তখন কচিং সেন্টার এভাবে বিস্তার লাভ করেনি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাই/বোনদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যপারে সাজেশন নেয়া এই ছিল কাজ। তখন পাখা গজিয়েছে। বাবা/মা বলেন— ভাল করে বই পড় না হলে কোথাও চাঞ্চ পাবেনা। কিসের পড়াশুনা? পড়াশুনার নাম করে এই হল ঐ হল দল বেঁধে ঘুড়ে বেড়ান। কোন কোন ভাইয়া/আপা তাদের আদর্শের কথা বলে আমাদের বিমোহিত করে দিত। আমারা তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতাম এইখানে ভর্তি হলে এই ভাইয়া/আপা হবেন আমাদের আদর্শ। তবে এটা ঠিক কোন ভাবেই কেন যেন আমাদের মনে স্থান করে নিতে পারেনি জামাতের ভাইয়া/আপারা।
ঠিক কবে থেকে যে ই এম ই বিল্ডিং এর সামনে বসে আড্ডা দিতে শুরু করেছিলাম মনে নেই। সেই সময় প্রায়ই দেখতাম ভীষন শান্ত ভঙ্গিতে একটি ছেলে ই এম ই বিল্ডিং থেকে বের হয়ে রশিদ হলের দিকে যেত একা। ছেলেটি হাঁটতো সোজা হয়ে কিন্তু দাঁড়াত এক পায়ের উপর ভর করে বাঁকা হয়ে। কখনই তাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেখিনি। ছেলেটি ই এম ই বিল্ডিং থেকে বের হওয়া মাত্র আমরা নিজেদের মধ্যে ডাকতাম ‘দ’ । ছেলেটি নির্বিকার। কোনদিন ফিরেও দেখেনি। তাতে আমাদের আনন্দের এতটুকুও ভাঁটা পরেনি। উপরন্তু তার নাম হয়ে গেল ভোঁতা ‘দ’বা কালা ‘দ’।
কি কারনে জানি না নির্যাতন করার একটি মানুষ আমরা পেয়ে গেলাম। একদিন বাদাম নিয়ে বিক্রেতা ছোকরাকে পাঠালাম তার কাছে টাকা নেবার জন্য। ছেলেটি একবার মাত্র আমাদের দিকে তাকিয়ে টাকাটা দিয়ে দিল। প্রচন্ড আশাহত হলাম। এর তিন চারদিন পর আবার বাদামওয়ালাকে পাঠালাম তার কাছে। এবার সে এসে বলল—- “ কি চান আপনারা?”
—“আমরা তো কিছু চাই না।“
—“গেটের কাছে চাইলেই পারতেন দুই টাকা, বেচারা বাদামওয়ালাটাকে ভিক্ষা করা শেখাচ্ছেন কেন?” বলে বাদামওয়ালাকে দুই টাকা দিল, আর আমাদের দিকে দশ টাকার একটা নোট বাড়িয়ে ধরে বলল —আপনাদের পাঁচ দিনের বাদামের দাম অগ্রীম দিলাম ধরেন। আমরা কেউ হাত বাড়ালাম না দেখে টাকাটা বাদামওয়ালাকে দিয়ে বলল –“ওদের পাঁচ দিন বাদাম খাওয়াস।“ ততক্ষণে আমাদের হা হা হিহি সব শেষ। জীবদের সব আনন্দ ধূলিসাৎ। অপমানে জর্জরিত আমরা ছয়জন পরবর্তী কর্মসূচী স্থগিত রেখে বাড়ি অভিমুখে রওয়ানা হলাম।
পরবর্তী কর্মসূচী ছিল তৌকির আহম্মেদকে টন্ট করা এবং সেখান থেকে বেরিয়ে ইডেন কলেজের সামনে এসে বুইড়া ডেন্টিস্ট অরূপ রতন চৌধুরীর হাসি মুখের দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে তা তা দেয়া।
