জাপানিজ নিরা শাক ঃ-
বড়ো এবং লম্বা ঘাসের মতো দেখতে নিরা শাক। এই শাক চায়েনিজ দোকানে পাওয়া যায়। তবে এই শাক না পেলে পালং শাক দিয়েও এই ভর্তা তৈরী করা যায়।
উপকরণ ঃ নিরা/পালং শাক, কালোজিরা, শুকনো লঙ্কা, রসুন, ধনেপাতা, সয়াবিন তেল (ভাঁজার জন্য), সরিষার তেল (মাখানোর জন্য), লবণ, হলুদ(অল্প)।
শাকটা ধুয়ে পরিষ্কার করে অল্প সময় জল ঝরিয়ে নিতে হবে। ফ্রাইং প্যানে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম হলে প্রথমে শুকনো লঙ্কা, তারপর অল্প কালোজিরা দিতে হবে। কালোজিরা দিয়েই অল্প একটু লবণ ছিটা দিতে হবে। তাহলে কালোজিরার ঘ্রাণ বের হবে। তার মধ্যে দুই কোয়া রসুন ছেঁচে নিয়ে ওই তেলে দিয়ে অল্প ভাঁজা ভাঁজা করে নিতে হবে। এরপর নিরা/পালং শাক তার মধ্যে দিয়ে দেবেন। অল্প একটু হলুদ ছিঁটে, আন্দাজ পরিমাণ লবণ দেবেন। শাক সেদ্ধ হয়ে হাল্কা ভাঁজা ভাঁজা হয়ে গেলে ্নামানোর সময় ধনেপাতা দেবেন। এখন ব্লেন্ডার কিংবা পাটাপোতায় বেটে নিন, তারপর সরিষার তেল ছড়িয়ে দিন। হয়ে গেলো নিরা/পালং শাকের ভর্তা। 🙂
বাঁধাকপি ভর্তা ঃ-
উপকরণ ঃ বাঁধাকপি (কুচিকুচি করে কাটা), কালোজিরা, শুকনো মরিচ, জিরা গুঁড়া, লবণ, ঘিঁ।
প্যানে ঘিঁ দিন। গরম হলে শুকনো মরিচ আর কালোজিরা ফোঁড়ন দেবেন। তারপর কুচি কুচি করা বাঁধাকপি ঢেলে দিয়ে ভাঁজুন। ওহ অল্প একটু জিরা গুঁড়া আর অবশ্যই লবণ দেবেন। তারপর হাল্কা আঁচে ঢেকে দিন। বাঁধাকপি তার নিজের জলেই সেদ্ধ হয়ে গেলে মাখা মাখা অবস্থায় রাখুন। তারপর ব্লেন্ড অথবা শিলপাটায় পিষে নিন। হয়ে গেলো বাঁধাকপি ভর্তা। তখন আবার একটু ঘিঁ আর শুকনো মরিচ দিয়ে দিন। সুন্দর গন্ধ বের হবে।
বাটন মাশরুম ভর্তা ঃ-
উপকরণ ঃ ছোট্ট সাদা মাশরুম, পেঁয়াজ কুচি (বড়ো পাঁচটা পেঁয়াজ), আস্ত জিরা, জিরা গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, কারি পাউডার (মুরগী মাংসের পাউডার), লবণ, সয়াবিন তেল(ভাঁজার জন্য), সরিষা তেল (মাখানোর জন্য), শুকনো লঙ্কা, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা।
মাশরুম ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখলেই চলবে। চুলায় ফ্রাইং প্যানে তেল দিন। তেল ফুঁটে উঠলে তার মধ্যে আস্ত জিরা দিয়েই লবণ ছিঁটা দিন। তারপর শুকনো লঙ্কা ফোঁড়ন দিন। এবারে আস্তে আস্তে পেঁয়াজ ছাড়ুন। পেঁয়াজ হাল্কা বাদামী হলে ওর মধ্যে মাশরুম ঢেলে দিন। এবারে জিরা গুঁড়া, কারি পাউডার, লবণ পরিমাণমতো দিয়ে কষতে থাকুন। মাখামাখা হয়ে গেলে ওর মধ্যে ধনেপাতা দিয়ে দিন। তারপর ব্লেন্ড নয়তো পাটাপুতায় বেটে নিন। সবশেষে কুচিকুচি করে কাটা কাঁচামরিচ, ধনেপাতা এবং সরিষার তেল ঢেলে দিন।
