সেনাবাহিনী ও সেনানিবাস নিয়ে সাধারণ্যে যথেষ্ট ভয় আর অজ্ঞতা আছে এবং বিরূপ মনোভাব আছে। কারণ কি? আমাদের ইতিহাসে বলে এই দেশ সেনাবাহিনী দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অবহেলিত হয়েছে বারেবারে। স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত এবং স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে দেশে জনসাধারণ্যে ভয় সঞ্চারণ করা। এবং নিকট অতীতের বিডিআর বিদ্রোহ। বর্তমানে সেনাবাহিনী আগের মতো অভ্যুত্থান বা দেশ পরিচালনার সুযোগের সন্ধানে নেই।
এই ভয় ও বিরূপ মনোভাব দশক হতে দশকের পরে এসে এক গোঁজামিলের অনুভূতিতে হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। জনসাধারণ সুযোগ পেলেই তাই সেনাবাহিনী নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
সেনা সদস্য আহত বা নিহত হলে তা সেনানিবাসেই হোক বা এর বাইরে সেনাবাহিনী দ্রুত বিবৃতি দেয়, দিতে পারে যদি সরকার বলে।
কিন্তু সেনানিবাসেই একজন সিভিল আহত/নিহত বা ন্যাক্কারজনক কিছু হলে সেনাবাহিনী সেই বিষয় নিয়ে দ্রুত কোন বিবৃতি দেয় না, দিতে পারেও না। কারণ সেনাবাহিনী শুধুমাত্র সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। তাহলে বিচার হয় কি করে?-
#এই আহত বা নিহত যে কোন কিছুতেই বিচার করতে হলে মামলা করতে হবে। আর মামলা করা মানে সিভিল অথোরিটির আওতাধীনে চলে যাওয়া।
#সিভিল অথোরিটির কাছে মামলা যাওয়া মানেই হচ্ছে সেখানে সেনাবাহিনী মামলার তদন্তের স্বার্থে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা আর এ নিয়ে সকল বিবৃতি ও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে একমাত্র সিভিল অথোরিটি-যতোক্ষণ না তদন্ত শেষ না হয় এবং তদন্ত রিপোর্ট শেষ না হয় ততোক্ষণ সেনাবাহিনী সর্ব সাধারণে কিছু বলার নিয়ম নেই।
*কোটঃ
মামলা মানে সিভিল অথারেটির কাছে হ্যান্ডওভার হয়ে গেলে জানানোর কোন বিধান নেই। ইভেন আর্মি মারা গেলেও তা সিভিল অথারেটির কাছে হ্যান্ড ওভার করা হয়। উদাহরণ :- বিডিআর বিদ্রোহ। বিডিআর বিদ্রোহে কোর্ট মার্শাল হলে তা নিয়ে জনমনে স্বচ্ছতার প্রশ্ন থাকতো। তাই সকল প্রকার বিতর্কের উর্দ্ধে যাওয়ার জন্য তা প্রচলিত আইনে ফৌজদারি দন্ডবিধি অনুসারে বিচার করা হয়েছে এবং তা পরিচালনা করেছে সিভিল অথারিটি। সিভিল অথারিটির উপর পূর্ণ অাস্থা রেখেছিলো মিলিটারি অথোরিটি।
হ্যান্ডওভার হলে তদন্ত হয়। তদন্ত শেষ হলে তদন্ত রিপোর্ট এর সাথে সিনিয়র স্টাফ অফিসারের বিবৃতি /আইএসপির(আন্তবাহিনী গনসংযোগ) এর বিবৃতি যোগ করতে হয়।
*আনকোট।
#সেনাবাহিনী তখনই প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে পারে যখন সেটা কোর্ট মার্শালের মধ্যে মামলা চলে এবং তাও তদন্ত ও বিচার শেষে। এই ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নিজস্ব নিয়মে এবং সিভিল অথোরিটির আওতাধীন না হয়ে মামলা পরিচালনা করে এবং এর জন্যে তারা সরকারের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।
*কোর্টমার্শাল মানে কি সেটা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই।
এইবার আসি বর্তমান ও চলমান ইস্যু প্রসঙ্গে-
সবাই তনু হত্যার ন্যায্য ও দ্রুত বিচার চেয়ে প্রতিবাদ করছেন। উচিত এমন কিছু করা। তবে-
এই ইস্যু নিয়ে (ইস্যু বলছি কারণ এই দেশে ধর্ষণ আরো হচ্ছে, হয়েছে কিন্তু প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে কতোজনের জন্য?) এতো দ্রুত ভাইরাল হওয়ার কিছু কারণ আছে-
#ঘটনা ঘটেছে সেনানিবাসে, যেহেতু সেনানিবাস সবচাইতে সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত এবং সাধারণ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি বিরূপ মনোভাবকে কাজে লাগাতে তৎপর সুযোগ সন্ধানীরা। আর জনতা সেনানিবাসের মধ্যেই এমন জঘণ্য কান্ড ঘটেছে বলেছে আরো বেশী প্রতিবাদী (মানুন আর নাই মানুন-এটাই ফ্যাক্ট)
#পোশাক, যেহেতু হিজাব পড়তো তাই দেশের মধ্যে চলমান অন্ধবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ইস্যু (আবারো বলছি ইস্যু!)।
#অনলাইন আইডেনটিটি থাকা- এ নিয়ে এর চাইতে বেশী কিছু বলার নেই।
এইবার কিছু তেতো সত্য শুনুনঃ
#ধর্ষিতার ছবি কোন অর্থেই প্রকাশ করা উচিত নয়- সে বেঁচে থাকুক বা মারা যাক। অন্তত যতক্ষণ প্রকৃত অপরাধী ধরা না হয় ততোক্ষণ ধর্ষিতার ছবি প্রকাশ না করে ধর্ষকের পরিচয় জানার জন্য প্রতিবাদী হওয়া উচিত। এই ইস্যুতে যেহেতু ধর্ষক/খুনী কে বা কারা তা জানা যায়নি তাই উচিত ছিল প্রতিকী আদল বানিয়ে নেওয়া। কারণ ধর্ষিতার চেহারা নেই কোন, থাকলে সে ধর্ষিত হতো না কিছুতেই।
#ছবি প্রকাশ করে বিচার চাইছেন। সেই সাথে সুযোগ সন্ধানীরা মিথ্যে ছবি দিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে-এর দায়ভার কে নিবে? যে মেয়ের ছবি এই ইস্যুর সাথে যুক্ত নয় সেই মেয়ের পরিবারের দায়ভার কি আপনি বা আমি বা অন্য কেউ নিতে রাজী?
