তুই জানিস? মাটির এক পুতুলের জন্য খুব কান্না করেছিলাম একবার। কাঁদতে কাঁদতে আমি মাটিতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কেউ কখন যেন জাগালো আমায়, আমাকে ডেকে নিয়ে দেখালো কাপড়ের পুটুলির মধ্যে একটা পুতুল। আনন্দে ছুঁতে গিয়েই দেখি পুতুলটা নড়ে উঠলো, আবার কেঁদে উঠলো। একি? না না, কান্না পুতুল আমি একদম পছন্দ করিনা, আমি চাই খিলখিল করে হেসে উঠবে পুতুল, যখন যেমন বলবো। তবুও ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাকে, কিছুদিন পর আমার সেই পুতুলটা আমাকে ছেড়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো, আমার ছোট্ট বোন, আমার প্রথম বন্ধু। নাহ্, বন্ধু বোধ হয় এমন নয়।
এক মা মুরগীর পেছন পেছন ছুটে বেড়ানো চারটে হাঁসের ছানা। ছোটটি খুব হ্যাংলা, তবে ছুটে বেড়ায় যেন পাখির পালক। আমার দেয়া নাম, কেউট্টা। সেও এক হন্তারকের পেটে সাবাড় হলো। না, সে আমার বন্ধু ছিলোনা।
বন্ধু ছিলোনা, বিছানায় লেপের ভেতর গুটি মেরে শোয়া বিল্লি বাবু, খাঁচায় পোষা টিয়া।
বন্ধু কেমন হয় চারণ? অইযে তোর আঙ্গুলে বেখেয়ালে বটির কোপের এক ক্ষত, অই ক্ষতের দাগের মত অক্ষত? হাত দুটো মেলে ধরে শালিকের মতো উড়তে গেলাম যেদিন, এক পা টেনে ধরলি, ওরে বোকা পারবিনা তো উড়তে। বন্ধু বুঝি, এমনই হয়? তোর মতো হিংসুটে?
চিঠি হাতে গুজে দিয়ে তোর এক ছুটে পালানো। টমেটোর মত লাল চোখে খুলে বাঙ্গির বীচির মতো হাসি, যাক বাবা, আমি নই, ওপাড়ার বেলী।
এক বৃষ্টি বেলায়, জল আর আমার উদ্দাম ভিজে যাওয়ায়, আবছা নজরে পড়ে তোর মলিন মুখ, যেন বলছে, ইশ জ্বর আসবেতো। তুই কি আমার মা, চারণ? অবোধ শিশুর কাছে তিক্ত জ্বরের সিরাপ?
আমি আমার কাছে নিরাপদ হতে চেয়ে, কিভাবে যেন কাঁদামাটির মতো গলে গলে পড়েছিলাম কতকাল বৃষ্টির তোড়ে।
বন্ধু চারণ, তুই কি নিরাপদ এক আস্তানা? থরথর কাঁপতে কাঁপতে এক কালো পুরুষের হাত ঝটকে সরে দিয়ে লেপ্টে থাকা তোর বুকে, ভুলে গিয়ে পুরুষ আর বন্ধুত্বের ফারাক। লতানো গাছ দেখেছিস খুব কাছ থেকে? আমি দেখি, খুব কাছ থেকে তাকিয়ে দেখি, আঁকশি গুলো দিয়ে কিভাবে জড়িয়ে ধরছে যেখানে যা পাচ্ছে, বাঁচবার জন্য হিসেব নিকেশের বালাই নেই। লতার গাছ হেলে পড়ে বাতাসে, মাথা ভেঙ্গে যায় কখনো কখনো, তবু আকঁশিগুলো অনড়, কোনভাবেই যেন ছাড়বেনা। প্রেমিক নয়, মনে পড়লো তোকে চারণ।
ভালোবাসি তোকে, চাইবার কিংবা পাবারও ঊর্ধ্বে থেকে।
———- তোর পূর্নতা
৫৬টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
বন্ধু কখনো ছেড়ে যায় না, ছেড়ে গেলে আর বন্ধু কিসের? চিঠিটিতে কি যেন আছে আপু, কেন জানি মন ভারি হয়ে আসলো আমার। বন্ধু মানে নির্ভরতা, বন্ধু মানে অবলম্বন। এমন বন্ধু কি আছে বাস্তবে?
