
কাঁচা-পাকা অরণ্য-ধানের ঘ্রাণে
দগ্ধ-রৌদ্রের ডানা মেলে ছুটে আসে
পতঙ্গকুল, মৌ-গুঞ্জনে;
নিরাল রাতের স্বপ্ন-জোনাকি
নিভু নিভু করে জ্বলে, এই হেমন্তে,
কাঁপাকাঁপা হৃদয়ের মসৃণ-ধ্বনি
প্রতিধ্বনি তোলে, বিষণ্ণ-হৃদয়ের
দীর্ঘ-দেয়াল জুড়ে;
ছোট্ট বুনো-মৌমাছির নীল-গুঞ্জন
নিরন্তর শুনি, উদাসী দুপুরের প্রাণের নিখিলে;
দোল খাওয়া সোনা-ধানের বনে
আগুনের শিখা হাওয়ায় ভাসে,
এক ফোঁটা মেঘ একটু ঝুম বৃষ্টির ঝলকে
ফিরে আসবে উজ্জ্বল শরীরী বাসনার মিলন-বিলাস;
স্বপ্নাঞ্জলি-আঁকা-চোখের হে হেমন্ত মেয়ে
চোখ তোলো, নবান্ন এসেছে দ্বারে।
৩০টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
স্বপ্নাহ্জলি মাখা হে হেমন্ত মেয়ে চোখ তোলো
নবান্ন এসেছে দ্বারে……..
নিপাট শব্দবুননে হেমন্ত বন্দনা নিয়ে গেলো প্রকৃতির কোলে। ভীষণ ভালোলাগা।
বন্যা লিপি
হবে স্বপ্নাঞ্জলি, ভুল বানান টাইপিং মার্জনা চোখে দেখবেন মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কিছু না।
ভুলে ভরা/ভুল করা মানুষ আমরা, সবাই।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর করে পড়লেন, ব্যস্ততার ভিড়ে,
অনেকদিন পরে।
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
মেয়ে কি আর চোখ তুলে দেখার অপেক্ষায় বসে আছে মহারাজ!
সে ছুটে গেছে সেইইই কবে!!
হারানো নুপুরের খোঁজে,
কাটা ফসলের মাঠ পেরিয়ে,
ঘাসে ঢাকা মেঠো আইল ছাড়িয়ে,
নিরবিচ্ছিন্ন পাহারায় তা দেয়া মৌচাক ডিঙিয়ে,
রুপোলী নুপুরের সাথে ধরবে এক হলদে প্রজাপতি..
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কি নির্জলা ভাবে বলতে চান
হেমন্ত-মেয়ে ভেগে গেছে!
নূপুরের লোভে, নূপুরওয়ালার কাছে/সাথে!
সাবিনা ইয়াসমিন
হাহাহাহাহা, ভেগেছে কখন বললাম! বলেছি আগেই ছুটেছে। আপনার হেমন্ত-বার্তা দেয়ার আগেই তার সকাল হয়ে গিয়েছিলো, তারপরই দিলো দৌড়…. তার তাড়া বেশি বুঝতে হবেতো,, নুপুরের সাথে হলুদ প্রজাপতিও যে তার চাই 😀😀
ছাইরাছ হেলাল
শুধু হলুদ নয় লাল/নীল প্রজাপতি আর সোনা-নূপুর সে পাবেই,
ভেগে যে যায়নি এতেই খুশি সোনেলারা।
নিতাই বাবু
blockquote>কাঁচা-পাকা অরণ্য-ধানের ঘ্রাণে
দগ্ধ-রৌদ্রের ডানা মেলে ছুটে আসে
পতঙ্গকুল, মৌ-গুঞ্জনে;
মা-লক্ষ্মী আসে কৃষকের ঘরে গুনগুনিয়ে। নৃত্যের তালে তালে সোনার নূপুর পায়ে।
ছাইরাছ হেলাল
লক্ষ্মীর আগমনে প্রকৃতি সাঁজে নূতন সাঁজে।
ছবির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।
তৌহিদ
ভাইজান, আজ এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। ফ্যান ছেড়ে, কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি আরামে। হেমন্তে না গরম না ঠান্ডা!! দারুণ কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
হেমন্তের তুলনা শুধু হেমন্তেই।
আহা আরাম, আহা হেমন্ত;
হেমন্ত-আরাম জারি থাকুক।
ইঞ্জা
অপূর্ব হেমন্ত বন্ধনা, অসাধারণ ভাবে লিখলেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে সব সময়-ই অনেক ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাইজান। 😊
ছাইরাছ হেলাল
অবিরাম শুভেচ্ছা আপনাকেও, ভাই।
আরজু মুক্তা
যুবতীর মতো লাজুক হেমন্ত। চোখ তুলে তাকাতে দেরি হবে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এত্ত কঠিন মন্তব্য করেন ক্যা!
