প্রিয় মনি,
তোর নামটার সাথে জড়িয়ে আছে আমার শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি। সেই প্রথম যখন আমরা খুলনা বসুপাড়া দাদাদের (আব্বার মামা) বাসায় উঠলাম, তার ঠিক দুই বাড়ি পরেই তোদের বাড়ি। তোর সেই ফ্রকটার রং এখনো আমার মনে আছে। সামনে তুই প্রথম এসে হেসে দিলি। তুই আমি সারাদিন খেলতাম। দিনমান ছুটোছুটি চলতো আমাদের। সুপারি বাগানের ডাগর ডাগর সুপারির মুখ কেটে ওর ভিতর পান দিয়ে কাঠি দিয়ে সেই লাল করা পান আমরা খেতাম। মুখ লাল করে একে অন্যকে দেখাতাম। শুধু রাতটা কাটতো আমাদের নিজেদের ঘরে। আমাদের খাওয়ারও ঠিক ছিল না। দুইজনই দুজনের পরিবারের সদস্য ছিলাম। বড় ভাল ছিলামরে! জীবনের সেই মায়াময় দিনগুলোতে হঠাৎ হঠাৎই আমার আলো ফেলতে ইচ্ছে করে। এই অবসরে আমি একা একা দেখি সবকিছু ছবির মতো। স্পষ্ট টলটলে পানিতে দূরের ঐ নীল সাদা আকাশ যেমন দেখা যায় তেমনই দেখি।
যেদিন আব্বার পোষ্টিং হলো, চলে আসার দিন তুই সারাদিন আসলি না। আমি জানতাম তুই কোথায় ছিলি। আমি ইচ্ছে করেই যাইনি। সেই বয়সেও আমরা এই বিদায় ব্যাথা খুব বুঝতাম তাই নারে! তোর খুবই প্রিয় জায়গা ওটা। কতোদূর হেঁটে হেঁটে আমরা যেতাম। আমরা এতো কথা কোথায় পেতাম বলতো? আমি চলে গেলাম তোকে ছেড়ে। আমার শৈশব ছেড়ে। বাল্য স্মৃতি আমার কষ্টে ঢাকা পড়ল। ওখান থেকে চলে আসার পর, বছরে একবার যেতাম। রিক্সা থেকে নেমেই তোর স্কুলে যেতাম। তুই দৌড় দিয়ে দোতলা থেকে নামতিস। ব্যাগটাও আনতিস না। সুমন ভাই তোর ব্যাগটা নিয়ে আসতো। মনে আছে, আমরা পলিথিনে ব্যাগে বই ঢুকাতাম বর্ষা এলে? আমাদের পাশে চকলেট ফ্যাক্টরিতে কাজ করত কিছু পরিবার থাকতো। দাদা ওদের সাথে আমাদের খেলতে দিত না। তুই আমি চকলেটের লোভেও কিছুটা ওদের সাথে মিশতাম। দু’একদিন তুই আমি চুরি করে ওদের সাথে চকলেট ফ্যাক্টরিতে গেলাম বেশি চকলেটের লোভে। ওসব বাচ্চাদের সাথে আমরাও লাল/সোনালী কাগজে চকলেটের ছোট ছোট বার মোড়াতে লাগলাম। দিন শেষে কোঁচ ভরে চকলেট নিয়ে আসলাম। লুকিয়ে রাখলাম। মুন্নি আপু টের পেয়ে দুজনকেই চুল ধরে দিয়েছিল দু ঘা।
অনেক স্মৃতিই এখন হয়ত ঝাপসা। তবুও এ সুখ স্মৃতি আমাকে বাঁচিয়েও রাখেরে। মানুষের শৈশব আর কৈশোর খুব মজার আর শ্রেষ্ঠ সময়; নির্দোষ, নির্মোহ, নির্মল ডালপালাহীন সরল ঐ বৃক্ষের মতো। মানুষের জীবন বাড়ার সাথে সাথে ডালপালার মতো সুখ দুঃখ, স্বামী সন্তান গজিয়ে ওঠে। শুধু পার্থক্য একটাই বৃক্ষ তার শুকনো মরমর পাতা ঝেড়ে ফেলে তার শাখা থেকে। আমরা মানুষ পারি না দুঃখগুলো ঝেড়ে ফেলতে।
দাদা মারা যাওয়ার পর থেকে খুলনা যাওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গেলো। তুই আমি এক আত্মা, দুই আত্না হয়ে গেলাম। নতুন সহপাঠিদের মাঝে তোর আমার শৈশব কৈশোর একেবারেই হারিয়ে গেলো। স্কুল পেরিয়ে কলেজ জীবন, জীবনের প্রথম প্রেমের অনুভূতি কিছুই তোকে বলা হলো না। আমাদের সময়ে ফোন ছিল না। তোর আমার বন্ধুত্বের মধ্যে আমিই বড় বেভুলারে! হয়ত অনেকটা স্বার্থপর। তোকে কেন খুঁজিনি আর বলতো!