এর পর দিন গেছে দিনের নিয়মে। আমাদের কাজ আমরা করে গেছি। তাই বলে ভদ্রলোক হয়েছিলাম ভাবার কোন কারন নেই। আমাদের ছয় জন এর মধ্য আমি ও রুমা ছিলাম একই খুরে মাথা কামানো। হেন অপরাধ নাই যা আমরা ছয়জন ছাড়া করি নাই তবে রুমা ও আমি ছিলাম একই গ্রুপে। আমাদের অপরাধের তালিকায় ছিল— ছিনতাই, সিগারেট খাওয়া, গাঁজা টানা, ভিক্ষা করা, চুরি করা, টেলিফোনে বিরক্ত করা , পত্রমিতালীর ঠিকানা দেখে চিঠি লেখা, সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য পাত্রচাই বিজ্ঞাপণ দেখে সেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে চিঠিলেখা। একবার এক পাত্র পক্ষতো বিদ্যুতদের বাড়িতে এসে হাজির। বিদ্যুতরা তিন ভাই কোন বোন নাই। বিদুত্যের বাবা/মা তো আমাদের দেখলেই হাসে। এরপর বাবা অবশ্য বলে দিয়েছিল –ঠিকানা দিলে আমার চেম্বারের ঠিকানা দিস। যাই করিনা কেন আমাদের অপরাধের শাস্তি শুধু মৃদু ভৎসনার উপর দিয়ে যেতো, কিন্তু ছেলেগুলির উপর দিয়ে মহা ঝড় বইতো। অপরাধের নাকি এই শুরু।
রুমা ছিল শ্যামলা, ওর ছিল পটল চেরা চোখ আর মেঘ কালো চুল। অপরূপ ঐ চোখের দিকে তাকিয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম। সবাই বলতো ওর চোখ নাকি কথা বলে। এখনও সাদিক ভাই ওর চোখ নিয়ে অখাদ্য কবিতা লেখে আর সুদূর কানাডা থেকে মধ্যরাতে ফোন করে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সেই কবিতা শুনিয়ে বলে —কেমন হয়েছে, বল। আমি হাই তুলতে তুলতে বলি —–সাদিক ভাই কবিতাটা মেইল করেন । আমি আমার নামে ব্লগে ছাপিয়ে দেব। রুমা কোন দিনও কবিতা শোনে না, কবিতা বলতে শুরু করলেই রুমা খুব নিরুত্তাপ গলায় বলে —আমাকে বললেই হয় অন্য ঘরে যাও, কষ্ট করে কবিতা লেখার দরকার কি? হায় রুমা তুই প্রতিভার মূল্য দিলি না। আর আমার জানু গান লেখে সেই গানে তার প্রেমিকা সব সময়ই মৃত। অর্থাৎ তার গান বিরহের। সে যে কাকে নিয়ে লেখে? আমাকে নিয়ে? আমি তো এখনও বেঁচে আছি। আমি মরার আগেই যদি তার দুঃখানুভূতি শেষ হয় তবে তো বিপদ।
একদিন আমরা মানুষ হলাম অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একখানা সার্টিফিকেট পেলাম। বাবা/মা তাদের কর্তব্য সম্পাদন করবার উদ্দ্যেশে আমার জন্য পাত্র খুঁজতে শুরু করল। পাত্র দেখতে গেলাম ইভাদির বাসায়। লম্বাটে মুখে গোল গোল বড় ফ্রেমের চশমা পরিহিত শুকনা পাত্র দেখে পছন্দ হবার কোন কারনই নেই। তা সেই পাত্রের পাত্রীর বাবা/মা কে অভিভূত করবার মত যতই কাগজপত্র থাক না কেন? প্রথমেই ছেলেটাকে কেমন যেন পরিচিত পরিচিত মনে হল। খুঁজে পেলাম টেংরা মাছের সাথে তার চেহারার বড়ই মিল। বাসায় ফিরেই বাবাকে বললাম ——কে বলেছে ছেলে কম কথা বলে? কথা শুনতে শুনতে আমি যা বলব বলে ভেবে রেখেছিলাম তাই তো ভুলে গেছি।!
বাহ্ , কি দারুন! আমি ছাড়াই আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে । বাবাকে যেয়ে বললাম ——-বিয়ে তো আমি করব আমার ছেলে পছন্দ হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসাও করছ না যে? তুমি কি ভেবেছ তোমার পছন্দের ছেলেকে আমি বিয়ে করব?
বাবা বলল —-তুই তো বাসায় ঢুকতে ঢুকতেই জোরে জোরে সবাইকে শুনিয়ে বললি যে তোর ছেলে পছন্দ হয়েছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম —মিথ্যুক, কখন বললাম!!??