প্রদীপ চক্রবর্তী
নিরাল রাতের স্বপ্ন-জোনাকি
নিভু নিভু করে জ্বলে, এই হেমন্তে,
কাঁপাকাঁপা হৃদয়ের মসৃণ-ধ্বনি
প্রতিধ্বনি তোলে, বিষণ্ণ-হৃদয়ের
দীর্ঘ-দেয়াল জুড়ে;
অপূর্ব এক হেমন্ত বন্দনা।
শুভকামনা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
স্বপ্নাঞ্জলি-আঁকা-চোখের হে হেমন্ত মেয়ে
চোখ তোলো, নবান্ন এসেছে দ্বারে।
দেখো হে হেমন্ত, সুনেলার সকলে দিবারাত্রি গেয়ে যাচ্ছে তোমার বন্দনা।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, ঠিক বলেছেন,
আমরা সবাই হেমন্তকে বরণ করে নিচ্ছি আনন্দ চিত্তে।
জিসান শা ইকরাম
কবিরা কত কিছু দেখে হেমন্তে,
আর আমি হেমন্তই দেখিনা,
হেমন্ত কাল আসে আমার কাছে চরম ব্যস্ততায়,
ব্যস্ত জীবনের আসা যাওয়ায় দেখি ধান ক্ষেত,
কাব্যিক ভাবে দেখা হয়না কিছুই।
ছাইরাছ হেলাল
সবাই সব কিছু দেখতে পাবে,
সব কিছু সবার দেখতে চাওয়াও ঠিক না।
হেমন্ত হেমন্তেই থাকবে! চিরন্তন আসা-যাওয়ার মাঝেই।
রেহানা বীথি
আহা, হেমন্ত এসেছে দ্বারে!!
আমার ছোট মেয়ে গতকাল হঠাৎ করে পেছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরে বললো, মা, শুভেচ্ছা। হেমন্ত এসে গেছে, শীত আসছে….
আমি তো অবাক। নিজেকে বড় সুখী মনে হলো!
আপনার কবিতাতেও মুগ্ধ।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে-ই ঋতু বৈচিত্র এভাবেই আমাদের যুগে যুগে
ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখেছে।
ধন্যবাদ।
শাহরিন
কবিতা তো বুঝিনা তবে শব্দ গুলো সুন্দর। যারা পকৃতি ও শব্দ প্রেমী তারাই এভাবে লিখতে পারে। আমি অল্প অল্প প্রকৃতি প্রেমী তাই আমি শুধু পড়তে পারি কিন্তু বুঝি না 🤔
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা এবার বুঝলাম আপনি এত সুন্দর করে লেখেন কীভাবে!
শব্দদের দিকে নজর দিয়ে আমাদের বিপদে ফেলবেন এই তো!
আমার তো পড়াই শেখা হলো না!
ভাল থাকুন ভাল করে।
এস.জেড বাবু
ছোট্ট বুনো-মৌমাছির নীল-গুঞ্জন
নিরন্তর শুনি, উদাসী দুপুরের প্রাণের নিখিলে;
দোল খাওয়া সোনা-ধানের বনে
এ যেন হেমন্ত প্রেমে মাতোয়ারা কেউ।
ভিষন চমৎকার।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এমন মন্তব্য পড়ে আনন্দ পাচ্ছি।
আসলে আমি এমন-ই লিখি, এই যেমন হেমন্ত নিয়ে লিখেই যাচ্ছি, লিখেই যাচ্ছি।
বর্ষা নিয়েও লিখেছি, লিখেছি।
আশা আছে শীত ও বসন্ত নিয়েও আল্লাহর ইচ্ছেয় লিখব।