ঘুটেকুড়োনির মেয়ে। মা’র চেহারায় বনেদীয়ানা ছিল বলে সবাই ভেবেছিল মেয়েও অমন হবে! কথায় আছে
‘ছেড়া কাঁথায় শুয়ে চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতে নেই’,
আর তাই তো মায়ের কিচ্ছুটি না পেয়ে বাপেরটুকুই পেলো- গরীবিয়ানা! সবাই ভাবছেন
‘মেয়েটির কপাল নিশ্চয় খারাপ ভবিষ্যতে’? না! মোটেও তা না। বনেদী চেহারা মা’র গর্ভে যে সন্তান আর গরীবের গরীব বাপের যে গুণ পায় তার ভবিষ্যৎ সব সময় খারাপ হয় বা হবে কেউই বলতে পারে না যদি তাঁদের জীবনাচরণ আর পরিবেশ তাঁদের মতোই হয়।
হ্যাঁ, নাম তার ‘ছেলিনা’ একেবারে সাদাসিধে একহারা গড়নের ছেলিনা। বাবা মা মারা যাওয়ার পর সহায় বলতে পেয়েছিল তার পরিবেশ আর পরিবেশের অদ্ভুত সারল্যতা। ছেলিনাদের কাছে অর্থের মূল্য নেই। যে যা পারে তা করেই বিনিময় প্রথার মাধ্যমে নিত্য কাজ সারে, কাঁথা হতে মাথার তেল পর্যন্ত সবই এই বিনিময় প্রথার মধ্যেই। ‘অতি’ বলে কিছু নেই ওদের কাছে, যা আছে সবই সবার; এদিক আর ওদিক করেই।
যাই হোক,
এই হচ্ছে ছেলিনা ও তার সবাই। নিজে নিজেই বেড়ে ওঠে সে মায়ের মতো ঘুটের কাজ নিয়ে। সপ্তাহান্তে সবার সাথে সেও হাটে যায়, ঘুটের কাজের বিনিময়ে নিজের যা না হলে নয় তাই নিয়ে চলে আসে। অবশ্য ছেলিনা এতোই সাধারণ যে তার জন্য যে আলাদা কিছু লাগবে বা লাগতে পারে তাও কেউই ভাবেনি সেদিন পর্যন্ত যেদিন সে ‘অতি’ কিছুতে ছেলিনা মুহুর্ত সাজিয়েছিল।
আবারো ভাবছেন কাহিনী কি? না, কাহিনী নয়। বরং ছোট্ট একটি গল্প-
হাটে যেতে সবাইকেই নদী পার হতে হয়, যেদিন যার কিছু থাকে না সেদিনও সে নদীর বালি-মাটি কিংবা এক ডুবে যা হাতে আসে তাই নিয়েই চলে যায়। হাটটিও ছিল বেশ সাধারণ, অসাধারণত্ব বলতে অন্যপারের হাট মাত্র। একেবারে নদীর পাড় ঘেষেই বসতো সে হাট। হাটে যাওয়া আসা ছিল সবার কাছেই স্বাভাবিক আর হবেই না বা কেন? এমন কিছুই যে হতো না যাতে কেউ কিছু ভাবতো। তবে একদিন, একদিন কেউ কিছু একটা ভেবেছিল আর এ’জন্যেই ছেলিনার গল্প বলা। ঘুটে কুড়ে আর কতোই বা চলে দিন! সব দিনতো আর ঘুটে কুড়িয়ে পাওয়া যেতো না, তবু সবার সাথে ছেলিনার হাটে যাওয়া চাইই চাই।
সেদিনও তাই। ছেলিনা যায় হাটে আর নিয়ে আসে বাঁশের ঝুড়ি। দোকানিকে বলেছে এই ঝুড়ি ভর্তি করেই ঘুটে দিয়ে যাবে পরের বার। কিন্তু পরেও তা আর হয়ে ওঠে না ছেলিনার। বেশ ক’বার এভাবেই চলে। দোকানিও কিছু বলে না, শুধু খুবই সাধারণ ছেলিনার খুবই সাধারণ চোখের সততা আর সরলতায় আস্থা রাখে।
এদিকে ছেলিনা নিজেই মরমে মরে, ভাবে ‘দোকানি কি ভাবছে! দিন তো অনেক পার হলো কিন্তু ঝুড়ির বিনিময়ে কি দেবো! এই মৌসুমে তো কিছুই নেই আমার!’ তবু ছেলিনা ভেবে ঠিক করে সে বিনিময়ের মূল্য শোধ করবে আর দুই হাট পরেই তৃতীয় হাটে। তাই সে পরের হাটে গেলো সেই ঝুড়ি হাতে নিয়ে; খালি ঝুড়ি। হাটে গিয়ে সে ঝুড়ির বদলে নেয় পুরনো কাগজ। সেই ঝুড়ির দোকানিকে বলে যে এই পরের হাটবারে পরের হাটে সে আসবে তার কাছে।
-এবারো ভাবছেন পুরনো কাগজ! জ্বী, পুরনো কাগজ, কেউ কুড়িয়ে এনেছিলো কার না কা লাগে তাই আর ছেলিনা তাই নিয়ে যায়।-
পুরো সপ্তাহ জুড়ে ছেলিনা সেই কাগজ নিয়ে কাজে লেগে যায়। আশেপাশের সবাই তেমন কিছুই ভাবে না এ নিয়ে, কারণ আর কিছুই নয় বরং এটাই সবার সারল্যতা।
৫ দিনের মাথায় ছেলিনা কাগজ দিয়ে তার কাজ শেষ করলো। কাজ শেষ ছেলিনা ভাবলো ‘এ তো আরো পুরনো দেখাচ্ছে!’ যেই ভাবা সেই কাজ- নতুন করি তবে! (নদীর এই পাড়ের কেউ মনে হয় এই প্রথম ভাবলো!) সে গেলো সবচাইতে পুরনো অথচ শক্তপোক্ত ঘরের দুয়ারে যেখানে আজ আর কেউই থাকে না। সেই শক্ত ঘরের মাটি কে কবে চুন দিয়ে লেপেছিলো কেউই জানে না তবে চুনের দাগ বেশ আছে। এই ঘর নিয়ে আরো গল্প মুখে মুখে, এই ঘর নাকি আদিকালে কোন এক আদিবাসী মোড়লের। ছেলিনা সেই ঘরের মাটি খুবলে নিয়ে আসে সাথে করে। শুরু করে রোদের মধ্যে পাথরে সেই শক্ত মাটি ঘষা। মাটি ঘষে সে চুন আলাদা করবে! অনেক ঘাম আর সময়ের বদলে (প্রকৃতিও এখানে বিনিময়প্রথা চালু রেখেছে!) ছেলিনা পেলো কিছু চুন তাও কাদাটে। সেই চুন-মাটির দলা নিয়ে ছেলিনা তার বানানো ‘পুরনো কাগজ’র কাজে ধীরে ধীরে লাগাতে থাকে।
হাট পেরিয়ে হাটের বার চলে আসে আবার। দুই হাটের পরে তিনের হাটবার। ছেলিনা সেই তার কাজ নিয়ে যায় সবার সাথে অন্যপাড়ে হাটে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই পাড়ের মানুষ ভাবে ‘ছেলিনা এ কি করছে!’। ফুরফুরে মন নিয়ে ছেলিনা যায় হাটের সেই ঝুড়ি দোকানির কাছে আর যেতেই বলে ‘এই নাও ঝুড়ির বদলে কুঁড়ি, ফুলের কুঁড়ি’! দোকানি হা’করে চেয়ে থাকে ছেলিনার দিকে আর বলে ‘এ নিয়ে আমি কি করবো?’। ছেলিনা হেসে উত্তর দেয় ‘যত্ন করে বানিয়েছি কাগজের ফুলের এই কুঁড়ি, আমাদের সেই পুরনো ঘরের চুনমাটি দিয়ে নতুন করেছি। নিজের কাছে রেখে দাও তবে জলে ভিজিয়ো না’। দোকানি বলে ‘এই দুই হাট জুড়ে এই করলে শুধু ঝুড়ির জন্য!’। ছেলিনা মুচকি হেসে বলে ‘আর তো কিছু ছিলো না আমার, ঝুড়ির দামে কাগজ এনেছি, মনের দামে সাজিয়েছি। আর তো কিছুই নেই আমার!’ দোকানি আর কিছুই বলে না। ছেলিনার সরলতা আর মনের ভাব বুঝতে পেরেই দোকানির চোখে জল চলে আসে। ছেলিনা এই চোখের জল দেখে জানতে চাইলো ‘খারাপ লেগেছে! ভাল হয়নি বুঝি! চোখে জল কেন?’ দোকানি নিজের চোখের জল আড়াল করতে সেই ফুল ধরা হাত নিয়ে গেলো চোখের জল মুছে নিতে। ঠিক তখনই ছেলিনা চেঁচিয়ে ওঠে ‘ও দোকানি, ও কি করছো! চোখে লাগবে তো!’ কিন্তু ততোক্ষণে যা হবার হয়ে যায়, দোকানির চোখে লেগে যায় সেই চুন লাগানো কাগজের ফুলের পাঁপড়ি আর সাথে সাথেই চেঁচিয়ে ওঠে ‘আমি দেখতে পাচ্ছি না তোমাকে ছেলিনা!!!!!!!!’