—-ঐ যে বললি না যে, কে বলেছে ছেলে কম কথা বলে? কথা শুনতে শুনতে আমি যা বলব বলে ভেবে রেখেছিলাম তাই তো ভুলে গেছি।! ওতেই তো মা আমি বুঝে গেছি ছেলে তোর পছন্দ হয়েছে।
লে হালুয়া। বললাম –বাবা, একটু ভাবতে দাও! বাবা বললেন,—- কাল ওরা আসুক এর পর ভাবিস। পরদিন পাত্রপক্ষ বাসায় এসে যত অঘটন ঘটায় তাতে আমি আর ভাববার সময়ই পেলাম না। একফাঁকে পাত্র আমাকে জিজ্ঞাসা করল —আচ্ছা তোমার সেই গরু গরু চোখের বান্ধবীটা কই? পাত্রের প্রশ্ন শুনে আমার মাথা গরম । রুমার এত্ত সুন্দর চোখকে বলে কিনা গরুর চোখ? জীবনানন্দ দাস এই চোখকে বলেছে পাখির নীড়ের মত? আশ্চর্য! এই ছেলের সাথে সারাজীবন থাকা যাবে না। শূন্য মাথায় ভাবনা ঘুরতে শুরু করল রুমাকে এই টেংরা মাছ চেনে কিভাবে? মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত জয় এসে খবর দিল এই তো আমাদের সেই ‘দ’!
সব শেষে আবার ভাবনায় ডুবে গেলাম যখন রুমা বাবাকে বলল—- চাচা সারাজীবন সব কাজ এক সাথে করেছি, ওর যে বিয়ে হচ্ছে এখন আমার কী হবে? বাবা এক গাল হেসে বললেন –তোর ও হবে মা।
সেটা ছিল ——থাক তারিখটা উহ্যই থাক।
উঠ ছূড়ি তোর বিয়ে টাইপের বিয়ে হয়েছে আমার। যা আমার চেনা কিংবা কল্পনার জগতের সাথে মিলে না। তাই বর যখন আমাকে বলেছিল –শুনেছি তুমি খুব ভাল কবিতা আবৃত্তি করতে পার একটা কবিতা শোনাবে? আমি তখন তাকে শুনিয়েছিলাম –যত বার আলো জ্বালতে চাই/নিভে যায় বারে বারে/——/উৎসবে তার আসে নাই কেহ/বাজে নাই বাসি সাজে নাই গেহ/—-
২৫ এপ্রিল আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। (রব্বি হাম হুমা কামা রব্বাইনা সাগীরা)। বাবাকে কখনই কষ্ট স্পর্শ করতো না। বাবা আমার সব আনন্দের সাথে মিশে আছে। আমি বাবাকে সবসময়ই আনন্দের সাথে স্মরণ করি। ভাল থাক বাবা।
২৫ এপ্রিল, শুভ জন্মদিন তোমাকে আর বলা হয়না মন। তুমি আমার জীবনের আনন্দের কাব্য। সেই রাতে যে আলো জ্বেলেছি তা আলোকিত করে রেখেছে তোমার আমার ভুবন। তুমি আমার বাবার দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার।
৫৬টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
আপু কত ভালো লিখেছেন এই লেখা আমি বুঝিয়ে বলতে পারবো না। একবারে পড়ে ফেললাম আপনার লেখাটি।আপনার লেখার কাহিনী চিত্র আপনি আমাদের মাঝে দিতে পারেন।ঘটনা যেন দেখছি চোখের সামনে। আপনার ‘দ’ আপনার জীবনে আজীবন সুখ নিয়ে আসুক।আপনার বাবার জন্য শ্রদ্ধা।
আমি কিন্তু আপনাকে নিয়ে একটি পোষ্ট দেয়ার পাঁয়তারা করছি।আপনার এই পোষ্টে অনেক মসলা আছে। আপনার গরু কাহিনী ভুলিনি :p অনুমতি চাচ্ছি আপু।
খসড়া
অনুমতি দিলাম। তোমরা আমাকে ভালবাস তাই আমার সব কিছুই তোমাদের কাছে ভাল। ভাল থাক সব সময়।
লীলাবতী
