নিদ্রালু চোখে ভোরকে ডাকলাম। সাড়া পেলাম না। আবারও ডাকলাম। সাড়া পেলাম ক্ষীণ।
গা ঝাড়া উঠে দিয়ে চোখ কচলে দেখি সে আমারই হাত ছোঁয়া দূরত্বে। স্বস্তির নিঃশ্বাসে ভোরকে জিজ্ঞেস করি –এই ভোর , সোনেলাকে চেনো ? গিয়েছ কি কখনও-সখনও সোনেলা দেশে ? দেখেছো কি দূরে বা কাছে থেকে ?
শুনেছি , যেতে হয় -মেঠো পথে পা ফেলে ফেলে রাঙা ধুলোর গন্ধ গায়ে মেখে বটের ছায়ায় জিরিয়ে জিরিয়ে সোনালী সবুজ ধান ক্ষেত পেরিয়ে কোন এক দিনরাত্রির সীমানা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ? যেতে হয় – ডাগর চোখের নাচুনে রোদের খেলা দেখতে দেখতে , আস্তে -সুস্থে সোঁদা নির্জনতার চন্দন বৈভবের লতাগুল্মে ঢাকা মায়াবী পথ পেরিয়ে ?
ওখানে কি বিল বা ঝিলের জলে শাপলা-শালুক দেখতে পাব ? যদি তুলতে চাই ,তাও কী পারব? পদ্ম পুকুর আছে ? দেখতে পাব নীল ট্রাউজারের ফোলানো ব্যাক পকেটের কেউ যাচ্ছে হেঁটে শিশির গা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ? আমি কি শঙ্খ বাজিয়ে বালুকাবেলায় ঝিনুক কুড়োতে পারব ? সরোবরের স্বচ্ছ পানিতে পা ডুবিয়ে দিগন্তে ডানা মেলা সাদা রাজহাঁসের উড়ে চলা দেখতে পাব ? নিঝুম হৃদয়ের নীল পদ্ম ? সেখানে কি শঙ্খচিল বা শালিকেরা থাকে ? শিশিরের বৃষ্টি ? কাঠ বেড়ালি ,পাখনাওয়ালা মাছ , নাম না জানা গানের পাখি বা হাতি শিশু ? নাছরিন,শকুন্তলা, প্রিয়ংবদা,অনুসূয়া ? সোনালী বিকেল, প্রশস্ত সকাল ও গনগনে মধ্য দুপুর ?
আছে কি ঝিলাম ,চেনাব ,রাভি, বিয়াস ও শতদ্রুর (পঞ্চ নদ) জলধারা ?
সুগন্ধি রাতে চাঁদ চুইয়ে পড়া জ্যোৎস্নায় হৃদয়ের তোলপাড় নিঃশ্বাস নিয়ে কাচ সমুদ্রে নুড়িদের গুণ গুণ সুর শুনতে পাব ?
জড়িবুটিওয়ালা ছদ্মবেশী কবিরাজের দল,যারা চোখ রাখে,দাঁত দেখে,দাঁত দেখায়,চোখ ও পাকায় ? ব্রহ্মদৈত্য,শাঁকচুন্নি,মামদো বা মেছোভূত আর কপালচোখ শিংওয়ালারা থাকে ? দিগ্গজ গুচ্ছের কবি, লেখক,নবীন নাপিত,বুড়ো ভাম বা কামাক্ষী মন্ত্রক ? নেই তো কোন মর্দেমমিন জাঁহাবাজ মুৎসুদ্দি,যে আমার কলম কেড়ে নিতে চাইবে ?
ভোর , তোমাকেই ছুঁয়ে বলছি -ওখানে কি ছায়া বীথির হরিয়াল বন আছে ? নিঃশঙ্ক দ্বিধাহীন রুদ্রাক্ষের সন্ন্যাসী , ক্রুশবিদ্ধ যীশু ?
বলনা ভোর —ওখানের বাতাসে নাকি সাবান লোবান আর কর্পূরের গন্ধ ভেসে বেড়ায় ?