তারপর?
তারপর শুধু দু’লাইন এই গল্পের-
ছেলিনা মনের যন্ত্রণায় এক ছুটে হারিয়ে যায় নদীর তীর ঘেঁষে, সেদিনের পর থেকে কেউই দেখেনি তাকে! আর দোকানি চোখে চুন লাগায় অন্ধ হয়েও মনের টানে ছেলিনা খুঁজে চেঁচিয়ে, বলে ‘ছেলিনা, একবার কথা বলো’ কিন্তু ছেলিনা এতোই সাধারণ ছিল যে দোকানি আলাদা করতে পারে না কাউকেই- কে ছেলিনা নয় আর কে ছেলিনা, ভাবে এই তো ছেলিনা!।
সেই থেকে সেখানে আর যাই হোক কোন কিছুর বিনিময়ে ফুল দেওয়া বা নেওয়া সবাই বন্ধ করে দেয় আর বলে-
‘বলেছিল সে মিষ্টি হেসে
আর যাই কর তুমি ভুল করোনা
কারো হাত থেকে তুমি ফুল নিও না
ফুল থেকে ভালবাসা হতেও পারে
ভালবাসা হলে নাকি কষ্ট বাড়ে’
পুনশ্চঃ অরুনি মায়ার একটি পোস্টে আমার মন্তব্যের জবাবে বলেছিলো-
“বলেছিল সে মিষ্টি হেসে
আর যাই কর তুমি ভুল করোনা
কারো হাত থেকে তুমি ফুল নিও না
ফুল থেকে ভালবাসা হতেও পারে
ভালবাসা হলে নাকি কষ্ট বাড়ে”
আপনার ঐ মন্তব্য জবাবে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন করে ভাবা। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ভাবানোর জন্য। ধন্যবাদ।
১৫০টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
ও মাই গড , একটা মাত্র মন্তব্য থেকে আস্ত একটা গল্প বানিয়ে ফেলেছেন 😮
চমৎকার কাহীনি | তবে একটা অভিযোগ আছে |
না মানে মায়া রে ঘুটে কুড়ানী বানিয়ে দিলেন 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
বলেছি তো ‘সবাই এমন, কেউ ঘুটে আর কেউ অন্য কিছু কুড়িয়ে, বানিয়ে’।
‘মায়া’কে দেখা বা জানা হয়নি তাই একেবারেই সাধারণ এবং কিছুই না করে গড়ে নিলাম মাত্র :p
ফুলে তবে এতো অনীহা কেন? এই জন্য? ;?
অরুনি মায়া
ফুল কুড়ানি ,কাগজ কুড়ানি,কাঠ কুড়ানি, শাক কুড়ানি যা হয় একটা বানাতেন তাই বলে ঘুটে কুড়ানি |
এই দু:খ কই রাখি ;(
ফুলে এলার্জি আছে :p
কেউ দিতে এলেই হাঁচি লাগে :p
তারচে ভাল গাছের ফুল গাছেই থাক 🙂
অরুনি মায়া
ও নীতেশ দা -{@ -{@ -{@ :p
নীতেশ বড়ুয়া
অবশেষে! ফুল এলো মায়ার হাতে 😀
:p -{@ :p -{@ :p -{@
অরুনি মায়া
না এসে উপায় আছে !!!
ঘুটে কুড়ানীর পর না জানি কি নাম চলে আসে | তারচে ভাল ফুলের আদান প্রদান হোক 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আরে ঘুটে কুড়োনিরা তো ভাল কাজই করে! ঘরে দেয়াল হতে শুরু করে পুকুরের সার পর্যন্ত এদের কাজের দাম আছে… 😀
হাঁচি এলে নাক চেপে ধরে রাখবেন তবুও ফুলে ‘না’ নয় 😀
ভাল গাছের ফুল গাছেই থাকে না। জন মানবের মনে দোলা দিতে হাত হতে খোঁপায় চলে আসে 😀 \|/
অরুনি মায়া
রূপকথার রাজকন্যা বানায় দিতেন দেখতেন ফুলের মালা আপনার গলায় পরাতাম! কিন্তু এ কি করে দিলেন আমার! আমি ঘুটে কুড়ানী হতে চাইনা ;( !
নীতেশ বড়ুয়া
আপনি রুপকথার কংকাবতী হতে পারেন কিন্তু আমার গল্পে আমি অসম জীবনাচরণের কোন বিনিময় প্রথা দেখাতে পারিনি বলে দুঃখিত 🙂
অরুনি মায়া
হুহ
নীতেশ বড়ুয়া
🙂 (y)
নাসির সারওয়ার
ইদানীং মায়া কথাটি ঝেকে বসেছে এ বাড়ীতে। নামের সাথে আরো কত কি। মায়ারা মায়াদের মত থাকুক, ঘুটে করাতে পাঠাবার দরকার কি দাদাভাই!!!
ভালো লেগেছে।
নীতেশ বড়ুয়া
মায়াহীন শুন্য হৃদয়
নেই ঠাঁই নেই শুন্যালয় :p
ধন্যবাদ নাসির ভাইয়া। আপনার কবিতার জন্য অপেক্ষা আর কতো করাবেন! ;?
অরুনি মায়া
আমি আজকেই মায়া নাম বদলে দিব |এই নাম রাখব বা রাখব না রাখব না!