আপু,সজীবকে অনুমতি দিয়ে দিলেন? আমি কি অপরাধ করেছি? ;( আমি আপনার ফেইসবুকে আছি অনেক আগ থেকে।সজীব আছে কিনা জানিনা।সজীব কি ভালো ছেলে বলুন?সে তো ইমো দেয় উল্টা পাল্টা।আমি কেন আপনার পোষ্ট দিতে পারবো না? 🙁
খসড়া
যাও তোমাকেও অনুমতি দিলাম, কিন্তু তুমি কি করবা সেটাই তো জানি না। বোমাটোমা মাইরো না তাইলেই হপে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমরা যারা আপনার লেখা পড়ি……… এ কী পড়ছি! লেখা কে লিখেছে! না না আপনি লেখেননি।
হতেই পারে না। খালি মুখে এ লেখা পড়া যায় না।পড়া ঠিক ও না। কালে কালে কত কী দেখতে হবে। ‘দ’ এখন আর ‘দ’
নেই অন্য অনেক কিছু হয়ে গেছে।
খসড়া
ঠিল বলেছেন। প্লিজ একদিন দাওয়াত দেন মজা করে খাই আর লেখা পড়ি।
ছাইরাছ হেলাল
দাওয়াত পেতে বা দিতে সমস্যা নেই,তবে আমরা যারা দাওয়াত খাই তাদের একটু সমস্যা দাওয়াত দিতে,
একটু কেমন যেন হয়ে যায় না? আগে অনেকগুললো লিখে জমা করুন।
খসড়া
তাহলে আমিওই দাওয়াত দিচ্ছি। চলুন—— আচ্ছা কোথায় যাওয়া যায় বলুন তো।
ছাইরাছ হেলাল
ইস,আগে বলবেন না এই আনন্দ সংবাদ! তা ঠিক করা যাবে।
আচ্ছা চাঁদে গেলে কেমন হয়? টেবিল আগে বুক করতে হয় নাকি?
এবারে বলুন বাজার সদাই কোন দোকানের খান? ঠায়-ঠিকানা দিন।
খেয়ে-দেয়ে দেখি আপনার মত করে লিখতে পার কিনা।
খসড়া
চাঁদে যাইতে মেলা খরচ মর্তেই হোক দেখা
চলুক চা পান কিছু হাসি কিছু কথা 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতা যখন চোখ মেলে তাকিয়েছেন কপালের চা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
ঈশ্বর দয়াময়।
খসড়া
ঈশ্বর মায়াময়ও বটে।
অরণ্য
বেশ লেখা। খুব ভাল লাগলো।
খসড়া
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
গরু গরু চোখের বান্ধবী….লাইনটি বেশ আনকমন আমি প্রথম শুনলাম মেয়েদের গরুর মতো চোখ আছে।হা হা হা….কত রকমের উপমাই যে মেয়েদের চোখঁ নিয়ে -{@ ।
খসড়া
এটা কোন শিল্পি সাহিত্যিক এর উপমা ময়, যন্ত্রমানব মানে ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারের দেয়া উপমা তাই তো গরু গরু চোখ।
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ আপু। কেন জানি মনে হয় আপনি আমাদের ছায়া দিয়ে আগলে রাখেন।আপনাকে কম দেখলে অসহায় বোধ করি।
খসড়া
তাইলে স্বীকার করলা আমি বট বৃক্ষ। 😀 কেমন যেন মুরুব্বি মুরুব্বি ভাব হচ্ছে। :p ভাল লাগল ভাই তোমার অনুভূতি।
ব্লগার সজীব
আপনি বট বৃক্ষই তো।সোনেলার প্রথম থেকে মন্তব্য দিয়ে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন সবাইকে।আমার মত অখাদ্য কু খাদ্য ব্লগারের লেখাকেও আপনি ভালো বলে উৎসাহ না দিলে,অনেক আগেই আমার নাম থেকে ব্লগার শব্দটা মুছে যেতো আপু।এবার আর যেতে দিচ্ছিনা আপনাকে।ছোট ভাই বোনদের রেখে কোথাও যাওয়া চলবেনা আপু। -{@
খসড়া
যাই না তো কথাও মাঝে মাঝে ডুব দিয়ে দেখি কেউ মনে করে কিনা :p নিজের মূল্য যাচাই ;?