“তনু হত্যার বিচার চেয়ে আপনারা রক্তাক্ত অর্ধনগ্ন একটি
মেয়ের লাশের ছবি পোস্ট করছেন।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি ভ্রান্ত এবং বানোয়াট ছবি
পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। এটা তনুর ছবি না। এটা
ভিয়েতনামের একটি মেয়ের ছবি।
ছবিটি “CRIME SCENE RECONSTRUCTION: FORENSIC
BLOODSTAIN PATTERN ANALYSIS” নামক বইয়ের ১০ নম্বর
চ্যাপ্টারে ব্যাবহার করা হয়েছে “FORENSIC BLOODSTAIN
PATTERN ANALYSIS” এর উদাহরণ হিসেবে।”
#পোশাককে হাইলাইট করে প্রতিবাদ করবেন? এই হাইলাইট করার জন্য মেয়েটি খুন হওয়ার পরেও যে প্রতিবার ধর্ষিত হচ্ছে তা কি বুঝতে পারছেন? অবাক লাগে আমরা সচেতনরাই প্রতিবাদের ভাষা বানিয়েছি- ‘হিজাব করার পরেও ধর্ষণ’! অদ্ভুত আমাদের মানসিকতা।
#সবাই বিচার চাইছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত ধর্ষক/খুনীর পরিচয় সবার আগে জানতে চাই বলে কি কেউ কিছু বলেছেন? মনে রাখবেন, ধর্ষক/খুনীর পরিচয় জানা গেলেই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।
#ভিক্টিমের ধর্ষণ/খুনের বিচার চাইতে গিয়ে ভিক্টিমকেই ইস্যু বানিয়ে ফেলেছেন।
এইজন্যেই ধর্ষণ আজ আমাদের সমাজে ইস্যু কিন্তু কোন সামাজিক ব্যাধি নয়।
#ধর্ষণ/খুন নিয়ে প্রতিবাদী সবাই কিন্তু নিজের ভাই বোনকে কি পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখাচ্ছেন/শেখাচ্ছি?
তনু ধর্ষণ/হত্যার বিচারের সর্বশেষ হালনাগাদ জানতেঃ
https://mobile.facebook.com/story.php…
আমরা এখন আকাশ সংস্কৃতির যুগে এসে পড়েছি। নিষেধ বা বাঁধা দিয়েও আপনি কোন কিছু হতে কাউকে নিবৃত করতে পারবেন না। পারবেন যদি শিশুকাল হতেই তাকে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়ে আসেন।
আসুন, ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ করার সাথে সাথে নিজের পরিবারকে শিক্ষা দেই, তা না হলে প্রতিবাদ করবো, বিচার চাইবো, বিচার হবে এবং একই ঘটনা বারেবারে যুগে যুগে ঘটতে থাকবে।
বিচার চাই, বিচার চাই বলে অতিস্বত্বর বিচার চাইছেন কিন্তু বাকি যেইসব বিচার জমে আছে তারা কি দোষ করলো? বিচারের মামলা জমছে কেন? চাওয়া মাত্রই সব বিচার পাওয়া কি সম্ভব? সম্ভব নয়, সময় লাগে। সময় দিতেও জানতে হয় নচেৎ সাগর-রুনী হত্যার দ্রুত বিচারের দাবীর মতোই সব খেলো হয়ে যাবে।
প্রতিবাদ বিচার চাওয়া নিয়ে, বরং চাই সুস্থ পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের শিক্ষার বিস্তার এবং এটা সরকারের দায়িত্ব নয়-আপনার ও আমার এবং আমাদের সবার দায়িত্ব।
(কোট-আনকোটেড সকল তথ্য সংগৃহীত)
#সকল_ধর্ষণ_খুনের_বিচার_চাই
#পারিবারিক_ও_সামাজিক_মূল্যবোধের_শিক্ষার_বাস্তবায়ন_চাই
৩৫টি মন্তব্য
খসড়া
একটি মেয়ে বা মা বা নারী কেউ কিছু করলেই তো মিডিয়া নিজেরাই তদন্ত করে রায় ও দিয়ে দেয়। নারীর হাস্যকর অপরাধ তুলে আনে।
তনুর বয়ফ্রেন্ড ছিল কিনা থাকলে কয়টা ছিল?
