
“আমাকে নিয়ে কেউ দু’লাইন লেখে না”
কাহিল শীতে, এই গ্রহণ-কালে, শৈত্য-প্রবাহের সাথে হিম বৃষ্টি
ঠেলে ফেলে, হিমালয়ে সে যাবে, পণ ধরেছে,
শেরপা বিহীন চূড়োয় উঠে গিরি খাদের ভাঁজ-খাঁজ খুলে খুলে
বক-যন্ত্রে পরীক্ষা নেবে, গুহায় বসে খাবি খেতে খেতে
বাতাসের অক্সিজেন গুনবো, ভীতি/হাঁসফাঁস চেপে রেখে
‘ও কিছুনা’ ভঙ্গিতে আয়েসি ভাব নিয়ে মর্তের খোঁজ নেবে।
গর্জন মেঘের হুশিয়ারি অপেক্ষায় রেখে হিমের গুহায়
উত্তাপ-আত্মগোপনের নীলাভ আলোতে স্বপ্ন দেখে
এই উত্তাপ-ঘরেই থেকে যাবে অনন্ত কাল!
ভালোবাসা-বাসির নানান ঢঙে;
পা হড়কালেই অনন্ত গিরি খাদ,
কয়েক ডিগ্রি জ্বরের বাড়তি উত্তাপ নিয়ে ঐ হাসে;
ছবি…নেট থেকে।
৪৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আবার ও একটি সুন্দর কবিতা পেলাম। মুগ্ধতা রেখে গেলাম
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা আচ্ছা, অনেক ধন্যবাদ।
তৌহিদ
তিনি যাই লিখেন অন্তর ছুঁয়ে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
আরও বলেন, বারে বারে বলেন!
জিসান শা ইকরাম
শীতে আবার মেঘের গর্জন এলো কোথা থেকে ভাইসাব!
ছাইরাছ হেলাল
হিমালয়ে শীত/গ্রীষ্মে গর্জন চালু থাকে।
বুঝতে হপে।
জিসান শা ইকরাম
হু, বুঝলাম।
কবিতাখান পছন্দ হইছে।
ছাইরাছ হেলাল
তৌহিদ ভাইয়ের জন্য লেখা বলে কথা,
পছন্দ না হওয়ার কোন কারণ নেই।
তৌহিদ
কবিতা কিন্তু আমার নিজেরও খুব পছন্দ হয়েছে মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
আলবাৎ, পছন্দ হতেই হবে। ভাঁজ খোলাখুলির ব্যাপার আছে না!
তৌহিদ
এই গর্জন হার্টবিটের ঝংকার, তাইনা মহারাজ?
ছাইরাছ হেলাল
সব কথা বলা যাবে না।
ইসিয়াক
গর্জন মেঘের হুশিয়ারি অপেক্ষায় রেখে হিমের গুহায়
উত্তাপ-আত্মগোপনের নীলাভ আলোতে স্বপ্ন দেখে
এই উত্তাপ-ঘরেই থেকে যাবে অনন্ত কাল!
ভালোবাসা-বাসির নানান ঢঙে;
কবিতাটি পড়তে বেশ ভালো লাগলো ।
শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য আপনাকেও শুভেচ্ছা।
তৌহিদ
শুভকামনা ভাই।
সুরাইয়া পারভীন
উফফ! এমনিই শীতে দফারফা অবস্থা তার উপর আবার হিম বৃষ্টি, মেঘের গর্জন ভাল্লাগে এগুলো?
আর কিছু কইবো না
দারুণ প্রকাশ
ছাইরাছ হেলাল
তৌহিদ ভাই শুধুই হিমালয় যেতে চায়, থেকেও যেতে চায়,
তাই তো লিখতেই হয়।
তৌহিদ
হিমালয় দেখলে নিজেকে শক্তিসামর্থ্যবান মনে হয় যে!!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি শক্তি-সামর্থবান! তা না হলে কাহিল-শীতে কেউ পর্বত-গুহা খুঁজতে বের হয়!