কিন্তু তুই আব্বার কাছ থেকে ঠিকই কেমন করে আমার নাম্বার নিলি। হঠাৎ একদিন তোর কন্ঠস্বর ফোনে। বিশ্বাস কর, বুকটা ছ্যাঁত করে উঠেছিল। জানিস, আমি ভাষা হারিয়েছিলাম, চোখ ভরে ছিল জলে। সম্পর্কের এই দিকগুলোতে ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেকটা ঠান্ডা আমি, নারে! আমি যে প্রকাশ করতে পারি নারে। ভালবাসা, রাগ অভিমান কিছুই প্রকাশ করতে পারি না। তাই তো এতো চাপা ব্যাথা বুকে। চারিদিকে এতো হাহাকার।
ফোনে তোর প্রথম শব্দ ছিল,”কেমন আছিস?” আমি তোর পরিচয় না জেনেই বললাম,”ভালো আছি।”
বললি,”চিনতে পেরেছিস?” কাপা ঐ কন্ঠে ছিল তোর বড় অভিমান। সেই ৯০ সালের পর ২০১২ চেনা কথা বল!
উত্তরের অপেক্ষা না করে বললি,”আমি মনি, তুই এখন কোথায়? রাতের ট্রেনে আসছি। সকালে স্টেশনে নিতে আসিস।” কোনো প্রশ্ন করতে নিষেধ করলি। কতো অধিকার ছিল তোর ঐ কন্ঠে। সারা রাত আমার উৎকন্ঠায় কাটলো, ঘুম হলো না। কতো স্মৃতি, কতো কথা, কতো প্রশ্ন এসে ভিড় করতে লাগল। প্রথম প্রশ্নঃ তোকে চিনতে পারব তো! কতো কিছুরই তো পরিবর্তন হয়েছে বল! তুই আমি তালপাতার সেপাই ছিলাম। এখন আমি মোটা হয়েছি, মা হয়েছি। নির্ঘুম রাত পার করে তোকে আনতে গেলাম। দুই মেয়ে নিয়ে প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, তোর দিকেই আমি এগিয়ে গেলাম। অবাক ব্যাপার, তুই আমি কেউই ফোন দিয়ে কনফর্ম হলাম না তুই মনি কিনা। কোনো পরিচয় দেওয়ার আগেই তুই আমাকে জড়িয়ে ধরলি। সেই চেনা সব কিছু আমার। জানি, তোর ইচ্ছে হচ্ছিল জোরে কেঁদে ওঠার। না, কাঁদতে তোকে দেইনি। স্বার্থপর আমি তাই না!
কতোটা অভিমান জমা হলে এমন করে, দুই হাতের মুঠোয় চারটা ছোট ছোট হাত নিয়ে বেরিয়ে পড়ে অজানায়! মেঘ যতো গভীর কালো হয় তার বর্ষণও কি ততো ভারি হয়?
তোর তো বর্ষণ হলো। হালকা হলি তুই। মেঘ কেটে রোদ উঠলো তোর আকাশে। আসলেই কি মেঘ কাটে বল?