তনু টি সার্ট জিন্স প্যান্ট পরতো কিনা?
তনু কয়টি বিয়ে করেছে?
তনু বিয়ের পর তার স্বামীর টাইটেল লাগিয়েছিল কিন তার নামের ল্যাঞ্জে।
তনু পরকিয়া করতো কিনা? অন্তত এই কথাগুলিই বলুন।
তবুও তো পৃথিবীর মানুষ জানবে যে তনু নামের একটি মেয়ে ছিল, সে মারা গিয়েছে, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
না হয় সে খারাপই ছিল, এই দেশের প্রতিটি মেয়েইতো খারাপ। তবুও বলুন এমন নিরবতা ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে।
তাকে ধর্ষন করে মেরে ফেলা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।
এই সমাজ পাকিদের ক্ষমা চাইতে বলে, এই রাষ্ট্র বিরাঙ্গনাদের সন্মান করে।
ভোরের শিশির
সেনানিবাস বলে সেখানে মহামানব বাস করে? ধর্ষক তো আমরা পুরুষেরাই? ধর্ষকের কাছে কোন স্থানই নিরাপদ নয়।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
বিচার চাই।
দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।
ভোরের শিশির
সত্যি বলতে কি আমি বিচার চাই না। কারণ বিচার চেয়ে শাস্তি হবে যেমন তেমনই আবার ধর্ষিত হবে আরো একজন ও বহুজন। এর একমাত্র কারণ আমি বা আপনি। আমরা পুরুষরাই মেয়েদের ধর্ষণ করে খুন করি। আমরা যতোদিন ঠিক না হবো ততোদিন বিচার চেয়ে লাভ কি?
আবু খায়ের আনিছ
অনেকদিন পর ফিরলেন, ভালো লাগল।
# শুধু তনু ধর্ষণ ও হত্যরা বিচার নয় সাথে সকল ধর্ষণ হ্ত্যার বিচার হোক, আর আন্দোলন হোক সকল ধর্ষীতাকে নিয়েই শুধু তনুকে নিয়ে নয়।
# ধর্ষীতার ছবি ব্যবহার করা ঠিক হয়নি, সেই সাথে যে অর্ধনগ্ন ছবিটা ব্যবহার করা হচ্ছে তাও যে ভুল তা প্রমাণিত।
# ধর্ষণ এর সাথে হিজাবের সম্পর্ক তা আমার বোধগম্য নয়।
# যেহেতু এখনো অপরাধীকে ধরা সম্ভব হয়নি সেহেতু আমি বলতেই পারি এই আন্দোলণ এর সাথে অপরাধীরাও জড়িয়ে থাকতে পারে। মুখোশের আড়ালে অনেক কিছুই সম্ভব।
# সেনানিবাসে এমন একটা ঘটনা সেনানিবাসের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে? সুতরাং এর সুষ্ঠ তদন্ত আর বিচার অত্যাবশকীয়। যেহেতু সেনানিবাস এ প্রবেশ সংরক্ষিত থাকে সুতরাং সেখানে কি করে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাও প্রশ্ন বিদ্ধ।
ভোরের শিশির
মানবসৃষ্ট কোন কিছুই নিঁখুত নয়। সেনানিবাসে ঘটার পর এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন যেমন উঠেছে তেমনই প্রশ্ন আসলেই কি হয়েছে এবং কোথায় হয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর আমরা তদন্ত শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত পাবো না কিছুতেই কারণ সেনানিবাসের নিয়মই এমন। এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন যেমন মনে আসে তেমনই অনেক উত্তরও মাথায় ঘুরে তবুও কিছুই বলার মতো নেই কারণ সিভিল এরিয়াতে কিছু হলে সেখানের দায়বদ্ধতা ও তদন্তের যোগ্যতা নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরে। কিন্তু আমার জানামতে বর্তমানের সেনানিবাস বা সেনাবাহিনী পুরনো ধ্যান ধারণা বদলে দিয়ে দেশের সাথে দেশের নিয়মের মধ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। তাহলে হয় কি করে এমন ঘটনা? এইজন্য অপেক্ষা করতেই হবে।
এই প্রতিবাদ শুরুই হয়েছে ‘হিজাব করা মেয়েও ধর্ষিত’ এই মানসিকতা ও কথায়। এবং শুরু করেছে আধুনিক প্রগতিশীল মানুষেরাই।
পুরো প্রতিবাদের ধরনে দুটো টার্ম- ১# সেনানিবাস ২# পোশাক
আবু খায়ের আনিছ
দাদা, সোজা একটা কথা বলি, একটা ইস্যুকে ধামাচাপা দেয় আরেকটা ইস্যু। একটা ইস্যুকে আলোচনা থেকে সরিয়ে দিতে আরেকটা ইস্যু তৈরি করা হয়।
তনু ছাড়াও দেশে অনেক মেয়ে ধর্ষীত হচ্ছে, কিন্তু হঠাৎ করেই তনুকে নিয়ে এত আন্দোলন এর কারণ নিশ্চয় আছে? বাংলাদেশ ব্যাংক এর অর্থচুরি। আমার এই কথার অর্থ কোন ভাবেই বিচার না করা বা এর বিরুদ্ধে নয় বরং বুঝাতে চাইছি, একটা ইস্যুকে ঢাকতেই কি অন্য ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে না?