শুন্য শুন্যালয়
বন্ধু কখনো ছেড়ে যায়না, ঠিক। লেখায় কিছু একটা আছে, কি জানি জানিনাতো। এমন বন্ধু বাস্তবে থাকুক বা না থাকুক, আমরা সবাই এমন একজন বন্ধুর আশা করি সবসময়। ম্যালা দুরূহ হলেও, নিশ্চয়ই আছে, চারণ আছে। 🙂
ব্লগার সজীব
আপনি কবি মানুষ, চারণ নামটিও কাব্যিক 🙂 চারণ কবি মুকুন্দ দাসের কথা মনে হলো :p চারণ এর ভিত, খুটি শক্ত পোক্ত আছে তো? শক্ত পোক্ত না থাকলে আঁকশি দিয়ে ধরে সুবিধা হবে না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
চারণ শব্দের একটি অর্থ, চিহ্ন, যেমন পদচারণ। আরেকটা স্তুতিগায়ক, যারা ছন্দের মিল রেখে লেখেন। চারণ শব্দের সাথে মুকুন্দ দাসের মিল মিলেমিশে আছে, মনে না পড়ে উপায় নেই।
ব্যাপারনা আঁকশি অনেক শক্ত, খুঁটিকেই পোক্ত করে ধরে রাখবে নড়বড়ে হলেও। 🙂
ব্লগার সজীব
” আঁকশি অনেক শক্ত, খুঁটিকেই পোক্ত করে ধরে রাখবে নড়বড়ে হলেও ” ওরে বাবা, এ কেমন আঁকশি? এমন একটা আঁকশির সন্ধানে নামতেই হয় আমার 🙂 খাস দিলে দোয়া কইর্যেন তো একটু আমার জন্য আপু -{@
মৌনতা রিতু
বন্ধু কখনোই ছেড়ে যায়না।বন্ধু সে তো আত্নার আত্নীয়।নির্ভরতা মানে বন্ধু।কেমন যেন আমার একটু মনে হল,আপনি আরও লিখতে চাচ্ছিলেন।খুলে ফেলুন সব আবেগ।বন্ধুকে লেখা অভিমানের চিঠি সুন্দর লেগেছে।
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক, আমার যেন আরো কিছু বলার ছিল। এমনি করেই অনেক কিছু না বলা থেকেই যায় আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খসড়া
আমি আর সেই নদীর কাছে যেতে পারিনা। সেখানে এখন তুমুল বৃষ্টি, আমি সেই বৃষ্টিও আর ছুঁতে পারি না।
শুন্য শুন্যালয়
গান? নাকি কবিতা? নাকি খসড়া আপুর লেখা? নিয়ে নিলাম ভীষন সুন্দর লাইন দুটা। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অবশেষে আপনিও চিঠিবাজ হয়ে গেলেন বা হয়ে উঠলেন!!
প্যালেট বা পেনসিল কেঊ আমাদের ধারেও দেয় না, অগত্যা আপনার আঁকা দেখেই চোখের মনশান্তি।
ভালোবাসতে হলে এমন বন্ধুকেই চাইতেই হয় এবং তা চাওয়া ও পাওয়াকে পায়ে ঠেলে।
পূর্নতা!! এবার পূর্ণতাই পেল,
টমেটো চোখে বাঙ্গি বীচির হাসি খটখট করুক মাঝেমাঝে,
লেখা একদম লেখার মতই ভাল হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
আমি কই চিঠি লিখলাম? এইটা তো পূর্নতা না কি যেন নাম, তার লেখা 🙂
ধারের দিন তো শেষ, পেনসিলের দিনও, এখন পার্সেলে করে কলম আসার দিন, তাও আবার একসাথে তিন তিনখান। তাও লোকে আঁকতে পারতেছেনা, কি দুস্ক!!