লাল এক প্রাইভেটকারে স্বামী সন্তান নিয়ে চলে গেলি। আবারো চোখের আড়াল হলি। আচ্ছা তুই কি গাড়ির কাচ গলে আমার কোনো অভিমান জমানো দেখিসনি?
এখন তুই ভাল আছিস তো? আবারো এক ফোনের অপেক্ষায় রইলাম। তবে এবার হাসিমুখে ফোন দিস। ভাল থাকিস।
ইতি
সেই আমি তোর।
১৪/৩/১৭.
৪২টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
তোমার চিঠি পডে হুরমুর করে এক গাদা স্মৃতি চোখের সামনে চলে এল। আমার ও এক প্রিয় বান্ধবি ছিল । আমাদের বন্ধুত্ব দেখে আম্মা বলতো তোদের দুজনকে একঘরে বিয়ে দিতে হবে নইলে তোরা বাচবিনা।
অথচ দেখ ও কোথাঁয় আর আমি কোথায়।
“মেঘ যত গভীর কালো হঁয় বর্ষন ও কি তত ভারী হয়” ভীষন সুন্দর কথাটা।
শৈশবের স্মৃতি , ২২ বছর পর স্টেশনে বন্ধুর সাথে দেখা হওয়া সব মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে।
চিঠিতো এমনই হয়।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ আপু। ভালবাসা নিও।
তোমরা বাজিমাত করবে তা তো জানি। সবার শেষে দিবে ;( দাও দাও। তয় মনে রেখ আমি তোমার ছোড বইন 🙂
মিষ্টি জিন
আমি শুকনা খটখটা মানুষ, আবের উবেক নাই, চিঠি জিবনেও লেহি নাই , বাজিমাত করুন কেমন্? ঐ শাকচুন্নী পুরস্কার বাজিমাত সব করবে। ;(
গুপুন কতা কই কাউরে কইও না। আমি সবার চিডি দিয়া একটু একটু নিয়া আমার নামে চালাইয়া দিমু। :D)
কত বুদ্ধি আমার। :p
মৌনতা রিতু
তুমি আবেগ বোঝো না! তাইলে আমরা তো তাইলে মায়ের পেটে এমন অবস্থা। শোনো আপু, তুমিই ফাটাবানে তা বুঝতেছি।
করো করো চুরি করো। নীলাপু অনেক ভাল ভাল চিঠি লিখেছে আগে। এতো চিঠি আপুর মনেই নেই। ওখান থেকে একখান গায়েব করি চলো।
মিষ্টি জিন
ভালো বুদ্ধি দিছো । টাংকু মাংকু
নেও এক কাপ চা খাও। :T
ইকরাম মাহমুদ
২২ বছর পর দেখা। সেই চেনা মুখ। দেখা হবার আগের রাতটা কেমন ছিল তা অনুমান করতে পারছি কিছুটা। কেমন ছটফটানি বুকের ভেতর। কেমন অনুভূতির আনাগোনা। ছোট রাতটা কতো বড় রূপে হাজির হয়েছিল। কথার খই ফোটার আগেই আবারর হারিয়ে যাওয়া।
বাল্যবন্ধুকে হারিয়ে আবার খুঁজে পাওয়ার আনন্দটা কতখানি তা আমিও জানি।
চিঠিটা প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ। আসলেই তখন প্রতিটা সময় আমার উৎকন্ঠায় কাটছিল। একবার শুই তো আবার উঠি।
আমার ফেসবুকের প্রথম পাসওয়ার্ডও ওর নামেই ছিল।
ভালথাকুক ও। সব সময়ই মন থেকে দোয়া করি।
ভাল থাকবেন ভাই। প্রিয়তে নিয়েছেন! কৃতজ্ঞ রইলাম।
প্রহেলিকা