কিছুতেই রাখব না ;( :@
আমি যাই একটা ছাগল কিনে আনি , নতুন করে আকিকা দিতে হবে,,,
আহারে আমার এত সুন্দর নাম ;(
নীতেশ বড়ুয়া
আমিই কোন কিছু না কিনেই নাম পাল্টে দিলাম। 🙂
তবে আমরা অনেক কিছুই ভাবি, ভাবাই কিন্তু নিজেকে সেই ভাবনার সাথে কোনদিনই দেখতে চাই না তা সে যতই মহৎ কিছু হোক বা নীচু কিছু হোক।
সবার শান্তি কামনা করলাম 🙂
অরুনি মায়া
এটা ঠিক হল না! আপনি ফান বুঝলেন না | কষ্ট পেলাম
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার এই মন্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা আপনার পরবর্তী মন্তব্যে লিখে দিয়েছি 😀
আবু খায়ের আনিছ
নীতেশ দা, কই আমি ত দেখি কবি তার কবিতায় নাকে নাক ফুল, চুলের খোপায় ফুল, নায়িকার হাতে ফুল দিয়ে রাখে।
এই জন্যই ত বলি, আমার বাগানের সব ফুল গেল কোথায়?? সব তাহলে নীতেশ দা আর মায়া এর দখলে চলে গেছে তাই না?
নীতেশ বড়ুয়া
বাগানের সব ফুল সবার বারান্দায় চলে গিয়েছে :p
আবু খায়ের আনিছ
:p :p :p
নীতেশ বড়ুয়া
😀
শুন্য শুন্যালয়
কি সুন্দর সারল্যময় গল্প দাদাভাই। একটা লাইনে বারবার চোখ গেলো। সেদিন পর্যন্ত যেদিন সে ‘অতি’ কিছুতে ছেলিনা মুহুর্ত সাজিয়েছিল। ফুল না দেবার পেছনে এতো সুইট একটা গল্প লিখে ফিললি? দুটা জায়গায় মায়া কেন বুঝতে পারিনি।
ছোটবেলায় গ্রামে গেলে মজা করে দাঁড়িয়ে দেখতাম ঘুটে কুড়ানিদের কাজ। কেমন একটা ছন্দের মতো দেয়ালে দেয়ালে গোল করে তারা গোবর দিয়ে পিঠার মতো শুকাতো চুলার জন্য। আবার অনেকে লম্বা লাঠিতেও গোবর দিয়ে সেগুলো বানাতো। বেশ লাগতো দেখতে। মাটি গোবরের সরলতার গন্ধ থাকতো তাদের গায়। আমার খুব ইচ্ছে করতো তাদের সাথে জয়েন করতে। কিছু রূপকথার গল্প যা পরে ইতিহাস হয়ে যায় সেরকম গল্পের নায়িকা হতে পারা কিন্তু কম কথা নয়, যেমন তোতা পুকুরের তোতন। অভিমানি ফুল না দেয়া মেয়ে ছেলিনা।
তুই একটা মন্তব্য পেয়েই লিখে ফেললি এমন, বাহ্ দাদাভাই মুগ্ধ হলাম। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
দু’বার মায়া দেখেছো কারণ এই গল্পের সাধারণের চেয়েও সাধারণ চরিত্রের নাম ছিল ‘মায়া’ কিন্তু এই চরিত্রের পেশা নিয়ে আপত্তি মুখে পড়ায় নাম পাল্টে দিয়েছিলাম পরবর্তীতে, এডিটের সময় চোখে পড়েনি 🙁 ঠিক করে নিলাম এখন 😀
এইসব ঘুটেকুড়োনিদের ঘর থাকে কিন্তু হয় গ্রামের শুরুতে নয়তো একেবারে শেষে! কেন এমন জানি না। ছোতবেলায় এদের দেখে প্রথমে ভাবতাম ‘ইশ! কি করে হাতে নিয়ে এই কাজ করছে, গন্ধ লাগে না? ইয়াক!’ একটু বড়ো হয়ে বুঝেছি কেন তাঁরা এই কাজে হাত দিয়েছে আর কি থাকে তাঁদের মনে। আমার কাছে এদের সাধারণ কাজটিকে অসাধারণ মনে হতো, এই একেবারে সাধারণ কিছু থেকে কি অসাধারণ কাজটিই না তাঁরা করে যাচ্ছেন! “আশেপাশে পরিষ্কার করে ফেলেন, জ্বালানি হতে শুরু করে ঘরে দেয়াল মায় চারা গাছের সার কিংবা পুকুরের সারের যোগান কিন্তু ইনারাই”
একটা মন্তব্য কই? কিছু হতে গেলে বিশাল কিছুর দরকার নেই, সামাণ্য কিছু হতেই কিন্তু বিশাল কিছু হয়ে যায় আর আমার তো মাত্র ক’লাইন লেখা…হেলাল ভাইয়া তো আস্ত আস্ত রুপকথার কবিতা লিখে ফেলেন :p
শুন্য শুন্যালয়
হেলাল ভাইয়ার মতো লেখকের কথা মনে করায় দিলি? তিনি যে কি পারেন না! একটা লাইন দিলেই লিখে ফেলবে আস্ত রূপকথা না শুধু উপন্যাস।
তবে তুইও কিন্তু কম যাসনা, কি ভাববি ভাবতেই ভাবতেই লেখা শেষ তোর। আর এই গল্পটা তো কিছুক্ষন অপেক্ষা করেই লিখে ফেললি। ইম্প্রেসিভ।
আমার কাছে তাদের কাজ খুব আর্টিস্ট মনে হতো। আরো কএকটা উদাহরন দেই, ঢেকিতে ধান কোটা দেখতাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। গ্রামের এক হাটে, গরুর জন্য সবাই চিটে গুড় কিনতে আসতো, আমি হা করে সেই গুড় ঢালা দেখতাম। কোন না কোন সময় আমার সবকিছু করতে ইচ্ছে হতো। ঘুটে কুড়ানি সাধারন নয়, মোটেই। ফুল দেবেনা কাউকে তারা এটা কিন্তু মোটেই ঠিকনা। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আবার সেই স্টিকার :@ সবচাইতে ঘোলাটে স্টিকার হচ্ছে 🙂 মনে হয় মনে এক আর ঠোঁটে আরেক।
ঢেকিতে ধান কোটা আমি এখনো বুঝে পাই না কেন জানি না। অথচ কি অদ্ভুত শব্দ আর ছন্দ এই কাজে থাকে দুইজনের মাঝে, আর সেই সাথে চলে গল্পের আসর~~!!
সবাই ফুল দিবে, ফুলে দিলে মনে অবসাদ দূর হয় বলেই মানি আমি 😀 -{@
শুন্য শুন্যালয়
এইটা শোনার পর থেকেই এই স্টিকার বেশি দিতে মন চাইতেছে 🙂 আমি কিন্তু এই স্টিকার দেয়ার সময় মুখটা এমনই রাখি 🙂
একটা জিনিস খেয়াল করছোস? আমাদের সবার হাসি একরকম 😀
নীতেশ বড়ুয়া
তোমার ঐ ইমুতে আমার 😮 😮 (-3 😮 এমন হয়।
ইয়েস… আমাদের সবার হাসি 😀 এক রকম, একই রকম 😀 \|/
শুন্য শুন্যালয়
তাইলে কি সারাক্ষন দাঁ খুলেই হাসবো? মুচকির হাসি কি হবে? ইশ যদি জানতিস আমার মুচকি হাসি কত্ত সুন্দর :p
শুন্য শুন্যালয়
দাঁ না দাঁত 🙁 সক্কাল বেলাতেই দাঁ নিয়ে বের হওয়া ঠিক হবেনা।
নীতেশ বড়ুয়া
মুচকি হাসি দিয়ে এককান পিক দিয়া দাও আম্রে, তাইলে বুঝুম নাইলে এই 😮 (-3 😮 প্রতিক্রিয়া চলবেই 😀
নীতেশ বড়ুয়া
দা নিয়ে বেরুনো তো অনিকেত নন্দিনীজ্বীর কাজ :p
শুন্য শুন্যালয়
হে হে পিক দিলে মিছা কতা কেমতে কমু দাদাভাই? 😀
দা এর কাজ কিন্তু লীলাবতীও কম জানেনা। নইলে অই পোস্ট ক্যাম্নে মাথায় আসে। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
অনিকেত নন্দিনী সন্ত্রাসী তো লীলাবতী মারদাঙ্গাবতী :p
শুন্য শুন্যালয়
গানটি শুনতে শুনতে আবার পড়লাম তোর গল্পটা। 🙂
অন্ধ দোকানির খুঁজে ফেরা সহজ ছেলিনা কে মনে পড়বে।
নীতেশ বড়ুয়া
কোন গান!