মাছ ফিলে ভর্তা ঃ-
উপকরণ ঃ- যে কোনো কাঁটা ছাড়া মাছ, পেঁয়াজ কুচি (পাঁচটা বড়ো পেঁয়াজ কুচি), রসুন কুচি (চার কোয়া কুচিকুচি কাটা, আস্ত জিরা, আদা বাটা (৩ চা’ চামচ), জিরা গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, মাছের কারি পাউডার, লবণ, কাঁচামরিচ কুচি, সয়াবিন তেল (ভাঁজার জন্য), সরিষা তেল ( মাখানোর জন্য), ধনেপাতা।
তেল গরম হলে তার মধ্যে আস্ত জিরা দিয়ে লবণ ছিঁটে দিন। জিরার ঝাঁঝ বের হলে রান্নার ঘ্রাণ সুন্দর হয়। পেঁয়াজ কুচিও ছেড়ে দিন ওই তেলে। হাল্কা বাদামী হলে রসুন দিন, এবং সবশেষে আদা বাটা। সব ভাঁজা হয়ে গেলে তারই মধ্যে মাছ ছেড়ে দিন। হাল্কা ভেঁজে ওরই ভেতর জিরা-ধনিয়া-হলুদ-কারি পাউডার-লবণ ছেড়ে দিয়ে ভাঁজতে থাকুন। ভাঁজা হয়ে গেলে, হাল্কা আঁচে ঢেকে রাখুন। মাছের জল ছাড়বে, আবার ওই জলেই ভাঁজবেন। মাছ সেদ্ধ হয়ে গেলে কাঁচামরিচ কুচি, সরিষার তেল ও ধনেপাতা দিয়ে মেখে নিন। মাছ ভর্তা আমি সাধারণত হাতেই মাখি গ্লাভস পড়ে।
পাবদা-সরিষা রান্না ঃ-
উপকরণ ঃ পাবদা মাছ, পেঁয়াজ বাটা, কালো সরিষা বাটা (সরিষা বাটার সময় কাঁচামরিচও দিয়ে বাটতে হবে), হলুদ, লবণ, কাঁচামরিচ, সরিষার তেল।
পাবদা মাছ খুব ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে জল ঝরাতে হবে। জল যখন শুকিয়ে যাবে, পাবদা মাছে হলুদ-লবণ দিয়ে মেখে হাল্কা ভাঁজতে হবে। তারপর ওই তেলে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে। পেঁয়াজ বাদামী হয়ে এলে সরিষা বাটা দিতে হবে। তারপর এক এক করে হলুদ, লবণ দিয়ে মাখা মাখা হলে মাছগুলো এক এক করে আস্তে আস্তে শুইয়ে দিতে হবে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আন্দাজমতো জল দেবেন যাতে মাছ নামানোর সময় মাখামাখা থাকে। তারপর হাল্কা আঁচে ঢেকে দিন। মাছ সেদ্ধ হয়ে জল অনেকটাই টেনে এলে ওর মধ্যে কাঁচামরিচ এবং সরিষার তেল দিয়ে নামিয়ে দিন। হয়ে গেলো পাবদা সরিষা ভাঁপে। আমি অবশ্য ফ্রেশ মাছ হলে পেঁয়াজ ব্যবহার করিনা।
ঝিঙ্গে পোস্ত ঃ-
উপকরণ ঃ ঝিঙ্গে টুকরো টুকরো করে কাটা(লম্বা করেও কেঁটে নিতে পারেন), পোস্তদানা বাটা (Poppy seeds), হলুদ, লবণ, তেজপাতা, পাঁচফোঁড়ন, শুকনো লঙ্কা, কাঁচামরিচ।
তেল গরম হলে এক এক করে যথাক্রমে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, পাঁচফোঁড়ন দিন। ফোঁড়নের ঘ্রাণ বের হলে কাটা ঝিঙ্গেগুলো তেলে ছেড়ে দিন। পরে অল্প হলুদ এবং লবণও দিন। তারপর নাড়াচাড়া করে নিয়ে হাল্কা জ্বালে ঢেকে দিন। হাল্কা সেদ্ধ হলে পোস্তবাটা ঢেলে দিয়ে নাড়াতে থাকুন। আমি আরেকটা কাজ করি, অল্প দুধ ঢেলে দেই পোস্ত মেখে গেলে। সবশেষে কাঁচামরিচ দিয়ে নামিয়ে দেই।