এইতো প্রতিযোগিতা জমে উঠেছে। ক্ষুরধার লেখাগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। এবার আর রক্ষে নেই ইঁদুরের গর্ত খোঁজা শুরু করে দিয়েছি।
সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষায় অনুভূতিগুলো প্রকাশ করেছেন। অথচ এটুকুও কমতি ছিল না মায়াময়তার। এমনটিই হবার ছিল, বন্ধুত্বের অভিমান ঘুচাতে এ মায়াময়তার আর কোনো বিকল্প নেই। ভালো লাগা রাখছি অবশ্যই! পরেরবার যেন ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে সুখদকন্ঠে ভেসে আসে সেই কামনা করি।
ভাল লাগা রাখছি, প্রতিযোগিতায় সাফল্য কামনা করি। শুভকামনা।
মৌনতা রিতু
হুম! আপনারা যে কতো বড় চালাক তা বুঝেছি। আজ ফেসবুকে সবগুলো আমাকে উসকে দিয়ে পোষ্ট দেওয়াল। সবাই অপেক্ষায় আছে শেষ দিকে দেওয়ার। দিক দিক ;(
তবে হ্যাঁ ভাই, এই প্রতিযোগিতা না হলে হয়ত এমন চিঠি উঠে আসত না।
সোনেলা কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা রাশি রাশি।
প্রহেলিকা
সোনেলাকে অবশ্যই ধন্যবাদ। প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদেরও অনেক ভালো ভালো চিঠি পড়ার সুযোগ করে দিলো। পুরস্কার পাওয়া আপনাদের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মৌনতা রিতু
সত্যিই তাই। খুবই ভাল উদ্যোগ হইছে এটা। এটা বের হলো কার মাথা থেকে! তার মাথা আমার চাই😝
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, এই না হলে প্রতিযোগিতা!!
হুড়মুড় কবে বাঁধ-ভাঙ্গা জোয়ার হয়ে ছুটে ছুটে আসছে লেখারা।
সত্যি করে বলুন! আপনি এই চিঠি লিখছেন!! সত্য করে চুলে হাত দিয়ে বলুন!!
সাড়া বছর জুড়ে প্রতিযোগিতা হলে আরও ভাল হত।
এবার ফোন এলে আমাদের কথাও একটু বলে দিয়েন,
চিডি না যেন আস্ত একখানা কী জানি!!
মৌনতা রিতু
আপনি কি ভেবেছেন, আপনার মতো আমারও কিছু ডাইনি আছে! হুম তবে কিছু জীন থাকতে পারে।
তবে জীন ভূত, পেত্নী যাই থাক লেখাখান কইলাম আমার। এটাতে কুনু সন্দেহ নাই।
এই তো মাথায় হাত দিয়া হাছাকতা কইলাম।
লেখা ভাল হয়েছে! তবে তাই হোক। মনের কথা তাই হবে হয়ত।
ভাল থাকবেন কুবি ভাই।
হ কমুনে এর পর ফোন এলে।
রুম্পা রুমানা
কতো অভিমান , ভালোবাসা আর মায়ার কথা লিখে দিলেন ! অভিভূত আপু।
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ। হুম। মনের কথা তাই হয়ত ভাল লেগেছে
শুভকামনা রইলো।
নীহারিকা
এমন আবেগ দিয়ে চিঠি লিখলে আমরা কোথায় যাই বলুনতো?
দারুন!
মৌনতা রিতু
তাই না! এটা সম্পূর্ণ মনের কথা। সত্যি কথা।
অনেক ধন্যবাদ। চিঠি কৈ?