আছে সবই ওখানে। আরও আছে অজানা অনেক। আমারও আছে স্বজন সেখানে।
তবে রূপকথার সোনেলা দেশে না যাওয়াই ভাল।
৫৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় আছে সব
আছে কিনার প্রশ্ন গুলো অসাধারন সুন্দর ।
এমনই কল্পনা বা স্বপ্ন দেখেন বুঝি সোনেলাকে নিয়ে ?
লিখুন নিয়মিত
এখানে কোন মর্দেমমিন জাঁহাবাজ মুৎসুদ্দি,নেই যে আপনার কলম কেড়ে নিতে চাইবে ।
বনলতা সেন
আমার স্বপ্ন ও বাস্তবতায় অনেকটা জুড়েই থাকে এই সোনেলা । এ স্বপ্ন বাস্তবতার জগৎ ।
আপনাদের এই অভয়ারণ্যে আছি বলেই জানি কিছুই কেড়ে নেয়া সম্ভব হবে না ।
আপনি পড়লে ভালোই লাগে ।
জিসান শা ইকরাম
স্বপ্ন বাস্তবায়নের জগৎকে সব সময়ই পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।
পড়ার সময়ের যে বড়ই অভাব আজকাল।
বনলতা সেন
আপনাদের সে প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা সব সময়ই দেখতে বলেই নির্ভয়ে লিখতে পারছি ।
হ্যাঁ ,সবাই পণ্ডিত । তাই অন্যের লেখা পড়ে সময় নষ্ট করতে রাজি নয় ।
মূল্যবান সময়ের অপচয় ঠিক না । কে চায় শয়তানের আত্মীয় হতে ।
ভালোই বলেছেন আপনিও ।
আকাশলীনা
সুন্দর!! 🙂
বনলতা সেন
এক শব্দের উত্তর আমি মেনে নেই না । লিখেই বলতে হবে ।
ধন্যবাদ ।
আকাশলীনা
অনেক সময় ভাল লাগা বুঝাতে একটা শব্দই কি যথেষ্ট নয়!! শব্দ একটা হোক কিংবা দশ টা মূল প্রতিপাদ্য তো আসলে কি বোঝাতে চায় মানুষ,তাই না?
যাহোক, এক শব্দে যেহেতু মানলেন না তাহলে তিন শব্দে বলি,
‘এক কথায় অসাধারন’।
🙂
বনলতা সেন
ধন্যবাদ , শুধু প্রশংসা পাওয়ার জন্য লিখি না ।
আকাশলীনা
হ্যাঁ লেখক মাত্রই আসলে নিজের আনন্দের জন্য লেখে।
তবে লেখাটা আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে।ভালো থাকবেন। 🙂
বনলতা সেন
আপনি ভালো থাকবেন অনেক ।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
শব্দ চয়ন দুর্দান্ত হয়েছে !! শুভেচ্ছা রইল দিদি ———– ।। -{@ -{@ -{@
বনলতা সেন
তাই বুঝি ! কিন্তু আমিতো জানি কিছু শব্দের ব্যবহারে সমস্যা আছে ।
ঠিক আছে । এবারে বলুন কী কী শব্দ দুর্দান্ত হয়েছে এবং কেন ?
পড়েছেন ?