**আজ এই কয়টি পদের রেসিপি দিলাম। রান্না করে খেয়ে দেখুন কেমন হলো! আপনাদের সকলের স্বাদের উপরেই নির্ভর করবে আমার পরবর্তী রেসিপি। সত্যি নেয়ার সদ্বসাহস আছে, তাই আশা করবো সেই সত্যিটুকুই পাওয়ার। ওহ বাসার জন্য রেঁধেছিলাম, তাই ডেকোরেশন করিনি। আপনারা সুন্দর করে সাজাতে পারেন। রেসিপির নীচে কয়েকটি লাইন দিলাম। ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে কেউ যদি যেতে চান, তাহলে যোগাযোগ করুন নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। ২০২৩ সালে প্রথম চারজন যাচ্ছে, তবে ওয়ান ওয়ে এই যাত্রায় পৃথিবীকে আর দেখা যাবেনা। আগেভাগেই জানিয়ে রাখলাম।
ইচ্ছেগুলো সুস্বাদু ফলের মতো পেকে যায়
অথচ তাও অপূর্ণ স্বাদ নিয়ে বিস্বাদের ভেতর চলতে থাকে জীবন
এখনও তুমি খাদ্যের সন্ধানে নিঃশ্বাস!
জানোনা ভেঁজালের ভেতর আজকাল বিক্রী হয়
বেঁচে থাকার জন্যে যা কিছু প্রয়োজন।
খাঁটি দ্রব্যাদিও আছে।
এভাবে চেয়ে আছো কেন? বলছি তো দাঁড়াও!
তোষামোদকারীরা পাকাপোক্ত অবস্থান নিয়ে একেবারে সর্বোচ্চ স্থানে।
আর সবচেয়ে নিম্নস্থানে জলের অবস্থান।
এবারে বলো এ পৃথিবীতে এখনও থাকতে চাও?
তা নইলে এখনও সময় আছে মঙ্গলগ্রহে একটা খুপড়ি ঘর ভাড়া করার,
ওখানেই হবে শুরু এবং সমাপ্তি।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১১ আগষ্ট, ২০১৬ ইং।
৫৬টি মন্তব্য
ইকরাম মাহমুদ
আহা! পাবদা সরিষা। আপু, আমার আবার এক তরকারিতেই খাওয়া শেষ করার অভ্যাস। তাই এতগুলো রেসিপি থেকে একটাই……
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি আবার উল্টো। ভাত কম, তরকারী অনেক টাইপের। আপনার জন্য তাহলে রান্না যে করবে, তার কষ্ট হবে কম। 😀
অনিকেত নন্দিনী
সুনীলের ‘নীরা’কে জানি, নীরাশাকের কথা জানা ছিলোনা। সুনীল তাঁর জীবদ্দশায় কি জানতেন তাঁর নীরার নামে শাক আছে? খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
বড্ড বেকায়দা সময়ে রেসিপি পেলাম। একটাও ট্রাই করার সুযোগ নাই এখন। 🙁
তিন সপ্তাহ বাদে ঝামেলা ফুরাবার পর ট্রাই করবো ভাবছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
সুনীলের তো জানার কথা। কম দেশ ঘোরেননি। তাই মনে হয় অবশ্যই জেনে থাকবেন।
নন্দিনীদি যখন সময় হয়, তখনই নয় রান্না করবেন। আশা করি তখন ভালো লাগবে।
অনিকেত নন্দিনী
আপাতত রান্নাবান্না যত কম করা যায় আর কি। খিদা লাগলেই কালো-কফি খাই। নো ঝঞ্ঝাট! ওভেনে পানি গরম করে ইচ্ছেমত কফি ঢেলে দিলেই হলো। চিনি? না বাবা, চিনি খাইনা। ওই জিনিস ছেড়েছি তাও দশ বছর হয়ে গেছে। 😀