নীহারিকা
ল্যাকতারিনা ;(
সঞ্জয় কুমার
স্মৃতিময় সোনালী শৈশব । আসলেই শৈশবের বন্ধুত্ব ভোলা অসম্ভব । যাকে অনেক কিছু বলতে মন চায় সামনে আসলে বেশীরভাগই অব্যক্ত থাকে ।
মৌনতা রিতু
হুম আমার সোনালী শৈশব। ভাল থাকবেন ভাই।
ব্লগার সজীব
আপু আপনার চিঠি পড়ে আমি নিজেই আবেগতাড়িত হয়ে গেলাম। এত আবেগ দিয়ে লেখা তখনই সম্ভব, যখন সেই স্মৃতি এখনো নিজের মাঝে থাকে। আপনার এই চিঠি প্রতিযোগিতায় বিবেচনার জন্য স্থান করে নেবে বলেই আমার ধারনা।
মৌনতা রিতু
তাই না! নমিনেশন কোনো অনুষ্ঠান হবে নাকি? হইলে তো ভালোই হয় তবে যদি নমিনেশন পাই। ফিল্ম ফেয়ার এ্যাওয়ার্ডের মতো।
সত্যি এমন সব ভালবাসা কখনোই অমলিন হয় না।
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো ভাবু ভাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো আবেগমাখা চিঠি লিখেছো তুমি আপু।
চোখের কোণায় কিছু কি একটু ঝিলিক দিলো, ঠিক বুঝলাম না। কেন মনে হচ্ছে এই মনিকে আমি চিনি?
এমন মনি কি সবারই থাকে? হুম থাকে। তাইতো অনুভব করছি।
কেন আমি দশ বছর পর ফোন দেয়ার পরেও বলে উঠে, “কি রে নীলা মন খারাপ হয়েছে বুঝি?” অবাক হয়ে গেছি এভাবে কি কেউ মনের ভেতর রাখতে পারে কোনো অনুযোগ-অভিযোগ ছাড়া?
মৌনতা আপু এ চিঠির ভেতর আমার স্মৃতিও। মন থেকে চাই পুরষ্কার পাক চিঠিটা।
অনেক অনেক ভালোবাসা শান্তসুন্দরী। নীচের কয়টি লাইন শুধু তোমার জন্য আপু। -{@ (3
আবার একদিন শৈশব বেজে উঠবে রিংটোনে,
চলমান ক্যালেন্ডারি বয়স কিছুক্ষণের জন্য থমকে যাবে।
উনুনে তরকারী পোড়ার গন্ধ সে আর নাকেই আসবেনা,
পোড়া গন্ধের ভেতরও যে অন্যরকম এক সুগন্ধীর বাস
রিংটোন বাজলেই সেটা বোঝা যাবে।
রুটিন বাধা সময়ের ছন্দপতন হবে, তাতে কি!
–হ্যালো! (তারপর এক সেকেন্ডের জন্য থমকে যাওয়া), কেমন আছিস?
–এতোদিন পর! অপেক্ষা করছিলাম খুব, সেই যে ফোন দিবি বলেছিলি!
তারপর, দু’প্রান্তের শৈশব-সেতু হাসি-কথার কলরোলে মেতে উঠছে।
ওদিকে পুড়ছে তরকারী!
মৌনতা রিতু
বিশ্বাস করো আপু, কেন যেন মনে হচ্ছিল তোমার খুব ভাল লাগবে এই চিঠিটা। কারণ, তুমি খুবই বন্ধুসুলভ একজন মানুষ। তুমি দেখ, তোমার অনেক ভাল হবে। অনেক ভাল থাকবে তুমি। অনেক মানুষ চিনবে তোমাকে ভালোর কাতারে তাও অনন্তকাল। দেখে নিও।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি কি আমাকে কাঁদিয়ে ছাড়বে? তা হবেনা। কিছুতেই না। বুঝেছো?
চোর আর সাধুর গল্পটা মনে আছে? তুমি ভালো তাই সবার মধ্যে ভালো দেখো। আর এটা তোমার এমন একটি গুণ, তুমি নিজেও জানোনা।
সবসময় ভালো থেকো। ভালো রেখো। -{@ (3
মৌনতা রিতু
-{@ (3 -{@ (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শ্বাসরুদ্ধকর (y)
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সোনেলায় অনেক চিঠিতো পড়ছি পড়েছি … এ চিঠিটি মনে হচ্ছে আমার কাছে লেখনির স্প্রিড বিবেনায় অনবদ্য। -{@
মৌনতা রিতু
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই 🙂 ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো রাশি রাশি।
মেহেরী তাজ
ভাবীজান তুমি তো আমারে নস্টালজিক করে দিলে।
চলো তোমাকে একটা মজার কাহিনী শুনাই।
HSC এক্সামের পর সব ফ্রেন্ড রা এদিক সেদিক ভর্তি কোচিং এর জন্য চলে যাচ্ছে। ঠিক তার আগে এক পরিচিত বড় ভাই এর প্রপোজাল নিয়ে গেলাম আমার এক বেস্ট ফ্রেন্ডের কাছে।আমি কন্ডিশন দিলাম ৩ টা।
১। আমি যা বলছি তার জন্য কোন ভাবেই আমাদের ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হওয়া যাবে না।
২। যা বলছি ভালো ভাবে শোন। ঠান্ডা মাথায়। রাগ করে উঠে চলে যাস না।
৩। যা ডিসিশন নিবি নিজেই নিবি! এখনই জানাবি!