জোহরা ইশমা
আমিও চলে এলাম বনলতা দিদি। আপনার স্বপ্নের সোনেলায় ।
বনলতা সেন
স্বপ্নের সাথীদের সব সময় অভিনন্দন । সামান্য কিছু হলেও আমাদের জন্য লিখে ফেলুন ।
সুখে থাকুন ।
পুষ্পবতী
সোনেলাকে নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন। -{@
বনলতা সেন
সোনেলা আমার ভাবনার সাথী ।
ভালো থাকবেন আপনি ।
শিশির কনা
আপনার এমন স্বপ্নের সোনেলায় আছি আমিও প্রথম থেকে। থাকতেও চাই আপনাদের সাথে।
বনলতা সেন
স্বপ্নের সোনেলায় প্রথম থেকে যারা আছেন আপনিও তাদের একজন । আমিও আপনাদের সাথে থাকতে চাই ।
ভাল থাকবেন এমন করেই ।
শুন্য শুন্যালয়
ভালো, মন্দ তো জানিনা রূপকথার এই সোনেলাতেই যেতে চাই, যেখানে ভোর আছে, ভোরের স্বজন আছে।
পুরো এক পৃথিবীর সুন্দর দিয়ে সাজিয়ে ফেললেন সোনেলা কে, কিছুই যে আর আমাদের জন্য অবশিষ্ট রইলো না।
কাঁচ সমুদ্রে নুড়িদের গুনগুন, শিশিরের বৃস্টি। কলম কেড়ে নিতে চাইলেও কিছু করার নেই, হিংসুটে সব, আমি নই কিন্তু 🙂
এ লেখা স্টিকি না হলে জোর আন্দোলন চালাতামই।
থাকতে পারছিনা আজ। এই লেখায় আসবো আবার, আসতেই হবে। -{@
মা মাটি দেশ
সহমত… নতুবা আগুন জ্বলবে ………………………………………………………………. (-3 হৃদয়ে
বনলতা সেন
জ্বলুক , দমকলের খুব অভাব আজকাল । মনে থাকলেই হয় ।
বনলতা সেন
আপনার ভোরের পিছু নিয়ে আমিও একটু যেতে চাই স্বপ্নের দেশে । স্বপ্ন স্বাদের সোনেলাকে সাজালে আর কম সাজিয়ে লাভ কী ? সাধ্যের সব টুকু দিয়েই সাজালাম । আপনি আছেন বলেই হুট হাট স্টিকি হয়ে যাচ্ছে তা কিন্তু বুঝতে পারি । আবার আসবেন সে অপেক্ষাতেই রই ।
শুন্য শুন্যালয়
আমার ভোরের পিছু নিয়েছেন দেখে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান ই মনে হয়। তবে অনেক ভালোবাসলে আঘাত সামলাবার শক্তিও প্রার্থনা করতে হবে কিন্তু। ক্রুশবিদ্ধ হবেনই না তার কোন নিশ্চয়তা নেই মনে হয়। পোস্ট স্টিকি করার ক্ষমতা কি আমার আছে দি? নিজেকে যোগ্যও ভাবিনা। যারা প্রথম থেকে সোনেলা কে এতো সুন্দরতায় এনেছেন তাদের কাওকে দেখেই খুশি হবো অনেক।
লেখাটি অনেকবার পড়েছি, পড়ছিই। গোলাপ ফুল দেখিয়ে তার কাঁটাকে স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেননি।
বনলতা সেন
আমাদেরও ভাগ্য ভাবতে ভাবতেই হয় আপনাকে পাশে পেয়েছি পাচ্ছি ।
অনেক না পাওয়ার মাঝেই এই পাওয়া কম কিসে ?
আপনি নাকি ম………… সবাই যে বলে বলে একটু । হলে ভালই হয় ।
গাই গুই করলে চট করে ধড়ে ঠাস করে মেরে দেয়া যাবে , মন্দ কী ? হিহি ।
আপনি পড়বেন না তো কে পড়বে শুনি ? কাঁটার কথা ভুলে থাকা যায় নাকি ?
