পালং শাক ঃ-
মজা করে নাম দিয়েছিলাম পালং শাকের পিন্ডি। না দিয়ে উপায় কি বলুন! এতো কুচিকুচি করে কাটতে হয়েছে, আমার মাথার বারোটা বেজেছে। এমনিতেই বেশীক্ষণ দাঁড়াতে পারিনা। এক্সিডেন্টের পর দুই পদ রান্না করতেই তিনঘন্টা লেগে যায়। যাক রান্নায় আসি এবার।
উপকরণ ঃ পালং শাক, রসুন (দুই কোয়া), শুকনো মরিচ (একটা), কালোজিরা (তিন আঙুলের এক চিমটি), আদা কুচি, হলুদ, লবণ, কাঁচা মরিচ, সরিষার তেল, ধনেপাতা।
শাক ধুয়ে নিয়ে (জল ঝরানোর প্রয়োজন নেই) কুচিকুচি (যতোটা সম্ভব ছোট) করে কেটে নিন। আদা-রসুন অল্প থেতলে নিন। চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে গরম হলে তেল (সরিষার তেল বেশী খাওয়া ভালো না। তবে মাঝে-মধ্যে খেলে তেমন সমস্যা নেই) দিন। তেল গরম হলে ওর মধ্যে শুকনা মরিচ ভেঙ্গে দিয়ে, ওতে কালোজিরা দেবেন। কালোজিরা দেয়ার সাথে সাথেই অল্প লবণ ছিটিয়ে দেবেন। কালোজিরার সুন্দর ঘ্রাণ বের হবে। তারপর রসুন-আদা দিন। একটু বাদামী হলে শাক ঢেলে দিন। ওর মধ্যেই হলুদ আর অল্প পরিমাণে লবণ দেবেন। মিনিট কয়েক নাড়াচাড়া করে হাল্কা আঁচে ঢেকে দেবেন। শাকের জলেই শাক সেদ্ধ হবে। শাক যদি মাখা মাখা রাখতে চান, তাহলে জল শুকিয়ে নেবেন না। সবশেষে কাঁচা মরিচ চিরে আর ধনেপাতা কুচিকুচি করে কেটে শাকে দেবেন। হয়ে গেলো পালং শাকের পিন্ডি চটকানো।
**চাইলে চিংড়ি মাছও দিতে পারেন। আমি চিংড়ি মাছ খাইনা, তাই দেইনি।
পেঁপে-মাগুর মাছের বন্ধুত্ত্ব ঃ-
উপকরণ ঃ মাগুর মাছ, পেঁপে, সাদা আস্ত জিরা, লং-দারচিনি-এলাচ-তেজপাতা, আদা বাটা, জিরা গুঁড়া, ধনেগুঁড়া, কারিপাতার পাউডার, হলুদ, লবণ, ভেজিটেবিল অয়েল, কাঁচামরিচ, গরমমশলা গুঁড়া।
মাগুর মাছ খুব ভালো করে লবণ-হলুদ দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। জল ঝরানোর পর আবারও হলুদ-লবণ দিয়ে মেখে অল্প ভেঁজে নিন। মাছ তুলে নিয়ে ওই তেলেই প্রথমে তেজপাতা, তারপর আস্ত জিরা দিন। জিরা দিয়েই ওর মধ্যে লবণ দেবেন, সুন্দর ঘ্রাণ বের হবে। অবশেষে এক এক করে লং-দারচিনি-এলাচ-আদা বাটা দিয়ে অল্প ভেঁজে নিন। টুকরো টুকরো করে কাটা পেঁপে ওই মশলার মধ্যে দিয়ে দিন। পেঁপে দেয়ার পরই জিরা-ধনে-কারিপাতার গুঁড়া-হলুদ-লবণ দিন। পেঁপেসহ মশলা সব ভালো করে নাড়াতে থাকুন। ভাঁজা ভাঁজা হয়ে এলে অল্প জল দিন। ঝোল বেশী রাখতে চাইলে সব্জীর পরিমাণে জল দেবেন। দেশের পেঁপে সহজে সেদ্ধ হয়না। তাই তরকারী রান্নার আগেই আলাদা করে হাল্কা ভাঁপ দিয়ে নিতে হয়। দেশের বাইরে পেঁপে খুব সহজেই সেদ্ধ হয়, আলাদা করে ভাঁপ দিতে হয়না। জল দেয়ার পর ঢেকে দিন। পেঁপে সেদ্ধ হয়ে এলে আগুণের জ্বাল কমিয়ে দিয়ে মাগুর মাছটা দিয়ে দিন। তারপর আবার ঢেকে দিন। ঝোলটা অল্প টেনে এলে ঢাকনা সরিয়ে দিয়ে কাঁচা মরিচ বেশী করে দিয়ে দিন। সবশেষে গরমমশলা গুঁড়া ছিটিয়ে দেবেন। আমি ঝোল বেশী রাখিনা, মাখামাখা করি। গন্ধে কি মনে হচ্ছে মাংস রান্না হলো, নাকি মাগুর মাছ?