সুনীল এতো বড়ো ব্যাপারটা জেনেও চেপে গেলেন? কাজটা একদমই ঠিক হয়নি। নাম নিয়ে আক্ষেপ করে সামান্য কিছু হলেও লেখা উচিত ছিলো। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
নন্দিনীদি কালো কফি আমার পোষায় না। আগে কালো চা-ও খেতাম। এখন চা/কফি দুটোই বেশ আয়েশ করে খাই। তবে সেটা মাঝে-মধ্যে। আমিও চিনি খাইনা। 😀
মিষ্টি জিন
মাছের রেসিপি ছাডা সব গুলো আমি ট্রাই করবো। নীরা শাক কে মনে হয় আমি চিনতে পেরেছি। সিংগাপুরে দেখেছিলাম ।
বাটন মাশরুমের ভর্তা .. এই প্রথম শুনলাম । মাশরুম রান্নার পর স্পনজি হয়ে যায় ।ব্লেন্ড করলে কি আর মিহি হঁয় ?
তেনার সাথে ঝগড়া করে মংলগ্রহে যাওয়ার ভয় দেখাই মাঝে মাঝে।যাক এবার সত্যিকরে দেখিয়ে দেব 😀
সব মিলিয়ে অন্য রকম পোষ্ট।
ভাল লেগেছে
নীলাঞ্জনা নীলা
মাছ খাননা আপু?
যাক শুনুন মাশরুম কাটার আগে ধুয়ে নেবেন। আর বাটন মাশরুম হলো খুব ছোট এবং ধবধবে সাদা। ওগুলো স্পঞ্জি হয়না। ব্লেন্ড করলে একটু পিচ্ছিল হবে। তবে স্বাদ কিন্তু দারুণ।
মঙ্গলগ্রহে যাবার আগে আমাকেও জানাবেন কিন্তু। 😀
মিষ্টি জিন
না আপু আমি মাছ খাই না। 😀
বাঁধাকপির ভর্তা করছিলাম।অনেক মজা হয়েঁছে ।
ধন্যবাদ আপু.
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মাই গড আপনি মাছ খান না! 😮
বাঁধাকপির ভর্তা ভালো লেগেছে? তাহলেই আমি স্বার্থক। 🙂
আরোও কিছু নিরামিষ ভর্তা দেবো। ঠিক আছে আপু?
শুন্য শুন্যালয়
তুমি দেখি দুনিয়ার তাবৎ জিনিস ভর্তা করে ফেলো 🙂 জামাই এর কলিজা ভর্তা করোনাই? প্রেমিকের মুন্ডু? 😀
নিরা শাকের নাম আমিও এই প্রথম শুনলাম। শুকনা মরিচ, রসুন ভাজা, উম্মম্মম ইয়াম্মম্ম। মনে হচ্ছে টেস্টি হবে। বাড়ির কর্তা পছন্দ না করলে সোজা এই পোস্ট ধরিয়ে দেব, আমার কিন্তু কোন দোষ নাই।
সবগুলোই ট্রাই করবো, কাল থেকে শুরু করবো, তোমার পিন্ডি সামলিও কিন্তু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
জামাইয়ের কলিজার ভর্তা তো সেদিনই করেছি যেদিন বিয়ে হলো। শুন্য আপু তুমি করো নাই? :p
বাড়ীর কর্তা পছন্দ না করলে বুঝে নিও জিহ্বার স্বাদ খারাপ। 😀
আমার পিন্ডি চটকালে তোমায় ছাড়বো ভেবেছো? \|/
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো ভর্তা বেশি ভালো পারিনা, ভাজাভুজি পারি 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে ভাঁজার রেসিপি দাও শুন্য আপু। আমিও কিছু ভাঁজা-ভাঁজি শিখি। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কেন কলিজা, মুন্ডু ভর্তা করেও স্বাধ মেটেনি? আমারে না হয় একটু ভাজাভাজা করতে দাও। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা————– :D) :D) :D) :D) :D) :D)