শুন্য শুন্যালয়
পাশে আছিই, ধাক্কা দিয়েও সরাতে পারবেন না । 🙂
তবে হ্যাঁ আমাকে মডু বলা চলবে না। আগেই বলেছি নিজেকে অতোটা যোগ্য ভাবিনা আমি। বেশি চিল্লাপাল্লা করলে আপনাকেই বানানোর জন্য সুপারিশ করবো।
সোনেলা আপনার বয়ফ্রেন্ড এর নাম নাতো? যদিও নামটা মেয়েদের মনে হচ্ছে। :p
ভালো থাকুন দি।
বনলতা সেন
কে কাকে সরায় ? কার এমন সাধ্য ? আমিও পাশেই থাকি যেন একটুখানি ।
আচ্ছা আপনি কিছু না , অন্য কেউ ও যেন বলে না । অবশ্য শুনেছি এটি নাকি কেউ
স্বীকার করে না । সেই ভাল । গোপনই থাক । আমিও বলছি না আর কাউকে ।
বলছি তো নো চিল্লপাল্লা ।
ও এই কথা ? ফ্রেন্ডু হলে আজকাল এত কিছু বলতে হয় না । বিষয়টি এর থেকেও বেশি , একটু বেশি বেশিই । অপেক্ষা ১৬ এর ।
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর হলে বেশি বেশিই ভালো।
আমি যে কি লিখি? 🙁 নাও পারি লিখতে।
কেমন আছেন দি?
বনলতা সেন
লিখবেন না মানে ? আপনি বলেছেন ১৬ তারিখের কথা ।
এখন এ সব শুনতে পারব না । লেখা চাই । আপনার লেখা না পাওয়া পর্যন্ত ভালো
থাকি কী করে ।
ভোরেরা কেমন আছে ?
মা মাটি দেশ
লিখুনির শীলত ছায়া পেতে
পরিবারের ন্যায় নিশ্চত নিরাপত্তা পেতে
শাপলা শালুখ খেতে খেতে
লিখুন আপনার আমার সবার ইতিহাস। \|/ \|/
-{@ সোনেলার প্রেমে খুব করে হাবুডুবু খাচ্ছেন মনে হচ্ছে। (y)
এভবেই বেচে থাকুক আমাদের হৃদয়ে
সোনালী রোদে জল সিড়ির ধারে
প্রতিটি লেখকের হৃদয়ে। -{@ -{@
বনলতা সেন
হাবুডুবু খাচ্ছি তা দেখাই যাচ্ছে । প্রায় প্রথম ভালোবাসার মত । অন্য কোথায় চোখ ফেলিনি যে ।
ভাল থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
কী ভাবে কোথা থেকে শুরু করব ঠিক বুঝতে পারছি না । লেখাটি আমার ভালো লাগেনি । লাগবে কী করে ?
আপনি লেখার মধ্যে কর্পূর ছড়িয়ে ঠিক করেন নি । কিছুতেই ক্রুশবিদ্ধতা আমাদের মনে করানো ঠিক হয়নি ।
সোনেলাকে নিজের করে পেতে আমাদের যেতে দিতে চাচ্ছেন না । এটিও ঠিক হয়নি ।
ভাগ্যিস এ প্রেম কোন দু’পেয়ের দিকে ধাবিত হয়নি, হলে বেচারার কফিন বাস নিশ্চিত ।
সোনেলা বেঁচে যাবে বেঁচে রবে এর সামান্যতম অংশ পেলেও ।
পরে আবার আসব ।
বনলতা সেন
দ্বিমত করছি না আপনার কোন কথার সাথে । আসলে জীবনের চূড়ান্ত পরিণতির কথা আমরা এড়িয়ে
যেতে পারি না । তাই কোন না কোন ভাবে এসেই যায় । যেতে দিতে চাই না তা কিন্তু নয় । অন্যকিছু বলেছি ।
আমিও বলি এ যাত্রা দু’পেয়েরা বেঁচে গেল । সোনেলা মাথা উঁচু করেই যেন থাকে এ প্রত্যাশা করি ।
ছাইরাছ হেলাল
ভাবছি কী করে এই আবেগের অনুভুতি ধারণ করেন ! কিভাবে তা প্রকাশ করেন আমার কাছে তা এক বিস্ময় ।
পড়লে মনে হয় সত্যি আপনি ভোরের কাছে দাঁড়িয়ে সত্যি সত্যি এমন করে কথা বলছেন ।
“সুগন্ধি রাতে চাঁদ চুইয়ে পড়া জ্যোৎস্নায় হৃদয়ের তোলপাড় নিঃশ্বাস নিয়ে কাচ সমুদ্রে নুড়িদের গুণ গুণ সুর শুনতে পাব ?”