আলু-ফুলকপি-পনির দম ঃ-
উপকরণ ঃ আলু, ফুলকপি, পনির, সাদা আস্ত জিরা, তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, আদা বাটা, জিরা গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, আস্ত কারিপাতা (পাউডার নয়), লবণ, কাঁচামরিচ, ভেজিটেবল অয়েল, ঘিঁ, গরমমশলা গুঁড়া।
আলু ডুমো ডুমো করে কেটে নিন। সকলেই জানেন আলু কেটে কিন্তু বেশীক্ষণ রাখতে নেই, কালচে দাগ পড়ে যাবে। তাই আলু কেটে জলে ভিঁজিয়ে রাখুন। সবথেকে ভালো হয় ফুলকপি চাক চাক করে কাটুন, অবশ্যই আগে ধুয়ে নিয়ে কাটুন সে যে কোনো সব্জী-ই হোক। পনিরও টুকরো করে কেটে হলুদ-লবণ দিয়ে মেখে হাল্কা করে ভেঁজে নিন। পনির ভাঁজার পর ওই তেলেই আলু-ফুলকপিও হাল্কা করে ভাঁজুন। তারপর ফ্রাইপ্যান থেকে উঠিয়ে নিন। এবারে ওই তেলে আস্ত জিরা দিয়েই তার উপর অল্প লবণ ছিটিয়ে দিন। তারপর এক এক করে তেজপাতা-লং-দারচিনি-এলাচ দিন। দুই চা’ চামচ আদা বাটার মধ্যে এক চা’ চামচ হলুদ, দুই চা’ চামচ জিরা গুঁড়া, স্বাদ অণুযায়ী লবণ দিয়ে মেখে নিন। তারপর ফ্রাইপ্যানে ওই মিশ্রণ ঢালুন। অল্প ভেঁজে ওর মধ্যে আলু-ফুলকপি দিন। নাড়াচাড়া করুন, যাতে মশলাটা সব্জীতে ঢুকতে পারে। এবারে জল দিয়ে দিন। এই তরকারী মাখামাখা রাঁধি আমি। তাই অল্পই জল দেই। ফ্রাইপ্যান ঢেকে জ্বাল বাড়িয়ে দিলে সব্জী সেদ্ধ হয় তাড়াতাড়ি। সব্জী সেদ্ধ হয়ে এলে জল টেনে গেলে পনির দিয়ে দিন। সাথে সাথেই ঘিঁ দিন দুই টেবিল চামচ। তারপর আস্ত কারিপাতা এবং ফালি করে কেটে রাখা কাঁচামরিচ দিন। নামানোর ঠিক আগে এক চা’ চামচ গরমমশলা গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
**এই তরকারী আমার ছেলের খুবই প্রিয়। মাও কম যায়না। আমার মামনি নিজের হাতে পনির বানাতো একসময়। জার্সি গরু দুই বেলায় ১২ লিটার দুধ দিতো। পুরো চা’ বাগানে অনেককেই ফ্রীতে দুধ বিলি করা হতো। যেটুকু থাকতো, কখনো রসমালাই, কখনো ক্ষিরের সন্দেশ, কখনো রসগোল্লা, আর পনির।
মুরগী মাখানী ঃ-
উপকরণ ঃ হাড়ছাড়া মুরগী(ছোট টুকরো করে কাটা), ক্যাপসিকাম (সবুজ+হলুদ+কমলা লম্বা করে কাটা), পেঁয়াজ কুঁচি (বড়ো পেঁয়াজ পাঁচটা), রসুন কুঁচি(পাঁচ কোয়া), কাঁচামরিচ কুঁচি, আদাবাটা (চার চা’ চামচ), তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, কারি পাউডার, লবণ, টম্যাটো সস, ধনেপাতা কুঁচি, সরিষার তেল।