শুন্য শুন্যালয়
অই বলেছিল সে মিষ্টি হেসে গানটার কথা বললাম, সুইট সং।
নীতেশ বড়ুয়া
ইয়েস… মজার মিষ্টি… মাত্রই সেটার অনুলিপি করে শব্দ পাল্টে তোমার পোস্টে লিখে দিয়ে এলাম :p
বাই দ্য জবাব, এই গল্প লেখার সময়ে আমার সেই গানটিই মাথায় ঘুরছিল আর তুমি বুঝলে কি করে!!!!!!!!!!!! 😮 ;?
শুন্য শুন্যালয়
গানের কথা দিয়ে পোস্ট লিখেছিস, মনে তো পড়বেই।
হুম, মিষ্টি টা খুব মিষ্টি ছিল 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
কি গো? মহাব্যস্ত আমি
শুন্য শুন্যালয়
কিসের এত্তো ব্যস্ততা? সব বুঝি, আমাদের এড়ানোর বাহানা 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
@ নীলা’দি,
বলছি তুমি মিষ্টি দিদি
ব্যস্ত থাকো তাও জানি,
তবু বলছি সবাই মিষ্টি হেসে
যেওনা চলে এই মুহুর্তে,
লাগবে ভাল তোমায় পেলে
আড্ডাবাজির সঙ্গ হলে,
আমি আছি আড্ডাতে
চলে এসেও সোনেলাতে
দারুণ দারুণ মজা হবে
তোমায় আমরা সাথে পেলে… :p
নীতেশ বড়ুয়া
ক্রেডিট গৌজ টু অরুনি মায়া @শুন্যাপু 😀
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপুর বাসায় দাওয়াত আমাদের, চল খেয়ে আসি। অনেক রান্না করেছে।
নীতেশ বড়ুয়া
কই! কোথায় বলেছেন রান্নার কথা!!!!!
পূজো গেলো কিন্তু নারকেলের নাড়ুর ছবি পর্যন্ত দেখালেন না আবার এই!!
নীলাঞ্জনা নীলা
এই আমি এসেছি এসেছি বন্ধুরা নিয়ে এই হাসি রূপ গান
নীতেশ বড়ুয়া
এই আড্ডায় যদি তুমি না আসো তবে আড্ডা কেমন হতো তুমি বল তো!… @নীলা’দি :p
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপু খুব কিপ্টুস হয়েছে আমাদের প্রতি, সব ছবি ফেসবুকে দিয়েছে 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আপচুছ… আমি ফেবুতে নেই তাই কিছুই দেখতে পাচ্ছি না 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা আমি না থাকলে বকুনীটা এতো মিষ্টি হতোনা
আমি না থাকলে আড্ডাতে যে গানও হতোনা
:D) \|/
নীতেশ বড়ুয়া
কানটা তুমি হাতে পেলে
বকুনী কি আর চাপা থাকে :p @নীলা’দি
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু আমার দুষ্টুমী জানো ভালোই। এখানে কি ভালো হয়ে থাকবো? নাকি….. 😀 :D)
নীতেশদা রেঁধেছি অনেক কিছুই
১) ঝিঙে পোস্ত
২) আলু-পটলের তরকারি
৩) পেঁপে দিয়ে মাগুর মাছের ঝোল
৪) চিকেনের পাতলা ঝোল আলু দিয়ে
৫) লেবু পাতা দিয়ে ডাল
আর নীলা স্পেশ্যাল ওমলেট বানাবো গেষ্ট এলে। রেডি করে রেখেছি
ওহ আর সাদা ভাত
নীলাঞ্জনা নীলা
এই ছেলে আমি কি মারকুটে? :@
নীতেশ বড়ুয়া
লেবুপাতা ডালে কি পাঁচফোঁড়নের শেষ আচঁড় আছে? উসস… স্লল্প…সস্লল্পপ…
নীতেশ বড়ুয়া
সে কি! কানটা ধরে বকুনি দিলে মারকুটে মনে হলে তো সত্যজিৎ মহাশয়ের দূর্গা চরম মারকুটে! :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ধুত্তোর আমি যখন আসি তখন তোমরা থাকোনা। আজ আমার সারারাত ফ্রী। কাল অফ। দেখা যাবে কেউ কোথাও নেই। আমি একা বড়ো একা আমার সাথে কেউ নেই। 🙁 ;(
নীতেশ বড়ুয়া
আমি একা, খুবই একা
নীলাকাশের নীলাঞ্জনা,
খুঁজে ফিরি আকাশনীলে
তাড়নার কিছু বলাকা… :p
শুন্য শুন্যালয়
তোমার মতো স্পিডি নাতো, মন্তব্য লিখতে টাইম লাগেনা বুঝি?