ভোরের শিশির
প্রধান ইস্যু দেশ অস্থিতিশীল করে তুলছে
আবু খায়ের আনিছ
সমাধান হোক।
ইলিয়াস মাসুদ
কথাটা মিথ্যা না 🙁
আবু খায়ের আনিছ
ইস্যু ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছেই বলে মনে হচ্ছে। মাসুদ ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
‘হিজাব করা মেয়েও ধর্ষিত’ কথাটা দিয়ে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে, বুঝিনি। হতে পারে, একটা মেয়ে ধর্ষনের স্বীকার হলেই এক জোটের মানুষ তার পোশাক নিয়ে মাতামাতি শুরু করে দেয় বলে, অথবা এতো পাক পবিত্র নারীও রক্ষা পেলোনা!! এই মনোভাব থেকে। যে মানসিকতা নিয়েই লিখুক, এ ধরনের মানুষদের নতুন করে যাচাই করাই বৃথা।
একজন নারী, ঘরের মতো নিরাপদ জায়গায় তার পরিবারের কোন এক সদস্যকে দিয়ে ধর্ষনের স্বিকার হচ্ছে, সেনানিবাস কি তার চাইতেও নিরাপদ কোন জায়গা?
যখন মিথ্যে বানোয়াট ছবি দিয়ে কেওয়াজই কারো উদ্যেশ্য হয়, তাকে ইস্যু বললে ক্ষতি কি? পরিবারের শিক্ষা সবচাইতে বড় হলেও, এইসব কীটদের বিচার চাইবোই, পাই বা না পাই। শুধু বিচার না, এমন বিচার যেটা মনে করে, আর কেউ তা করার সাহস পাবেনা।
অবশ্য তা কিভাবেই বা চাইবো, এখন ধর্ষনের শাস্তি থেকে তো মৃত্যুদন্ড উঠিয়ে দেয়া হয়েছে শুনেছি। এখন শুধু জায়েজ করে দেয়া বাঁকি।
ভোরের শিশির
বিচার তো চাইবোই। সুস্থ মানুষ এইসব অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি চায়। কিন্তু বারংবার বিচার চাইছি, নিয়মের ফাঁকফোকর রেখে ঢেকে শাস্তি হচ্ছেও। আসল কাজটি হচ্ছে কই? হলে তো ধর্ষকের জন্ম হতো না!
মেহেরী তাজ
আসলেন???? সত্যি না মিথ্যা???
ভোরের শিশির
দুইডার একটাও না ;?
মেহেরী তাজ
দৌড়ানির উপর রাখা দরকার! পসা আপনি! ;?
ভোরের শিশির
আপনে দৌড়ানির উপর রাখেন তবে তাতেও পারবেন না। লীলাপুকে নিয়ে আসেন, উনি পারেন 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ধর্ষণ এই শব্দটি শুনলেই আমার অনেক যন্ত্রণা হয়। একজন নারীর কোথাও নিরাপত্তা নেই। সে নিরাপদ নয় কোনো জায়গাতেই। সেদিন পড়লাম মিশরে রাস্তা থেকে অনেক মানুষের মধ্যেও নারীকে তুলে এনে রাস্তাতেই নাকি…আর সেটা গ্যাংরেপ।
ভোরের শিশির
ধর্ষণ শব্দটি সবার জন্য যন্ত্রণার। একজন নারীর কোথাও নিরাপত্তা নেই বলছেন অথচ আপনি আছেন সুরক্ষিত এবং উন্নত দেশে! অথচ সব দোষ আমাদের সরকারের এবং সেনাবাহিনীর!