ফ্রাইপ্যানে সরিষার তেল দিন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুঁচি দিন। বাদামী রঙ হবার আগেই রসুন কুঁচি, আদাবাটা, কাঁচামরিচ কুঁচি দিন। বাদামী রঙ হয়ে এলে ওর মধ্যে তেজপাতা-লং-দারচিনি-এলাচ দিন। এবারে মাংস ছেড়ে দিয়ে নাড়াতে থাকুন। পাশাপাশি মশলা মাখিয়ে নিন। চার চা’ চামচ জিরা গুঁড়া, দুই চা’ চামচ কারিপাউডার+হলুদ গুঁড়া+ধনে গুঁড়া, আন্দাজমতো লবণ এবং জল দিয়ে মাখিয়ে নিন। তারপর মাংসের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে আবার নাড়াতে থাকুন। বেশ ভাঁজা এবং মাংস খানিকটা সেদ্ধ হয়ে গেলে তার মধ্যে টম্যাটো সস ঢালুন। ্ফ্রাইপ্যানে নীচে যাতে আটকে না যায় অল্প একটু জলও দিন। জ্বাল কমিয়ে হাল্কা আঁচে মাংস পুরোপুরি সেদ্ধ হতে দিন। তবে খেয়াল রাখবেন যেনো পোড়া না লাগে। কিছুক্ষণ পর মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে ক্যাপসিকামের টুকরোগুলো ঢেলে দিয়ে নাড়াতে থাকুন। অল্প একটু সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিন সুঘ্রাণ ছড়াবে। ফালি করে রাখা কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কুঁচি তরকারীর উপর ছড়িয়ে দিন। টক+ঝাল স্বাদের এই মাংসের তরকারী পরোটা কিংবা পুরী দিয়ে খেতে দারুণ লাগে। একবার স্বাদ নিয়েই দেখুন।
লেবুপাতা দিয়ে মুশুর ডাল ঃ-
উপকরণ ঃ মুশুর ডাল, লেবুপাতা ৪/৫ টি (কাগজী অথবা গন্ধরাজ লেবুর পাতা), শুকনো মরিচ, কালোজিরা, হলুদ, লবণ, কাঁচামরিচ, ভেজিটেবিল তেল।
আমার ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি মামনি মুশুর ডালে কোনো না কোনো সব্জী(ফুলকপি/বাঁধাকপি/মুলা/টম্যাটো/পেঁপে ইত্যাদি) দিয়ে রান্না করতো। মাঝে-মধ্যে স্বাদ বদলাতে লেবুপাতা দিয়ে মুশুর অথবা মুগ ডাল রাঁধতো মামনি এবং বরিশালের মা (দিদিমা মানে মায়ের মা)। আর ডালের সাথে অবশ্যই কোনো ভাঁজা থাকতোই।
যাক এবারে আসি রান্নায়। মুশুর ডাল ভালো করে ধুয়ে নিন। সসপ্যানে জল দিন, জল ফুঁটে এলে ওর মধ্যে মুশুর ডাল ঢেলে দিন। আমি অবশ্য তাড়াহুড়ো থাকলে একইসাথে ডাল+জল+লবণ বসিয়ে দেই। ্ডাল যখন সেদ্ধ হয়ে যাবে, ডাল ঘুঁটুনী দিয়ে ঘুঁটে নিন এবং তারপর হলুদ গুঁড়া দিয়ে দিন। ওদিকে ডাল ফুঁটতে থাকবে। অন্যদিকে আলাদা ফ্রাইপ্যানে তেল ঢালুন। ডাল ফোঁড়নের ওপরেই কিন্তু সুস্বাদ নির্ভর করে। তেল গরম হলে শুকনো মরিচ ছেড়ে দিন। খুব সাবধান হাঁচি-কাশি থেকে। সুস্থ মানুষও এই ঝাঁঝে কাশি দেবেনই। এবার এক চা’ চামচ কালোজিরা ছেড়ে দিয়ে সাথে সাথেই লবণ ছিটিয়ে দিন। সুন্দর ঝাঁঝ বের হবে। এবার ওই ফ্রাইপ্যানে ডালটা ছেড়ে দিয়ে ফুঁটে উঠতে দিন। ফুঁটে উঠলে লেবুপাতা এবং ফালি করে কেটে রাখা কাঁচামরিচ দিয়ে মিনিট পাঁচের মতো রেখে নামিয়ে নিন। ওহ ভালো কথা লবণ দেখে নেবেন।
**এই ডালের সাথে ঘিঁ দিয়ে আলু ভাঁজা, পুর দিয়ে ফুলকপি ভাঁজা, মাছ ভাঁজা দারুণ খেতে। আমি আমার প্রিয়টা জানালাম। অবশ্যই হাল্কা গরম ভাত। আহ!