যাও তুমি ভাজাভাজাই করো। :p 😀
গাজী বুরহান
প্রিয়তে রেখে দিলুম। কোন এক সময় কাজ দিবে!! 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
রান্না শিখে নিন। বৌ খুব খুশী হবে। 🙂
গাজী বুরহান
হে হে \|/
বহুত লজ্জা পেলুম। (পিচ্ছি তো)
নীলাঞ্জনা নীলা
লজ্জ্বা বেশী হলে মুখ ঢেকে নিন। 😀
অপার্থিব
অনেক জ্ঞান অর্জন করলাম। যদিও এই জ্ঞান নিজে প্রয়োগ করতে গেলে অখাদ্য তৈরী হবার সমুহ সম্ভাবনা আছে। ভবিষ্যতে রেসিপির সাথে কিভাবে ভাল রাধুনি হওয়া যায় সেটারো টিপস দিয়েন।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো রাঁধুনি হবার টিপস হলো ডাল-পাঁচমিশালী সব্জী রাঁধতে না পারা। :p 😀
একসময় আমি পোলাও-মাংস ছাড়া আর কিছুই রাঁধতে পারতাম না। এখন অনেক কিছুই পারি। 😀
নিজের কথা বেশী বলতে নেই 😀
প্রহেলিকা
রেসিপি দিয়েই খালাস!!!!!!!!!!!!
খেতে ইচ্ছে করছে যে এখন? এতো উপকরণ পাবো কি যে রান্না করতে রান্নাঘরে ঢুকে যাবো????
ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করুক।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঈশ্বর অবশ্যই রক্ষা করবেন। ঘ্রাণে যদি অর্ধভোজন হয়, ছবি দেখায় কোয়ার্টার ভোজন কি হতে পারেনা? 😀
চোখ বন্ধ করে রান্না শুরু করুন, কিছু না কিছু তো হবেই। :p
ইঞ্জা
আপু এই ধরণের ছবি দিয়ে আমাদের লোভ দেখানো কিন্তু ঠিক না, দাওয়াত দেন তাড়াতাড়ি নইলে অবস্থান ধর্মঘট করবো। :p
নিচের ক লাইন মুগ্ধ করেছে। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নেমন্তন্ন করে খাওয়াতে খুব ভালোবাসি। চলে এলে অবশ্যই যা যা পছন্দের রেঁধে খাওয়াবো।
ধর্মঘট কিংবা অনশন করার দরকার নেই। ঠিক আছে? 🙂
ইঞ্জা
তা কোথায় আসতে হপে, সিলেটে নাকি নেদারল্যান্ড? :p \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
নেদারল্যান্ডস না, কানাডা। 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
কি দেখলাম আপু এইটা?? এখন তো এই মাঝরাতেও ক্ষুধা লেগে গেল!! ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
দুঃখিত, দেরীতে প্রতিমন্তব্য দেবার জন্য।
আজকাল একেবারেই যে দেখা যাচ্ছেনা ব্লগে? আসুন, লিখুন। আমরাও পড়ি।
ইলিয়াস মাসুদ
দিদি আমার মায়ের চাইনিজ সুপ খুব প্রিয়, আমি প্রায় প্রতিদিন তাঁর জন্য নিয়ে আসি,পথের মাঝে গাড়ি থামিয়ে সুপ থেকে নীরা গুলো বেছে ফেলি, মা সুপের ভেতরে নীরা দেখলে ভয় পায়,স্যুপ্টাই আর খায় না হাহাহাহহা
মাশ্রুমের ভর্তা নিয়ে আমিও জীন আপুর মত চিন্তিত পরে পিচলাইয়া না যায়…।।