নীতেশ বড়ুয়া
আসলে শূন্যের কোন গতি নেই, শূন্যালয়ে সময় বলতে কিচ্ছু নেই তাই শুন্যাপুর মন্তব্য আমাদের কাছে দেরীতে আসে কারণ আমাদের কাছে গতি আছে :p
শুন্য শুন্যালয়
শুন্যের কোন গতি নাই? :@
নীতেশ বড়ুয়া
শূন্যের কাছে সবই গতিহীন কারণ শূন্যকে গতি দিয়ে পার করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয় শুধু একেবারে unpossible :p
শুন্য শুন্যালয়
শুন্য দিয়ে তোদের সব গতির মাল্টিপ্লিকেশন করে ফেলবো, সব জিরো বানিয়ে দেব। unpossible :D)
নীতেশ বড়ুয়া
শুন্যকে মাল্টিপ্লেকশন মানে তো ‘শুন্যা যাবি একবার বোল দেতি তো খুদকি ভি নেহি শুনতি’ :D)
আমি তো Most Welcome= Ananta Jalil, Impossible=Unpossible/Ananta Jalil, ভালবাসা কি/What is Love= Ananta Jalil দিয়েই বুঝিয়ে থাকি 😀
অরুনি মায়া
আমি তো জাস্ট ফান করেছি! নাম বদলে দিলেন কেন নীতেশ দা? 🙁 :@
নীতেশ বড়ুয়া
লম্বা জবাব দিতে হয় আপনার উত্তরে। দিলাম তবেঃ
বেশ আগে ‘মিত্রা’ নামের কবিতার সিরিজ লিখেছিলাম, ‘মিত্রা-১-১১ কি ১২’ তে থেমেছিল তা। থামার কারণ এই ‘মিত্রা নামটি বাস্তবের, চরিত্রের বিন্যাস ও পটভূমিকাও বাস্তবের। মিত্রার সাথে অন্য চরিত্রের নাম উল্লেখ না থাকলেও তিনিও বাস্তবের। কিন্তু একটি নিবিড় উদার সম্পর্ককে আমি সেখানে আমার মনের মতো করে সাজিয়েছিলাম আর সাজাচ্ছিলাম সময়ের পরের সময়ে নিয়ে গিয়ে। অন্য চরিত্রের বাস্তব চরিত্রের আপত্তির মুখে মিত্রা লেখা ছেড়েছিলাম যদিও স্বয়ং মিত্রা নিজেই চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন আমার ইচ্ছে মতোন করে। তবুও থেমে যাই অনেক কিছু ভেবে-
*কেউ যদি আমার লেখনীর সাথে মিল খুঁজে পেয়ে আপত্তি জানায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে তবে নিশ্চিত আমাকে সেই আপত্তিকর বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে অথবা বন্ধ করতে হবে।
*যেহেতু আমি অন্যভাবে সাজাতে রাজী নই তাই একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছিলাম কারণ আপত্তিটি বেশ বাজে ভাবেই এসেছিলো পরবর্তীতে।
এই গল্পে আমি সেই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইনি। আপনি ফান করেছেন আর তা বুঝার মতো আপনার সাথে আমার সে রকমের মনোমিল আছে বলেই আমি জানি। কিন্তু অন্য কেউ এসে কমেন্ট দেখে বিরূপ ধারণা নিতেও পারে! শুধু আপনি নন, ভাললাগার আরো একজন ইতোমধ্যেই তার মনোভাব জানিয়েছেন চরিত্রের নামকরণ নিয়ে। আমি চাই না আপনার সাথে কেউ মিল খুঁজে নিক গল্পের সাথে মিলিয়ে। আমি এই গল্পের চরিত্রটি একেবারের সময়কালহীন এক মানুষের আদলে এঁকেছি যার কোন বিবরণ নেই, বয়স নেই, নেই কোন রকম সম্পর্কের ইঙ্গিত। পোস্ট করার পর মন্তব্য করতে এসে আপনাদের ফান সহ অন্যদের মন্তব্য পড়ে আমি ভেবেছি যে এই চরিত্রের ‘নাম’ যদি পাঠক আমাদের কারো সাথে মিল খুঁজে পেয়ে তাঁর সাথে মেলাতে যান তবে আমার চরিত্রের সীমাবদ্ধতা চলে আসে।
এই ফান নিয়ে আপনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য দেখে হয়তো মনে হতে পারে আমি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নাম বদলেছি তবে নাম বদলে দেওয়ার আগে আমি নিজেও সঠিক কারণ ভেবেছি কেন বদলাবো!
উপরে বলেই দিলাম কেন বদলেছি। অতএব আসুন -{@ বিনিময় করি তবে সেই ফুলে আমি চুনের দাগ দেখতে চাই না নিশ্চিত :p
অরুনি মায়া
হুম বুঝেছি |
আপনি যেমন টা ভাল মনে করেন ,,,
নীতেশ বড়ুয়া
আমার মনে করার কিছুই নেই আর। যা বলার তা বলেই ফেলেছি :p
অরুনি মায়া
-{@
নীতেশ বড়ুয়া
:D) এই ফুলে চুনের দাগ নেই তো আবার! :p
-{@ -{@ -{@ -{@ -{@ \|/ -{@ -{@ -{@ -{@ -{@
অরুনি মায়া
কুয়াশা ঘেরা এক মিষ্টি ভোরে
এক গোছা ফুল নিয়ে আমার দ্বারে
দেখি সে এসেছে ,সেই হাসি হেসেছে
এখন কি করি আমি তোমরাই বলনা
কারো হাত থেকে তুমি ফুল নিয়োনা
বলেছিল সে,,, :p
নীতেশ বড়ুয়া
সোনাপোড়া আলো চোখে একটু হেসে মিস্টি সাজে
ফুলের মতো মন থেকে খুলেছে দ্বার আমায় দেখে
দেখি সে হেসেছে শিশির ফোঁটায় সাতরঙে
সেই তো দেখেই তাই করি, সবাই শুনে করবে কি
ফুলের চেয়ে পুণ্য কিছু এমন কারো হাতে নয় কি
ভেবেছিল সে… :p
অরুনি মায়া
দেখেছিল সে ঘুম জড়ানো চোখে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে কোন স্বপ্ন মানব :p
ফুল হাতে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে অপলক
চুপচাপ বেশে হাসিতে নিরব :p
নীতেশ বড়ুয়া
নীরবে! হয়তো বা, চোখেতে যে কথা ছিল সরবে
দুয়ারে দাঁড়িয়ে বটে, তবে মনের দুয়ারে চঞ্চলতাতে
ফুল দিয়েছিল বেশ সরবে, মুখ ছিল শুধু নীরব
মনেতে, চোখের তারাতে হেসেখেলে :p
অরুনি মায়া
ফুল হাতে পেয়ে কন্যা লাজে রাঙা হল
কেন সে এসে এই ভোর বেলায়, বলল দুয়ার খোল
লজ্জা রাঙা ভোরের রবি তাই
কন্যার চরণে নরম আলো ছড়ালো,,,
নীতেশ বড়ুয়া
চরণে পরমে ভুলি যতো চিহ্ন তুলি
হেন ক্ষণে শেষে সোনেলাতে, খুলিল দুয়ার অবশেষে
আরক্তিম সোনাপোড়া রোদে তাই
মরমে ফুলের কুঁড়ি হলো স্মৃতির মাদুলি…
অরুনি মায়া
মেনেছি গো ও ও ও
ও নীতেশ দা হার মেনেছি ,,,
এত কঠিন কবিতা আমি কবে লিখতে শিখব ;(
আশির্বাদ দাও গুরু আশির্বাদ দাও
নীতেশ বড়ুয়া
আরে আমি তো আপনার লেখা থেকে শিখছি
কিভাবে গদ্য লিখা যায়,
কিভাবে একই ভাব নানান ভাবে
স্ব’মন ছেড়ে তৃতীয় মনে কবিতায় প্রকাশ করা যায়!
Honestly, আমার একটা ইচ্ছে ছিলো খুব গদ্য পদ্যের মিশ্রণ একই সাথে একই গল্পে। আপনার একটি প্লটেই হচ্ছে তা যা আমি আরো বিভিন্ন প্লটে একই সাথে দেখতে চাইতাম কিন্তু পারতাম না। আপনিই তো করছেন!