আজকের মতো এই কয়টি রেসিপি রইলো। সামনে আরোও আসবে ছবিসহ। যাঁরা মঙ্গলগ্রহ যেতে চান, তাঁদের জন্য দুঃখ ফ্রোজেন+রেডিমেড ক্যান নিয়ে যেতে হবে। বাঙ্গালী রান্না অনেক দামী, কারণ ভর্তা বাসী খাওয়া যায়না। ভাঁজা গরম গরম ভেঁজে খেতে হয়। সবাই জানে পৃথিবীর সবচেয়ে ঝামেলাদায়ক কিন্তু সুস্বাদু খাবার আমাদের কাছেই। যেমন ভিন্নতা আছে, একই মশলা দিয়ে রান্না অথচ স্বাদ আলাদা। একটা কথা না বলে পারছিনা। এই যে খাবার পোষ্ট লিখছি অনেক কঠিন। তার চেয়ে অন্যকিছু লেখা খুব সহজ। অফিস থেকে এসে লেখা নিয়ে বসেছি বিকাল তিনটার সময়। এখন প্রায় সাড়ে ছয়টা। তাও এই লেখা লিখছি আজ থেকে নয়। গত তিনদিন থেকে চলছে। আজ পোষ্টটা দিতেই হবে এই প্রতিজ্ঞা করে বসেছি। ওহ আর নীচের ওই কয়টি লাইন যার সাথে রেসিপির কোনো মিল নেই। দিলাম তাঁদের জন্য, যাঁরা রান্না খেয়ে পছন্দ করেছেন। 😀 “আজ তবে এইটুকু থাক, বাকী কথা পরে হবে।”
তোমাকে দেবো রূপালী রাত্রি অজস্র তারায় ভরা আকাশ
এমন করে সকল প্রেমিকাই তার প্রেমিককে দেয়।
তুমি ভাবতে পারো এ আর এমন কি! কিছুটা আফসোসও হতে পারে,
এ কার সাথে প্রেম করছি? অসাধারণ নয়তো মোটেও!
তোমার এই ভাবনার বদলে আমিও একই কথা বলবো;
আমি মোটেও অসাধারণ নই, তেমনি নও তুমিও।
এই যে তোমাকে ভালোবেসেছি, সেটাই ঢের!
যদিও এই ভালোবাসা থেকে যে-কোনো সময় তোমাকে আমি মুক্তি দিয়ে স্বস্তি কুড়োতে পারি,
আবার তুমিও মুক্ত হতে চাইলে পথ খোলা।
সাধারণ আমি। তবে খোলামকুচি নই, শুধু এটুকুই জেনে রেখো।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১৭ আগষ্ট, ২০১৬ ইং।
৪৮টি মন্তব্য
ইলিয়াস মাসুদ
প্রত্যেকটাই খুব সহজ এবং আমার খুব প্রিয়
এবারো সেভ করে নিলাম, এই সামার এ আর চান্স নাই তবে নেক্সট সামার যাচ্ছি কিন্তু
খুব খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে দিদি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই আসুন। হুম রান্নাগুলো খুবই সহজ।
আপনি নিজেই চেষ্টা করুন, দেখবেন মন্দ লাগবে না।
ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
শেষে এসে হুশিয়ারি দিয়ে দিলেন!!