কী করে লেখেন ? আপনার কলম কেড়ে নেবে ? কেউ নিতে আসলে আপনার লেখা পড়ে মরে গিয়ে বেঁচে যাবে ।
বনলতা সেন
এ মন কোন হাতি-ঘোড়া নয় । আপনি চাইলে এর থেকেও অনেক ভালো লিখতে পারেন ।
লেখা পড়ে মরে যাবে ? কী না কী বলেন ।
ব্লগার সজীব
ভোরের সোনেলাকে নিয়ে আপনার আবেগ বুঝতে পেরেছি আমরা যারা প্রথম থেকে আছি সোনেলায় তাঁরা সবাই। জিসান ভাই ছাইরাছ ভাই তো আছেনই, এরপরে আপনি, আদিব আদনান, সাদমান সাকিব,খসড়া, লীলাবতী, মিশু, যাযাবর, একাত্তরের প্রজন্ম,শিশির কনা, কৃন্তনিকা সবাই প্রচুর খেটেছেন। একটি ব্লগ নির্মান করেছেন আপনারা, আমিও সাথে ছিলাম আপনাদের। সবার চেষ্টায় ব্লগটি আজ আসলেই অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। এরপরের ব্লগারগন ভুল বুঝবেন না দয়া করে।
ভোরের সোনেলা থাকুক ভোরের মতই স্নিগ্ধ, সুন্দর।
বনলতা সেন
অবশ্যই প্রথম থেকে আপনি ছিলেন এখনও আছেন তেমন ভাবেই । থাকব ও সবার সাথেই ।
সবার আন্তরিকতায় ক্ষুদ্র পরিসরে নিজেদের মত করেই চলছে ।
অবশ্যই সবাইকে নিয়েই আলো ছড়িয়ে সোনেলা নিজের পথে চলবে এ কামনা আমার ও ।
আরও ভালো থাকুন আপনি ।
প্রজন্ম ৭১
দেখলাম সজীব সাহেব আমার নামটি লিখেছে কিনা 😀
বনলতা সেন
আপনার নাম লিখবেনা কেন ? আপনি ও প্রথমের সাথী আমাদের ।
এ তো ভোলার নয় ।
লীলাবতী
সোনেলা আমাদের কাছে এমনই । এখানে অশুভ কিছুকে থাকতে দেয়া হয়নি, হবেও না। শেষ লাইনটি বুঝিনি কিন্তু 🙂
বনলতা সেন
অবশ্যই কখনও অভব্যদের জায়গা এখানে হয়নি হবেও না ।
শেষ লাইন লা বুঝলেও সমস্যা নেই ।
যদি ভিড় হয়ে যাই তাই সবাইকে যেতে দিতে চাই না স্বপ্ন রাজ্যে ।
ওদিকে কেমন চলছে ? বক্সের খবর পাই না অনেক দিন । আপডেট দিয়েন ।
প্রজন্ম ৭১
সোনেলাকে নিয়ে এমন আশাবাদ ভালো ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। শব্দ চয়নে মুগ্ধ ।
বনলতা সেন
আমি আশাবাদী মানুষ । এ জন্যই অন্যদের সাথে এতটা পথ মাড়িয়ে এসেছি ।
আপনাদের পাশেই আছি । থাকব ও ।
আপনিও ভালো থাকবেন অনেক ।
আদিব আদ্নান
এবার আর যায় কোথায় ! নাম উঠে এসেছে । এই সব লেখায় । কিন্তু কথা হলো আমি কপি হতে পারলাম না ।
কঠিন হয়েছে বলে চিল্লাচিল্লি করছি না একটুকুও । আপনার আন্তরিকতা কথা কাজে ও লেখায় দেখিয়ে দিয়েছেন ।
সোনেলাকে নিয়ে এমন ভাবরাজ্য কেউ কল্পনা বা স্বপ্নে দেখতে পারে আপনার লেখা না পড়লে তা বুঝতে বুঝতে
পারা হত না । সোনেলা বেঁচে থাকবে এমন ভালোবাসা নিয়ে সবার । বিস্ময়কর আপনার আন্তরিকতা ।
লিখে মতামত প্রকাশের ক্ষমতা নাই এই লেখা পড়ে ।
বনলতা সেন
আপনার নাম না নিয়ে উপায় কী ? প্রথম থেকেই আছেন আপনি । সবাইকে কবি হতে হবে কেন ?