নীতেশ বড়ুয়া
চরণে পরমে ভুলি যতো চিহ্ন তুলি= যেহেতু দুয়ার খুলে দাঁড়িয়েছে তাই কেউ এসেছে। দুয়ার খুলে যিনি আসলে তার চরণ আলতা রাঙানো হতেও পারে নতুন জীবনের প্রতীক হয়ে আবার অপেক্ষার প্রহর গুণে কিন্তু দুয়ার খুলে এসেছে মানেই তো সে আবার প্রস্তুত সাদরে গ্রহণ করে নিতে সব কিছু ভুলে।
হেন ক্ষণে শেষে সোনেলাতে, খুলিল দুয়ার অবশেষে= সোনেলা মানে সোনালী আলো অর্থাৎ ভোরের প্রথম প্রহরের সোনারঙা রোদের শেষে দুয়ার যখন খুলেছে এতোদিনের অপেক্ষার ও প্রতীক্ষার মান কিংবা অভিমান অথবা অনুযোগ ভুলে।
আরক্তিম সোনাপোড়া রোদে তাই= সকালের রোদ মুখে লাগলেই লালচে হয়ে যায় যা লাজে রাঙার মতো লাগলেও রোদে রাঙা ও লজ্জায় রাঙা দুইই একই সাথে।
মরমে ফুলের কুঁড়ি হলো স্মৃতির মাদুলি…= এতোদিন মনে যে ফুল ছিল কুঁড়ি হয়ে অবশেষে সেই কুঁড়ি স্মৃতির একটি ক্ষণ হয়ে বাস্তবে ফুটেছে সব রঙ ছড়িয়ে যা হাতে আছে সেই মানূষ্টির কাছে… অর্থাৎ ফুলের কুঁড়ি এখন ফুটে পূর্ণ ফুলের রূপ নিয়েছে।
কঠিন কি ছিল!!!!!!!!!!!!!!! ;?
অরুনি মায়া
ও নীতেশ দা কই ছিলেন এতকাল? সোনেলা আপনারে কত খুঁজেছে!
এই যে আপনি কি জানেন কত চমৎকার ভাবে কবিতার ব্যাখ্যা দিতে জানেন!
আপনার প্রতিভা সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মত | যা একদিন বাঁধ ভাঙবেই,,, 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
যে বেশী ভাবে সে চিরকাল ভাবুকই থেকে যায় :p
নীলাঞ্জনা নীলা
পড়েছি আগে তবে আড়াল রেখে। আজও পড়েছি। এবার আড়াল ভেঙ্গে।
এবার লেখা নিয়ে কিছু বলবো, কি বলবো!
নীতেশদা আপনাকে যতো পড়ছি, ততোই অবাক হচ্ছি। মন্তব্যকারী হিসেবে আমাদের সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে দিন, আর এখন লেখা দিয়ে আরোও বেশী আনন্দ পাওয়াচ্ছেন আমাদের সকলকে। গভীরতার পরিধি মাপতে গিয়ে পরাজিত হয়েছি।
ভালোবাসার আবেগই পারে এমন লেখা লেখাতে। -{@ (3 (y)
নীতেশ বড়ুয়া
নীলা’দি, গল্পটির উৎস কিন্তু অরুনি মায়া। তিনি যদি ফুল নিয়ে কিছু না বলতেন তবে আমি কিছুতেই মনে হয় না এভাবে হঠাৎ কিছু ভাবতে পারতাম!
এই গল্পে কোন রকমের সম্পর্কের বয়ান নেই, নেই চরিত্রের বয়স বা রূপ নিয়ে কোন ইঙ্গিত। সময়কে জয় করে ঠিকে থাকা আমাদের কোন এক মানুষকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
একেবারে খাঁটি কথা বলতে হলে আরো একটি কথা না বললেই নয় যে- আমি গল্প লিখতে পারি না। বলা উচিত গদ্য আমার দিয়ে হয়নি আগে। কিন্তু এখানে আসার আগে আমার প্রথম গদ্য গল্পে আমার শ্রদ্ধাভাজন এক বন্ধু-বড়বোন-গুরু আমাকে দারুণ উৎসাহ দিয়েছিলেন এক লাইনের এক মন্তব্যে। আর এখানে এসে আপনাদের কবিতার সাথে গদ্য দেখে আমি নিজেই উৎসাহ পেয়েছি যে দেখি চেষ্টা করে কি হয়! আলাদা করে নাম নিচ্ছি না তবে আপনারা যারাই কবিতার সাথে গদ্যগল্প লিখছেন তাঁরা সবাই আমার গল্প লেখার উৎস। 😀
ইমন
ভালো লেগেছে 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ধন্যবাদ ইমন ভাই 😀 -{@
Muhammad Arif Hossain
অসাধারণ এক লেখা পড়িয়া ফেলিলাম।
নীতেশ বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাই -{@
জিসান শা ইকরাম
নীতেশ খোলস ভেঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে
কতদূরে নিয়ে যাবে নীতেশ আমাদের!! ?
নীতেশ বড়ুয়া
সাহিত্যের চর্চা শুরু করেছিলাম ফেবুর ‘প্রে ফর পয়েম’ গ্রুপে। মাঝে থেমেছিল, এখন আবার শুরু হয়েছে নিজেকে নতুন করে চেনার খোঁজে ‘সোনেলা’তে। দেখা যাক আপনাদের ভালবাসায় নিজেকে কিভাবে চিনতে পারি আর কতদূর যেতে পারি 😀
(3 -{@
শুন্য শুন্যালয়
তোমারে খাবারের লিস্টি দিতে কে কইছে নীলাপু? 🙁
দিলা তো দিনটা খারাপ করে 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) \|/
চলে এসো আজ রাতে ভাত খেতে শুন্য আপু
নীতেশ বড়ুয়া
বাহ্! আর আমি? কাঁচকলা! :@
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমার জন্য কাঁচামরিচের ভর্তা করবো, যা ভাবের রাগ দেখাও ইমো দিয়ে সব রাগের উদ্ধার করবো বুঝেছো নীতেশদা?
নীতেশ বড়ুয়া
I (3 কাঁচামরিচের ভর্তা, রসুন ভর্তা \|/
শুন্য শুন্যালয়
তোরে ছাড়া পাগল, আমার পেটের দাম নাই? খেয়েই পেটের মধ্যে গুড়গুড় করবে।
নীতেশ বড়ুয়া
পেটের কে দাম দেয়! পেট হচ্ছেন মহাশয়, কখনো গদিতে তো কখনো খাবারে শয় আর শোয় :p
নীতেশ বড়ুয়া
সয়*
শুন্য শুন্যালয়
হ হ, পেটে খেলে পিঠে সয়, তবে নীতুরে ছাড়া খাইলে কোনকিছুতেই সইবে না।
নীতেশ বড়ুয়া
নাহ্ ইদানীং আমি ডায়েটে আছি সমারসেট মমের সেই গল্পের চরিত্রের মতোন, তাই ছেড়ে খেলেও আমি এইদিক থেকে ডায়েট করে পুষিয়ে নিবো :p
নীতেশ বড়ুয়া
শুধু নাম দিয়েছে, আমি হলে ছবিসুদ্ধ পোস্ট দিয়ে বলতাম খাবার রেডি চলে এসো :D) @শুন্যাপু
নীলাঞ্জনা নীলা
মাগো আবার পোষ্ট! ক্ষমা করো রে দাদা। পুরোনো অনেক লেখা পা ঝুলিয়ে বসে আছে। হাঁটতে চায়, কিন্তু নতূনদের সাথে পারছেনা এগিয়ে যেতে।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার মাথায় একটা বুদ্ধি আছে এই নতুন আর পুরনো দ্বন্দ নিয়ে, প্রায় সময়ই আমি করি তা। এই বুদ্ধিটা হচ্ছে-
পুরনো লেখার সাথে নতুন লেখাকে Co-Ad করিয়ে নিয়ে নতুন ফিউশন পোস্ট দাও। বেশ মজার হয় কিন্তু 😀
ট্রাই করে দেখতে পাও নীলা’দি 😀
শুন্য শুন্যালয়
আমার মাথায় আরো একটা বুদ্ধি আছে। অইসব পুরনো মুরনো দিয়ে করবি কি তোরা, সব বিনে ফেল, আমি বিনের কাছে দাঁড়ায় আছি। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
এ লে’! শুন্য নিজেই সর্বগ্রাসী আর সর্বসৃষ্টির উৎস আর সেখানে শুন্যাপু বলেন কিনা বিনের থেকে কুড়িয়ে নিবেন!!!