পুর্নতা পূর্ন হয়েছে বা হবে, যদি চারণ থাকে। এমন একজন বন্ধু সবারই কামনায় থাকে।
আপনি ভালো বললে মানতেই হবে, যেই কিপ্টুসের কিপ্টুস!! 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
বন্ধু ভালবাসি তরে…………………………
শুন্য শুন্যালয়
শিরোনাম কই, ইতি কই?
অনিকেত নন্দিনী
“বন্ধু বুঝি এমনই হয়?”
এমন কোনো বন্ধু পাইনি কখনোই। এমন বন্ধু পেতেও ভাগ্যি লাগে গো আপু যা আমার নাই। 🙁
চারণকে নিয়ে পূর্ণতার স্মৃতিচারণ কিছুটা অপূর্ণ রয়ে গেলো নাকি?
শুন্য শুন্যালয়
বন্ধু হয়তো এমনই হয় আপু, পাই বা না পাই, এমন একজন বন্ধু আমরা সবাই চাই। চারণ বাস্তবতা আর স্বপ্নের একটা প্রতিচ্ছবি, ধরে নেয়া, আশা করা। প্রথমাংশ স্মৃতিচারণ হলেও, চারণের অংশটুকু কল্পনা থেকে নেয়া। কল্পনার কথা যতই বলি, অপূর্নতা কিছু থাকবেই, তাইনা আপু? 🙂
তবে চারণ একজন আছে পূর্নতার। ভালো থাকবেন আপু।
অনিকেত নন্দিনী
চাই তো কত্তোকিছুই গো আপু, পাই আর কোথায়? 🙁
যদি এমন হতো যে বাস্তবতার সাথে স্বপ্নগুলি মিশিয়ে নিলে স্বপ্নগুলিও বাস্তব হয়ে যেতো!
ভালো থাকুক পূর্ণতা আর চারণ। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
https://www.youtube.com/watch?v=0ydsPI7ix4E
বন্ধু এমনি হয়…. (3
শুন্য শুন্যালয়
গানটা চীরসবুজ, খুব ভালো একটি গান, বন্ধুত্বের শ্রেষ্ঠ প্রতীক।
অনেক ধন্যবাদ মনির ভাই।
জিসান শা ইকরাম
পূর্ণতা আর চারণ অদ্ভুত সুন্দর দুটো নাম
চিঠির মাঝে এমন কিছু আছে যে কয়েকবার পড়লাম চিঠিটি।
ছোট বেলায় চলে না যাওয়া বন্ধু পাননি
বড় বেলায় এসে এমন বন্ধুকে পেলেন যিনি একই সাথে বন্ধু, মা এর মত আবার নির্ভরতা
‘ লতার গাছ হেলে পড়ে বাতাসে, মাথা ভেঙ্গে যায় কখনো কখনো, তবু আকঁশিগুলো অনড়, কোনভাবেই যেন ছাড়বেনা।’
চারণের মত এমন বন্ধু পেলে আকড়েই থাকতে হবে অনড় হয়ে।
জীবনের কঠিন বাকে এমন বন্ধু আসলেই দরকার খুব
যাকে বলা যায় সবকিছু।
শুন্য শুন্যালয়
নাম দুটো সুন্দর হতেই হবে 🙂
চিঠীর মাঝে কি আছে জানিনা, একজন বন্ধুর রূপ ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। চারণের মত একজন বন্ধু সবার কাম্য, যে বন্ধুর সময় বন্ধু, মা এর মত শাসনকারী, আদরের সময় প্রেমিক, কঠিনের সময় শক্ত হালধারনকারী। এমন একজন চারণের জন্য পূর্নতাকে সৌভাগ্যবতী মানতেই হয়।
ভালো থাকবেন খুব।
জিসান শা ইকরাম
পূর্ণতার চারণ এর মত বন্ধু আছে 🙂
পূর্ণতা আর চারণের বন্ধুত্ব টিকে থাক যুগের পর যুগ
আস্থা, বিশ্বাসে, ভালোবাসা, নির্ভরতায় -{@
জিসান শা ইকরাম
” বন্ধু কেমন হয় চারণ? অইযে তোর আঙ্গুলে বেখেয়ালে বটির কোপের এক ক্ষত, অই ক্ষতের দাগের মত অক্ষত?”