মিশর নিয়ে যা বললেন তা এখানে অবান্তর। ধর্ষণে গ্যাং বা সিংগেল বলে কিছু নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভোরের শিশির আপনি যেভাবে প্রতি-মন্তব্য করলেন, তারপর আর কিছু বলা সাজেনা।
আমি জানিনা আপনার সাথে এমন কোনো অভদ্র আচরণ করেছি কিনা। তবে ভুল হয়ে গেছে এখানে মন্তব্য করা, এটুকু বলতে পারছি।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
ভোরের শিশির
অভদ্র কোন শব্দটি দেখলেন জানাবেন কি? যদি জানান তবে ভদ্রতা শিখবো অবশ্যই সেই বিচারে।
গণধর্ষণ বা গ্যাংব্যাং এর উদাহরণ দিলেন। অথচ আপনি ধর্ষণ শব্দটি নিতে পারেন না এবং এই পোস্ট সকল ধর্ষণের প্রতিবাদে পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষা নিয়ে বলা। অথচ সেখানেই আপনি মন্তব্য করছেন ধর্ষণ উদাহরণ দিয়ে। এটাই অবান্তর।
পুনশ্চঃ এই অনলাইনে ভদ্রতা কি বস্তু তা খুব শিখেছি। তাই নতুন করে শিখতে আপত্তি নেই যদি আপনি জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।
ভোরের শিশির
আরো কিছু কথা, আপনার সব কথাতেই জ্বী হুজুর, ঠিক বলেছেন বলার মতো ভদ্রতাবোধ আমার নেই। আগেও একবার আপনার মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আপনি আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন। ভদ্রতাবোধে আমি প্রতি মন্তব্যে কিছু বলিনি। আবার আপনি এখানে বলছেন আমি আপনাকে অভদ্র আচরণ করেছেন বলেছি বা আপনার সেই ধারণা।
আপনার বা আমার কোন কথায় দ্বিমত হলেই ভদ্রতাবোধ ছুটে যাবে মানসিকতা ত্যাগ করা উচিত সবার।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
[ নীলাঞ্জনা নীলা বলেছেনঃ আমি জানিনা আপনার সাথে এমন কোনো অভদ্র আচরণ করেছি কিনা। তবে ভুল হয়ে গেছে এখানে মন্তব্য করা, এটুকু বলতে পারছি। ]
এখানে নীলাঞ্জনা নীলার মন্তব্যটি ছিল অতি সাধারণ একটি মন্তব্য। নীলাঞ্জনা নীলা ” অভদ্র” শব্দটি ব্যবহার করেছেন তার নিজের দিকেই, এই পোষ্ট দাতার বিরুদ্ধে না। ‘অভদ্র’ শব্দটি নিজের দিকে নিয়ে, ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে যেভাবে জবাব দিলেন, সেভাবে এই সোনেলায় আজ পর্যন্ত কোন নারী ব্লগারকে বলেন নি কেউ কোনোদিন।
নীলাঞ্জনা নীলার মন্তব্যে কোঁথাও বলা হয়নি আপনি যেভাবে বলেছেন [ আবার আপনি এখানে বলছেন আমি আপনাকে অভদ্র আচরণ করেছেন বলেছি বা আপনার সেই ধারণা। – ভোরের শিশির ]। তার মন্তব্য আর আপনার জবাব সম্পুর্নই বিপরীত মুখি।
তাঁর প্রতি এমন আক্রমনাত্বক জবাবের প্রতিবাদ করছি, যা তিনি বলেন নি, তা নিয়ে এমন জবাব গ্রহনযোগ্য নয়, কাম্যও নয়।
ভোরের শিশির
“[ নীলাঞ্জনা নীলা বলেছেনঃ আমি জানিনা আপনার সাথে এমন কোনো অভদ্র আচরণ করেছি কিনা। তবে ভুল হয়ে গেছে এখানে মন্তব্য করা, এটুকু বলতে পারছি। ]”
/কিসের ভিত্তিতে এমন বলছেন তবে জানাতে পারবেন আমাকে? ‘অভদ্র শব্দটি নিজের দিকে আমার পোস্টে এসে কেন ব্যবহার করবেন?
এর আগেও উনি উনার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে আমাকে বলছেন আমি উনার সাথে গুরুজনসুলভ ব্যবহার করিনি যেখানে এই রকম কথা সম্পূর্ণ অবান্তর। এখন আবার এখানে উনি নিজেকে অভদ্র শব্দের সাথে জড়িয়ে কিছু বলার মানে তবে আপনি ব্যাখ্যা করুন জিসান ভাইয়া।/
“‘অভদ্র’ শব্দটি নিজের দিকে নিয়ে, ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করে যেভাবে জবাব দিলেন, সেভাবে এই সোনেলায় আজ পর্যন্ত কোন নারী ব্লগারকে বলেন নি কেউ কোনোদিন।
নীলাঞ্জনা নীলার মন্তব্যে কোঁথাও বলা হয়নি আপনি যেভাবে বলেছেন”
/প্রথমতঃ পোস্ট পড়ার সময় নারী ব্লগার কি পুরুষ ব্লগার দেখি না জিসান ভাইয়া। বক্তব্যেও আমি সেভাবে নেই না।