কে বলে নও তুমি অসাধারণ
সাধারণ বলেই ভালোবাসি অসাধারণ
অধরা মুক্তি মেলেনা এত্ত সহজ কথায়,
কী করি!! কোনটা রেখে কোনটা খাই!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বাব্বাহ! সাধে কি আর কবিরাজ বলি? ছন্দ দিয়ে কবিতা।
আপনার মাংস রান্নার রেসিপি দিলাম। নিন ভালো করে খেতে থাকুন। 😀
শুন্য শুন্যালয়
তুমি চিংড়ি মাছ খাওনা? :O আর আমার সবটাতে চিংড়ি দেয়া লাগে, কুচো চিংড়ি কাটতে কাটতে বুড়ো হয়ে গেলাম নীলাপু 🙁
লেবুপাতা দিয়ে মশুরডাল এক বাসায় খাওয়ার পর থেকে রেসিপি খুঁজতেছি, আজ পেয়ে গেলাম, ও অবশ্য মশুরডাল চচ্চরি করেছিল।
চাইলেই মুক্তি দিয়ে দেব? নাগো, অতোটা অকৃপণ ভাবে ভালোবাসতে পারিনা। যারা পারে, তারা সাধারন নয় মোটেই, তারা সত্যিই অসাধারন।
এত রান্নাবান্না করার ধৈর্য্য আর গুন যার আছে, তার কিসে পরাজয়? সত্যিই ঈর্ষিত। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
চিংড়ি আমার খুব প্রিয় মাছ ছিলো। কিন্তু প্রিয় কিছুকেই বিসর্জন দিয়েছি। কারণ বলবো না।
তবে মজা হলো চিংড়ি মাছের মালাইকারী দেখলেও লোভ লাগেনা।
কৃপণতার সাথে ভালোবাসাটা কেমন শুনি? ;?
যাক শোনো স্পাইসি বাটার চিকেন দিয়ে পুটিন খাচ্ছি। :p
কি স্বাদ, আহ!!
রান্নাবান্নায় আমি মারাত্মক আলসে। তবে অতিথি আপ্যায়ণে তৎপর। 😀
চলে এসো, মন থেকে বলছি এখানে এলে কোনো ক্ষতি হবেনা। -{@
ব্লগার সজীব
উফ! সোনেলায় দেখি খাদ্য মেলা চলছে ^:^ ব্যাপার কি? নানার পোষ্টে টেবিলে সাজানো খাবার, নাতনির পোষ্টে খাবারের রেসিপি। দুজনে মিলে আমাদের সবাইকে মটু বানাতে চান নাকি? মজাদার রেসিপি (y) (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া আমার রান্নায় তেল-মশলা কম কিন্তু। এ কথা সবাই জানে। মোটু হবার কোনো চান্স নেই।
আর আমার নানার টেবিলেও ফ্যাটি খাবার নেই সেভাবে। কোরিয়ানরা ফ্যাটি খাবার খায় কম। বুঝেছেন?
আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। 😀
ব্লগার সজীব
ছবি গুলো একটু বড় করা যায় না নীলাদি? এডিট অপশনে গিয়ে ছবিতে ক্লিক করে যে কোন প্রান্তে সিলেক্ট করে টেনে ছবি বড় করা যায়।
ইয়া এ বিষয়ে এক্সপার্ট সজুর পরামর্শ :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া এখুনি ছবি বড়ো করে দিচ্ছি। ওক্কে???
ছবি দেখে রান্না করুন, কেমন?
আর এখানে এলে আমি রেঁধে খাওয়াবো। বুঝেছেন? 😀
ব্লগার সজীব
আপনার ওখানে যাবো কিভাবে আমি? 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া প্লেনে চড়ে।
আমি জানেন সবসময় বিশ্বাস করি, মন থেকে যা চাওয়া যায় তা পাওয়া যায়-ই যায়।
মিষ্টি জিন
লেবু পাতা দিয়ে ডাল কখন ও খাইনি। সবগুলোই ট্রাই করবো।
মংগগ্রহে যেতে চাই কিন্তু ক্যানফুড তো একদম পছন্দ করি না। কি হবে তাহলে? ;?
কবিতাটা ভীষন ভাললেগেছে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার ইচ্ছেটাকে ফেলে দিন। ওসব ক্যানফুড আমাদের জন্য নয়। বুঝেছেন?