কপি করে নিলাম,কিছু আমি ট্রাই করবো আর কিছু তাকে দিব, খেয়ে জানাবো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার হাতের মাশরুমের ভর্তা যারা মাশরুম খায়না, তাদেরও পছন্দের। তাই নিশ্চিন্তে তৈরী করতে পারেন। আচ্ছা চায়েনিজ স্যুপে নিরা থাকে নাকি? জাপানে দেখিনি, এখানেও না। চায়েনিজ/থাই স্যুপ আমার খুব পছন্দের।
নিজের ঢোল নিজেই পেটাচ্ছি, স্যুপও ভালো রাঁধতে পারি কিন্তু। 😀
চলে আসুন রেঁধে খাওয়াবো যা পছন্দ করেন।
ইলিয়াস মাসুদ
নিশচয় এক দিন খেতে যাব,
এখানে ভ্যাজি স্যুপ গুলোতে অনেক নিরা দেয়, আমার ভালই লাগে তবে মা পছন্দ করে না শুধু দেখতে নাকি কিসের মত তাই 😀
আমি খুব খাওয়াদাওয়া প্রিয় মানুষ নই, তবে আপনার রেসেপি আমার তেমন ভাল লেগেছে যেমন ভাল লাগলে ………………।। আর বলবো না
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ তাই নাকি! এখানে চায়েনিজ রেষ্টুরেন্টে নিরা দেয়না কিন্তু। এমনকি জাপানেও যে ছিলাম নিরা দিতে দেখিনি।
নিরা তো শাক, একেবারে বড়ো ঘাসের মতো মাসুদ ভাই।
আমিও কিন্তু খাই খাই টাইপের নই। চোখে খাওয়া বেশী, মুখে আবার কম। 🙂
আসুন অবশ্যই খাওয়া পাবেন আপনার পছন্দসই।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সব গুলো খাবারই সুসাদু জিভে জল এসে যায় 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই কানাডা ঘুরে যান, রেঁধে খাওয়াবো।
মেহেরী তাজ
বাঁধাকপি ভাজি আমার অনেক পছন্দ।
এবার ভর্তা তাও ট্রাই করে দেখতে পারি।
ধন্যবাদ আপু….. 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বাঁধাকপি ভাঁজি আমি অন্যভাবে রাঁধি। আপনি কিভাবে খান পিচ্চি আপু?
মৌনতা রিতু
নীলা আপু আগে রাতের খাার খেয়ে আসি। আজ আমি কবুতর, ছোট মাছ দিয়ে বেগুন আলু চচড়ি করেছি।
এই বাধাকপির ভর্তা ! খাইনি তো কখনো। নীরা শাখ ও তো খাইনি।
ঝিঙ্গে পোস্ত খাব তো কাল, দেখি কেমন লাগে। দুপুরের জন্য করব। তোমার রেসিপি দেখে দেখেই করব।
আর শোন, এতোসব রানা বান্না দিলে কিন্তু ভাল হবে না। ;( মোর বুঝি খাইতে মোন চায় না!
রাগ অইছি কিন্তু। যখন আমি ব্যাস্ত থাকি তখনই দেখছি তুমি খাবার নিয়ে হাজির হও। ;( সবার শেষে আমি খাইতে আসি।
কথা কমু না। মুই কি মেহমান! মুই না ঘরের মানুষ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওরে সোনা রে, ওরে মনা রে কান্দে না। তোমারে রাইন্ধ্যা খাওয়ামু। তুমি আজ যা রান্না করেছো, তার কোনোটাই খাইনা। কবুতর, বেগুণ খাইনা গো আপু। আমার বেশী পছন্দের হলো মাছ। তাও কাজরী, কৈ, ইলিশ, কোরাল, শোল, পাবদা, সঁরপুঁটি এসব টাইপ। মলা-ঢেলা-পুঁটি-টেংড়া খাই তবে পছন্দের নয়।
আমারে খাওয়াবা?