— আরে এটি তো আমার ছোট বেলার ঘটনা, আপনার সাথে মিলে গেলো কিভাবে? আমার বাম হাতের এক আংগুলে বয়ে বেড়াচ্ছি এমন এক স্মৃতি। আপনি আপনার নানির কাছে শোনেননি তো এমন কাহিনী? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হ্যাঁ হ্যাঁ, আপনি কি করে বুঝলেন? কিন্তু আমার নানী যে আপনার আঙ্গুলে কোপ দিছে এইটা আজকে জানলাম, আমি অবশ্য নানীরে কইছিলাম, ধুর তোমার হাতের টিপ এত খারাপ? আঙ্গুলে শুধু কোপ দিলা? কাইট্টা ফালাইতে পারো নাই? 😀 নানী আমারে কইলো, আল্লাহ্ তোরে সেই সুযোগ দিক।
কি তামশা দেখেন, পাইছি আপনারে এইবার!! 😀
জিসান শা ইকরাম
সম্পত্তির উত্তরাধিকার হয় জানতাম
এতো দেখে আংগুল কোপ এর উত্তরাধিকারী হয়েছেন আপনি
এরপর আবার ডাক্তার মানুষ, কখন কেটে ফেলবেন বুঝতেই পারবো না, চেয়ে দেখবো আঙ্গুল নেই হাতে।
ভাবছি আমার ছোট বেলার আঙ্গুল কাঁটা নিয়ে কিছু একটা লিখবো, কত লেখার যে প্রতিশ্রুতি আছে আমার 🙂
আবু খায়ের আনিছ
চিঠিবাজদের তালিকায় নাম দিলেন?
বন্ধু কেমন হয় জানিনা? শুধু জানি যখন জীবন বির্বণ হয়ে যায় তখন এক মুঠো স্বপ্ন ধরিয়ে দিয়ে যায় আমার বন্ধু।
শুন্য শুন্যালয়
চিঠি তো সবাই লিখি আমরা সবসময়ই, আপনিও লেখেন। সব চিঠি কাগজে না লিখলেও চলে 🙂
বন্ধু, বড্ড খচখচে শব্দ আমার কাছে, একটা দীর্ঘশ্বাসের শব্দ।
আবু খায়ের আনিছ
বন্ধুত্ব ত সুখ এবং দুঃখ দুটোই সাথেই জড়িয়ে আছে।
অরুনি মায়া
এমন বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার আপু। যেমন ঐ অক্ষত ক্ষত যা মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত শরীর ছেড়ে যাবেনা। সবাই এমন পায়না। চাওয়া পাওয়ার উর্ধেব মানুষ নয়। তবুও খুঁজে ফেরে জীবন ভর এমনই এক বন্ধু। অনেক সুন্দর লিখেছ আপু।
ঐ হাঁসের ছানার কাণ্ড পড়ে মনে পড়ে গেল, নানাবাড়িতে দেখেছিলাম এক মুরগির অনেক গুলো বাচ্চার মধ্যে একটি হাঁসের বাচ্চা ছিল। সবাই মায়ের পিছে ঘুরলেও সে ঠিকই পানি দেখে ছুটে যেত পুকুরে। আর মা মুরগি ভয়ে বাচ্চাকে বাঁচাতে পুকুরের কিনারে গিয়ে ডাকাডাকি করত। মুরগির বাচ্চা গুলো সারাদিন ছুটলেও হাঁসের বাচ্চাটি হাপিয়ে যেত। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মুরগী কে চারটা হাঁসের ডিম দিয়েছিল আমার মা ফোঁটাতে। মুরগীর পেছন পেছন হাঁসগুলো হেঁটে বেড়াতো, কি যে ভালো লাগতো!! একদিন দুপুরে পাশের পাটের গুদাম থেকে খাটাস এসে সবগুলোকে একসাথে খেয়ে ফেলেছিলো 🙁