লেবুপাতা দিয়ে ডাল কি যে দারুণ স্বাদের, খেলে বুঝবেন। একবার রান্না করে দেখুন।
উহাকে কবিতা কহিলেন? উহা তো পাগলের প্রলাপ। 🙂
মিষ্টি জিন
তাইলে তেনার সাথে ঝগড়া করে কই যামু? ;? নতুন কিছুর সন্ধান দেন।
মেয়েকে দিয়ে লেবু পাতা আনিয়েছি আপনার লেবুপাতার ডাল খাব বলে. 🙂
পাগলের প্রলাপ ভালু লাগে. :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
তাইতো! ঝগড়া করে কোথায় যাবেন? ঝগড়া করে কোথাও যেতে হবেনা। বরং চুলা বর্জন করুন। একটা কথা আছে পুরুষের প্রেম পাকস্থলীতে।
যাক লেবুপাতার ডাল কেমন লাগলো আপু? ভালো লেগেছে?
ক্রিস্টাল শামীম
ভালো কিছু রান্না জানতে পারলাম । কবিতাটাও ভালো হয়েছে
নীলাঞ্জনা নীলা
জানতে পারলেই হবেনা। রান্না করে খাওয়াতেও হবে কিন্তু। 🙂
অপার্থিব
পোস্ট কপি করে রাখলাম, কখন কোন সময় কাজে লাগে বলা যায় না। পেপে আর মাগুর মাছের বন্ধুত্ব তো জনম জনম ধরে চলে আসছে, অন্তত ছবি দেখে তাই মনে হচ্ছে!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কপি করে রাখলেই চলবে না। রান্না করে সোনেলার সকলকে খাওয়াতেও হবে।
এতো কষ্ট করে রেসিপি লিখেছি, তা কি শুধু কপি করে রাখার জন্যে?
তা হবেনা। উহু সে হবেনা। :p
অপার্থিব
খাওয়ানোর প্রথম দায়িত্বটা আপনার। আপনার রেসিপিতে আমার রান্না যদি অখাদ্য টাইপের কিছু একটা হয় তবে প্রথম দোষটা কিন্ত আপনার ঘাড়েই এসেই পড়বে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এটা কি কথা! আপনি রাঁধবেন আর খারাপ হলে দোষ আমার? হায়রে কপাল। ;(
শুনুন তাহলে এখানে আসুন রেঁধে খাওয়াবো। 🙂
ইঞ্জা
আমার আর মাত মাতিয়া লাভ নাই, বউরেই দেহাইন লাইগব। 🙁
ফেবুর ইমো যদি দিতে পারতাম তবে দেখতেন জিভ এক হাত বের হয়ে রয়েছে। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাবীরে কিতার লাগি দেখাইবা? নিজে একদিন রান্ধিয়া ভাবীরেই সারপ্রাইজ দিলাইন।
ফেবুর ইমো নাই বালাই হইছে। আমরার সোনেলার ইমো আছে নানি? বালা করি দেখইনতে। :p
আইজকুঅই রান্ধিয়া খাওয়াইবা। হুক্রবার বন্ধ হজ্ঞলতা। 😀
ইঞ্জা
এই সেরেছে পুরাই সিলোটি। ^:^
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি খাঁটি সিলোটি। 😀
প্রহেলিকা
আহা কি রং দ্যাখো
মুশুরির ডালে
আর তবে দেরি কেন
ব্রিঙ দ্যা থালে।
জাতি আজ শিখে নিবে
আঙুল চাখানি
সাথে যখন আছে আরো
মুরগির মাখানী
আপনিতো দিয়েই সারা
পালং শাকের রেসিপি
পেট আর মানে না ভাই
লোভ আর কতো চাপি?
নীলাঞ্জনা নীলা
আহা! এ কি ছন্দ!!