জিসান শা ইকরাম
ভর্তা আমার খুবই প্রিয়,
এখানে যে রেসিপি দিলে, এর একটিও খাওয়া হয়নি।
তোমার নানিকে বলতে হবে, বা আমি নিজে বানিয়ে সবাইকে চমকে দিতে পারি।
রেসিপির সাথেও এমন কবিতা! রেসিপির সাথে কবিতা ফ্রি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমি সবসময় কিছু রান্না করি যা আনকমন। চেষ্টায় থাকি সুস্বাদু হবে, কিন্তু রেসিপি অপরিচিত হবে। আশা করি তুমি নিজে তৈরী করলেও বিস্বাদ হবেনা।
রেসিপির সাথে মঙ্গলগ্রহ যাবার পথও দিয়েছি, দেখছো না? 😀
জিসান শা ইকরাম
নিজেই তৈরী করবো ভাবছি,
হ্যাঁ মঙ্গল গ্রহের পথ তো দেখলামই।
নীলাঞ্জনা নীলা
যাক নানীর একটু শান্তি হবে। নানা রান্না করবে। তবে শোনো রান্না করে অবশ্যই রান্নাঘর পরিষ্কার করে এসো কিন্তু।
যেতে চাও নাকি মঙ্গলগ্রহে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভর্তা দেখে সবই খেতে ইচ্ছে করে, কয়েকটি ট্রাই করার ইচ্ছে আছে,
তবে কথা হলো ভর্তা দেখিয়েতো সব হচ্ছে না, মাংশ রান্না দেখতে চাই, খেতেও।
আপনি রাঁধেনও!! বিশ্বাস করতে চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
রেসিপি – এক দেখেননি?
রেসিপি – দুই আসবে। সেখানে নীলা স্পেশাল মাংস থাকবে। তবে নীলার তৈরী মুরগীর মাংস।
কেন সবগুলো ভর্তা ট্রাই করবেন না? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মুরগী বা মোরগের মাংশ যাই দিন না কেন স্পেশাল্টুকু চাই ই,
ভাঙ্গাচুরা হলেও।
সবগুলো ট্রাই কড়া কঠিন এ বয়সে, তবে আপনার দেয়া রেসিপি
ট্রাই করাই উচিৎ।
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝতে পারছি না মজা করছেন, নাকি সিরিয়াসলি বলছেন! ;?
তবে ২০১৮ সালে নানা যখন আসবে, চলে আসুন, পছন্দসই রান্নার তালিকা দিয়ে রাখবেন, রেঁধে খাওয়াবো।
ঠিক আছে?
আবু খায়ের আনিছ
দিদি আমি এগুলো খাইনি কখনো। পরেরবার তোমার কাছে সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগে জানিয়ে রাখবো, আমার জন্য রেধেঁ রাখবে কিন্তু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া ঠিক আছে। আমি রান্না করে খাওয়াতে খুব ভালোবাসি।
তাই কখনো এলে এখানে থাকা-খাওয়ায় সমস্যা হবেনা। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
ঈশ্বর আমার এমন দিদিকে দীর্ঘায়ু দান করো, যদি কখনো সুযোগ হয় এমন দিনের।
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া প্লিজ অভিশাপ দেবেন না আমায়।
দীর্ঘায়ূ না, বলুন সুস্থভাবে বাঁচি।
অরুনি মায়া
লেখাটি পড়ে মনে পড়ে গেল, তুমি রান্না করতে করতে কতবার আমার সাথে ফোনে কথা বলেছ। তোমার রান্নার শব্দ আমি শুনেছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহাহাহাহাহাহা। ভুলে গিয়েছিলাম।
তা তোমার পোষ্টগুলো সব কোথায়? অদেখা মন্তব্য তো যাচ্ছেই না।
এর সমাধান করে দাও অরুনি আপু। তোমার পোষ্টটা নিয়ে আসো।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আপু দশ বার পড়লেও এসব বানাইতে পারুম না।
আপনি বরং একদিন দাওয়াত দিয়া খাওয়াইয়েন।
আমি খুব যত্মসহকারে খাইবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা আরিফ একবার আসুন এখানে, রেঁধে খাওয়াবো কনফার্ম।
কেমন?