শূন্যের এতো দুর্দিন কবে এলো শুনি! :@
নীলাঞ্জনা নীলা
সেটা ভালো বলেছো। সময় বের করতে হবে। তবে এবার আমায় যেতে হবে যে!
একবার বিদায় দাও গো
ফ্রেশ হয়ে নেই
রান্নার গন্ধ কাপড় জামায়
গেষ্ট ভাগবে এই গন্ধেই।
গভীর রাতে আসবো
পারলে থেকো
ও নীতেশদা তোমায় বলছি
ছেড়ে যেওনাকো।
শুন্য আপু শোনো চলে এসো
আড্ডা দেবো গান শোনাবো
মনের আনন্দে নেচো। 😀 \|/ -{@ (3 নীতেশদা আর শুন্য আপু তোমাদের জন্য
শুন্য শুন্যালয়
আমি সেই শুন্য না, এই শুন্য আসলেই শুন্য। 🙁
আমার সুদিন কোনকালেই আছিল না ;(
নীতেশ বড়ুয়া
তোমার মধ্যরাত কবে শুনি? সে হিসেব করে দুদন্ড চোখ জিরিয়ে নেবো ধানসিঁড়িটির তীরে থুক্কু ঘুমবিছানার কোলে :p
নীতেশ বড়ুয়া
শূন্য যখন শুন্য হয় তখন বুঝে নিতে হয় শূন্য সবকিছু শুন্যতেই উগড়ে দিয়ে শুন্যালয় হয়েছে…
(পালাবে কোথায় ইমো হপে)
শুন্য শুন্যালয়
ঘুম পাইছে? যা ভাগ তাইলে ঝিমায় ঝিমায় লিখিস না। কি দিন কাম আইলো দিনের বেলায় মানুষ ঘুমায়, আর রাতে বাদুর।
নীতেশ বড়ুয়া
দিনে আমার ঘুম হয় না। চোখে রোদের ছোঁয়া পেলে চোখ আর ঝিরুতে চায় না কিছুতেই। দুপুরে জোর করে অথবা চোখ না চাইলেও স্নায়ুর করজোড়ে মিনতিতে কিছুক্ষণের জন্য ভেঙ্গে পড়ে।
(গত পাঁচদিনে সব মিলিয়ে ৩+২+৫+২+২= ১৪ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি :p )
এই মুহুর্তে ঘুম নেই… \|/
শুন্য শুন্যালয়
অই নামটা হইলো প্রানের মরিচের গুড়ার প্যাকেটে ইটের গুড়া, নাম দেখে বিভ্রান্ত হইস না। আদতে আমি কিচ্ছু পারিনা।
লেখালেখি আমার কম্ম না 🙁
শুন্য শুন্যালয়
সাব্বাস তোরে তো সায়েন্টিস্ট দের ল্যাবরেটরিতে ঢুকায় দেয়া উচিৎ।
নীতেশ বড়ুয়া
লেখালেখি তো এখানের খুব ক’জনেরই কম্মো! বাকি আমরা সবাই তো খেয়ালী 😀
উপরের একজন ইতোমধ্যেই গিনিপিগ বানিয়ে রেখেছেন তো সায়নেটিস্ট কোন ছাড় :D)
শুন্য শুন্যালয়
আমিও ওয়াক করে বলতাম, নীতু এইসব কি রাঁধছিস? একটাও যদি কোন পদের হইতো :@
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D)
নীতেশ বড়ুয়া
;? ;? ;? ^:^ :@
নীতেশ বড়ুয়া
দুনিয়াতে সব ভাল শেফরাই কিন্তু ব্যাচেলর ছেলে। অতএব আমিও একদিন… হুউউউউউউউ :v
শুন্য শুন্যালয়
অতএব আমিও একদিন কি? অবিবাহিত থাকবি?
নীতেশ বড়ুয়া
নীতেশকো পাকাড় না সির্ফ মুমকিন হি নেহি উনকো বিবাহিত কারনা নামুমকিন ভি হ্যেয় :D) \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D)
ইস রে আড্ডা ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। তবুও যেতে হবে ;( 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
যেতে নাহি দেবো তবু তারে যেতে দিতে হয় মধ্যরাতের আড্ডা যদি হয় \|/
শুন্য শুন্যালয়
হি হি, আইচ্ছা পাড়া প্রতিবেশি, বন্ধু স্বজন যেই-ই জিজ্ঞেস করবে বিয়ের কথা, ওমনি বলবি আমি শেফ হইতে চাই।
কেউ প্রেমের অফার দিলে কইবি, স্যরি, আমি শেফ হইতে চাই। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
আজকালের মেয়েরা অনেক চালাক। শেফ হতে চাই জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিবে
https://youtu.be/Tagn99BiMeYI
অতএব আমিও একদিন… 😀
শুন্য শুন্যালয়
অতএব আমিও একদিন চালাক হইবো… 😀
নীতেশ বড়ুয়া
আমি বড়জোর এই হেমলক সোসায়েটির পরমব্রতের চরিত্রটি হবো। যে কোন বা যে কোন অনেক কারওনেই হোক মিলে যায় 😀
শুন্য শুন্যালয়
এই মুভি মনে করায় দিসনা, কএকদিনের ঘুম শেষ হয়ে গেছিলো 🙁
না, পরমব্রত না ;(
নীতেশ বড়ুয়া
পরমব্রতের চরিত্রের মতো অতো উদার বা গীতার হাতে গান গাইতে পারি না সত্যি :p
শুন্য শুন্যালয়
লিউকেমিয়ার পেশেন্ট তোকে হতে দেবই না। গল্পের চরিত্রগুলো একটু বেশিই উদার হয়, কারন ওগুলো গল্প। তবে বাস্তবের চরিত্র আমার বেশি পছন্দের। গীটার না? শিখবো, শিখবোই একদিন। চল শিখি।
নীতেশ বড়ুয়া
গীটারের কর্ডে আমার হাতের আঙ্গুল বসে না ঠিকঠাক। আঙ্গুল লম্বা হলেও মোটা তাই বসে না :p
তবে আমার খুব ইচ্ছে সেতার আর তানপুরায় তাল তুলে বাঁশীতে ডুব দেওয়া… 😀
নীতেশ বড়ুয়া
লিউকোমিয়ার হবো না মনে হয় তবে কিছু একটার হবো নিশ্চিত…আহা! কেউ তো তখন আমার শিয়রে বসে মুচকি হেসে বলবে-
https://youtu.be/IxR-hPBqi3I \|/
শুন্য শুন্যালয়
উম চেষ্টা তাহলে আগেই করা হয়েছে? তোর জন্য তাইলে স্পেশাল মোটা তারের গিটার বানাতে হবে। 😀 সেতার, তানপুরা, বাঁশি, আহা! বাঁশি হলে আর কিছু লাগে? ইচ্ছে পূরন কর।
শুন্য শুন্যালয়
তুই দেখি আজ এখান থেকে বেরই হবিনা, এই মুভিতে প্রব্লেম আছে রে দাদাভাই। আমার মাথায় সমস্যা হয়। বিশেষ করে এই গানে সমস্যা হয়…
কতোবার তোর আয়না ভেঙ্গে চুড়ে ঘুরে তাকাই, আমার মতে তোর মতন কেউ নাই। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
এই মুভিতে প্রব্লেম আছে কি নেই তা জানি না তবে কিছু একটা আছে নিশ্চিত-কি গানে কি গল্পে আর তার উপস্থাপনায় ;?