লাগে আনন্দ।।
প্রহেলিকার এমন ছড়াকাব্যে রেসিপি যে নাচছে। আমি রাঁধুনীকে এভাবে কাব্য দিলে নেচে নেচে গান গেয়ে গেয়ে রান্না করবো কিন্তু।
ঠিক আছে তো? 🙂
আবু খায়ের আনিছ
সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণ: আনিছের জন্য এই পোষ্ট দেখা নিষিদ্ধ, লোভ বেড়ে যাচ্ছে খাওয়ার।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়ার জন্য স্পেশ্যাল এসব রান্না। নিষেধাজ্ঞা বারণ করা হইলো। 😀 :p
আবু খায়ের আনিছ
কবে যে খেতে পারবো, রেখে দিচ্ছি, শিখিয়ে দিও পরের জনকে যাতে ভাইকে রেধেঁ খাওয়াতে পারে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে আনিছ ভাইয়া শিখিয়ে দেবো। 🙂
মৌনতা রিতু
আনিছ ভাই এগিয়ে চলো, আমি আছি তোমার সাথে,
সোনেলায় শুধু রাঁধলেই হবে না,
খাইতে মুন চায়,,,,,,,
আবু খায়ের আনিছ
আমিই সেইটাই বলতে চাই, খালি রেসিপি দিলে হবে না, খাইতে মুন চায়। দুইজন হইলাম, আরো কয়েকজন হোক তারপর এক সাথে হামলা করা হবে এই সব খাবারের উপরে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে দেখছি শ্লোগান চলছে। মৌনতা আপু মন চায় যখন আরোও কিছু রেসিপি দেবো নে। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া আর কেউ আসেনি আপনাদের দলে? 😀
মৌনতা রিতু
এহনন কোনো রেসিপি পড়লাম না। কবিতা পড়লাম। যখন রান্না করব, পড়ে করুম, বুঝলেন, সিদ্দিকা কবির 😀
বুঝছি রান্নার খাতায় নোটে লেখা লাখবে,
পালং শাঁখের পিন্ডির রেসিপি। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সিদ্দিকা কবির হওয়া এ জীবনে হবে না গো আপু। 🙁
তা রান্না কি কি করলে? জানিও কিন্তু।
অনিকেত নন্দিনী
এখনো প্রথম রেসিপিই ট্রাই করতে পারলামনা, এরই মাঝে নতুন রেসিপি! 🙁
মাগুর আমার কখনোই পছন্দ না, জ্যান্ত এই জিনিসকে খুব ভয় পাই। 🙁
বাকিগুলি রেখে দিলাম। আগে ফ্রি হয়ে নেই, তারপরে সবার আগে পালংশাকের পিন্ডি চটকাবো থুড়ি পিন্ডি রান্না করবো। :p
নীলাঞ্জনা নীলা
এখানে জ্যান্ত মাগুর পাইনা গো দিদি। আর আমার আবার শিং-মাগুর মাছ ভালো লাগে। 🙂
ফ্রী হয়ে পিন্ডি চটকানোর পর জানাবেন কিন্তু।
জিসান শা ইকরাম
আলু-ফুলকপি-পনির দম- শীত আসুক করবো আমি নিজেই,
লেবু পাতা দিয়ে ডাল — আগামীকালই করা হবে,
পালং শাকের পিন্ডি – পালং শাক তো খেয়েছি, কিন্তু পিন্ডি করে খাইনি, খাওয়া হবে।
এই পোষ্টে পুর্বের পোষ্টের লিংক দিয়ে দিলে ভাল হয়।
রেসিপি চলুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা দেশে তো গরমকালেও ফুলকপি পাওয়া যায়। তা লেবুপাতা ডাল কেমন লাগলো, বললে না যে? পালং শাকের পিন্ডিতে চিংড়ি দিও। আরোও ভালো লাগবে। আমি চিংড়ি খাইনা, তাই দেইনি।
বুঝেছো নানা? আচ্ছা আগের লিঙ্ক দিয়ে দেবো এখানে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
লেবু পাতা ডাল ভালোই লেগেছে, আলাদা টেস্ট।
পিন্ডিতে দিতে বলবো চিংড়ি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
লেবুপাতার ডাল আমার খুব প্রিয় নানা। এখানে চায়েনিজ দোকান থেকে এক প্যাকেট লেবু পাতা কিনে এনে ফ্রীজারে রেখে দেই।
রুম্পা রুমানা
রেসিপিগুলা চেষ্টা করবো ভাবছি। আপনার রান্নার হাত অনেক ভালো । বুঝতে পারছি , আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে নাহ! আমি অতো ভালো রাঁধুনী নই। তবে আশা করি এসব রান্না আপনার হাতে গিয়ে আরোও সুস্বাদু হবে। 🙂
সঞ্জয় কুমার
বুক মার্ক করে রাখলাম । আমাদের মত ব্যাচেলর দের জন্য অল্প সময়ে রান্না করা যায় এমন লেখা দিয়েন । ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক আছে এরপরের রেসিপি পর্ব শুধুমাত্র ব্যাচেলারদের জন্য। ঠিক আছে?
তা আজকাল দেখিনা কেন ব্লগে? নিয়মিত হবার চেষ্টাটা চালু রাখুন।