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
Khub sundor r sabolil lekha. Maya maya… Valolaga roilo
খসড়া
ধন্যবাদ এলোমেলো নদী। এই ব্লগে আপনাকে আমি নতুন দেখছি। ভাল লাগল স্বাগতম।
নুসরাত মৌরিন
দারুন লেখা!!
পড়তে পড়তে আমিও যেন আপনারই সাথে আপনার দুষ্টামিগুলোকে দেখতে পেলাম!!
সেই ‘দ’ ই তাহলে আপনার গলায় মালা পড়ালো!!
একদম গল্পের মতো!! 🙂
খসড়া
আমাদের জীবনটা ই তো নাটকের চেয়ে নাটকিয়। ভাল লেগেছে এতেই আমি কৃতার্থ। 🙂
খেয়ালী মেয়ে
বাবার দেয়া শ্রেষ্ঠ উপহার তো আছেই, আর কি চাই জীবনে–
খসড়া
হ্যা আর কি চাই জীবনে। মেঘে মেঘে বেলা হল, মনে হচ্ছে জীবনটা মন্দ কাটেনি।
প্রজন্ম ৭১
অসাধারন এক লেখা পড়লাম খসড়া ভাইয়া (এখন নাকি আপু 🙂 ),কাহিনীটি একদম গল্পের মত।ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি ‘দ’ হবে জীবনসঙ্গী।অনেক দিন সোনেলায় এসে এমন একটি ভালো লেখা পড়ে মনে শান্তি পেলাম আমি।
খসড়া
এই তুমি কিন্তু আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। খুঁজে দেখ আমি ভাইয়া না আপু। 😀
কি পাইলাম জীবনে দ ছাড়া :p
প্রজন্ম ৭১
আজ জানলাম,জিসান ভাইয়া বলে দিয়েছেন 🙂 কিভাবে পারেন এমন করে লুকাতে? দোয়া করবেন আপু।
‘দ’ কে পেয়েছেন,আর কি চাই আপু? -{@
খসড়া
আমি কি কিছু লুকিয়েছি? 🙂 আমি লিখেছি আমার মত করে 😀 ধন্যবাদ।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
Khali akta kotha bolte bhule gesilam. Bhaijaner uchit puran diner opomaner protisodh nite nari nirzatoner chorom udhahoron toiri kora. Din raat bedom prohar.. 😀
খসড়া
লোকে বিয়ের রাতে বিড়াল মারে আমি বিয়ের আগেই সাইজ করে দিছি । 😀
প্রহেলিকা
হা হা হা সেদিনের দ তাহলে তাহলে শেষ পর্যন্ত সারাজীবনের জন্য জীবনসঙ্গিনী হলো! বেশ! আপনার বাবার দেয়া উপহারটি আসলেই শ্রেষ্ঠ উপহার। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
খসড়া
হেসে নিন প্রান খুলে , ভাল থাকুন। 🙂
ছারপোকা
ভাল লেগেছে ।বাবার শ্রেষ্ঠ
উপহার তো আছে সাথেই আর কি লাগে ।
আসলে কি চোখ পাখির নীড়ের মত হয় ?পাখির নীড়ে কিন্তু একটা বর্জ্য পদার্থ ও থাকে :p
খসড়া
খুব সুন্দর বলেছেন ‘চোখ কি পাখির নীড়ের মত হয়।’ ভাল লাগল কথাটা।
ছারপোকা
সত্যি কি পাখির নীড়ের মত ?