মা মুরগী পুকুরের কিনারে গিয়ে ডাকাডাকি করতো, ইশ কি দারুন একটা দৃশ্য।
চাওয়া পাওয়ার উর্ধ্বে মানুষ নয়, বন্ধুরও চাই। একতরফা দেয়া যায়না। এমন বন্ধু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের। ভালো থেকো আপু বেশি বেশি। -{@
অরুনি মায়া
ভাল কেউ থাকেনা এখন চাইলেই, তবে ভাল থাকা শিখতে হয়। আমিও ভাল থাকা শিখছি ধীরে ধীরে। ভাবছি এটা নিয়ে লিখব একদিন।
শুন্য শুন্যালয়
নোট করে রেখেছ তো? নইলে আবার ভুলে যাবা ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে 🙂
ইলিয়াস মাসুদ
আমি মানুষ আর মানুষের মাঝে পার্থক্য বুঝি তার দৃষ্টি ভঙ্গির গভীরতা থেকে।লেখাটাতে দারুণ বুঝিয়েছেন।
শুধু প্রশংশা করার জন্য প্রশংশা করছি না,স্কেচ টা খুওব ভাল হয়েছে,ছোট্ট একটা স্কেচ কিন্তু প্রচুর কাজ আছে স্কেচটাতে,বিশেষ করে লিফ টা নিঁখুত হয়েছে,অনেক ধর্য্য আপনার লিফটা থেকে বুঝতে পেরেছি,শাখা দুইটার সাদা অংশ টা ইরেজ করার সময় এত ইষ্ট্রেট না করে ছেড়ে ছেড়ে করলে এটা যে আঁকা তা বোঝায় যেত না।কি পেন্সিল দিয়েছেন? এটা চারকোল না মনে হচ্ছে, আমি অভিভূত,প্রতি লেখাতে স্কেচ চাই ……. (y)
শুন্য শুন্যালয়
মাসুদ ভাইয়া, খুব খুশি হলাম স্কেচ নিয়ে বলেছেন বলে। শাখা দুইটা ইরেজ নয়, দু সাইড থেকে শেড দিয়েছি, আপনার পরামর্শ মতো করবো এবার 🙂 আমার তো চারকোল নেই, HB আর 2B-ই ভরসা। আস্তে আস্তে লক্ষ্য করলে, অনেক কিছু ভুল নজরে পড়ে, যেমন আমার পরে মনে হলো, শাখাতে শেড না দিয়ে শুধু আঁকশিতে দেয়া ঠিক হয়নি, এতে আঁকশিগুলোকে আলাদা কোন সুতা টাইপের মনে হচ্ছে, গাছের অংশ মনে হচ্ছেনা। যা তা-ই দেইনা কেন, সবসময় এমন পরামর্শ চাই ভাইয়া। কিছু লেখা ভেতর থেকে আসে, এটা হয়তো এমনই। অনেকদিন লিখছেন না, ফ্রাংকেস্টাইনের গল্পটাও অসমাপ্ত, কত কাজ যে বাঁকি থেকে যায়!!