আমার আয়না ভেঙ্গেচুড়ে দেখতে গেলে একটাই দেখাবে কারণ কারণ আয়নাতে একটিই চেহারা :p আদতে অনেক :D)
নীতেশ বড়ুয়া
তানপুরায় আকর্ষণ সেই ছোটবেলায়। আর সেতারে করুণ সুরটাকে আমি আনন্দে রাঙাতে চাই। বাঁশীর সুরের প্রেমে পড়েছি কোন কালে জানি না তবে সন্ধ্যের অন্ধকারে রাস্তায় কেউ একজনের নিয়মিতো বাঁশীর সুর শুনেই এমন হয়েছে… 😀
শুন্য শুন্যালয়
আমার তো মনে হচ্ছে তুই সেতার, তানপুরা আর বাঁশি পারিস, ঠিক কিনা বল। সুর মানেই সুন্দর, বাঁশি কিংবা সে হারমোনিকাই হোক না।
তবে বাঁশির উপর আর কিছু নেই।
আয়নাতে চেহারা একটি হলেও সেইটা কিন্তু উল্টা 😀
নীতেশ বড়ুয়া
আমি কোন বাদ্যযন্ত্রই বাজাতে পারি না :D)
আয়নায় চেহারা উলটো দেখায় কারণ আমরা উলটো দিকে দাঁড়িয়ে থাকি বলেই তো! আয়নার সামনে নিজেকে দাঁড় করাই শুধু শরীরটাকে কিন্তু মনটাকে দাঁড় করালে কিছুতেই উল্টো নয় বরং নানান চেহারা দেখা যায় :p
রিমি রুম্মান
বলেছিল সে মিষ্টি হেসে… গানটি মনে পড়ে গেল অনেক বছর বাদে। তবে একটি মন্তব্য থেকে এমন লেখা বেরিয়ে আসা__ আমি সত্যিই মুগ্ধ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
একটি মন্তব্য বললে আসলে কমই বলা হয়, এই মন্তব্যের আগে থেকেই ছোট ছোট কিছু কথা ছিল অরুনি মায়ার যা ভাবতে সাহায্য করেছে আমাকে 😀
ধন্যবাদ রিমিপু 😀 -{@
অরুণিমা
ভালো লিখেছেন দাদা।
নীতেশ বড়ুয়া
ধন্যবাদ দিদি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
নীতেশের লেখা নিয়ে নূতন করে কিছু বলার নাই, তবে মন্তব্য সহ সব কিছু পড়ে লেখকের কাছে গোপনে
জানতে চাই, কী মন্তব্য করব! এবং তা কিভাবে!
কুড়া-কুড়ি চালু থাকুক।
নীতেশ বড়ুয়া
গোপনে উত্তর দিচ্ছি- আপনাদের নতুন নতুন পোস্ট চাই যাতে আমি আরো শিখতে পাই 😀
লীলাবতী
নীতেশ দাদা নিজেকে এতদিন লুকিয়ে রেখেছেন।যতই পড়ছি আপনাকে ততই মুগ্ধ হচ্ছি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
লুকাই নাই তো লীলাপ্পু, হামাগুড়ি দিয়ে দাঁড়াতে শিখছি সোনেলাতে আপনাদের হাত ধরে 😀
কিন্তু আপনি কেন যে এতো আড়াল হচ্ছেন! 🙁
লীলাবতী
আমরা সম্পূর্ন নীতেশকে পেতে চাই সোনেলায়।যত ধরনের চিন্তা ভাবনা আছে,সব প্রকাশ করুক তিনি এখানে।
নীতেশদা ছি আপনি কি জানেন সোনেলা একদিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল?কত যে দুশ্চিন্তা করেছি এটি নিয়ে।
এরপর দুজন মানুষ দেশের বাইরে।কিভাবে সোনেলাকে আবার ফিরে পাবো,চিন্তায় অস্থির ছিলাম।এরপর কিভাবে কিভাবে জানি সোনেলা আবার ফিরে আসলো।আমি কেন এত চিন্তা করি? 🙁 আড়াল কেন নেই তা নয় আড়ালেই থাকুক 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
সোনেলা তো কেউ একজন বা দুজন টেনে নিতে পারবে না, সবাইকেই থাকতে হবে সবার সাথে মতে, অমতে, আস্থার সাথে। কি কারণে অমন হয়েছিল জানি না কিন্তু এইটুক বলতে পারি সময় পাল্টায় 😀
আমার সম্পূর্ণতা কোথায় তা তো আমি নিজেই জানি না তাই বলতে পারছি না কততটুকু দেখতে পাবো নিজেকে সোনেলায় আকাশে তবে চেষ্টা থাকবে সব সময় (3
আমি সেদিনও আনিছ ভাইকে বলছিলাম যে সোনেলায় আমাকে এক্টিভ করেছেন লীলাপু সে যেভাবেই হোক না কেন, তাই আপনাকে আড়াল বা বেশ কিছু সময় এখানে না পেলে জানতে ইচ্ছে হয় কি হয়েছে!
আমরা সবাই সবাইকেই আরো ভাল করে আরো বেশী করে চাই 😀
-{@
শুন্য শুন্যালয়
দাদাভাই, এটা তোমার অর্ধশত পোস্ট ছিলো? কেন বললেনা আমাদের? 🙁
তবে না বলেও খুব আড্ডা দিয়েছি এই পোস্টে।
অভিনন্দন প্রিয় হাসিখুশি দাদাভাই -{@
লিখে চলো অবিরাম তোমারই মতোন দাঁত বের করে।
নীতেশ বড়ুয়া
অ্যাঁ! অর্ধশত হয়ে গেলো! আয় হায়!!! তাহলে তো বুড়ো খুড়ো হয়ে গেলাম :p
এইটা ঠিক যে খুব ধুমিয়ে আড্ডা হয়েছে যা খুবই ভাল লেগেছে আমার 😀 \|/
হাসতে হলে সবার আগে সেই হাসি বুঝতে পারার মতো মানুষ থাকতে হয় এবং হাসানোর মানুষ থাকতে হয় যা হচ্ছো তোমরা সবাই :D)
অনেক অনেক 😀 :D) \|/ (3 -{@ শুন্যাপু
শুন্য শুন্যালয়
কোন ইমু তো বাঁকি রাখলি নারে 🙂
হুম আড্ডায় ধোঁয়া দেখেই আগুনের ভয়ে পালিয়েছিলাম 😀
কিছুই তো খাওয়ালি না, এমন আনন্দের দিনে !!
নীতেশ বড়ুয়া
আমার এই সাত সকালে শুধু :T খেয়ে কিছু কি হবে! দেশে আসো 😀
ড্রথি চৌধুরী
তুমি যে খুবই ভাল লিখো সেটা আর কি বলবো …। ফেবু তে ও দেখেছিই… -{@ -{@ -{@ নাও আমিও ফুল দিয়ে তোমাকে ফুলবাবু সাজায় দিলাম অক্ষন বিয়া শাদির জন্য রেডি হইয়া যাও 😀 কত দিন বিয়া খাই না ;(
নীতেশ বড়ুয়া
মাহীবের বিয়া খামু তাইলে, অকা? 😀
ফুলবাবু মানে তো অন্য ব্যাপার ;?
লাল্টু ড্রথি (3 (3 (3 (3 -{@