তাহলে সেইরাম চোখের আর দরকার নাই কারো ।
খসড়া
দরকার আছে এতো চোখ সেখানে ভালবাসারজলধারাও থাকে যা সব আবর্জনা ধুয়ে দেয়।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি আপু? 😮 আমিযে কতোদিন আপনাকে মিস ইউ মিস ইউ লিখতে গিয়ে কেটে দিয়েছি তার কি হবে? আমার কি? আপনিই মিস করলেন। সোনেলায় সুস্বাগতম খসড়া আপু :p
টেংরা মাছ “দ” কেও আমার শুভেচ্ছা। তাকে বলবেন সোনেলার আমরা বাদাম খেতে চেয়েছি। কি লিখবেন চিন্তা করতে বসে কতোকিছু লিখে ফেলেছেন, কাউকে কাউকে নিয়ে লেখার কখনো শেষ হবেনা। বাবার এমন উপহার যত্ন করে রাখবেন। শুভ কামনা অনেক। এমন লেখা ফেলে প্লিজ দুদিন অন্তর হাওয়া হবেননা।
খসড়া
আচ্ছা আমি কি কখনও বলেছি আমি ভাইয়া। আর আমি কি কখনও বলেছি আমি আপু। যে জেন্ডারেই ফেলুন না কেন আমি আমিই। আপনি আমাকে চেনেন বহুদিন থাকেই খুব কাছে থেকে। আমি হাও্য়া হইনা, মাঝে মাঝে রেস্ট নেই। তোবে আপনাদের দেখি ব্লগে ফেবুতে। ও আচ্ছা শুন্য তোমাকে তুমি করেই বলি কারন আমি খুব পুরানো মানুষ তাই তুমি বললে আরাম পাই। ভাল থাক সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
আপনি যে কত ভালো লিখতে পারেন এই লেখাটি তার আর একটি প্রমাণ।
লেখা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগ্রহ বজায় থাকে,
আপনার আর একটি গুন,আপনি লেখায় দৃশ্য আঁকতে পারেন
দেখছি যেন চোখের সামনে সব কিছু।
ব্যাস্ত আপনি খুব এটি বুঝি
তবে আপনার ব্যস্ততায় আমরা কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছি।
দ ভাই থাকুক আজীবন আপনার পাশে এমনি করে দাঁড়িয়ে
ভালো থাকুন সারাক্ষন।
খসড়া
আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক উৎসাহ দেয়।আপনিও ভাল থাকুন।
সঞ্জয় কুমার
সুন্দর লেখা
মনেহচ্ছে জীবন থেকে নেয়া ।
খসড়া
মনে হয় জীবনের প্রতিচ্ছবি। আসলেই জীবনটাতো গল্প /নাটকের চেয়ে রোমাঞ্চকর।
বনলতা সেন
‘দ’ কে শুভেচ্ছা দিলাম। না না,পরকীয়া ভেবে বসবেন না। লেখাকে লুকিয়ে রাখা ঠিক না।
আপনাকে অনেক মিস করে সোনেলা।আরও শুনতে চাই বেশি বেশি করে।
খসড়া
দ এর শুভেচ্ছা তার কাছে পৌঁছিয়ে দেব। পরকিয়া ক্ষতি কি? এত মনের ব্যাপার। মন যদি একে স্থির না থাকে আমি অপরাধ দেখি না। যার যাকে ভাল লাগে থাকুক না ভাল লাগা। ভালবাসা আর মুগ্ধতা ভিন্ন জিনিস। সারা জীবন একজনকে ভালবাসা যায় মুগ্ধতা ধরে রাখা কি যায় সারা জীবন।
লীলাবতী
আপু লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মিষ্টার ‘ দ ‘ এর টাকায় বাদাম খেতে চাই :p লেখার আর কিছু বাঁকি আছে আপু,যে লিখলেন কি লিখি তোমায়? দুজনের জন্য এত্ত গুলো শুভেচ্ছা -{@ -{@
খসড়া
শুধু বাদাম কেন? তখন তো ছাত্র ছিলাম এখন তো কর্মজীবী চলো বনলতা আমরা হাজীর বিরিয়ানি খাই। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
আবার পড়লাম,আবার 🙂 মুগ্ধতার রেশ কাটছে না আপু।সুখ আর আনন্দে কাটুক সারাজীবন। -{@
খসড়া
ধন্যবাদ।
সীমান্ত উন্মাদ
আনন্দে কাটুক আপনার প্রতিদিন প্রতিক্ষন। আপনার লিখার প্রশংসা করার যোগ্যতা আমার নাই, শুধু ভালোলাগা জানানো ছাড়া। শুভকামনা নিরন্তর আপনার জন্য।
খসড়া
আপনিও ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
নূতন লেখা চাই।
খসড়া
আসছে নতুন লেখা।
স্বপ্ন নীলা
এত সুন্দর একটি লেখা এত দেরীতে পড়লাম !! নিজের উপরই অভিমান হচ্ছে !!
ভাল থাকুন নিরন্তর
খসড়া
আপনিও ভাল থাকুন।