ইলিয়াস মাসুদ
আমিও আকশি টাকে প্রথমে দড়ি মনে করেছিলাম. আপনার লেখা পড়ে পরে বুঝেছি,আকশি টা গোড়ালির উপরে উঠেগেছে, আরো লাইট শেড দিলে ভাল হতো, শাখা গুলোতে পুরোটা ভরে দিয়ে রাবার চিকন করে কেটে তা দিয়ে মাঝে মাঝে চাপ দিয়ে মুছে মুছে দিলে রিয়েল মনে হত, আমি আজ বিকেল থেকে ৩।৪ টা এঁকেছি,মন খারাপ থাকলে আঁকতে ইচ্ছে করে,ছবি গুলো দিয়েছি দেখতে পারেন 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো এগুলো তেমন বুঝিনা ভাইয়া, সামনে এক্সাম, এরপর আস্তে আস্তে শিখবো ঠিক করেছি, তবে আমার সবকিছুর শখই বেশিদিন লাস্টিং করেনা, এই শখও পালায় কিনা কে জানে।
ছবিগুলো দেখেছি আপনার। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে। বেশি বেশি স্কেচ দেখতে চাই।
মেহেরী তাজ
\|/ মেল্লা দিন পর শুন্য শুন্যালয় টাইপ লেখা! খুশি খুশি চরম খুশি!
প্রিয়তে নিলাম। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
একবারের বেশি ক্লিক করিস না আবার 🙂
তোরে খুশি করলাম, এইবার আমাদের খুশি কর। জানলা খুলিস না কতদিন!! বাইক নিয়ে কেউ আর দাঁড়ায় না?
মেহেরী তাজ
আপু আমার জানালা টা এই বছরই অন্য কারর হয়ে যাবে চিন্তা করতেই নিস্তেজ লাগে! বাইক নিয়ে দাঁড়ায় হয়তো কেউ। কিন্তু আমি জানালা খোলাই ছেড়ে দিয়েছি!
শুন্য শুন্যালয়
কিছু নিজের হয়ে থাকেনা রে!! যতক্ষন থাকে নিজের করেই রাখতে হবে, বেশি করে জানলা খোল। নইলে প্রজাপতির লেখা কই পাবো? 🙂
নাসির সারওয়ার
ধুর ছাই। সবাই আছে পত্র লেখালিখি নিয়া যা ডাক বাক্স পর্যন্তও যায়না।
লেখনীর মাঝে অস্থিরতার প্রকাশ! ভালো খবর এই যে, বন্ধু হারায় না, হারাতে শেখেনি।
শুন্য শুন্যালয়
চিঠি এখন আর কেউ ডাকবাক্সে দিতে চায়না, সব চিঠিই এখন খোলা চিঠি। ডাকবাক্সের ভরসায় পাঠাইছিলাম একখান, সেই দুক্ষের কতা আর মনে কইরে দিয়েন না দেখি!!
দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কবি মানুষ যখন দেখে, ফ্যাল ফ্যাল কইরাই দেখে, তাই স্বিকার কইরা নিলাম ভাউ, কিন্তু স্থির হইমু কবে? ভালোর পাশে খারাপ খবরও আছে, এমন বন্ধু পাওয়া বিরল। 🙂
ভালো থাকবেন বন্ধুদের ঘিরে। -{@
নাসির সারওয়ার
দুক্ষের কতা মনে করতে নাই!