তৌহিদ
হিমালয়ে সাধনা করার ইচ্ছে হয়েছেতো তাই আর কি! হেলাল ভাই উৎসাহ যোগাচ্ছেন আপু।
নিতাই বাবু
আমি স্বচক্ষে হিমালয় দেখিনি। ইউটিউবে দেখেছি। হিমালয়ের কবিতা পড়েছি আপনার সুলেখিত লেখনী।
শুভেচ্ছা সহ শুভকামনা থাকলো দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও প্রায় দেখি-নাই এর মতই, দার্জিলিং গিয়েও দেখতে পাইনি।
তবে মাশাল্লা ঘোল খেতে তো নিষেধ নেই, ইউ টিউব ই ভরসা।
ধন্যবাদ।
তৌহিদ
আপনিও ভালো থাকবেন দাদা।
মোঃ মজিবর রহমান
পা হড়কালেই অনন্ত গিরি খাদ,
কয়েক ডিগ্রি জ্বরের বাড়তি উত্তাপ নিয়ে ঐ হাসে; কি যে বিপদ আইলরে ভাই। দুর্গম আবহাওয়া আবার শীতের হিম, কুয়াশা, ঝিরিঝিরি বাতাস, বৃষ্টির পড়ে কুয়াশা।
ছাইরাছ হেলাল
এই জন্যই তো পা হড়কানো চলবে না।
তৌহিদ
মজিবর ভাই, এই শীতে অবস্থা কাহিল কিন্তু!
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যা তৌহিদ খুব কাহিল
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনাকে নিয়ে লিখব ?
নাকি হিমালয় নিয়ে ?
দুটোই সফল আপনার
লেখনি ঘিরে !
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আরে অপেক্ষায় রাখার দরকার কী!
দুটো নিয়েই লিখে ফেলুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
দুটো নিয়েই তো
লিখলাম দু কলম !
ধন্যবাদ ! শুভ কামনা !
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিলাম।
তৌহিদ
মন্তব্যে দারুণ ভালোলাগা।
তৌহিদ
মহারাজ, সত্যি আমি অভিভূত, আনন্দিত। একজন কবি আমাকে নিয়ে বন্দনা করেছেন এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হতে পারেনা।
এই শীতে হিমহিম ঠান্ডায় চিরাচরিত সেই উষ্ণতা পেলে মেঘের তর্জন গর্জনকে আর ডরায় কে? সে পাশে থাকলে আমার শেরপা লাগবেনা। তবে পাশে আপনাকে নেব। আপনার কবিতার শেষ লাইন দিয়ে আমি নতুন কবিতা লিখবো।
আর পা হড়কাবে কেন? আপনি আছেন না?
একবুকভরা ভালোবাসা জানবেন প্রিয় ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
আরে এ এমন কিচ্ছু না, আপনাকে ত ভাই জানি।
কথা দিয়েছি, কথা রাখলাম।
পা হড়কালে কেউ কাউকে রক্ষা করতে পারে না, তাই আগে ভাগেই সাবধান করলাম।
আপনার কবিতার অপেক্ষায় রইলাম।
তৌহিদ
আসেন কোলাকুলি করি ভাইজান। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা নূতন বছরের।
রেহানা বীথি
স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোকে বড় ভালোলাগে।
চমৎকার কাব্য।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সুন্দর মন্তব্য ও লেখা আমাদের সবার পছন্দ।
এত কম কম লিখলে হবে না, যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন!
কুট্টি কুট্টি লেখা হলেও, তা আমরা চাই।
তৌহিদ
হেলাল ভাইয়ের কবিতার তুলনা নেই। ভালো থাকবেন আপু।
কামাল উদ্দিন
সঞ্জিব চৌধুরীর তরজমাটা এই হিম শীতের শেষ রাতে কম্বলের ওমে শুয়ে শুয়ে শুনলাম, সত্যিই অসাধারণ লাগলো বড় ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ, সঞ্জিব চৌধুরী আমার খুব প্রিয়।
আর গানটি অনেক বার শোনার মত, শুনেছি-ও।
কামাল উদ্দিন
হুমম, আমারো খুবই ভালো লেগেছে
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
তৌহিদ
লিংক দিনতো, আমারও প্রিয় গায়ক তিনি।