকে যদি খানিকটা খেয়ে ফেলা যায়
স্মৃতির উত্তেজনা সমেত, সুন্দর অক্ষম নিষ্ফলতায়।
………….জটিল লেখছেন ভাই, কালোগুলোও সাদায় রূপান্তরিত হতে খুব একটা সময় নিবে না মনে হয় 😀
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পরে ক্যামেরায় ছবি তুললাম, তাই একটু মজা নিলাম।
কামাল উদ্দিন
এমন জটিল কাক বাসী হতে মন চায়, রেসিপি জানা নাই বলে কবুতর বাসী হয়েই থাকতে হচ্ছে বড় ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন কাকা-ফাক কিন্তু সুবিধার কিচ্ছু না,
আপনি যা তাই -ই ভালো।
ভাল থাকবেন আপনি।
কামাল উদ্দিন
ঠিকই বলেছেন ভাই, যার কাজ তাকেই সাজে।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো ঠিক-ঠাক বুঝে নিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
“জোড়া কপোত কপোতী হাল্কা থেকে গভীর খুনসুটিতে
খুব-ই ব্যস্ত, একটু আড়াল মত জায়গা জুড়ে;”
ভোর সকালে ব্যস্ত জুটি
কবি মোদের দেয় যে উকিঁ
নিয়ে শুধু একটু ঝুঁকি।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
না না, নেই কোন উঁকিঝুঁকি
যা কিছু সামনে আসে, তা-ই স-ই
এই আছে এই নেই,
বাকি সব ফাঁকি-ঝুঁকি।
ভাল থাকবেন, ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
ওয়াও। !
তাইতো বলি ভয়ের কিছু নয়
আমরা সবাই পাশে আছি
যদি কিছু হয়।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য -ও একান্ত শুভ কামনা, ভাই।
আরজু মুক্তা
কুয়াশা না ধোঁয়াশা।
শহরে কুয়াশা থাকে না।
এখন থেকে আরও ৭ মাস অপেক্ষা করতে হবে কুয়াশা দেখার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বললেই হবে!
সাক্ষাৎ কুয়াশার ছবি দিলাম।
আপনি লেখা দিচ্ছেন না কেন!
সঞ্জয় মালাকার
জোড়া কপোত কপোতী হাল্কা থেকে গভীর খুনসুটিতে
খুব-ই ব্যস্ত, একটু আড়াল মত জায়গা জুড়ে;”
দাদা পড়ে মুগ্ধ হলাম,
আপনারজন্য অজস্র শুভ কামনা🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভাল থাকুন সারাক্ষণ।
হালিম নজরুল
চমৎকার। আমার কাছে এখন পর্যন্ত আপনিই নাম্বার ওয়ান।
ছাইরাছ হেলাল
কী না কী কন!!
সবাই কিন্তু হেসে ফেলবে এমন প্রশংসা শুনলে!
ভাল থাকুন।
নাসির সারওয়ার
আহারে, আমার শিশু সকালডারে মাইরা ফেলছেরে মাইরা ফেলছে। আর হেইডা ডাইক্কা ফেলতে কপোত কপোতিরে টাইন্না আনছে ভেইন্না কালে।
নোটঃ এই লেখা আপনার হতেই পারেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা সক্কাল বেলা কপোত-কপোতি প্রবল হতে পারবে না, এমন কথা কী কোথাও লেখা আছে!!!
খাইছেরে! ছুড়ির দুদিকেই ধার! কই যামু!তুলা তুলা লেখা লিখেও নিস্তার নেই!!
নোটঃ ইহা অবশ্যই আপনার লেখা, আমি শুধু টাইপো করে তুলে দিয়েছি মাত্র!
নাসির সারওয়ার
জী না, কোথাও লেখা নাই। তবে সকালটা উপভোগের মাঝে তাহারা একটু সামলে থাকতে পারতেন।
একজন লেখক তার ভালো লাগার জন্যই লেখেন। তবে কারা তার লেখা পড়ছেন, মাঝে মাঝে তাও ভাবতে হয়। আপনি এখন তা ভাবছেন বলেই মনে করতে ইচ্ছে হয়। আর আমিতো আছিই আমার নাম ব্যবহারের জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
লেখা-জোখায় কে আর কাকে সামলায়
সময় অসময়ে!
যাউক, এতদিনে কুল পাচ্ছি মনে লয়!
তা আম্নেরা লইয়া ল্যাহাডা যদি এট্টু দেইখ্যা দেতেন! হে হে!!
জিসান শা ইকরাম
চমৎকার একটি হিম হিম ঠান্ডা সকালের বর্ননা দিলেন।
ছাইরাছ হেলাল
চেষ্টা করেছি, সহজ উপস্থাপনায় জটিল কিছু বলতে।
সকাল কে উপলক্ষ্য করে।