দাঁত কি ৩২ টা আছে? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, তা হলে সবগুলো বিকশিত রাখুন সর্বথা। খারাপ সময় পার করার একটা টিপস দিলাম।
জীবন পথে বন্ধুর কোন বিকল্প নাই। অথচ কত মানুষই আছে যাদের তা নাই। আমরা অনেকেই বেশ ভাগ্যবান এদিক থেকে।
শুন্য শুন্যালয়
দাঁত ৩২ টাই আছে ভাইয়া, এই ৩২ দাঁত উঠতে যেই ৩২ বছরের কষ্ট পাইছি, তা এত্ত সহজেই বুজে যাইতে দিমুনা 🙂 সদা বিকশিত রেখে সব্বাইকে জ্বালিয়ে মারবো, ইনশআল্লাহ। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
চিডিখানায় যে আবেগ আর ল্যাপ্টাল্যাপ্টি/কাঁপাকাঁপি/’আকঁশা-আকঁশি/টানাটানি/ছোঁয়া-ছুঁয়ি/উদোম ভেজা-ভেজি(ছরি উদ্দাম)
তাতে উঁকি দিতেও সাহসে কুলোয় না।
হাওয়া মে উরতা যায় যায় অবস্থা। বিল্লি টিয়াও বাদ যায়নি।
আরও চিডি দেওয়া-দেওয়ি চলুক, আমরা চাইয়া চাইয়া দেহি,
অরুনি মায়া
সেকি এটা ১৮+ চিডি ছিল। আহা কেউ যদি আমারে এমন একখান চিডি লিখত তাইলে একটু ভেজা ভিজির সুখ নিতাম। কিন্তু কেউ লেখেনা। তাই চোখের জলে আঁচল ভিজাই ;(
শুন্য শুন্যালয়
মায়াপু, যারা বিছানায় আর সোফায় বই রে ঘুম পাড়াইয়া নিজেরা ফ্লোরে ঘুমায় তাগোর কথায় বিভ্রান্ত হইয়োনা, এইটা বন্ধুর পোস্ট, এইখানে কুন প্লাস পুলাস নাই।
কাইন্দোনা গো, আশা পুরন হইবেক, নিউমোনিয়া বাঁধায় ফেইলো না আবার।
শুন্য শুন্যালয়
দেখোনের দিন শেষ, এখন নেট ঘষ্টাঘষ্টি কইরা এমুন পত্রলেখকের সন্ধান আমাগোর নখের আগায়।
চোখের গভীরতা অনেক বেড়ে গেছে মনে হচ্ছে, কতো কিছু না লেখাও যে দেখলো। দেখাদেখি চালু থাকুক। বেশিদূর উড়ে গেলে কিন্তু সমস্যা, জারা সামহালকে। 🙂
অরুনি মায়া
:p 😀 :D)
ভোরের শিশির
আহা! (3 -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
ভাষা হারায় ফেলছোস? :p অনেকদিন পর আইলি, আছোস কেমুইন?
ভোরের শিশির
একেবারে সহজবোধ্য লেখা… আহা!!! শান্ত টলটলে পানির মতো (3
আমি সবসময় \|/ :D) 😀 :p থাকি শুন্যাপু 😀
শুন্য শুন্যালয়
সারাক্ষন নাচানাচি আর গড়াগড়ি? 🙂 ভালু তো। 😀
ভোরের শিশির
😀 এ ছাড়া গেবনে আছে কি আর :p
নীলাঞ্জনা নীলা
বন্ধু ভাগ্য আমার। এ জীবনে তাই কখনো একা হইনি। হবোও না।
আপু চারণের মতো বন্ধু অবশ্যই আছে। কিন্তু আমরা সবাই তাকে খুঁজিনা সেভাবে। আর তাই পাইনা।
আমার কাছে সে-ই হলো প্রকৃত বন্ধু যে কিনা না-বলা কথা বুঝে নিতে পারে। নিঃশ্বাস পড়তে পারে অনায়াসে।
এমন ভারী যন্ত্রণা কেন তোমার এই লেখাটির মধ্যে?
শুন্য শুন্যালয়
হুম, তোমার ভাগ্যে হিংসান্বিত আমি আপু।
না-বলা কথা বুঝে নিতে পারার মত বন্ধু কি সত্যিই আছে? কি জানি।
লেখার যন্ত্রণা খুঁজে পাবার মতো মন চাই আপু, হয়তো টাচ্ করেছে তোমাকে। ভালো থেকো আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু আছে তেমন বন্ধুও, যাকে কিছু বলার আগেই বুঝে যায়। যে আমার নিঃশ্বাসও বোঝে।
ও আমার বন্ধু ঊর্মী।
ভালো রেখো তোমার তোমাকে। -{@