দ্বিতীয়তঃ সোনেলায় আর কোন নারী ব্লগার নিজেকে অভদ্র আচরণের সাথে মিলিয়ে কোন বক্তব্য দিয়েছে কি না আমার জানা নেই। এই প্রথম দেখলাম, তাই আমার বক্তব্যকে অবান্তর মনে হওয়াকে যদি উনি “আমি জানিনা আপনার সাথে এমন কোনো অভদ্র আচরণ করেছি কিনা” লিখে নিজেক অভদ্র বলা মানে আমাকে কি বলা সেটা বুঝতে চাই যখন আপনি প্রতিবাদ করলেন।
আমার মন্তব্যের ব্যাখ্যা আমি আবারো দিচ্ছিঃ কারো কোন কথা আমার সাথে নাও মিলতে পারে। কিন্তু তাই বলে সেটার জন্য কেউ নিজেকে অভদ্র আচরণ করা হয়েছে কিনা বলার মানে আমি অভদ্র আচরণ করেছি।
আপনার কাছে নীলাঞ্জনা নীলার বক্তব্য যদি যৌক্তিক আর আমার ব্যাখ্যা অযৌক্তিক মনে হয় তবে জানাবেন। আমি সেই অনুযায়ী নিজেকে দেখে নিবো।
অপার্থিব
ধর্ষিতার ছবি কোন অর্থেই প্রকাশ করা উচিত নয় এই মুল্যবোধের উৎস রক্ষণশীলতা ছাড়া অন্য কিছু নয়। রক্ষণশীল সমাজে ভিক্টিমকে সামাজিক হয়রানি থেকে রক্ষা করতে এই নিয়মের উদ্ভব ঘটেছে। এই কেসের ভিক্টিম মৃত, সামাজিক হয়রানির সম্ভাবনা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমাদের দেশে তনু হত্যা নিয়ে যে প্রতিবাদ হচ্ছে সেটাও মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কেন্দ্রীক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে সেলফ প্রমোশনের জায়গা। এখানে মানুষ প্রতি ঘন্টায় ঘণ্টায় সেলফি আপলোড করে নিজের প্রমোশন নিজে চালায়। এই মাধ্যমে কোন আন্দোলন প্রমোট করতে ভিক্টিমের ছবি প্রয়োজন। এখানে প্রতীকী ছবির চেয়ে মূল ছবি অনেক বেশি কার্যকর। এটাই বাস্তবতা। কোন মুল্যবোধই চিরস্থায়ী নয়। ন্যায় সঙ্গত দাবী আদায়ে প্রচলিত মুল্যবোধ পরিবর্তন দোষের কিছু নয়।
//”অবাক লাগে আমরা সচেতনরাই প্রতিবাদের ভাষা বানিয়েছি- ‘হিজাব করার পরেও ধর্ষণ’!”//
-ওয়েল, ধরুন মেয়েটি হিজাব না পরে জিন্স টপ পড়ত সেক্ষেত্রে ধর্ষণের পর এক শ্রেনীর মানুষ তার পোশাক, চরিত্র বা ব্যক্তিজীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলতো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কারা ? তারা দেশের কত শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে? খেয়াল করলে দেখা যেত যে এরা সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং নিঃসন্দেহে সেটা ‘হিজাব করার পরেও ধর্ষণ’” বক্তাদের চেয়েও অনেক বেশি। যারা ‘হিজাব করার পরেও ধর্ষণ’!” বলছে তারা অবশ্যই পোশাককে হাইলাইট করে কথাটি বলছে কিন্তু শুধু এটুকু বললে আসলে আংশিক বলা হয়। যারা এই কথা বলছে তারা অবশ্যই পোশাককে হাইলাইট করছে কিন্ত তারা সেটা করছে সমাজের একটা বড় অংশের ধর্ষকামী মনোভাব বা পোশাক দিয়ে ধর্ষণকে জাষ্টিফাই করার যে প্রবণতা সমাজে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটাকে বোঝাতে। “জিন্স পরার পরে ধর্ষণ” আর ‘হিজাব করার পরে ধর্ষণ’ এই কথা দুটোতে বক্তার দৃষ্টিকোন থেকে অনেক পার্থক্য আছে।
//সেনানিবাসে, যেহেতু সেনানিবাস সবচাইতে সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত এবং সাধারণ্যে সেনাবাহিনীর প্রতি বিরূপ মনোভাবকে কাজে লাগাতে তৎপর সুযোগ সন্ধানীরা। //
এটা প্রো ন্যাশনালিষ্ট কথা বার্তা। সব ফ্যাসিষ্ট সরকারই জনগনের ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে ভয় পায়, তাই আন্দোলনকে ডিফিউজ ও ডিমোরালাইজ করার জন্য এই জাতীয় ষড়যন্ত্র তত্বের ধুয়া তুলে থাকে। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নুতুন কিছু না। জানিসংঘে শান্তি রক্ষী বাহিনীতে কর্ম রত অবস্থায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কিত সম্প্রতি বিদেশী পত্রিকায় এসেছে। পাহাড়ে কল্পনা চাকমা ধর্ষণ এক সময় বেশ আলোচিত হয়েছিল। এছাড়াও পাহাড়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার পাহাড়ি মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। এক শ্রেণীর ন্যাশনালিষ্ট অবশ্য পাহাড়ে ধর্ষণের কথা শুনলে তথ্য প্রমাণ দাবী করে। অবশ্য তারা ভুলে যায় তথ্য প্রমাণের জন্য মিডিয়ার তৎপরতা বা বস্তুনিষ্ঠ গবেষনা কার্যকম প্রয়োজন। কিন্ত পাহাড়ে সেনাবাহিনীর তৎপরতা নিয়ে সে অর্থে বস্তুনিষ্ঠ কোন গবেষনা বাংলাদেশে হয় নি , যেটুকু হয়েছে সেটাও জাতিয়তাবাদী অবস্থান থেকে। মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে কর্পোরেটরা, সেনাবাহিনীর মন জুগিয়ে তাদের চলতে হয়। পাহাড়ে ধর্ষণের অভিযোগ তুললে তথ্য প্রমাণের ধুয়া তুলে উড়িয়ে দেওয়া আর পাকিস্তানী বা তাদের ভাবধারায় বিশ্বাসীদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতা দুই লাখ বীরঙ্গনার নামের তালিকা চাওয়া এই দুটোকে আমার কাছে একই বলে মনে হয়। সেনানিবাস সুরক্ষিত অঞ্চল হওয়ায় এবং তাদের উপর জনগণের রক্ষার ভার থাকায় এই ঘটনায় মানুষের নিরাপত্তাবোধের অনুভূতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারই কিছু প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানুষ দুর্বল অপরাধীর চেয়ে শক্তিশালী অপরাধীর শাস্তি দেখতে পছন্দ করে। আমরা যেমন চুনো পুটি রাজাকারের চেয়ে সাকা মুজাহিদের মত বড় রাজাকারের ফাসি দেখতে পছন্দ করি, এখানেও ঠিক তাই ঘটছে। আর যদি সত্যিই কোন সুযোগ সন্ধানী এই ঘটনাকে পুজি করে সরকারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তবে তাদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের দায়িত্ব সরকারের।
//বিচার চাইছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত ধর্ষক/খুনীর পরিচয় সবার আগে জানতে চাই বলে কি কেউ কিছু বলেছেন? //
এটা খুবই হাস্যকর কথা। ধর্ষণ/ খুনের বিচার চাওয়ার মধ্যেই ধর্ষক / খুনীর পরিচয় উদ্ঘাটনের প্রশ্ন জড়িত। ধর্ষণ/ খুনের বিচার দাবীতে আন্দোলন করতে গেলে আলাদা করে ধর্ষক / খুনীর পরিচয় জানতে আন্দোলন করতে হবে এমন কোন কথা নেই।
ভোরের শিশির
অবাক হলেও সত্যি আপনি আমাকে প্রো ন্যাশনালিস্ট বলছেন অথচ নিজেই আমাকে প্রো মেন্তালিটির হতে বলছেন!
(আপনার প্রতিটি কথার প্রতিউত্তর দিয়ে পোস্ট করতে গিয়ে পোস্ট হচ্ছে না এবং লেখা হাওয়া। তাই দু এক লাইনেই উত্তর দিচ্ছি)
আমি প্রো হতে পারি যদি আমার সন্তানদের আমি সঠিকভাবে শিক্ষিত করতে পারি। তা না হলে আমার প্রো মানসিকতার জন্য হাজারো ধর্ষক জন্ম নিবে কেন না এরা আমরাই।
বাকি সব প্রশ্নের কমন উত্তর, আমি প্রো ন্যাশনালিস্ট হলে আপনি প্রো-বামপন্থী কারণ যাই কিছু হোক সরকারের দোষ এবং বিচার করতে হবে। অথচ ভাবি না এই দোষীরা আমাদের কেউ।
আপনার মন্তব্য উপভোগ্য ছিল। 🙂
অপার্থিব
প্রথমত আমি কাউকে প্রো ন্যাশানলিষ্ট বলি নাই,সুনির্দিষ্ট ভাবে পোষ্টের একটি উক্তিকে চিহ্নিত করে একে প্রো ন্যাশানলিষ্ট উক্তি বলেছি। আপনার উদ্ভট প্রতিমন্তব্য যথেষ্ট অবাক ও বিনোদিত করলো। যেহেতু মন্তব্যের উল্লেখিত পয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে কোন যুক্তি উপস্থাপন করেন নাই বা পারেন নাই , আলোচনার ইতি এখানেই টানলাম। বিদায়।
ভোরের শিশির
আমি অন্যদের মতো ব্লগের নই। আমি যা বলি তাই আমি। দ্বৈতস্বত্বার কেউ নই। তাই আমার পোস্টের কোন পয়েন্ট প্রো ন্যাশনালিস্ট মানেই আমার মনোভাবকেই প্রো-ন্যাশনালিস্ট বলা। দ্বিস্বত্বা নিয়ে থাকলে আপনাকে বিনোদিত করতাম না সত্যি।
আপনার প্রতিটি পয়েন্টের ব্যখ্যার প্রতি মন্তব্য অবশ্যই আমার আছে, ছিল। যেহেতু প্রথমবার সবগুলোর উত্তর দেওয়ার পরেও পোস্ট করতে পারিনি তাই আর করিনি। আর যেহেতু বলছেন বলছেন যুক্তি উপস্থাপন করতে পারিনি তার মানে এই নয় যে কেউ দু পা থমকে দাঁড়ালে সে আর হাঁটে না বা হাঁটতে জানে না।
আপনার একটি শব্দ ‘বিরুদ্ধে’-এখানেই পার্থক্য আপনার প্রো ভাবনা আর আমার প্রো ভাবনার সাথে।
জিসান শা ইকরাম