সেই ফ্রেন্ড নিজেই ডিসিশন নিলো সেই দিন থেকেই আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো!
ভাবীজান তোমাদের ফ্রেন্ডশিপ এর কথা শুনে কেনো যেনো আমার ফ্রেন্ডের কথা মনে পড়লো!
মৌনতা রিতু
কিছু ফ্রেন্ডশিপ অনেকদিন পর্যন্ত মনের মধ্যে জীবিত থাকে।
ভাল থাকিস। আদর নিস অনেক অনেক। -{@ (3
মেহেরী তাজ
ইয়ে এই চিঠি প্রতিযোগিতার উপযোগী নয়। ইমোশনাল করে দেয় অধিক পরিমানে বলে ইহা বাতিল বলে বিবেচ্য……..
দৌড়ে পালাই,যাতে ধরতে না পারো!!! :=
মৌনতা রিতু
হরে মনু তুই ঠিকই কইছিস! এই ছবি অযোগ্য ;(
তোরে খালি পাই আমি :@
-{@ (3
মেহেরী তাজ
হাহ জানি আমারে ধরতে পারবে না!!! :p
শুন্য শুন্যালয়
আমার বুবু বলছে ইমোশনাল বেশি করে দেয় বলে এই চিঠি বাতিল বলে বিবেচ্য 🙂
সত্যিই রিতু আপু, এতো আবেগ দিয়ে প্রিয় বন্ধুকে লিখেছো এ যে কাউকে নস্টালজিক করে দেবে।
বন্ধুর প্রিয় জায়গা না চেনা, বন্ধুর চোখের পানি না দেখতে দেওয়া, মনের কথা বুঝতে না পারলে সে বন্ধু নাকি? কতো মজার মজার চকলেট ঘ্রাণ স্মৃতি নিয়ে এলে, অভিভূত আদরের ভাবী।
সত্যিই এই প্রতিযোগিতা না হলে মনের এই আবেগ কোথায় না কোথায় জমা পড়ে থাকতো। সঞ্চালক কে জানাই অনেক ধন্যবাদ।
এ চিঠি পুরষ্কারের ঊর্ধ্বে …
মৌনতা রিতু
ঠিকই বলেছো, এমন প্রতিযোগিতা না হলে এমন লেখা উঠে আসত না।
সোনেলাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাতিল তাই না ;( ;( ;(
উক্কে তবে তাই হোক। ;( ;( ;(
মেহেরী তাজ
এতো কাইন্দো না ভাবীজান! !!
আহালে কান্দে না কান্দে বাবু ভালো!
আইচ্চা এই চিডি বাতল নয়। যাও।
এবার ঠিক আছে?
চাটিগাঁ থেকে বাহার
চিঠিখানি হৃদয় ছুঁয়েছে
অভিজ্ঞতা তিক্ত।
পড়তে গিয়ে চোখের
কোণা করেছে সিক্ত…..-{@ -{@ -{@
মৌনতা রিতু
অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
তেলাপোকা রোমেন
আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।”
#খুলনা শব্দটা খুব টানে। এই শহরের এমন কোন রাস্তা নেই হাটিনি 🙂
মৌনতা রিতু
হুম, খুলনা আমার শেশব কৈশোর বেঁধে রেখেছে।
ভাল থাকবেন।