আমি তো কপিও হতে পারলাম না । তাতে কী । আমরা তো আমরাই ।
নিসর্গের শপথ ,শপথ সূর্যোদয়ের , আরণ্যক সৌন্দর্যের শপথ নিয়ে বলছি নান্দনিকতায় ভরে উঠবে সোনেলা এ আমার একান্ত বিশ্বাস । দোরে দোরে ধরনা দেয়া হার হা-ভাতে লাল চক্ষু ভুত-প্রেতদের চাঁদি ভেঙ্গে কপালে কাজল টিপ পড়ে সোনেলা থাকুক বেঁচেবর্তে এ কামনা করেই ।
ভালো থাকুন বেশি করে ।
অজানা এক পথে চলা
আপনার এমন সোনার সোনেলায় আমিও আছি দেখে নিজকে ধন্য মনে করছি।
বনলতা সেন
আমাদের আরও ভালো লাগবে যদি আর একটু বেশি খোঁজ আমাদের রাখেন ।
আমাদের সবাইকে নিয়েই এই স্বপনের সোনেলা ।
ভালো থেকে চোখ রাখবেন ।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
অসাধারন সব শব্দ ব্যবহার করেছেন। আমিও আছি সামান্য একজন হয়ে আপনার কাছা কাছি ।
বনলতা সেন
অসাধারণ বলা কী ঠিক !
অবশ্যই আপনি আমাদের বেশ কাছাকাছি একজন ।
ভালো লাগলো বেশ । ছবক রানী ।
প্রহেলিকা
এবার আর সোনেলাকে না খুঁজে উপায় নেই, বাঁধা আসলেও সোনেলা ছাড়া যাবে না. এতো কিছুর সমাহার যখন সোনেলা তখন এখানেই না হয় শ্বাস ফেলব। শব্দের ভান্ডার দেখেতো পুরাই অবাক।
ঝেলাম শব্দটি কি ঝিলম হবে?
সোনেলা বেচে থাক সবার মাঝে সেই কামনা করি।
বনলতা সেন
ধন্যবাদ । বানানটি নিয়ে সংশয়ের মধ্যে ছিলাম । এবারে ঠিক করে নেব অবশ্যই ।
যে যার নিজ চোখ দিয়ে যেমন দেখে তেমনি এই সোনেলা ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
আপনার এমন সোনেলায় এসে আমিও গর্বিত আপু।
বনলতা সেন
আমরাও আপনাকে পাশে পেয়ে আনন্দিত । সাথেই থাকুন অবিরত ।
ভালো থাকবেন আপনিও ।
মিথুন
এতো এতো উপমা? এজন্যই তো বলেছিলাম কিছু ধার দিন আমাকে। সোনেলা আমার ভীষন প্রিয়।
আপনার লেখা অনেক সুন্দর। অনেক কিছু লুকিয়ে রাখেন লেখাতে।
বনলতা সেন
সোনেলা যার প্রিয় তাকে ধার নয় , একেবারেই দিয়ে দেব যা আপনি চান । এবার খুশিতো ?
লুকোতে আর পারলাম কোথায় ! প্রায় সবই তো লিখে দিয়েছি ।
আমাদের ছেড়ে থাকা ঠিক নয় ।