গতকালকে দেখলাম, তনুর হত্যাকান্ড নিয়ে কয়েকটি পোষ্টে এমন সব মেয়েদের ছবি দেয়া হয়েছে যা তনুর না
নিজের ফেইসবুক আইডির হিট বাড়াতে, অনলাইন নিউজের হিট বাড়াতে এসব করা হচ্ছে,
যেমন একটি অনলাইন নিউজের হেডিং ‘ ধর্ষকেরা ধর্ষন করার সময় প্রটেকশন ব্যবহার করেছে” ___ ইচ্ছে করছিল জুতাই এই নিউজের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
তনুকে এখন জনপ্রিয়তার একটা মডেল হিসেবে ব্যবহার করছে অনেক।
কিছুদিন পরে অন্য কোনো ‘ ইস্যু’ এসে তনুকে ভুলিয়ে দেবে।
লেখা ভালো হয়েছে।
ভোরের শিশির
এই অনলাইনে যত ধর্ষণের প্রতিবাদ হয়েছে তার কোনটাতেই কোনবার কোন ধর্ষকের ছবি প্রকাশ করা নিয়ে আন্দলোন হয়নি, কেউ দাবীও করেনি। আমি থুঃ মারি এইসব প্রতিবাদীদের।
জিসান শা ইকরাম
এটিই নিয়ম হয়ে গিয়েছে, পত্রিকায় ধর্ষকের পরিচয় এমন ভাবে দেয়া হয় যেন তাকে খুঁজে না পাওয়া যায়।
আর ধর্ষিতার পরিচয় এমন ভাবে দেয়া হয় যেন খুব সহজেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
ধর্ষককে সন্মান জানিয়ে বলা হয় ……… ধর্ষন করেন।
সব কিছু এমন ভাবে হয় যেন ধর্ষনে মানুষ যেন আরো উৎসাহিত হয়, একটা পৈশাচিকতা কাজ করে এসব খবরে।
ব্লগার সজীব
তনু ধর্ষন ঘটনার কোন বিচার হবেনা, এটিও একদিন সবাই ভুলে যাবে। তনুর বাবা মা ২০ হাজার টাকা পেয়েছে, এটিই তনুর মূল্য বলে বিবেচিত হয়েছে প্রশাসনের কাছে।
ভোরের শিশির
সজু বাইয়া,
কর্মাধীন থাকায় এবং কর্মে থাকা অবস্থায় কর্মস্থলে বা অন্যখানে কেউ আহত হলে সেই প্রতিষ্ঠান উক্ত ব্যক্তি যতোদিন কর্মক্ষম না হবেন ততোদিন তার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নেয় কিন্তু মারা গেলে এককালীন অর্থ ও অন্যান্য সুবিধের সামগ্রিক মূল্যকে অর্থে পরিণত করে দিয়ে থাকে।
প্রতিটি রাষ্ট্রই জনগণের দেয় কর হতে অর্থ যোগান করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। তাই রাষ্ট্রের পক্ষ হতে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি হয় সেই অনুপাতে।
প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকে ব্যক্তি মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দিলে সেটা আমাদের গায়ে লাগে না কিন্তু সরকার দিলে গায়ে লাগে। কারণ সরকার বলতে আমাদের কাছে সকল কিছুর সমাধান যাই দিক তা কোনদিনই সন্তুষ্টির পর্যায়ে নয় মানসিকতা ধারণ করি।
এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোন ক্ষতিপূরণ হতে পারে না কোন বিচারেই তাই, সরকার যা দেয় বা কোন প্রতিষ্ঠান যা দেয় তা সন্মান করা নাগরিক হিসেবে। আর কিছুই নয়।
আর বিচার হবে না বলছেন? সরকার কত দ্রুত বিচার করতে পারে? যে দেশে প্রতিনিয়ত জনতা দূর্নীতির আশ্রয় নেয় নিয়মের ফাঁক বের করে এবং অন্যায় করে আর সেই অন্যায়ের প্রতিকারে ও দেশ পরিচালনায় সরকার ব্যস্ত থাকে সেই দেশের বিচার ব্যবস্থা ততোই দ্রুত হয় যা তার সামগ্রিক অবস্থানকে নির্দেশ করে। আজ তনু হত্যার দ্রুত বিচার চাইছেন কাল অন্য কিছুতে চাইবেন। সরকার সব বাদ দিয়ে এইটা নিয়ে দ্রুত হতে চাইলে বাকি সবকিছুর দায় কে নিবে? সরকার কোন ব্যক্তি নয় যে যখন যা খুশী নিজের মতো করে করবে। বিচার হবে। কিন্তু সেই বিচার হওয়ার পরে কতোজন নজর রাখবো সেটাই বিবেচ্য।
নাজমুস সাকিব রহমান
তাও ভালো, সবাই এটি নিয়ে কথা বলছি। পার্বত্য চট্রগ্রামে যা হয়, তা তো এড়িয়ে যাওয়া হয়। ওঁদের ভাগ্য খারাপ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
জেনে ভাল লাগল সুন্দর ভাবেই আমাদের মতো অতি উৎসাহি আন্দোলনকারীদের ভুল ধরিয়ে দিলেন।সত্যিইতো আর্মিদের স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শুধু মাত্র আর্মি বলেই এত আহাজারি -{@
পোষ্টের শেষে এ সব অপরাধ নির্মুলে শুধু সরকার নয় আমাদেরওকেও সচেতন হতে হবে আমরা কি করছি? (y)